HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কীভাবে আপনি জান্নাত লাভ করবেন
লেখকঃ ইউসুফ ইবন মুহাম্মাদ আল ‘উয়াইয়েদ
৬
উপসংহারপরিশেষে প্রিয় পাঠক! আপনি আপনার নিজের ভেতরে ঈমানে পরিপূর্ণ একটি মন আর আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আকাংখায় ভরপুর একটি আত্মার অধিকারী। আপনার সুখ ও আনন্দ হলো, নি‘আমতপূর্ণ জান্নাতে আপনি নবী, সত্যবাদী শহীদ এবং সৎকর্মশীল ব্যক্তিগণের সঙ্গী হতে চান, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন।
বস্তুতঃ জান্নাত প্রস্তুত ও নিকটবর্তী। দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহই এর দিকে আহ্বান করছেন। আপনার প্রিয় নবী মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে আপনাকে ডাকছেন - ‘হে মুমিন! আস, জান্নাতবাসী হও’।
অতএব, জান্নাত আপনার জন্য দুনিয়ার জীবনে, মৃত্যুর সময় এবং হিসাব-নিকাশের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ। মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাতের ফল এবং এর অসংখ্য নি‘আমত দ্রুত অর্জনের জন্য আদেশ করছেন। আর আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
মহান প্রতিপালক জান্নাতের অতি সুন্দর ও উত্তম বর্ণনা দিয়েছেন এবং একে মানুষের কল্পনাতীত বস্তু দিয়ে সুসজ্জিত করেছেন। যাতে আপনি সেখানে চিরস্থায়ী সুখ ও ভোগের সাথে জীবন যাপন করতে পারেন।
সুতরাং আপনি জান্নাতে প্রবেশের জন্য অগ্রসর হোন। আপনার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসা ও খুশীর বহিঃপ্রকাশ এটাই। এসব কিছুই প্রতিফলিত হবে স্বল্প আমল করার মাধ্যমে, যে আমল করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ আমলগুলো করার পর আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত আপনার জন্য প্রশস্ত হবে। সুতরাং আসুন এবং এ দিকে অগ্রসর হোন। মহান আল্লাহর ঘোষণা:
﴿وَسَارِعُوٓاْ إِلَىٰ مَغۡفِرَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ وَجَنَّةٍ عَرۡضُهَا ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلۡأَرۡضُ أُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِينَ ١٣٣﴾ [ آل عمران :133]
“তোমার রবের মাগফিরাত এবং ঐ জান্নাতের দিকে ধাবিত হও যার প্রশস্ততা আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৩]
বন্ধুগণ! মুত্তাকীরাই হলো আল্লাহর অলী ও বন্ধু। তারাই দুনিয়া ও আখিরাতের সুসংবাদের হকদার। তাদের আমলই গ্রহণযোগ্য। তারাই জান্নাতে আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন।
আর মুত্তাকীগণ এ তত্ত্বগুলো ভালো করেই জানে। কেননা তারা আল্লাহ তা‘আলার একত্ববাদে বিশ্বাসী। তাঁর সাথে কোনো কিছুকে তারা শরীক করে নি। তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার ওপর অন্য কারো কথাকে প্রধান্য দেয় না। তারা সকল আমলকে কুরআন কারীম ও সহীহ হাদীস থেকে গ্রহণ করে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বাদ দিয়ে তারা কোনো অলী, শাইখ কিংবা আলিম-উলামার কথাকে গুরুত্ব দেয় না। অহী থেকে প্রাপ্ত কুরআন ও সুন্নাহই হলো সত্য -এটা গ্রহণ করাই তাদের স্বভাব। এছাড়া অন্য কিছুকে তারা মানে না।
মুত্তাকীগণ আল্লাহর মর্যাদার হকদার। কেননা তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিষ্ঠার সাথে সকল কাজ সম্পন্ন করে। এর দ্বারা মানুষের কোনো প্রশংসা, স্তুতি ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা তারা করে না। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন মুক্তিই তাদের লক্ষ্য।
মুত্তাকীরাই জান্নাতী। কেননা তারা সরল সঠিক মনের অধিকারী। তাদের পাকস্থলীতে হালাল খাদ্য রয়েছে। তাছাড়াও তারা সর্বদা তাদের মাওলা ও মনিবের নিকট তাদের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্য কাতরভাবে দো‘আ করে।
মুত্তাকীগণই তাদের রবের জান্নাত, তাঁর সন্তুষ্টি, সম্মান ও মর্যাদা লাভে ধন্য হবে। তাদেরকেই ফেরেস্তাগণ জান্নাতের দিকে দলে দলে নিয়ে যাবে। ফিরিশতাগণ তাদেরকে স্বাগতম জানাবে, সালাম বলবে। তাদের প্রতিপালক তাদের আনন্দ ও স্বচ্ছন্দের জন্য তাদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎ দেবেন।
বন্ধুগণ! এ হলো জান্নাত। উপরোক্ত আমলগুলো হলো জান্নাতীদের আমল। সুতরাং উক্ত আমলগুলো করুন এবং জান্নাতের খোশখবরী গ্রহণ করুন। আর নিরাশ হবেন না। কেননা আল্লাহর রহমত নেককারদের অতি নিকটে।
ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বস্তুতঃ জান্নাত প্রস্তুত ও নিকটবর্তী। দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহই এর দিকে আহ্বান করছেন। আপনার প্রিয় নবী মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়ে আপনাকে ডাকছেন - ‘হে মুমিন! আস, জান্নাতবাসী হও’।
অতএব, জান্নাত আপনার জন্য দুনিয়ার জীবনে, মৃত্যুর সময় এবং হিসাব-নিকাশের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ। মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাতের ফল এবং এর অসংখ্য নি‘আমত দ্রুত অর্জনের জন্য আদেশ করছেন। আর আল্লাহ ওয়াদা ভঙ্গ করেন না।
মহান প্রতিপালক জান্নাতের অতি সুন্দর ও উত্তম বর্ণনা দিয়েছেন এবং একে মানুষের কল্পনাতীত বস্তু দিয়ে সুসজ্জিত করেছেন। যাতে আপনি সেখানে চিরস্থায়ী সুখ ও ভোগের সাথে জীবন যাপন করতে পারেন।
সুতরাং আপনি জান্নাতে প্রবেশের জন্য অগ্রসর হোন। আপনার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার ভালোবাসা ও খুশীর বহিঃপ্রকাশ এটাই। এসব কিছুই প্রতিফলিত হবে স্বল্প আমল করার মাধ্যমে, যে আমল করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ আমলগুলো করার পর আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত আপনার জন্য প্রশস্ত হবে। সুতরাং আসুন এবং এ দিকে অগ্রসর হোন। মহান আল্লাহর ঘোষণা:
﴿وَسَارِعُوٓاْ إِلَىٰ مَغۡفِرَةٖ مِّن رَّبِّكُمۡ وَجَنَّةٍ عَرۡضُهَا ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلۡأَرۡضُ أُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِينَ ١٣٣﴾ [ آل عمران :133]
“তোমার রবের মাগফিরাত এবং ঐ জান্নাতের দিকে ধাবিত হও যার প্রশস্ততা আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৩]
বন্ধুগণ! মুত্তাকীরাই হলো আল্লাহর অলী ও বন্ধু। তারাই দুনিয়া ও আখিরাতের সুসংবাদের হকদার। তাদের আমলই গ্রহণযোগ্য। তারাই জান্নাতে আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন।
আর মুত্তাকীগণ এ তত্ত্বগুলো ভালো করেই জানে। কেননা তারা আল্লাহ তা‘আলার একত্ববাদে বিশ্বাসী। তাঁর সাথে কোনো কিছুকে তারা শরীক করে নি। তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার ওপর অন্য কারো কথাকে প্রধান্য দেয় না। তারা সকল আমলকে কুরআন কারীম ও সহীহ হাদীস থেকে গ্রহণ করে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বাদ দিয়ে তারা কোনো অলী, শাইখ কিংবা আলিম-উলামার কথাকে গুরুত্ব দেয় না। অহী থেকে প্রাপ্ত কুরআন ও সুন্নাহই হলো সত্য -এটা গ্রহণ করাই তাদের স্বভাব। এছাড়া অন্য কিছুকে তারা মানে না।
মুত্তাকীগণ আল্লাহর মর্যাদার হকদার। কেননা তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিষ্ঠার সাথে সকল কাজ সম্পন্ন করে। এর দ্বারা মানুষের কোনো প্রশংসা, স্তুতি ও কৃতজ্ঞতা পাওয়ার আশা তারা করে না। বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন মুক্তিই তাদের লক্ষ্য।
মুত্তাকীরাই জান্নাতী। কেননা তারা সরল সঠিক মনের অধিকারী। তাদের পাকস্থলীতে হালাল খাদ্য রয়েছে। তাছাড়াও তারা সর্বদা তাদের মাওলা ও মনিবের নিকট তাদের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্য কাতরভাবে দো‘আ করে।
মুত্তাকীগণই তাদের রবের জান্নাত, তাঁর সন্তুষ্টি, সম্মান ও মর্যাদা লাভে ধন্য হবে। তাদেরকেই ফেরেস্তাগণ জান্নাতের দিকে দলে দলে নিয়ে যাবে। ফিরিশতাগণ তাদেরকে স্বাগতম জানাবে, সালাম বলবে। তাদের প্রতিপালক তাদের আনন্দ ও স্বচ্ছন্দের জন্য তাদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাৎ দেবেন।
বন্ধুগণ! এ হলো জান্নাত। উপরোক্ত আমলগুলো হলো জান্নাতীদের আমল। সুতরাং উক্ত আমলগুলো করুন এবং জান্নাতের খোশখবরী গ্রহণ করুন। আর নিরাশ হবেন না। কেননা আল্লাহর রহমত নেককারদের অতি নিকটে।
ওয়াস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন