HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন

১০
কুরআন তিলাওয়াতের আদব প্রসঙ্গ
প্রিয় পাঠক! এ কুরআন যা আপনাদের নিকট আছে, আর যা আপনারা তিলাওয়াত করছেন, শুনছেন, মুখস্থ করছেন ও লিপিবদ্ধ করছেন, তা বিশ্ব জাহানের রব মহান আল্লাহ তাআলার কালাম। যিনি আপনাদের রব। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সবার ইলাহ। এ কুরআন আল্লাহ তাআলার সুদৃঢ় রজ্জু, তার সরল সঠিক পথ ও দিক নির্দেশনা এবং বরকতময় উপদেশ বাণী ও স্পষ্ট নূর। এ কুরাআন দ্বারাই আল্লাহ তাআলা নিজ শান মোতাবেক কালাম করেছেন। তিনি জিব্রাইল এর মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর এ কুরআন নাজিল করেছেন। উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুষ্পষ্ট আরবী ভাষায় মানব জাতিকে সতর্ক করবেন।

আমাদের অন্তরে এ কুরআনের মহত্ব, গুরুত্ব ও মর্যাদা বর্ধিত করার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা কতিপয় বিশেষণে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন এ কুরআনকে।

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدىً لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ ) ( البقرة :185)

‘‘রমযান এমন মাস যাতে নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। যা বিশ্ব মানবতার জন্য হেদায়েতও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা এবং হক ও বাতিলের মধ্যকার পার্থক্য বিধান কারী।’’ [সূরা আল বাকারা, আয়াত : ১৮৫]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( ذَلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ الْآياتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيمِ ) ( آل عمران :58)

‘‘এটা এমন গ্রন্থ যার আয়াতসমূহ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ আপনার নিকট তিলাওয়াত করি।’’ [সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৫৮]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَكُمْ بُرْهَانٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكُمْ نُوراً مُبِيناً ) ( النساء :১৭৪)

‘‘হে মানব জাতি! অবশ্যই তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে দলীল এসেছে এবং তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নূর আমি নাজিল করেছি।’’ [সূরা নিসা, আয়াত : ১৭৪]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ . يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلامِ ) ( المائدة :১৫-১৬)

‘‘অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে।’’ [সূরা মায়েদা, আয়াত : ১৫-১৬]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

) وَمَا كَانَ هَذَا الْقُرْآنُ أَنْ يُفْتَرَى مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ الْكِتَابِ لا رَيْبَ فِيهِ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) ( يونس :৩৭)

‘‘আর এ কুরআন তো এমন নয় যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ তা রচনা করতে পারবে; বরং এটি যা তার সামনে রয়েছে, তার সত্যায়ন এবং কিতাবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা, যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা সৃষ্টিকুলের রবের পক্ষ থেকে।’’ [সূরা ইউনূস, আয়াত : ৩৭]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ ) ( يونس :৫৭)

‘‘হে লোক সকল! তোমাদের নিকট উপদেশ বাণী এসেছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে, এবং তা অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েতও মুমিনদের জন্য রহমত।’’ [সূরা ইউনূস, আয়াত : ৫৭]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( كِتَابٌ أُحْكِمَتْ آيَاتُهُ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَدُنْ حَكِيمٍ خَبِيرٍ ) ( هود :১)

‘‘এটা এমন কিতাব, যার আয়াতসমূহ সুদৃঢ় ও সুপ্রতিষ্টিত। অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময় সত্বার পক্ষ থেকে।’’ [সূরা হুদ, আয়াত : ১]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ ) ( الحجر :৯)

‘‘নিশ্চয় আমি উপদেশ বাণী তথা কুরআন নাজিল করেছি এবং নিঃসন্দেহে এর হেফাজতকারী আমি নিজেই।’’ [সূরা আল হিজর, আয়াত : ৯]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعاً مِنَ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنَ الْعَظِيمَ . لا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجاً مِنْهُمْ وَلا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِينَ ) ( الحجر :৮৭-৮৮)

‘‘আমি তোমাকে দিয়েছি পুনঃপুনঃ পঠিত সাতটি আয়াত ও মহা কুরআন। আমি তাদের কিছু শ্রেণীকে যে ভোগ উপকরণ দিয়েছি, তার প্রতি তুমি দু’চোখ প্রসারিত করো না। আর তাদের জন্য দুঃখিত হয়ো না। এবং মুমনিদের জন্য তোমার বাহু অবনত কর।’’ [সূরা আল হিজর, আয়াত : ৮৭-৮৮]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَاناً لِكُلِّ شَيْءٍ وَهُدىً وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ ) ( النحل :৮৯)

‘‘আমি তোমার নিকট কিতাবটি নাজিল করেছি। এটি এমন যে তা সবকিছুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, আর এটা হেদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ।’’ [সূরা নাহল, আয়াত : ৮৯]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْراً كَبِيراً . وَأَنَّ الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَاباً أَلِيماً ) ( الاسراء :৯-১০)

‘‘নিশ্চয় এ কুরআন, যা যথার্থ ও সঠিক পথের দিকেই পথ নির্দেশ করে এবং ঈমানদারদের সুসংবাদ প্রদান করে, যারা নেক কাজ করে, নিঃসন্দেহে তাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে। আর যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’’ [সূরা আল ইসরা, আয়াত : ৯-১০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَاراً ) ( الاسراء :৮২)

‘‘আমি নাজিল করেছি এমন কুরআন যা রোগের নিরাময় এবং মুমিনদের জন্য রহমত স্বরূপ। আর এটা জালিমদের ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছুই বৃদ্ধি করে না।’’ [সূরা আল ইসরা, আয়াত : ৮২]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( قُلْ لَئِنِ اجْتَمَعَتِ الْأِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى أَنْ يَأْتُوا بِمِثْلِ هَذَا الْقُرْآنِ لا يَأْتُونَ بِمِثْلِهِ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيراً ) ( الاسراء :৮৮)

‘‘বলে, যদি মানব ও জ্বিন জাতি সবাই মিলে একত্রিত হয় যে, তারা এ কুরআন অনুরূপ কিছু আনয়ন করবে, তারা এ কুরআনের অনুরূপ কিছুই আনয়ন করতে পারবে না, যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়।’’ [সূরা আল ইসরা, আয়াত : ৮৮]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( مَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَى . إِلَّا تَذْكِرَةً لِمَنْ يَخْشَى . تَنْزِيلاً مِمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلَى ) ( طـه :২-৪)

‘‘আমি তোমার প্রতি আল কুরআন এ জন্য নাজিল করিনি যে, তুমি দুর্ভোগ পোহাবে। বরং যে ভয় করে তার জন্য উপদেশ স্বরূপ। যিনি যমীন ও সুউচ্চ আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট থেকে অবতীর্ণ।’’ [সূরা ত্বা-হা, আয়াত : ২-৪]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَى عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيراً ) ( الفرقان :১)

‘‘বরকতময় সেই সত্বা যিনি হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী কুরআন তাঁর বান্দার প্রতি নাজিল করেছেন, যাতে তিনি বিশ্ববাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে।’’ [সূরা আল ফুরকান, আয়াত : ১]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَإِنَّهُ لَتَنْزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ . نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ . عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنْذِرِينَ . بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُبِينٍ . وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ . أَوَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ آيَةً أَنْ يَعْلَمَهُ عُلَمَاءُ بَنِي إِسْرائيلَ ) ( الشعراء :১৯২-১৯৭)

‘‘নিশ্চয় এ কুরআন তো বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। বিশ্বস্ত ফেরেস্তা একে নিয়ে অবতরণ করেছে, আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শনকারীদের অন্যতম হোন, সুষ্পষ্ট আরবী ভাষায়। নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে। তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাইলের আলেমগণ এটা অবগত আছেন।’’ [সূরা শুআরা, আয়াত : ১৯২-১৯৭]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ . وَمَا يَنْبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ ) ( الشعراء :২১১)

‘‘আর শয়তানরা এ কুরআন নিয়ে অবতরণ করে না। আর তাদের জন্য উচিতও নয় এবং তারা পারবেও না।’’ [সূরা শুআরা, আয়াত : ২১১]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَمَا يَجْحَدُ بِآياتِنَا إِلَّا الظَّالِمُونَ ) ( العنكبوت :৪৯)

‘‘বরং এ কুরআন কতিপয় নিদর্শন ও যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে এদের হৃদয়ে কতিপয় সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা।’’ [সূরা আনকাবুত, আয়াত : ৪৯]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :

( إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُبِينٌ . لِيُنْذِرَ مَنْ كَانَ حَيّاً وَيَحِقَّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِينَ ) ( يّـس :৭৯-৮০)

‘‘এটা তো কেবল এক উপদেশবাণী ও প্রকাশ্য কুরআন। যাতে তিনি সতর্ক করতে পারেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।’’ [সূরা ইয়াসীন, আয়াত : ৭৯-৮০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ ) ( صّ :29)

‘‘তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছি এক বরকতপূর্ণ কিতাব যাতে তারা এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা গবেষণা করতে পারে, আর জ্ঞানীরা যেন উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।’’ [সূরা সাদ, আয়াত : ২৯]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( قُلْ هُوَ نَبَأٌ عَظِيمٌ ) ( صّ :67)

‘‘বল, তা মহা সংবাদ।’’ [সূরা সাদ : ৬৭]

আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন :

( اللَّهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ كِتَاباً مُتَشَابِهاً مَثَانِيَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُودُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِينُ جُلُودُهُمْ وَقُلُوبُهُمْ إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ ذَلِكَ هُدَى اللَّهِ يَهْدِي بِهِ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ ) ( الزمر :23)

‘‘আল্লাহ উত্তম বাণী নাজিল করেছেন, যা সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব, যা বার বার পঠিত হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, অতঃপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। এটা আল্লাহর হেদায়াত, তিনি যাকে চান এর দ্বারা হেদায়েত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হেদায়েতকারী নেই।’’ [সূরা যুমার আয়াত : ২৩]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالذِّكْرِ لَمَّا جَاءَهُمْ وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ . لا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ ) ( فصلت :41-42)

‘‘নিশ্চয়ই কুরআন তাদের নিকট আগমন করার পর যারা তা অস্বীকার করে (তাদের পরিণাম ভোগ করতে হবে) এটা অবশ্যই মহিমাময় গ্রন্থ। বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে, এটা প্রশংসিত, প্রজ্ঞাময় রবের পক্ষ থেকে নাজিল হয়েছে।’’ [সূরা হামীম আস-সাজদা, আয়াত : ৪১-৪২]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحاً مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلا الْأِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُوراً نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا ) ( الشورى :52)

‘‘এমনিভাবে আমি তোমার কাছে আমার নির্দেশ থেকে রূহ-কে ওহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী আর ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করি। আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিক নির্দেশনা দাও।’’ [সূরা আশ শূরা, আয়াত : ৫২]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন :

( وَإِنَّهُ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَدَيْنَا لَعَلِيٌّ حَكِيمٌ ) ( الزخرف :4)

‘‘নিশ্চয় এ কুরআন আমার কাছে উম্মুল কিতাবে সুউচ্চ মর্যাদা, প্রজ্ঞাপূর্ণ।’’ [সূরা যুখরুফ, আয়াত : ৪]

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন :

( هَذَا بَصَائِرُ لِلنَّاسِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ ) ( الجاثـية :20)

‘‘এটা মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়াত ও রহমত।’’ [সূরা জাসিয়া, আয়াত : ২০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( فَلا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ . وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ . إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ . فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ . لا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ . تَنْزِيلٌ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ ) ( الواقعة :75-80)

‘‘অতএব আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি। নিশ্চয় এটা মহা শপথ যদি তোমরা জানতে। নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে এক গুপ্ত গ্রন্থে, লওহে মাহফুযে। যারা পাক-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করে না। এটা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।’’ [সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৭৫-৮০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( لَوْ أَنْزَلْنَا هَذَا الْقُرْآنَ عَلَى جَبَلٍ لَرَأَيْتَهُ خَاشِعاً مُتَصَدِّعاً مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ ) ( الحشر :21)

‘‘যদি আমি নাজিল করতাম এ কুরআনকে পাহাড়ের ওপর তাহলে অবশ্যই তুমি দেখতে পেতে পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহর ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য উপস্থাপন করি। যাতে তারা চিন্তা করতে পারে।’’ [সূরা হাশর, আয়াত : ২১]

আল্লাহ তাআলা জ্বিন জাতির কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন :

( إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً . يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ ) ( الجـن :1-2)

‘‘নিশ্চয় আমরা বিস্ময়কর এক কুরআন শুনেছি যা হেদায়াতের পথে পরিচালিত করে। সুতরাং আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম।’’ [সূরা জিন, আয়াত : ১-২]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

( بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَجِيدٌ . فِي لَوْحٍ مَحْفُوظٍ ) ( البروج :21-22)

‘‘বরং এটা সম্মানিত কুরআন। যা লওহে মাহফুজে রয়েছে।’’ [সূরা বুরুজ, আয়াত : ২১-২২]

এ সব বৈশিষ্ট যা কুরআনের ব্যাপারে উল্লেখ করলাম আর যা উল্লেখ করিনি, সব গুলোই এ কুরআনের মহত্ব ও বিশালত্বের জ্বলন্ত দলীল এবং কুরআনকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইজ্জত ও সম্মান প্রদর্শন করার প্রতি আহবান জানায়। বিরত থাকতে বলে এর সাথে সব ধরনের আদব বর্হিভূত আচরণ, উপহাস, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা থেকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন