HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাহাবীগণের মর্যাদা

লেখকঃ সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

সাহাবীগণের মর্যাদা
‘সাহাবী’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? তাদের ব্যাপারে আমাদের কী আকীদা পোষণ করা উচিত?

আরবীতে ‘সাহাবাহ’ صحابة শব্দটি ‘সাহাবী’ صحابي শব্দের বহুবচন। সাহাবী ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মুমিন থাকা অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং ঈমানের ওপর মারা গিয়েছেন

তাদের ব্যাপারে আমাদের এ আক্বীদা পোষণ করা ওয়াজিব যে, তারা উম্মতের অগ্রবর্তী দল এবং তাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য লাভ, তাঁর সাথে জিহাদ করা, তাঁর থেকে শরী‘আত গ্রহণ করে পরবর্তীদের জন্য তা প্রচার করার উদ্দেশ্যে চয়ন করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় গ্রন্থ আল কুরআনে তাদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন,

﴿ وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلۡأَوَّلُونَ مِنَ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحۡسَٰنٖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُ وَأَعَدَّ لَهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي تَحۡتَهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١٠٠ ﴾ [ التوبة : ١٠٠ ]

“মুহাজির ও আনসারদের প্রথম অগ্রবর্তী দল এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, এটাই মহা সাফল্য।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০০]

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,

﴿مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطۡ‍َٔهُۥ فَ‍َٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا ٢٩﴾ [ الفتح : ٢٩ ]

‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্ট কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদার প্রভাবের চি‎হ্ন পরিস্ফুট থাকবে। তাওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ। আর ইঞ্জিলে তাদের বর্ণনা হল যেমন একটি চারাগাছ, যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর তা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে, যা চাষীকে আনন্দে অভিভূত করে যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৯]

অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لِلۡفُقَرَآءِ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ ٱلَّذِينَ أُخۡرِجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَأَمۡوَٰلِهِمۡ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗا وَيَنصُرُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ٨ وَٱلَّذِينَ تَبَوَّءُو ٱلدَّارَ وَٱلۡإِيمَٰنَ مِن قَبۡلِهِمۡ يُحِبُّونَ مَنۡ هَاجَرَ إِلَيۡهِمۡ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمۡ حَاجَةٗ مِّمَّآ أُوتُواْ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفۡسِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٩﴾ [ الحشر : ٨، ٩ ]

“এ সম্পদ অভাবগ্রস্ত মুহাজিরগণের জন্য যারা নিজেদের ঘরবাড়ি ও সম্পত্তি থেকে উৎখাত হয়েছে। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করে। তারাই সত্যবাদী। আর এ সম্পদ তাদের জন্যও, যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে এ নগরীতে বসবাস করেছে এবং ঈমান এনেছে। তারা মুহাজিরদেরকে ভালোবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেওয়া হয়েছে, তার জন্য তারা অন্তুরে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয়। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত : 8, 9]

এ আয়াতসমূহে আল্লাহ তা‘আলা মুহাজির এবং আনসারদের প্রশংসা করেছেন যারা সবার আগে কল্যাণের প্রতি অগ্রসর হয়েছে। আর এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তাদের জন্য জান্নাতসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন। তাদের সম্পর্কে আরো বলেছেন যে, তারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, বেশি বেশি রুকু ও সাজদাহরত, সৎ হৃদয় সম্পন্ন। তাদের চেহারায় ঈমান ও আনুগত্যের চি ‎‎ হ্ন রয়েছে, তা দ্বারা তাদেরকে চেনা যায়। আল্লাহ স্বীয় নবীর সাহচর্য লাভের জন্য তাদেরকে এখতিয়ার করেছেন। যাতে তাদের দ্বারা স্বীয় শত্রু কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। অধিকন্তু মুহাজিরদের বর্ণনায় তিনি বলেছেন, তারা শুধু আল্লাহর জন্য তাঁর দীনের সাহায্যার্থে এবং তাঁর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিজেদের মাতৃভূমি ও সহায়- সম্পদ ত্যাগ করেছেন, এ কাজে তারা ছিলেন সত্যাশ্রয়ী।

আনসারদের বৈশিষ্ট্য তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, তারা হিজরতের আবাসস্থল এবং নুসরত তথা সহযোগিতা ও সত্যিকার ঈমানের আবাস ভূমির বাসিন্দা। তাদের সম্পর্কে এও বলেছেন যে, তারা তাদের মুহাজির ভাইদেরকে ভাল-বাসে, নিজেদের উপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়, তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে এবং তারা কৃপণতা থেকেও মুক্ত। এভাবেই তারা সফলতা অর্জন করেছে।

এগুলো হলো সাহাবীগণের কিছু গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য যা তাদের সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এ ছাড়াও তাদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য মর্যাদা ছিল, যদ্বারা তারা একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন। আর এ শ্রেষ্ঠত্ব নির্ণীত হয়েছে ইসলাম, জিহাদ ও হিজরতের প্রতি তাদের অগ্রে অংশ গ্রহণের অনুপাতে।

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সর্বোত্তম চার খলীফা: আবু বকর, উমার, উসমান এবং আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম। এরপর স্থান হলো জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবীর অবশিষ্ট সাহাবীগণ। তারা হলেন তালহা, যুবাইর, আব্দুর রহমান ইবন আওফ, আবু ওবায়দা ইবনুল জাররাহ, সা‘দ ইবন আবী ওয়াক্কাস, সাঈদ ইবন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম।

আনসারদের ওপর মুহাজিরদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। বদরের যুদ্ধ ও বাই‘আতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণের এক বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। মক্কা বিজয়ের পূর্বে যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং জিহাদ করেছেন, তাকে মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণকারী সাহাবীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন