HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কীভাবে আপনি জান্নাত লাভ করবেন
লেখকঃ ইউসুফ ইবন মুহাম্মাদ আল ‘উয়াইয়েদ
৩
ভূমিকাসকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জান্নাতের ওয়াদা করেছেন এবং জাহান্নামের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন.....সুতরাং যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত হলো এবং জান্নাতে প্রবেশ করলো সে মহা সফলতা অর্জন করলো...। আবারো ঐ আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা যিনি আমাদেরকে জান্নাতের পথে আহ্বান করছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ وَٱلۡمَغۡفِرَةِ بِإِذۡنِهِۦۖ﴾ [ البقرة : من الآية 221] .
“আল্লাহ তাঁর অনুমতিক্রমে জান্নাত ও মাগফিরাতের দিকে আহ্বান করছেন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২১]
তিনি জান্নাতের বর্ণনা দিয়েছেন যে, জান্নাতে আছে সুমিষ্ট পানির নহর, দুধের ঝর্ণাধারা যার স্বাদের কোনো পরিবর্তন নেই, শরাবের নহর যা পানকারীদের জন্য উপাদেয় এবং খাঁটি মধুর স্রোতস্বিনী। এর তলদেশ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার নদী-নালা প্রবাহিত। এখানে বাসনা অনুযায়ী, চোখজুড়ানো সকল চাহিদা পূর্ণ হবে। প্রত্যেক মুমিন তার ঈমানদার সন্তানাদি, সৎকর্মশীল ব্যক্তি এবং শহীদগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবে। আর সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ ও শহীদগণ কতই না উত্তম বন্ধু! বরং মুমিন ব্যক্তি এর চেয়ে আরো উত্তম বস্তু লাভ করবে। আর তা হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ এবং তাঁর হাওযের পাশে অবস্থান। অধিকন্তু সেখানে সবচেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট নি‘আমত প্রাপ্তির যে ওয়াদা আল্লাহ করেছেন তা পূর্ণ হবে যখন মুমিন ব্যক্তি তার প্রভূকে কোনো পর্দা ছাড়াই সরাসরি দেখতে পাবে।
হ্যাঁ, এ হচ্ছে জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি দেয়ার কারণেই মানুষ তাদের রবের একত্ববাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কারণেই তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করে। এ জান্নাত লাভের আশায় মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বায়‘আত নিয়েছে।
এ জান্নাতই শেষ গন্তব্য বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু যার ইন্তেযার করছেন, যেদিন বেলালকে উত্তপ্ত বালুর উপর চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর পাথর চাপা দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি মুশরিকদের দেওয়া এ কষ্টে ধৈর্য্যধারণ করেছিলেন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদে আযান দেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
এ জান্নাতই হচ্ছে সে বিশাল গনীমত আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু যার জন্য অপেক্ষা করেছেন, যে দিন তাকে আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল, তার পিতা মাতাকে হত্যা করা হয়েছিল, যারা ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদ। এ জান্নাত পাওয়ার আশাই উমাইর ইবন হামামকে উহুদ যুদ্ধের দিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া থেকে বিরত রেখেছিল; যেহেতু তিনি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাগলপারা হয়ে উঠেছিলেন। আল্লাহও প্রতিদানে তাকে দ্রুত শাহাদাত নসীব করেছেন। এ জান্নাতের আশা-ভরসায় আল্লাহর ভয়ে প্রত্যেক আবেদের চোখ থেকে পানি ঝরে। প্রত্যেক মুজাহিদ আল্লাহর জন্য নিজের জান বিক্রি করে দেয়। প্রত্যেক আলিম স্বীয় ইলম অনুযায়ী আমল করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়। এ কারণেই ঈমানদার ব্যক্তি সালাত ও অন্যান্য ফরযসমূহ আদায় করে, আর মানুষ তার ঈমানের সাক্ষ্য দেয়। সে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলে। তার অন্তর দীন, মসজিদ এবং আল্লাহর প্রতিদানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, এ জান্নাত পাওয়ার কতিপয় কারণ রয়েছে। আর প্রত্যেকে একটি উপায় অবলম্বন করবে যাতে সে জান্নাতের যে কোনো একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। সুতরাং কোনো মুমিন তার সালাতের কারণে জান্নাতে যাবে, কেউবা সাওম বা যাকাত বা হজ কিংবা উত্তম চরিত্র, কেনা-বেচা ও জিহাদের কারণে জান্নাতে যাবে। বরং আল্লাহর রহমাত ও অনুগ্রহ এত প্রশস্ত যে, কোনো কোনো বান্দাকে তিনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত দান করবেন শুধু এ কারণে যে, সে ব্যক্তি দুনিয়াতে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্টমুক্ত করেছে, তৃষ্ণার্ত প্রাণীকে পানি পান করিয়েছে এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে।
সুতরাং জান্নাতে প্রবেশের উপায় যদি চয়ন করতে চান, তাহলে কুরআনের আয়াত ও হাদীসের সুললিত ও সুরভিত বাণী আপনার সমীপে পেশ করা হচ্ছে। সাধ্যানুযায়ী উপায় আপনি চয়ন করুন। হতে পারে এ কারণে আপনি একাধিক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করতে পারবেন। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এমন সুসংবাদ প্রদান করেছিলেন।
﴿ وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ وَٱلۡمَغۡفِرَةِ بِإِذۡنِهِۦۖ﴾ [ البقرة : من الآية 221] .
“আল্লাহ তাঁর অনুমতিক্রমে জান্নাত ও মাগফিরাতের দিকে আহ্বান করছেন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২১]
তিনি জান্নাতের বর্ণনা দিয়েছেন যে, জান্নাতে আছে সুমিষ্ট পানির নহর, দুধের ঝর্ণাধারা যার স্বাদের কোনো পরিবর্তন নেই, শরাবের নহর যা পানকারীদের জন্য উপাদেয় এবং খাঁটি মধুর স্রোতস্বিনী। এর তলদেশ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার নদী-নালা প্রবাহিত। এখানে বাসনা অনুযায়ী, চোখজুড়ানো সকল চাহিদা পূর্ণ হবে। প্রত্যেক মুমিন তার ঈমানদার সন্তানাদি, সৎকর্মশীল ব্যক্তি এবং শহীদগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবে। আর সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ ও শহীদগণ কতই না উত্তম বন্ধু! বরং মুমিন ব্যক্তি এর চেয়ে আরো উত্তম বস্তু লাভ করবে। আর তা হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ এবং তাঁর হাওযের পাশে অবস্থান। অধিকন্তু সেখানে সবচেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট নি‘আমত প্রাপ্তির যে ওয়াদা আল্লাহ করেছেন তা পূর্ণ হবে যখন মুমিন ব্যক্তি তার প্রভূকে কোনো পর্দা ছাড়াই সরাসরি দেখতে পাবে।
হ্যাঁ, এ হচ্ছে জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি দেয়ার কারণেই মানুষ তাদের রবের একত্ববাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কারণেই তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করে। এ জান্নাত লাভের আশায় মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে বায়‘আত নিয়েছে।
এ জান্নাতই শেষ গন্তব্য বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু যার ইন্তেযার করছেন, যেদিন বেলালকে উত্তপ্ত বালুর উপর চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর পাথর চাপা দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি মুশরিকদের দেওয়া এ কষ্টে ধৈর্য্যধারণ করেছিলেন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদে আযান দেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন।
এ জান্নাতই হচ্ছে সে বিশাল গনীমত আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু যার জন্য অপেক্ষা করেছেন, যে দিন তাকে আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল, তার পিতা মাতাকে হত্যা করা হয়েছিল, যারা ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদ। এ জান্নাত পাওয়ার আশাই উমাইর ইবন হামামকে উহুদ যুদ্ধের দিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া থেকে বিরত রেখেছিল; যেহেতু তিনি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাগলপারা হয়ে উঠেছিলেন। আল্লাহও প্রতিদানে তাকে দ্রুত শাহাদাত নসীব করেছেন। এ জান্নাতের আশা-ভরসায় আল্লাহর ভয়ে প্রত্যেক আবেদের চোখ থেকে পানি ঝরে। প্রত্যেক মুজাহিদ আল্লাহর জন্য নিজের জান বিক্রি করে দেয়। প্রত্যেক আলিম স্বীয় ইলম অনুযায়ী আমল করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়। এ কারণেই ঈমানদার ব্যক্তি সালাত ও অন্যান্য ফরযসমূহ আদায় করে, আর মানুষ তার ঈমানের সাক্ষ্য দেয়। সে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলে। তার অন্তর দীন, মসজিদ এবং আল্লাহর প্রতিদানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ, এ জান্নাত পাওয়ার কতিপয় কারণ রয়েছে। আর প্রত্যেকে একটি উপায় অবলম্বন করবে যাতে সে জান্নাতের যে কোনো একটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। সুতরাং কোনো মুমিন তার সালাতের কারণে জান্নাতে যাবে, কেউবা সাওম বা যাকাত বা হজ কিংবা উত্তম চরিত্র, কেনা-বেচা ও জিহাদের কারণে জান্নাতে যাবে। বরং আল্লাহর রহমাত ও অনুগ্রহ এত প্রশস্ত যে, কোনো কোনো বান্দাকে তিনি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাত দান করবেন শুধু এ কারণে যে, সে ব্যক্তি দুনিয়াতে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্টমুক্ত করেছে, তৃষ্ণার্ত প্রাণীকে পানি পান করিয়েছে এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে।
সুতরাং জান্নাতে প্রবেশের উপায় যদি চয়ন করতে চান, তাহলে কুরআনের আয়াত ও হাদীসের সুললিত ও সুরভিত বাণী আপনার সমীপে পেশ করা হচ্ছে। সাধ্যানুযায়ী উপায় আপনি চয়ন করুন। হতে পারে এ কারণে আপনি একাধিক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করতে পারবেন। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এমন সুসংবাদ প্রদান করেছিলেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন