hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ

১২
পীরদের সামনে মাথা নোয়ানো ও মাটি চুম্বন করার বিধান
আর বড় বড় পীর ও অন্যান্যদের নিকট মাথা নোয়ানো অথবা মাটি চুম্বন করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে ইমামদের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই। বরং আল্লাহ তা‘আলা ব্যতিত অন্য কারো জন্য সামান্য পিঠ বাঁকা করে ঝুঁকে পড়া থেকেও নিষেধ করা হয়েছে।

মুসনাদ ও অন্যান্য গ্রন্থে এসেছে যে, যখন মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু শাম দেশ থেকে ফিরে আসলেন তখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাজদাহ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এটা কি হে মু‘আয? উত্তরে তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল আমি সিরিয়াতে তাদেরকে দেখেছি যে তারা তাদের পাদ্রী ও বিশপকে সাজদাহ করছে, আর তারা তাদের নবীদের থেকেও অনুরূপ উল্লেখ করে থাকেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

يَا مُعَاذُ، إِنَّهُمْ كَذَبُوا عَلَى أَنْبِيَائِهِمْ، لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ الله عَزَّ وَجَلَّ، لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا لما عظم الله من حقه عليهافَقَالَ : «لاَ تَفْعَلُوا أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِى أَكُنْتَ سَاجِدًا؟» .

“হে মু‘আয তারা মিথ্যা বলেছে! যদি আমি কাউকে সাজদাহ করার আদেশ করতাম, তবে অবশ্যই স্ত্রীদেরকে তাদের স্বামীকে তাদের ওপর অধিক অধিকারের জন্য সাজদাহ করতে বলতাম।” হে মু‘আয তুমি আমাকে জানাও যদি তুমি আমার কবরের কাছ দিয়ে অতিক্রম কর তবে কি তুমি তাতে সাজদাহ করবে? মু‘আয বললেন, না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তুমি এটা করবে না।” [প্রাগুক্ত।] অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমনটি বলেছেন।

বরং সহীহ গ্রন্থে জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে সাব্যস্ত আছে যে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের সহ অসুস্থতার কারণে বসে সালাত আদায় করেছেন। আর তারা দাড়িয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি তাদের বসতে আদেশ করলেন।

আর তিনি বললেন: “যেমনিভাবে অনারবগণ পরস্পর পরস্পরকে সম্মান দেখায় তোমরা আমাকে সেরূপ সম্মান দেখাবে না।” [প্রাগুক্ত।]

তিনি আরও বলেন,

«من سره أن يتمثل له الناس قياما فليتبوأ مقعده من النار»

“যে ব্যক্তি তার জন্য মানুষ দাঁড়িয়ে থাকাকে পছন্দ করে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।” [হাদীসটির সনদ সহীহ। সুনান আবি দাউদ, হাদীস নং ৫২২৯; জামে তিরমিযী, হাদীস নং ২৭৫৬; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং ৯৭৭।]

সুতরাং যখন তাদেরকে দাঁড়াতে নিষেধ করা হলো, যখন তিনি বসা অবস্থায় ছিলেন, আর তারা ছিল সালাতে দণ্ডায়মান, যাতে সেটা তাদের মতো না হয় যারা তাদের বড়দের জন্য দণ্ডায়মান হয় এবং আরও জানিয়েছেন যে, দাঁড়িয়ে থাকায় যে সন্তুষ্ট হয় তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যাবে, তাহলে কারও জন্য সাজদাহ করা ও মাথা নুইয়ে রাখা অথবা হাত চুম্বনের বিধান কেমন হতে পারে? উমার ইবন আবদুল আযীয রহ. যিনি তখন যমীনে আল্লাহর খলিফা ছিলেন, তিনি যখন কেউ আগমন করতো তখন তাকে মাটি চুম্বন থেকে ফিরে রাখতে এবং তাদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছিলেন।

মোটকথা, দণ্ডায়মান হওয়া, বসা, রুকু ও সাজদাহ কেবলমাত্র এক মা‘বুদের অধিকার। যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। আর একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলার অধিকারে অন্য কারো অংশ থাকতে পারে না। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ كَانَ حَالِفًا فَلْيَحْلِفْ بِاللَّهِ أَوْ لِيَصْمُتْ» .

“যে ব্যক্তি শপথ করে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে।” [হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারী,(১১/৪৪১,৪৪২); সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৪৬।]

তিনি আরো বলেন,

«مَنْ حَلَفَ بِشَيْءٍ دُونَ اللهِ فَقَدْ أَشْرَك»

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর শপথ করে, সে তো নিশ্চয় শির্ক করলো।” [হাদীসটি সহীহ। জামে তিরমিযী, হাদীস নং ১৫৩৫; মুসনাদে আহমাদ,(২/৩৪)।]

অতএব, সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য, তার কোনো শরীক নেই,

﴿وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ وَيُقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُواْ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَذَٰلِكَ دِينُ ٱلۡقَيِّمَةِ ٥﴾ [ البينة : ٥ ]

“আর তাদেরকে কেবল এ নির্দেশই প্রদান করা হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে, তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে এবং সালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে। আর এটাই সঠিক দীন। [সূরা আল-বাইয়্যেনাহ, আয়াত: ৫]

অনুরূপভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

«إِنَّ اللَّهَ يَرْضَى لَكُمْ ثَلاَثًا رَضِىَ لَكُمْ أَنْ تَعْبُدُوهُ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَأَنْ تَعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلاَ تَفَرَّقُوا وَأَنْ تُنَاصِحُوا مَنْ ولاه اللَّهُ أَمْرَكُمْ»

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য তিনটি বিষয়ে সন্তুষ্ট আছেন: তোমরা কেবল তাঁর ইবাদত করবে এবং তার সাথে কোনো কিছুর শরীক করবে না, তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে সকলে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না। আর তোমরা তোমাদের শাসক-আলেমগণ, যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কল্যাণকামী হবে।” [হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৫; মুয়াত্তা ইমাম মালেক (২/৯৯০); মুসনাদে আহমাদ(২/৩৬৭)।] আর ইবাদতকে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করাই হলো ইবাদতের মূল।

আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত সুক্ষ্ম, প্রকাশ্য, তুচ্ছ, বড় সর্ব প্রকার শির্ক থেকে নিষেধ করেছেন। এমনকি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির তথা সন্দেহাতীতভাবে ধারাবাহিক বর্ণনার মাধ্যমে এসেছে যে, তিনি সূর্য উদয় ও অস্ত যাওয়ার সময় সালাত আদায়কে নিষেধ করেছেন। যা বিভিন্ন শব্দে এসেছে, কখনো তিনি বলেন,

«لا تحروا بصلاتكم طلوع الشمس ولا غروبها»

“তোমরা সূর্য উদয় ও অস্তের সময় সালাত আদায় করার জন্য লেগে থাকবে না।” [হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারী (১/১৫২); সহীহ মুসলিম (১/৫৬৭)।]

আবার কখনো ফযরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসরের পর হতে সুর্য অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সালাতকে নিষেধ করেছেন।

আবার কখনো তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সূর্য শয়তানের দুই শিং-এর উপর উদিত হয়। আর ঐ সময় কাফেররা তাকে সাজদাহ করে। ফলে ঐ সময় সালাত আদায়কে নিষেধ করা হয়েছে, যেহেতু ঐ একই সময় সাজদাহর মাধ্যমে মুশরিকদের সূর্যকে সাজদাহ করার সামঞ্জস্য হয়ে যায়। আর শয়তান তখন সূর্যের সাথে মিলিত হয় যেন তার জন্য সাজদাহ করা হয়। (যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামান্যতম সামঞ্জস্যতার কারণে) এগুলো থেকে নিষেধ করেছেন, তাহলে যেগুলো সুস্পষ্ট শির্ক ও মুশরিকদের সাথে সুস্পষ্ট সামঞ্জস্য বিধান করে থাকে তার অবস্থা কেমন হতে পারে?

অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে বলেন, যাতে তিনি আহলে কিতাবদেরকে সম্বোধন করেছেন,

﴿ قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ كَلِمَةٖ سَوَآءِۢ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكُمۡ أَلَّا نَعۡبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشۡرِكَ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗا وَلَا يَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَقُولُواْ ٱشۡهَدُواْ بِأَنَّا مُسۡلِمُونَ ٦٤﴾ [ ال عمران : ٦٤ ]

“আপনি বলুন, হে আহলে কিতাবগণ! এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত না করি, তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করি এবং আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া একে অন্যকে রব হিসেবে গ্রহণ না করি।’ তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তোমরা বল, তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪]

তাছাড়া তা আরও যে কারণে নিষিদ্ধ তা হলো, এতে আল্লাহ ব্যতীত আহলে কিতাবদের দ্বারা পরস্পরকে যে রব্বরূপে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তার সাথে সাদৃশ্য সৃষ্টি হয়। আর আমাদেরকে অনুরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর যে কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ, তাঁর সাহাবী ও তাবে‘ঈদের আদর্শ বাদ দিয়ে নাসারাদের আদর্শ গ্রহণ করে সে তো আল্লাহ ও তার রাসূল যে বিষয় আদেশ করেছেন তা ছেড়ে দিলো।

আর কোনো ব্যক্তির বক্তব্য: “আমার প্রয়োজনটি আল্লাহ ও তোমার (ব্যক্তি, পীর, কবর ইত্যাদির) বরকতে পূর্ণ হয়েছে।” এ ধরনের বক্তব্য মারাত্মকভাবে নিন্দনীয়, কেননা এ ধরনের বিষয়ে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে মিলিত করা জায়েয নেই। এমনকি কোনো বক্তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল, ‘আল্লাহ ও আপনি যা চান’, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তুমি কি আমাকে আল্লাহর অংশিদার বানাতে চাও? বরং বল, একমাত্র আল্লাহ যা চান।” আর তিনি তার সাহাবীদের বলেন, “তোমরা বলবে না যে, আল্লাহ যা চান ও মুহাম্মদ যা চান, বরং তোমরা বল: আল্লাহ যা চান অতঃপর যা মুহাম্মদ চান।” [হাদীসটি সহীহ। ইবন মাজাহ হাদীস নং ২১১৮; মুসনাদে আহমাদ (৫/ ২৯৩)।]

অন্য হাদীসের এসেছে, কোনো মুসলিম শুনতে পেলো যে, কেউ তাকে বলেছে, ‘তোমরা কতই না উত্তম জাতি হতে যদি না তোমরা আল্লাহর সাথে শরীক না বানাতে অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করছ। অর্থাৎ তোমরা বলে থাক, আল্লাহ যা চান ও মুহাম্মদ যা চান। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এটা থেকে নিষেধ করলেন।

সহীহ গ্রন্থে যায়েদ ইবনে খালেদ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে বৃষ্টির পরে হুদায়বিয়ায় ফজরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা কি জান তোমাদের রব্ব রাতে কি বলেছেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলেন,

«أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِى مُؤْمِنٌ بِى وَكَافِرٌ، فَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ فَذَلِكَ مُؤْمِنٌ بِى وَكَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا فَذَلِكَ كَافِرٌ بِى وَمُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ» .

“তিনি বলেন, আমার বান্দাদের কেউ কেউ আমার ওপর মুমিন হয়েছে আবার কেউ কেউ কাফির হয়েছে। যারা বলেছে, “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আমাদের ওপর বৃষ্টি হয়েছে, সে আমার ওপর ঈমানদার এবং নক্ষত্রের ব্যাপারে কাফির, আর যে বলল আমরা ওমুক ওমুক নক্ষত্রের নিকটবর্তী হওয়া দ্বারা বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছি, সে আমার সাথে কুফরিকারী এবং নক্ষত্রের প্রভাবে বিশ্বাসী।” [হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪১৪৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৫০।]

আর যে সব উপায়-উপকরণসমূহ আল্লাহ তা‘আলা মানুষের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সেগুলোকে আল্লাহর সাথে শরীক, অংশীদার, সাহায্যকারী বানানো যাবে না।

আর বক্তার বক্তব্য: ‘শাইখ বা পীরের বরকতে’ এর দ্বারা কখনো উদ্দেশ্য হতে পারে, শাইখের দো‘আয়। আর দো‘আ অনুপস্থিতির পক্ষ থেকে অতিদ্রুত কবুল হয়। আবার উক্ত ‘শাইখ বা পীরের বরকতে’ একথার দ্বারা উদ্দেশ্য করা হতে পারে, তিনি যা নির্দেশ করেছেন এবং যা শিক্ষা দিয়েছেন সেটার বরকতে। আবার ‘শাইখ বা পীরের বরকতে’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হতে পারে, তিনি যে হকের সাহায্য করেছেন এবং দীনের পথে সহযোগিতা করেছেন ইত্যাদি সবই সঠিক অর্থ। কিন্তু কখনও কখনও ‘শাইখ বা পীরের বরকতে’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য নেওয়া হয়ে থাকে, মৃত ব্যক্তি ও অনুপস্থিত ব্যক্তির দো‘আর বরকতে অর্জিত হয়েছে, তখনই তা নিষিদ্ধ হবে। কারণ, পীর সাহেব এ প্রভাব দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া অথবা তার পক্ষে এমন কাজ করা যা থেকে তিনি মূলত অপারগ অথবা তা করতে অক্ষম অথবা তিনি তার ইচ্ছাও করেন না, তারপরও সেগুলোতে পীরের অনুসরণ-অনুকরণ ও তার আনুগত্য প্রদর্শন নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় বিদ‘আত। আর তা বাতিল অর্থসমূহের অন্তর্ভুক্ত।

আর যাতে কোনো সন্দেহ নেই তা হচ্ছে, আল্লাহর আনুগত্যমূলক যে কোনো কাজ, মুমিনগণ কর্তৃক পরস্পরের জন্য কৃত দো‘আ ইত্যাদি দুনিয়া ও আখেরাতে উপকারী বলে সাব্যস্ত হবে, তবে এ সবই একান্তভাবে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত দ্বারাই সংঘটিত হবে। (অন্য কারও দ্বারা তা সম্ভব নয়)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন