মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যে ব্যক্তি কোনো বিপদ ও ভয়ে পড়ে তার পীরের কাছে উদ্ধার চায় তার বিধান
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/295/9
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির নিকট কোনো বিপদ অথবা কোনো বিষয়ে ভীত হয়ে সে তার পীরের মাধ্যমে উদ্ধার কামনা করে, যেন উক্ত আপতিত বিষয়ে তার অন্তর সুদৃঢ় থাকে, প্রকৃতপক্ষে এটা শির্কের অন্তর্গত। আর এটা নাসারাদের দীনের কর্মের মত। কেননা কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই রহমত বর্ষণ করেন ও অনিষ্ট দূর করেন। মহান আল্লাহ বলেন,
“আর যদি আল্লাহ আপনাকে কোনো ক্ষতির স্পর্শ করান, তবে তিনি ছাড়া তা মোচনকারী আর কেউ নেই। আর যদি আল্লাহ আপনার মঙ্গল চান, তবে তাঁর অনুগ্রহ প্রতিহত করার কেউ নেই। তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে তার কাছে সেটা পৌঁছান। আর তিনি পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১০৭]
“আল্লাহ মানুষের প্রতি কোনো অনুগ্রহ অবারিত করলে কেউ তা নিবারণকারী নেই এবং তিনি কিছু নিরুদ্ধ করতে চাইলে পরে কেউ তার উন্মুক্তকারী নেই।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ২]
“বলুন, ‘তোমরা আমাকে জানাও, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের ওপর আপতিত হয় বা তোমাদের কাছে কিয়ামত উপস্থিত হয়, তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকেও ডাকবে, যদি তোমরা সত্যবাদী হও? ‘না, তোমরা শুধু তাঁকেই ডাকবে, তোমরা যে দুঃখের জন্য তাঁকে ডাকছ তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের সে দুঃখ দুর করবেন এবং যাকে তোমরা তাঁর শরীক করতে তা তোমরা ভুলে যাবে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৪০, ৪১]
“বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে কর তাদেরকে ডাক, অতঃপর দেখবে যে, তোমাদের দুঃখ-দৈন্য দূর করার বা পরিবর্তন করার শক্তি তাদের নেই; তারা যাদেরকে ডাকে তারাই তো তাদের রবের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকটতর হতে পারে, আর তারা তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। নিশ্চয় আপনার রবের শাস্তি ভয়াবহ।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৫৬, ৫৭]
ফলে সুস্পষ্ট যে, ফিরিশতা, নবী কিংবা অন্যান্য যাদেরকে ডাকা হয়, তরা তাদের থেকে অনিষ্ট দুর করতে সক্ষম নয়। আর পরিবর্তনও করতে পারে না।
সুতরাং যখন কারও বক্তব্য এটা হয় যে, আমি পীর সাহেবকে ডাকি যেন তিনি আমার জন্য শাফা‘আতকারী হন। তখন সেটা নাসারাদের দো‘আর অনুরূপ হবে। কেননা তারা মারইয়াম, তাদের পণ্ডিত ও দরবেশদের নিকট দো‘আ চাইত। অপরদিকে মুমিন তো কেবল তার প্রভুর কাছেই প্রত্যাশা করে, তাকেই ভয় করে এবং তাকেই একনিষ্ঠভাবে ইবাদতের জন্য ডাকে। আর ছাত্রের ওপর তার উস্তাদের হক হলো তার জন্য দো‘আ করা এবং তার ওপর রহমত প্রত্যাশা করা। কেননা সর্বশ্রেষ্ট মর্যাদাবান সৃষ্টি হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর তার সাহাবীগণ তার নির্দেশাবলী ও মর্যাদা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত এবং সর্বাধিক তার অনুগত্যপরায়ন মানুষ। তাদের মধ্য হতে কাউকে তিনি আশ্রয়ের ও ভয়ের সময় আদেশ করেন নি এটা বলতে: হে আমার নেতা! হে আল্লাহর রাসূল! (এটা বলে শাফা‘আত চাওয়ার নির্দেশ রাসূল দেন নি।)। আর সাহাবীগণের কেউই রাসূলের জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর এমনটি করেন নি; বরং তিনি তাদেরকে আল্লাহর যিকির ও দো‘আ পাঠ এবং তার ওপর সালাত ও সালাত পেশ করতে আদেশ দিয়েছেন। (যাতে আল্লাহর কাছে তাদের দো‘আ কবুল হয়, শাফা‘আত চাওয়ার মাধ্যমে নয়) দেখুন, কীভাবে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন বিপদে বলার জন্য। তিনি বলেন,
“এদেরকে লোকেরা বলেছিল, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জড়ো হয়েছে, কাজেই তোমরা তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এ কথা তাদের ঈমানকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং তারা তারপর তারা আল্লাহর নি‘আমত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল, কোনো অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করে নি এবং আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট তারা তারই অনুসরণ করেছিল এবং আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল। বলেছিল, ‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কত উত্তম কর্মবিধায়ক!” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৭৩, ১৭]
সহীহ বুখারীতে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা হতে বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয় এ বাক্যগুলো ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার সময় বলেছিলেন। আর তা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ যখন তাদেরকে মানুষ বলেছিল যে, ‘নিশ্চয় মানুষ তোমাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে’ তখন তারা বলেছিলেন।
«لا اله الا الله العظيم الحليم لا اله الا الله رب العرش الكريم لا اله الا الله رب السماوات الأرض ورب العرش العظيم»
“আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোনো সত্য মা‘বুদ নেই যিনি মহান ও ধৈর্যশীল। তিনি ব্যতীত কেনো সত্য মা‘বুদ নেই তিনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কোনো সত্য মা‘বুদ নেই, আসমান ও যমীনের রব এবং মহান আরশের রব।” [সহীহ বুখারী (১১/১২৩), সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৩০।]
এমনকি কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, তিনি এ দো‘আটি তাঁর আহলে বাইত তথা পরিবারের কোনো কোনো সদস্যকেও শিখিয়েছেন।
তাছাড়া সুনান গ্রন্থসমূহে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো বিপদে পতিত হতেন, তখন বলতেন,
» ياحي يا قيوم برحمتك أستغيث»
“হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী, তোমার রহমতের দ্বারা আমি উদ্ধার প্রার্থনা করছি।” [হাদীসটির সনদ দুর্বল। জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৩৫২৪।]
আরও বর্ণিত আছে যে, তিনি তার কন্যা ফাতিমাকে নিন্মোক্ত দো‘আ শিখিয়েছেন,
«يا حي يا قيوم يا بديع السموات والأرض لا إله إلا أنت برحمتك أستغيث أصلح لي شأني كله ولا تكلني إلى نفسي طرفة عين ولا ألى أحد من خلقك»
“হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী, হে আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, তুমি ব্যতীত সত্য কোনো মা‘বুদ নেই, তোমার রহমত দ্বারা আমি উদ্ধার প্রার্থনা করছি। আমার সকল কর্ম সংশোধন করে দাও। আমাকে আমার নিজের কাছে ক্ষনিকের জন্যও ন্যস্ত করো না এবং তোমার কোনো সৃষ্টজীবের কাছেও নয়।” [হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী (১/১৫৯)।]
তাছাড়া মুসনাদে ইমাম আহমাদ ও সহীহ আবী হাতেম আল-বুস্তি রহ. আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
“কোনো লোক যখন কোনো বিপদ ও দুঃশ্চিন্তায় পড়ে বলে, হে আল্লাহ আমি আপনার বান্দা, আপনার এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল আপনার হাতে, আমার ওপর আপনার নির্দেশ কার্যকর, আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার নামের উসীলায়, যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকে শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী ইলমে নিজের জন্য একান্ত করে রেখেছেন-আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী। এটা বললে তার যাবতীয় বিপদ ও দুঃশ্চিন্তা দুর করে দিবেন, সেটার স্থান খুশিতে ভরপুর করে দিবেন। সাহাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি তা মানুষদের শিখিয়ে দিবো না? রাসূল বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ, যে কেউ তা শুনবে তার উচিত সেটা শিক্ষা গ্রহণ করা।” [হাদীসটির সনদ দুর্বল। মুসনাদে আহমাদ (১/৪৫২); ইবন হিব্বান, হাদীস নং ২৩৭২।]
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মাতকে বলেছেন,
“নিশ্চয় চন্দ্র ও সূর্য মহান আল্লাহর অন্যতম দু’টি নিদর্শন, কারও মৃত্যু কিংবা জীবনের কারণে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হয় না। আল্লাহ তা‘আলা এর মাধ্যমে তার বান্দাদের ভীতি প্রদর্শন করেন। সুতরাং যখন তোমরা তা দেখবে তখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আল্লাহর সালাত, যিকির ও ক্ষমা প্রার্থনার দিকে ধাবিত হও”। [হাদীসটি সহীহ। সহীহ বুখারী (২/৫২৯); সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯০১; সুনান আবি দাউদ, হাদীস নং ১১৭৭।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/295/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।