HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আল-কুরআনুল কারিম হিফয করার ব্যবহারিক পদ্ধতি
লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ
৪
দ্বিতীয় পরিচ্ছদ: প্রতিদিন কিছু অংশ মুখস্থ করার জন্য একটি চার্ট তৈরী করা:১. হিফযের ছাত্রের জন্য জরুরি এক বৈঠকে যতটুকু অংশ হিফয করা সম্ভব প্রথমে তার পরিমাণ নির্ধারণ করা, বেশি নির্ধারণ না করা। বিশেষ করে যখন হিফয শুরু করা হয় বা যখন খুব আগ্রহ থাকে। এতে অলসতা কাছে ঘেঁসতে পারবে না এবং কম সময়ে মুখস্থ হওয়ার ফলে কুরআন ত্যাগ করার প্রবণতাও সৃষ্টি হবে না। বরং প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী সে নিজকে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে। সে প্রত্যহ নির্ধারিত অংশ হিফয করাই নিজের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য জ্ঞান করবে।
২. প্রচলিত কুরআন (মাসহাফে উসমানি) ভাল করে পড়তে সক্ষম না হলে, একজন শিক্ষকের নিকট হিফয করার পূর্বে নির্ধারিত অংশ শিখে নেয়া।
৩. শব্দের উচ্চারণ নির্ভুল ও সঠিক রাখার জন্য কুরআন সামনে রাখা ও দেখে দেখে মুখস্থ করা।
৪. এক এক আয়াত করে পড়া এবং পরবর্তী আয়াতের সাথে সংযোগ করা। এক আয়াত এক লাইন থেকে ছোট হলে দুআয়াত করে পড়া। মুখস্থ করার অংশ দুলাইন বা তিন লাইনের বেশি না বাড়ানো।
৫. হিফযের সময় আওয়াজ সামান্য উঁচু রাখা। কারণ, নিচু আওয়াজ অলসতা সৃষ্টি করে, আবার উচুঁ আওয়াজের ফলে ক্লান্তি আসে ও অপরের অসুবিধার কারণ হয়। এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কেউ যদি খুব একাগ্রতা ও নিবিড় চিত্তে নিচু আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করে, তবে কোনো সমস্যা নেই। হ্যাঁ, জিহ্বার নাড়াচাড়া আবশ্যক। জিহ্বার নাড়াচাড়া ছাড়া শুধু চোখ বুলানো যথেষ্ট নয়।
৬. হিফযের সময় আয়াতের উচ্চারণ তারতীলসহ করা অর্থাৎ ধীরে ধীরে ও বিরতি দিয়ে পড়া। তাজবিদের আহকামে ভুল না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَرَتِّلِ ٱلۡقُرۡءَانَ تَرۡتِيلًا ﴾ [ المزمل : ٤ ].
“তুমি কুরআন তারতিলসহ পড়”। [সূরা আল-মুযযাম্মিল, আয়াত : ৪]
কুরআন দ্রুত মুখস্থ করার জন্য তাড়াহুড়া না করা, জিহ্বা দ্রুত নাড়াচাড়া না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ لَا تُحَرِّكۡ بِهِۦ لِسَانَكَ لِتَعۡجَلَ بِهِۦٓ ١٦ ﴾ [ القيامة : ١٦ ].
“কুরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহ্বাকে দ্রুত আন্দোলিত করো না”। [সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১৬]
দ্বিতীয়ত : এ পদ্ধতিতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَقُرۡءَانٗا فَرَقۡنَٰهُ لِتَقۡرَأَهُۥ عَلَى ٱلنَّاسِ عَلَىٰ مُكۡثٖ وَنَزَّلۡنَٰهُ تَنزِيلٗا ١٠٦ ﴾ [ الاسراء : ١٠٦ ].
“আর কুরআন আমরা নাযিল করেছি কিছু কিছু করে, যেন তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পার ধীরে ধীরে এবং আমরা তা নাযিল করেছি পর্যায়ক্রমে”। [সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ১০৬]
একবার আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুরআন তিলাওয়াত কি রকম ছিল? তিনি বলেন, টেনে টেনে পড়তেন, অতঃপর بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ তিলাওয়াত করেন। তিনি বিসমিল্লাহতে মাদ করেন, আর-রাহমানে মাদ করেন ও আর-রাহীমে মাদ করেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৪৬)
এ নিয়মেই সাহাবায়ে কেরাম কুরআন তিলাওয়াত করতেন। একদা ইবন আব্বাসের ছাত্র আবু হাজার বলেন, আমি খুব দ্রুত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি, আমি তিন দিনে কুরআন খতম করি। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা ‘আনহু তার প্রতিবাদ করে বলেন, চিন্তা, মনোযোগ ও তারতিলসহ এক রাতে শুধু সূরায়ে বাকারা পড়াই আমার কাছে উত্তম ও পছন্দনীয়, তোমার ন্যায় তিলাওয়াতের চেয়ে। অন্য বর্ণনায় আছে, প্যাঁচালের ন্যায় পড়ার চেয়ে। হিফযের সময় তারতিলসহ পড়ার ফলে চিন্তা ও গবেষণার সুযোগ হয়, সঙ্গে সঙ্গে আয়াতের অর্থ জানা যায় এবং হিফযও হয় সুদৃঢ়।
৭. নির্ধারিত অংশ মুখস্থ হলে নিজের কানে আওয়াজ পৌঁছে এমন উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করা।
৮. একবার না দেখে পড়ার পর পুনরায় দেখে পড়া, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, হিফয ঠিক আছে, শব্দ-বাক্য বা যের-যবর-পেশে কোনো ভুল নেই।
৯. জরুরি ভিত্তিতে মুখস্থ অংশটুকু কোনো অভিজ্ঞ উস্তাদকে পড়ে শোনানো।
১০. পূর্বে মুখস্থ অংশের সাথে পরবর্তী মুখস্থ অংশটুকু মিলিয়ে নেয়া। এভাবে প্রতিদিন মিলাতে থাকা।
২. প্রচলিত কুরআন (মাসহাফে উসমানি) ভাল করে পড়তে সক্ষম না হলে, একজন শিক্ষকের নিকট হিফয করার পূর্বে নির্ধারিত অংশ শিখে নেয়া।
৩. শব্দের উচ্চারণ নির্ভুল ও সঠিক রাখার জন্য কুরআন সামনে রাখা ও দেখে দেখে মুখস্থ করা।
৪. এক এক আয়াত করে পড়া এবং পরবর্তী আয়াতের সাথে সংযোগ করা। এক আয়াত এক লাইন থেকে ছোট হলে দুআয়াত করে পড়া। মুখস্থ করার অংশ দুলাইন বা তিন লাইনের বেশি না বাড়ানো।
৫. হিফযের সময় আওয়াজ সামান্য উঁচু রাখা। কারণ, নিচু আওয়াজ অলসতা সৃষ্টি করে, আবার উচুঁ আওয়াজের ফলে ক্লান্তি আসে ও অপরের অসুবিধার কারণ হয়। এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কেউ যদি খুব একাগ্রতা ও নিবিড় চিত্তে নিচু আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করে, তবে কোনো সমস্যা নেই। হ্যাঁ, জিহ্বার নাড়াচাড়া আবশ্যক। জিহ্বার নাড়াচাড়া ছাড়া শুধু চোখ বুলানো যথেষ্ট নয়।
৬. হিফযের সময় আয়াতের উচ্চারণ তারতীলসহ করা অর্থাৎ ধীরে ধীরে ও বিরতি দিয়ে পড়া। তাজবিদের আহকামে ভুল না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَرَتِّلِ ٱلۡقُرۡءَانَ تَرۡتِيلًا ﴾ [ المزمل : ٤ ].
“তুমি কুরআন তারতিলসহ পড়”। [সূরা আল-মুযযাম্মিল, আয়াত : ৪]
কুরআন দ্রুত মুখস্থ করার জন্য তাড়াহুড়া না করা, জিহ্বা দ্রুত নাড়াচাড়া না করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ لَا تُحَرِّكۡ بِهِۦ لِسَانَكَ لِتَعۡجَلَ بِهِۦٓ ١٦ ﴾ [ القيامة : ١٦ ].
“কুরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহ্বাকে দ্রুত আন্দোলিত করো না”। [সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১৬]
দ্বিতীয়ত : এ পদ্ধতিতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَقُرۡءَانٗا فَرَقۡنَٰهُ لِتَقۡرَأَهُۥ عَلَى ٱلنَّاسِ عَلَىٰ مُكۡثٖ وَنَزَّلۡنَٰهُ تَنزِيلٗا ١٠٦ ﴾ [ الاسراء : ١٠٦ ].
“আর কুরআন আমরা নাযিল করেছি কিছু কিছু করে, যেন তুমি তা মানুষের কাছে পাঠ করতে পার ধীরে ধীরে এবং আমরা তা নাযিল করেছি পর্যায়ক্রমে”। [সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ১০৬]
একবার আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুরআন তিলাওয়াত কি রকম ছিল? তিনি বলেন, টেনে টেনে পড়তেন, অতঃপর بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ তিলাওয়াত করেন। তিনি বিসমিল্লাহতে মাদ করেন, আর-রাহমানে মাদ করেন ও আর-রাহীমে মাদ করেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫০৪৬)
এ নিয়মেই সাহাবায়ে কেরাম কুরআন তিলাওয়াত করতেন। একদা ইবন আব্বাসের ছাত্র আবু হাজার বলেন, আমি খুব দ্রুত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারি, আমি তিন দিনে কুরআন খতম করি। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা‘আলা ‘আনহু তার প্রতিবাদ করে বলেন, চিন্তা, মনোযোগ ও তারতিলসহ এক রাতে শুধু সূরায়ে বাকারা পড়াই আমার কাছে উত্তম ও পছন্দনীয়, তোমার ন্যায় তিলাওয়াতের চেয়ে। অন্য বর্ণনায় আছে, প্যাঁচালের ন্যায় পড়ার চেয়ে। হিফযের সময় তারতিলসহ পড়ার ফলে চিন্তা ও গবেষণার সুযোগ হয়, সঙ্গে সঙ্গে আয়াতের অর্থ জানা যায় এবং হিফযও হয় সুদৃঢ়।
৭. নির্ধারিত অংশ মুখস্থ হলে নিজের কানে আওয়াজ পৌঁছে এমন উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করা।
৮. একবার না দেখে পড়ার পর পুনরায় দেখে পড়া, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, হিফয ঠিক আছে, শব্দ-বাক্য বা যের-যবর-পেশে কোনো ভুল নেই।
৯. জরুরি ভিত্তিতে মুখস্থ অংশটুকু কোনো অভিজ্ঞ উস্তাদকে পড়ে শোনানো।
১০. পূর্বে মুখস্থ অংশের সাথে পরবর্তী মুখস্থ অংশটুকু মিলিয়ে নেয়া। এভাবে প্রতিদিন মিলাতে থাকা।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন