HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
শাবান মাস বিবিধ আলোকপাত
লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা
৫
শাবানের শেষ দিকে রোযাপালন ثبت في الصحيحين عن عمران بن حصين رصي الله عنه، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لرجل هل صمت من سرر هذا الشهر شيئا . قال : لا، قال : فإذا أفطرت فصم يومين .
ইমরান বিন হোসাইন থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন : এই মাসের শেষ দিকে কি কোন রোযা পালন করেছ ? সে বলল, না। উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যদি রোযা ভঙ্গ করে থাক তাহলে অন্তত দুই দিন রোযা পালন কর। বুখারী, মুসলিম।
وفي رواية البخاري : أظنه يعني رمضان .
বোখারির বর্ণনায় এসেছে, বর্ণনাকারী বলেন: আমার ধারণা এতে রমযান মাস উদ্দেশ্য ছিল।
وفي رواية لمسلم هل صمت من سرر شعبان شيئا؟
অর্থ : মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে তুমি কি শাবানের শেষ অংশে কোন রোযা পালন করেছ ? বুখারী-২০০/৪, মুসলিম-১১৬১
سرار সারার শব্দের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ মত হলো মাসের শেষাংশকে সারার বলা হয়। মাসের শেষাংশে চাঁদ গোপন থাকায় আরব গণ মাসের শেষ অংশকে سرار বলতো। কারো আবু হুরায়রা রা. এর নিম্ন বর্ণিত হাদিসে প্রশ্ন জাগতে পারে-
عن أبي هريرة رصي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : لا تقدموا رمضان بيوم أو يومين، إلا من كان يصوم فليصمه .
অর্থ- আবু হুরায়রা রা. বর্ণিত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রমযানের এক বা দুই দিন পূর্বে রোযা পালন শুরু করো না। তবে যে আগে থেকেই ঐ দিন রোযা রাখে (কাকতালীয়ভাবে ঐ দিন যদি রমযানের পূর্ব দিন হয়) তবে কোন অসুবিধা নেই। বুখারী- ১৯৮৩, মুসলিম- ১০৪৮২। উভয় হাদিসের মাঝে কি ভাবে সমন্বয় করা হবে ?
বেশিরভাগ হাদিস বিশারদ বলেছেন- যে ব্যক্তিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি জানতেন এ ব্যক্তির অভ্যাস ছিল এ দিনগুলোতে রোযা পালন করার অথবা তার মানত ছিল তাই রোযা পালন করতে বলেছেন।
এ মাসয়ালার বিষয় বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। সংক্ষেপে বলা যায় শাবান মাসের শেষের দিন রোযা পালনের তিন অবস্থা-
(১) সতর্কতা মূলক রমযানের নিয়তে শাবানের শেষ দিন রোযা রাখা হারাম।
(২) মানতের নিয়তে অথবা রমযানের কাযা অথবা কাফ্ফারার রোযা পালন জামহুর ওলামা জায়েয বলেছেন।
(৩) সাধারণ নফল নিয়তে রোযা পালন অপছন্দনীয়। এটা ঐ সকল বিদ্বানদের মত, যারা বলেছেন শাবান ও রমযানের মাঝে রোযা না রেখে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে প্রার্থক্য করার জন্য। যদিও এ তারিখে রোযা পালন তার পূর্ব অভ্যাসের সাথে মিলে যায়। এমতের পক্ষে ইমাম হাসান রহ. রয়েছেন।
ইমাম মালেক ও তার অনুসারীগণ অনুমতি দিয়েছেন এবং ইমাম শাফেয়ী আওযায়ী আহমদ প্রমুখ পূর্ব অভ্যাসগত হলে জায়েয বলেছেন। অন্যথায় নয়।
সংক্ষেপে বলা যায়, আবু হুরায়রার হাদীসের উপর অনেক আলেমই আমল করেন, এবং যার পূর্ব থেকে অভ্যাস নেই, সে রমযানের এক দুই দিন পূর্বে সতর্কতামূলক রোযা পালন করাকে তারা অপছন্দ করেন। কারো প্রশ্ন জাগতে পারে যাদের অভ্যাস নেই তাদের জন্য কেন নিষেধ করা হলো ?
উত্তর—(১) যাতে রমযানের রোযার সংখ্যা বৃদ্ধি না হয়। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা পালন করতে নিষেধ করেছেন এবং রোযা পালনকারীকে তার অবাধ্য বলে ঘোষনা করেছেন। সন্দেহের দিন কাকে বলা হয় ?
(ক) ঐ দিনকে, যাকে মানুষ সন্দেহ করে রমযান না কি শাবানের দিন। (খ) যে ব্যক্তি সংবাদ দিয়েছে সে চাঁদ দেখেছে কিন্তু মানুষ তার কথা গ্রহণ করে নি, তার জন্য সন্দেহের দিন। (গ) মেঘলা দিনকে অনেকে সন্দেহের দিন বলেছেন এবং রোযা পালনে নিষেধ করেছেন। এটা বেশীর ভাগ বিদ্বানদের মত।
(২) ফরজ ও নফল রোযার মাঝে পৃথক করার জন্য। ফরজ ও নফলের মধ্যে পার্থক্য করা শরীয়তসম্মত। এজন্য ঈদের দিন রোযা পালন হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাযকে অন্য কোন নামাযের সাথে মিশ্রণ করতে নিষেধ করেছেন। সালাম অথবা কথার মাধ্যমে পর্থক্য করতে বলেছেন। বিশেষত ফজরের পূর্বেকার সুন্নাত। এ জন্য ফজরের সুন্নাত ঘরে পড়া এবং আদায়ের পরে কিছুক্ষণ শয়ন করা বৈধ।
ولما رأى النبي صلى الله عليه وسلم رجلا يصلي وقد أقيمت صلاة الفجر، قال له : آلصبح أربعا . رواه البخاري : ৬৬৩
অর্থ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি নামায পড়ছে। এ দিকে ফজর নামাযের ইকামত হচ্ছে। রাসূল বললেন : ফজর কি চার রাকাত ? বুখারী-৬৬৩
অনেক অজ্ঞ লোক মনে করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের পূর্বে রোযা রাখার নিষিদ্ধের আদেশ দ্বারা উদ্দেশ্য খাবার গ্রহণের জন্য সুযোগ দান। যাতে রমযান এসে খাবার গ্রহণের পথ বন্ধ করার পূর্বে আত্মা তার চাহিদা পুরণ করতে পারে। যারা এটা ধারণা করে, তাদের ধারণা ভুল।
আল্লাহ ভালো জানেন।
ইমরান বিন হোসাইন থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বললেন : এই মাসের শেষ দিকে কি কোন রোযা পালন করেছ ? সে বলল, না। উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : যদি রোযা ভঙ্গ করে থাক তাহলে অন্তত দুই দিন রোযা পালন কর। বুখারী, মুসলিম।
وفي رواية البخاري : أظنه يعني رمضان .
বোখারির বর্ণনায় এসেছে, বর্ণনাকারী বলেন: আমার ধারণা এতে রমযান মাস উদ্দেশ্য ছিল।
وفي رواية لمسلم هل صمت من سرر شعبان شيئا؟
অর্থ : মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে তুমি কি শাবানের শেষ অংশে কোন রোযা পালন করেছ ? বুখারী-২০০/৪, মুসলিম-১১৬১
سرار সারার শব্দের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ মত হলো মাসের শেষাংশকে সারার বলা হয়। মাসের শেষাংশে চাঁদ গোপন থাকায় আরব গণ মাসের শেষ অংশকে سرار বলতো। কারো আবু হুরায়রা রা. এর নিম্ন বর্ণিত হাদিসে প্রশ্ন জাগতে পারে-
عن أبي هريرة رصي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : لا تقدموا رمضان بيوم أو يومين، إلا من كان يصوم فليصمه .
অর্থ- আবু হুরায়রা রা. বর্ণিত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন রমযানের এক বা দুই দিন পূর্বে রোযা পালন শুরু করো না। তবে যে আগে থেকেই ঐ দিন রোযা রাখে (কাকতালীয়ভাবে ঐ দিন যদি রমযানের পূর্ব দিন হয়) তবে কোন অসুবিধা নেই। বুখারী- ১৯৮৩, মুসলিম- ১০৪৮২। উভয় হাদিসের মাঝে কি ভাবে সমন্বয় করা হবে ?
বেশিরভাগ হাদিস বিশারদ বলেছেন- যে ব্যক্তিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি জানতেন এ ব্যক্তির অভ্যাস ছিল এ দিনগুলোতে রোযা পালন করার অথবা তার মানত ছিল তাই রোযা পালন করতে বলেছেন।
এ মাসয়ালার বিষয় বিভিন্ন মত পাওয়া যায়। সংক্ষেপে বলা যায় শাবান মাসের শেষের দিন রোযা পালনের তিন অবস্থা-
(১) সতর্কতা মূলক রমযানের নিয়তে শাবানের শেষ দিন রোযা রাখা হারাম।
(২) মানতের নিয়তে অথবা রমযানের কাযা অথবা কাফ্ফারার রোযা পালন জামহুর ওলামা জায়েয বলেছেন।
(৩) সাধারণ নফল নিয়তে রোযা পালন অপছন্দনীয়। এটা ঐ সকল বিদ্বানদের মত, যারা বলেছেন শাবান ও রমযানের মাঝে রোযা না রেখে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে প্রার্থক্য করার জন্য। যদিও এ তারিখে রোযা পালন তার পূর্ব অভ্যাসের সাথে মিলে যায়। এমতের পক্ষে ইমাম হাসান রহ. রয়েছেন।
ইমাম মালেক ও তার অনুসারীগণ অনুমতি দিয়েছেন এবং ইমাম শাফেয়ী আওযায়ী আহমদ প্রমুখ পূর্ব অভ্যাসগত হলে জায়েয বলেছেন। অন্যথায় নয়।
সংক্ষেপে বলা যায়, আবু হুরায়রার হাদীসের উপর অনেক আলেমই আমল করেন, এবং যার পূর্ব থেকে অভ্যাস নেই, সে রমযানের এক দুই দিন পূর্বে সতর্কতামূলক রোযা পালন করাকে তারা অপছন্দ করেন। কারো প্রশ্ন জাগতে পারে যাদের অভ্যাস নেই তাদের জন্য কেন নিষেধ করা হলো ?
উত্তর—(১) যাতে রমযানের রোযার সংখ্যা বৃদ্ধি না হয়। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা পালন করতে নিষেধ করেছেন এবং রোযা পালনকারীকে তার অবাধ্য বলে ঘোষনা করেছেন। সন্দেহের দিন কাকে বলা হয় ?
(ক) ঐ দিনকে, যাকে মানুষ সন্দেহ করে রমযান না কি শাবানের দিন। (খ) যে ব্যক্তি সংবাদ দিয়েছে সে চাঁদ দেখেছে কিন্তু মানুষ তার কথা গ্রহণ করে নি, তার জন্য সন্দেহের দিন। (গ) মেঘলা দিনকে অনেকে সন্দেহের দিন বলেছেন এবং রোযা পালনে নিষেধ করেছেন। এটা বেশীর ভাগ বিদ্বানদের মত।
(২) ফরজ ও নফল রোযার মাঝে পৃথক করার জন্য। ফরজ ও নফলের মধ্যে পার্থক্য করা শরীয়তসম্মত। এজন্য ঈদের দিন রোযা পালন হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরজ নামাযকে অন্য কোন নামাযের সাথে মিশ্রণ করতে নিষেধ করেছেন। সালাম অথবা কথার মাধ্যমে পর্থক্য করতে বলেছেন। বিশেষত ফজরের পূর্বেকার সুন্নাত। এ জন্য ফজরের সুন্নাত ঘরে পড়া এবং আদায়ের পরে কিছুক্ষণ শয়ন করা বৈধ।
ولما رأى النبي صلى الله عليه وسلم رجلا يصلي وقد أقيمت صلاة الفجر، قال له : آلصبح أربعا . رواه البخاري : ৬৬৩
অর্থ : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি নামায পড়ছে। এ দিকে ফজর নামাযের ইকামত হচ্ছে। রাসূল বললেন : ফজর কি চার রাকাত ? বুখারী-৬৬৩
অনেক অজ্ঞ লোক মনে করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের পূর্বে রোযা রাখার নিষিদ্ধের আদেশ দ্বারা উদ্দেশ্য খাবার গ্রহণের জন্য সুযোগ দান। যাতে রমযান এসে খাবার গ্রহণের পথ বন্ধ করার পূর্বে আত্মা তার চাহিদা পুরণ করতে পারে। যারা এটা ধারণা করে, তাদের ধারণা ভুল।
আল্লাহ ভালো জানেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন