HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
শাবান মাস বিবিধ আলোকপাত
লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা
৪
উদাসীন সময়গুলোতে আল্লাহর বন্দেগীর মাঝে অনেক উপকার রয়েছে। তন্মধ্যে—নেক কাজে গোপনীয়তা রক্ষা। নফল ইবাদতে গোপনীয়তা উত্তম, বিশেষত: রোযার ক্ষেত্রে। কারণ, এ হচ্ছে আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে গোপন বিষয়। এজন্য বলা হয়: রোযা পালনে লৌকিকতা প্রকাশ পায় না। কতিপয় সালাফে সালেহীন বছরের পর বছর রোযা পালন করতেন, অথচ কেউ জানতো না। বাড়ি হতে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হতেন, হাতে দু’টুকরা রুটি—পথে তা দান করে দিতেন এবং রোযা পালন করতেন। পরিবারের লোক মনে করত তিনি খেয়েছেন। আর বাজারের লোক মনে করত তিনি বাড়িতে খাবার গ্রহণ করে এসেছেন। সালাফে সালেহীনের আরো পছন্দ ছিল যে, রোযাদার ব্যক্তি তার গোপন বিষয় প্রকাশ না করুক।
عن أبن مسعود أنه قال : إذا أصبحتم صياما فأصبحوا مدهنين وقال قتادة : يستحب للصائم أن يدهن حتى تذهب عنه غبرة الصيام .
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রোযার দিবসে তোমাদের ভোর যেন শরীরে তৈল মর্দনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কাতাদাহ বলেন: রোযাদার ব্যক্তির পছন্দনীয় কাজ হল, সে তার শরীরে তৈল মালিশ করবে যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট মলিনতা দূর হয়ে যায়।
এমনিভাবে অবহেলিত বা অমনোযোগী অলস সময়ে নেককাজ নিজের কাছে কষ্টকর মনে হয়। আর আমল শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণগুলোর মাঝে একটি হল অনিচ্ছা সত্ত্বেও নেক কাজ করা।
عن معقل بن يسار قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : العبادة في الهرج كالهجرة إلي . رواه مسلم : ২৯৮৪
মা’কাল বিন ইয়াসার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: কষ্টের মাঝে ইবাদত আমার নিকট হিজরতের সমতুল্য। মুসলিম : ২৯৮৪।
কারণ, তখন মানুষ প্রবৃত্তির পুজায় লিপ্ত থাকে। ঐ সময় নেক আমলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা মানেই হচ্ছে সে একটি কঠিন কাজ সম্পাদন করছে।
শাবান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিক পরিমাণ রোযা পালনের কারণ সম্পর্কে বিদ্বানদের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়।
সফর ও অন্যান্য ব্যস্ততায় প্রতি মাসের তিনটি নফল রোযা পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হত। তাই ঐ সব রোযা শাবান মাসে কাযা করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল শুরু করলে তা পূর্ণ করতেন। কোন কারণে ছুটে গেলে পরে কাযা করতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ রমযানের রোযা শাবানে কাযা করতেন। এ জন্য তিনিও তাদের সাথে নফল রোযা পালন করতেন। এরূপ একটি বর্ণনা আয়েশা রা. থেকে পাওয়া যায়, তিনি বলেন : তিনি রমযানের রোযার কাযা শাবান মাস পর্যন্ত বিলম্ব করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় অন্য সময় তা সম্ভব হয়ে উঠত না।
সাধারণত মানুষ এ মাসের ফযিলত সম্পর্কে উদাসীন থাকে, তাই তাদের শিক্ষাদানের নিমিত্তে রোযা পালন করতেন। এ মতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারণ, এ মতের পক্ষে উসামা বিন যায়েদের পূর্বে উল্লেখিত হাদিসের সমর্থন পাওয়া যায়, যাতে বলা হয়েছে : এটা ঐ মাস যা সম্পর্কে মানুষ উদাসীন থাকে, রজব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস। নাসায়ী, ছহীহ তারগীব তারহীব পৃষ্ঠা : ৪২৫
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শাবান মাস আসত তখন থেকে যাওয়া নফল রোযাগুলো আদায় করতেন, যাতে রমযান মাস আসার পূর্বেই নফল রোযাগুলো পরিপূর্ণ হয়। যেমনটি তিনি নফল নামায ও কিয়ামুল লাইল কারণ বশতঃ ছুটে গেলে কাযা করতেন। আয়েশা রা. এ সুযোগ ব্যবহার করে ঋতুস্রাবের কারণে রমযান মাসের যে সব রোযা বাদ যেত তা কাযা করতেন। অন্য সময় রাসূলের সাথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতেন বলে সম্ভব হতো না।
অতএব, যাদের উপর অতীত রমযান মাসের রোযা বাকী আছে তার কাযা আদায়ের ব্যাপারে সতর্ক করা, সতর্কত হওয়া প্রয়োজন। যে ব্যক্তি রমযান মাসের পূর্বে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কাযা আদায় করে নি, সে তাওবাহসহ কাযা আদায় করবে এবং প্রত্যেক দিনের জন্য একজন করে মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করবে। এটা ইমাম মালেক, ইমাম শাফী, ইমাম আহমদ রহ.-এর মত।
এমনিভাবে, শাবানে রোযা রাখা দ্বারা অন্য উপকারও আছে। তাহল, শাবানে রোযা পালনের মাধ্যমে রমযান মাসের রোযা পালনের অনুশীলন হয়। এতে রমযান মাসে রোযা পালনে কষ্ট অনুভব হয় না। বরং, এর মাধ্যমে রোযা রাখার অনুশীলন ও অভ্যাস সৃষ্টি হয়। ফলে রমযান মাসে রোযা পালনে উৎসাহ ও আনন্দ বৃদ্ধি পায়।
শাবান যেহেতু রমযানের ভূমিকা, তাই রমযানের কতিপয় কাজ এ মাসেও করা যায়—রোযা পালন, কোরআন তিলাওয়াত, দান-ছদকা ইত্যাদি। সালমা বিন সোহাইল বলতেন—শাবান তিলাওয়াতকারীদের মাস। হাবীব বিন আবু সাবেত শাবান মাস সমাগত হলে বলতেন : এটা তিলাওয়াতকারীদের মাস। আমর বিন কায়েস আল মুলায়ী শাবান মাসে দোকান বন্ধ রাখতেন এবং কোরান তিলাওয়াতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতেন।
عن أبن مسعود أنه قال : إذا أصبحتم صياما فأصبحوا مدهنين وقال قتادة : يستحب للصائم أن يدهن حتى تذهب عنه غبرة الصيام .
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রোযার দিবসে তোমাদের ভোর যেন শরীরে তৈল মর্দনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। কাতাদাহ বলেন: রোযাদার ব্যক্তির পছন্দনীয় কাজ হল, সে তার শরীরে তৈল মালিশ করবে যাতে রোযার কারণে সৃষ্ট মলিনতা দূর হয়ে যায়।
এমনিভাবে অবহেলিত বা অমনোযোগী অলস সময়ে নেককাজ নিজের কাছে কষ্টকর মনে হয়। আর আমল শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণগুলোর মাঝে একটি হল অনিচ্ছা সত্ত্বেও নেক কাজ করা।
عن معقل بن يسار قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : العبادة في الهرج كالهجرة إلي . رواه مسلم : ২৯৮৪
মা’কাল বিন ইয়াসার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: কষ্টের মাঝে ইবাদত আমার নিকট হিজরতের সমতুল্য। মুসলিম : ২৯৮৪।
কারণ, তখন মানুষ প্রবৃত্তির পুজায় লিপ্ত থাকে। ঐ সময় নেক আমলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা মানেই হচ্ছে সে একটি কঠিন কাজ সম্পাদন করছে।
শাবান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিক পরিমাণ রোযা পালনের কারণ সম্পর্কে বিদ্বানদের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়।
সফর ও অন্যান্য ব্যস্ততায় প্রতি মাসের তিনটি নফল রোযা পালনে বিঘ্ন সৃষ্টি হত। তাই ঐ সব রোযা শাবান মাসে কাযা করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল শুরু করলে তা পূর্ণ করতেন। কোন কারণে ছুটে গেলে পরে কাযা করতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ রমযানের রোযা শাবানে কাযা করতেন। এ জন্য তিনিও তাদের সাথে নফল রোযা পালন করতেন। এরূপ একটি বর্ণনা আয়েশা রা. থেকে পাওয়া যায়, তিনি বলেন : তিনি রমযানের রোযার কাযা শাবান মাস পর্যন্ত বিলম্ব করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় অন্য সময় তা সম্ভব হয়ে উঠত না।
সাধারণত মানুষ এ মাসের ফযিলত সম্পর্কে উদাসীন থাকে, তাই তাদের শিক্ষাদানের নিমিত্তে রোযা পালন করতেন। এ মতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারণ, এ মতের পক্ষে উসামা বিন যায়েদের পূর্বে উল্লেখিত হাদিসের সমর্থন পাওয়া যায়, যাতে বলা হয়েছে : এটা ঐ মাস যা সম্পর্কে মানুষ উদাসীন থাকে, রজব ও রমযানের মধ্যবর্তী মাস। নাসায়ী, ছহীহ তারগীব তারহীব পৃষ্ঠা : ৪২৫
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শাবান মাস আসত তখন থেকে যাওয়া নফল রোযাগুলো আদায় করতেন, যাতে রমযান মাস আসার পূর্বেই নফল রোযাগুলো পরিপূর্ণ হয়। যেমনটি তিনি নফল নামায ও কিয়ামুল লাইল কারণ বশতঃ ছুটে গেলে কাযা করতেন। আয়েশা রা. এ সুযোগ ব্যবহার করে ঋতুস্রাবের কারণে রমযান মাসের যে সব রোযা বাদ যেত তা কাযা করতেন। অন্য সময় রাসূলের সাথে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতেন বলে সম্ভব হতো না।
অতএব, যাদের উপর অতীত রমযান মাসের রোযা বাকী আছে তার কাযা আদায়ের ব্যাপারে সতর্ক করা, সতর্কত হওয়া প্রয়োজন। যে ব্যক্তি রমযান মাসের পূর্বে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কাযা আদায় করে নি, সে তাওবাহসহ কাযা আদায় করবে এবং প্রত্যেক দিনের জন্য একজন করে মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করবে। এটা ইমাম মালেক, ইমাম শাফী, ইমাম আহমদ রহ.-এর মত।
এমনিভাবে, শাবানে রোযা রাখা দ্বারা অন্য উপকারও আছে। তাহল, শাবানে রোযা পালনের মাধ্যমে রমযান মাসের রোযা পালনের অনুশীলন হয়। এতে রমযান মাসে রোযা পালনে কষ্ট অনুভব হয় না। বরং, এর মাধ্যমে রোযা রাখার অনুশীলন ও অভ্যাস সৃষ্টি হয়। ফলে রমযান মাসে রোযা পালনে উৎসাহ ও আনন্দ বৃদ্ধি পায়।
শাবান যেহেতু রমযানের ভূমিকা, তাই রমযানের কতিপয় কাজ এ মাসেও করা যায়—রোযা পালন, কোরআন তিলাওয়াত, দান-ছদকা ইত্যাদি। সালমা বিন সোহাইল বলতেন—শাবান তিলাওয়াতকারীদের মাস। হাবীব বিন আবু সাবেত শাবান মাস সমাগত হলে বলতেন : এটা তিলাওয়াতকারীদের মাস। আমর বিন কায়েস আল মুলায়ী শাবান মাসে দোকান বন্ধ রাখতেন এবং কোরান তিলাওয়াতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন