HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শাবান মাস বিবিধ আলোকপাত

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

শাবান মাসে রোযা পালন
عن عائشة رضي الله عنها قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصوم حتى نقول لا يفطر، ويفطر حتى نقول لا يصوم، وما رأيت رسول الله استكمل صيام شهر إلا رمضان، وما رأيته أكثر صياما منه في شعبان . رواه البخاري :১৮৩৩ ও ومسلم : ১৯৫৬

আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এ মাসে এতো বেশি পরিমাণে রোযা পালন করতেন যে, আমাদের মনে হত, তিনি রোযা ত্যাগ করবেন না। আবার যখন রোযা ত্যাগ করতেন, আমাদের মনে হত, এবার আর রোযা পালন করবেন না। এবং আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামকে রমযান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে পরিপূর্ণ রোযা পালন করতে দেখিনি ; এবং শাবান মাসের মত এতো বেশি পরিমানে রোযা অন্য কোন মাসে পালন করতে দেখিনি। বুখারী : ১৮৩৩, মুসলিম : ১৯৫৬

ওলামায়ে কিরামের একটি দল, যাদের মাঝে আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারকও রয়েছেন, প্রাধান্য দিয়েছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসে পরিপূর্ণ মাস রোযা পালন করেন নি। তবে অধিকাংশ সময় রোজা পালন করেছেন। এ পক্ষের জোড়ালো প্রমাণ পাওয়া যায়—

عن عائشة رضي الله عنها قالت : ما علمته تعني النبي صلى الله عليه وسلم صام شهراً كله إلا رمضان . صحيح مسلم .

আয়েশা রা.-এর বর্ণনা থেকে জানা যায়, তিনি বলেন—আমার জানা মতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান ছাড়া অন্য কোন মাসে পুরো মাস রোযা পালন করেন নি। (মুসলিম)

আয়েশা রা. হতে অপর একটি রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে -

ما رأيته صام شهرا كاملا منذ قدم المدينة إلا أن يكون رمضان .

মদিনায় গমন করার পর রমযান ছাড়া অন্য কোন মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামকে পুরো মাস রোযা পালন করতে আমি দেখিনি।

وفي الصحيحين عن ابن عباس قال : ما صام رسول الله صلى الله عليه وسلم شهرا كاملا غير رمضان .

ছহীহ বুখারী এবং মুসলিমে আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন—রমযান ছাড়া অন্য কোন মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো মাস রোযা রাখেন নি। বুখারী : ১৯৭১, মুসলিম : ১১৫৭

আব্দুললাহ ইবনে আববাস স্বয়ং রমযান ব্যতীত অন্য কোন মাসে পুরো মাস রোযা পালনকে অপছন্দ করতেন।

قال ابن حجر رحمه الله : كان صيامه في شعبان تطوعاً أكثر من صيامه فيما سواه وكان يصوم معظم شعبان .

ইবনে হাজার রহ. বলেন—শাবান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম-এর রোযা পালন ছিল নফল স্বরূপ। তবে, অন্যান্য মাস হতে এ মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোযা পালন করতেন।

عن أسامة بن زيد رضي الله عنهما قال : قلت يا رسول الله لم أرك تصوم من شهر من الشهور ما تصوم من شعبان، فقال : ذاك شهر تغفل الناس فيه عنه، بين رجب ورمضان، وهو شهر ترفع فيه الأعمال إلى رب العالمين، وأحب أن يرفع عملي وأنا صائم . رواه النسائي، صحيح الترغيب والترهيب ص ৪২৫ ، وفي رواية لأبي داود ২০৭৬ قالت كان أحب الشهور إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يصومه شعبان ثم يصله برمضان . صححه الألباني، صحيح سنن أبي داود : ২/৪৬১

উসামা বিন যায়েদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম)! শাবান মাসে আপনি অধিকহারে রোযা পালন করেন ; অন্য কোন মাসে তো এরূপ দেখি না ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম উত্তরে বললেন : শাবান, রজব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস, এ মাসের ফযিলতকে মানুষ উপেক্ষা করে। এই মাসে বিশ্ব প্রতিপালকের কাছে আমল পেশ করা হয়। আর আমি পছন্দ করি যে, রোযা পালনাবস্থায় আমার আমল পেশ করা হোক। নাসায়ী, ছাহীহ তারগীব তারহীব পৃষ্ঠা ৪২৫

সূনানে আবু দাউদের এক বর্ণনায় এসেছে, শাবান মাসে রোযা রাখা এবং রমযানের সাথে মিলিয়ে নেয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। ছহীহ সুনানে আবু দাউদ ৪৬১/২

আল্লামা ইবনু রাজাব র. বলেন : শাবান মাসে রোযা পালন আসহুরুল হুরুমের—নিষিদ্ধ পবিত্র মাস—চেয়েও শ্রেষ্ঠ এবং উত্তম নফল হল রমযান মাসের নিকটবর্তী দিবসের রোযা। আগে হোক কিংবা পরে। ফরয রোযার তুলনায় এ সকল রোযার স্থান ফরজ নামাযের আগে-পরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহর অনুরূপ। এগুলো ফরয সমূহের অসম্পূর্ণতাকে পরিপূর্ণতা দান করে। রমযানের আগে-পরে নফল রোযার কাজও তাই। সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ যেমন অন্যান্য সাধারণ নফল হতে শ্রেষ্ঠ তেমনিভাবে রমযান মাসের আগে-পরের রোযা অন্য সময়ের নফল রোযা হতে শ্রেষ্ঠ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এর বাণী :

شعبان شهر يغفل الناس عنه بين رجب ورمضان .

শাবান মাস রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী হওয়ার কারণে মানুষ এ মাস সম্পর্কে উদাসীন থাকে।

এ মাসের ফযিলতকে মানুষ উপেক্ষা করে, মাসটি রাজাব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস হওয়ার ফলে—এর মাধ্যমে মূলত বুঝানো হচ্ছে, শাবান মাসকে যেহেতু দুটি সম্মানিত মাস বেষ্টন করেছে, সে জন্য মানুষ ঐ দুই মাসের আমলে ব্যস্ত হয়ে শাবান মাসকে অবহেলা করে। পক্ষান্তরে, অনেক মানুষ মনে করে, শাবান মাসের রোযার তুলনায় রজব মাসের রোযার মর্যাদা অধিক। কারণ, রজব হচ্ছে নিষিদ্ধমাস। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি এমন নয়।

পূর্বের হাদীস থেকে আমরা আরো বুঝতে পারি, কতিপয় স্থান, সময়, এবং ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, প্রসিদ্ধ হলেও, এর বাইরেও শ্রেষ্ঠ বিষয় থাকতে পারে।

এতে আরো প্রমাণ করে, মানুষ যে সব সময়ের ব্যাপারে উদাসীন ঐ সব সময়কে এবাদতের মাধ্যমে কাজে লাগানো পছন্দনীয়। যেমন, সালাফেসালেহীনের একটি জামাত মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে আমল করা খুব পছন্দ করতেন এবং তারা বলতেন, এ সময়টি মানুষের কাছে উপেক্ষিত। এমনিভাবে, বাজারে আল্লাহকে স্মরণ করা। কারণ, সেখানে মানুষ আল্লাহর যিকির হতে উদাসীন থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন