HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তিনটি মূলনীতি ও তার প্রমাণপঞ্জি

লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব রহ.

প্রথম মূলনীতি: রব সম্পর্কে জানা
যদি তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, “তোমার রব কে?” তা হলে বল, সেই মহান আল্লাহ যিনি আমাকে ও অন্যান্য সকল সৃষ্টি জীবকে তাঁর বিশেষ নি‘আমতসমূহ দ্বারা লালন পালন করেন। তিনি আমার একমাত্র মা‘বুদ, তিনি ব্যতীত আমার অন্য কোনো মা‘বুদ নেই। এর প্রমাণ হচ্ছে, আল্লাহর বাণী,

﴿ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢﴾ [ الفاتحة : ٢ ]

“যাবতীয় প্রশংসা কেবল আল্লাহরই জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের রব।” [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ১]

আল্লাহ ছাড়া সব কিছুই হচ্ছে তাঁর সৃষ্ট বস্তু এবং আমিও সেই সৃষ্ট জগতের একটি অংশ মাত্র।

আর যখন তুমি জিজ্ঞাসিত হবে, “তুমি কিসের মাধ্যমে তোমার রবকে চিনেছ?”

তখন তুমি উত্তর দেবে, তাঁর নিদর্শনসমূহ ও তাঁর সৃষ্টিরাজির মাধ্যমে (আমি আমার রবকে চিনেছি)। আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবা-রাত্রি, সূর্য-চন্দ্র আর তাঁর সৃষ্ট বস্তুসমূহের মধ্যে রয়েছে সাত আকাশ, সাত যমীন এবং যা কিছু তাদের ভিতরে এবং যা কিছু এতদুভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيۡلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُۚ لَا تَسۡجُدُواْ لِلشَّمۡسِ وَلَا لِلۡقَمَرِ وَٱسۡجُدُواْۤ لِلَّهِۤ ٱلَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ٣٧﴾ [ فصلت : ٣٧ ]

“আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত্রি ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সাজদাহ করবে না, চন্দ্রকেও নয়। বরং সাজদাহ করবে একমাত্র সে আল্লাহকে যিনি ঐ সবকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাক।” [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৭]

অনুরূপ আল্লাহর বাণী,

﴿إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٖ ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰ عَلَى ٱلۡعَرۡشِۖ يُغۡشِي ٱلَّيۡلَ ٱلنَّهَارَ يَطۡلُبُهُۥ حَثِيثٗا وَٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَ وَٱلنُّجُومَ مُسَخَّرَٰتِۢ بِأَمۡرِهِۦٓۗ أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٥٤﴾ [ الاعراف : ٥٤ ]

“নিশ্চয় তোমাদের রব হচ্ছেন সেই আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশের উপর উঠেছেন। তিনি রজনীর দ্বারা দিবসকে সমাচ্ছন্ন করেন, যে মতে তার ত্বরিৎ গতিতে একে অন্যের অনুসরণ করে চলে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজিকে স্বীয় নির্দেশের অনুগতরূপে। জেনে নাও, সৃষ্টি করার ও হুকুম প্রদানের মালিক তো তিনিই। সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না বরকতময়।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]

আর যিনি রব হবেন তিনিই হবেন মা‘বুদ বা উপাস্য। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ٢١ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلۡأَرۡضَ فِرَٰشٗا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءٗ وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَخۡرَجَ بِهِۦ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ رِزۡقٗا لَّكُمۡۖ فَلَا تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ أَندَادٗا وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٢٢﴾ [ البقرة : ٢١، ٢٢ ]

“হে মানুষ! তোমরা ইবাদাত করবে সেই মহান রবের যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হও। যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে করেছেন বিছানা স্বরূপ আর আসমানকে করেছেন ছাদ স্বরূপ। আর যিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি নাযিল করেন, অতঃপর এর দ্বারা উদ্গত করেন নানা প্রকার ফলশস্য তোমাদের জীবিকা হিসেবে। অতএব, তোমরা কোনো কিছুকেই আল্লাহর সমকক্ষ তথা অংশীদার করো না, অথচ তোমরা অবগত আছ।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১-২২]

ইবন কাসীর বলেছেন, “যিনি এ সব জিনিসের সৃষ্টিকর্তা তিনিই তো ইবাদতের যোগ্য।”

[যেসব ইবাদাতের নির্দেশ আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন]

যেসব ইবাদতের নির্দেশ আল্লাহ তা‘আলা দিয়েছেন তা হচ্ছে, ১. ইসলাম (পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পন) ২. ঈমান (স্বীকৃতি দেওয়া তথা অন্তর, মুখ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারা মেনে নেওয়া) ৩. ইহসান। (সার্বিক সুন্দরতমভাবে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করা)। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে,

(ক) الدعاء (আদ-দো‘আ) প্রার্থনা, আহ্বান;

(খ) الخوف (আল-খাউফ) ভয়-ভীতি;

(গ) الرجاء (আর-রাজা) আশা-আকাঙ্খা;

(ঘ) التوكل (আত-তাওয়াক্কুল) নির্ভরশীলতা, ভরসা;

(ঙ) الرغبة (আর-রাগবাহ) অনুরাগ, আগ্রহ;

(চ) الرهبة (আর-রাহবাহ) শঙ্কা;

(ছ) الخشوع (আল-খুশূ‘) বিনয়-নম্রতা;

(জ) الخشية (আল-খাশিয়াত) ভীত হওয়া;

(ঝ) الإنابة (আল-ইনাবাহ) আল্লাহর অভিমুখী হওয়া, তাঁর দিকে ফিরে আসা;

(ঞ) الاستعانة (আল-ইস্তে‘আনাত) সাহায্য প্রার্থনা করা;

(ট) الاستعاذة (আল-ইস্তে‘আযা) আশ্রয় প্রার্থনা করা।

(ঠ) الاستغاثة (আল-ইস্তেগাসাহ) উদ্ধার প্রার্থনা;

(ড) الذبح (আয-যাবহ) যবাই করা;

(ঢ) النذر (আন-নযর) মান্নত করা ইত্যাদি।

এগুলোসহ আরও যে সব ইবাদতের নির্দেশ আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন, সেগুলো কেবল আল্লাহর জন্যই করতে হবে। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿وَأَنَّ ٱلۡمَسَٰجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدۡعُواْ مَعَ ٱللَّهِ أَحَدٗا ١٨﴾ [ الجن : ١٨ ]

“আর সাজদাহর স্থানসমূহ একমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত। অতএব, আল্লাহর সঙ্গে কাউকেই আহ্বান করবে না।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ১৮]

সুতরাং কেউ যদি উপরোক্ত বিষয়ের কোনো একটি কাজ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে সম্পাদন করে তবে সে মুশরিক ও কাফের হিসেবে বিবেচিত হবে। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿وَمَن يَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ لَا بُرۡهَٰنَ لَهُۥ بِهِۦ فَإِنَّمَا حِسَابُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ١١٧﴾ [ المؤمنون : ١١٧ ]

“যে ব্যক্তি এক আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে আহ্বান করে, তার নিকট তার সমর্থনে কোনই যুক্তি প্রামাণ নেই তার হিসাব-নিকাশ হবে তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফের লোকেরা কখনই সফলকাম হবে না।” [সূরা মুমিনূন, আয়াত: ১১৭]

তাছাড়া হাদীসে এসেছে,

«الدُّعَاءُ مُخُّ العِبَادَةِ»

“দো‘আ বা প্রার্থনা হচ্ছে উবাদতের সারাংশ”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩৩৭১, তবে তার সনদ দুর্বল। এর সমর্থনে সহীহ হাদীস হচ্ছে, «الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ» “দো‘আই হচ্ছে ইবাদাত”। যা তিরমিযী, হাদীস নং ৩৩৭২ বর্ণনা করেছেন।]

[দো‘আ হচ্ছে ইবাদত।] এর প্রমাণ, আল্লাহর বাণী,

﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَسۡتَكۡبِرُونَ عَنۡ عِبَادَتِي سَيَدۡخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ٦٠﴾ [ غافر : ٦٠ ]

“আর তোমাদের রব বলেন: তোমরা সকলে আমাকেই ডাকবে, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব, যারা আমার ইবাদত করতে অহঙ্কার করে, তারা তো জাহান্নামে প্রবেশ করবে অতিশয় ঘৃণিত অবস্তায়।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৬০]

ভয় করা ইবাদত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿فَلَا تَخَافُوهُمۡ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ١٧٥﴾ [ ال عمران : ١٧٥ ]

“অতঃপর তোমরা তাদের ভয় করবে না, বরং আমাকেই ভয় করে চলবে, যদি তোমরা প্রকৃত মুমিন হয়ে থাক। [সূরা আলে ইমরান: ১৭৫]

আশা করা ইবাদত। এর দলীল আল্লাহর বাণী,

﴿فَمَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدَۢا ١١٠﴾ [ الكهف : ١١٠ ]

“অতএব, যে ব্যক্তি তার রবের সাক্ষাৎ লাভের আশা-আকাঙ্খা পোষণ করে, সে যেন সৎ কর্ম করে। আর নিজ রবের ইবাদতে অপর কাউকে শরীক না করে।” [সূরা কাহাফ: ১১০]

নির্ভরশীলতা ইবাদত। এর দলীল আল্লাহর বাণী,

﴿وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ﴾ [ المائ‍دة : ٢٣ ] .

“আর তোমরা একমাত্র আল্লাহর ওপরই নির্ভর করবে, যদি তোমরা প্রকৃত মুমিন হও।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২৩]

আল্লাহ আরও বলেছেন,

﴿وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُۥٓۚ﴾ [ الطلاق : ٣ ] .

“আর যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর ওপরই নির্ভরশীল হয়, তার জন্য তিনিই (আল্লাহ) যথেষ্ট।” [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ৩]

আগ্রহ, ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা ও বিনয় ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী

﴿إِنَّهُمۡ كَانُواْ يُسَٰرِعُونَ فِي ٱلۡخَيۡرَٰتِ وَيَدۡعُونَنَا رَغَبٗا وَرَهَبٗاۖ وَكَانُواْ لَنَا خَٰشِعِينَ﴾ [ الانبياء : ٩٠ ]

“নিশ্চয় এরা সৎকর্মে ত্বরিত ও সদা তৎপর ছিল। আর ভক্তি ও ভয় সহকারে আমাকে আহ্বান করতো এবং আমার প্রতি এরা বিনয়-বিনম্র।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ৯০]

ভীত-শঙ্কিত থাকা ইবাদত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِي﴾ [ البقرة : ١٥٠ ]

“সুতরাং তোমাদের তাদের ভয় করো না, একমাত্র আমাকেই ভয় করে চল।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৫০]

নৈকট্যলাভের কামনা এবং কৃত পাপের জন্যে অনুশোচনা ইবাদত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿وَأَنِيبُوٓاْ إِلَىٰ رَبِّكُمۡ وَأَسۡلِمُواْ لَهُۥ﴾ [ الزمر : ٥٤ ]

“আর তোমরা সকলে স্বীয় রবের পানে ফিরে এসো এবং তাঁরই নিকট সর্বতোভাবে আত্মসমর্পণ কর।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৪]

সাহায্য প্রার্থনা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত: এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ ٥﴾ [ الفاتحة : ٥ ]

“(হে আমাদের রব), আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি আর একমাত্র তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি” [সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত: ৪]

আর হাদীসে এসেছে,

«وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ» .

“যখন তুমি সাহায্য চাইবে তখন একমাত্র আল্লাহর নিকটেই তা (বিনম্রভাবে) চাইবে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১৬; মুসনাদে আহমাদ ১/২৯৩; হাদীস নং ২৬৬৯।]

আশ্রয় চাওয়া ইবাদত হিসেবে পরিগণিত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ١ مَلِكِ ٱلنَّاسِ ٢﴾ [ الناس : ١، ٢ ]

“বল, আমি মানুষের রব ও মানুষের অধিপতির নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [সূরা আন-নাস, আয়াত: ১,২]

উদ্ধার কামনা করা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿إِذۡ تَسۡتَغِيثُونَ رَبَّكُمۡ فَٱسۡتَجَابَ لَكُمۡ﴾ [ الانفال : ٩ ]

“আরও (স্মরণ কর) যখন তোমরা তোমাদের রবের কাছে উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলে তখন তিনি তোমাদের আবেদনে সাড়া দিলেন (কবুল করলেন)”। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৯]

জবেহ করাও ইবাদত: এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿قُلۡ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحۡيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٢ لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرۡتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ١٦٣﴾ [ الانعام : ١٦٢، ١٦٣ ]

“(হে রাসূল) বলে দাও, আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্যই। তাঁর কোনোই শরীক নেই এবং আমি এ জন্য আদিষ্ট আর আমিই হচ্ছি মুসলিমদের অগ্রণী”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৬২-১৬৩]

হাদীসে এসেছে,

«لَعَنَ اللهُ مَن ذَبَحَ لِغَيرِ اللهِ» .

“যারা অপরের নামে যবেহ করে আল্লাহ তাদের অভিশাপ দেন।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৭৮।]

মান্নত পূর্ণ করাও ইবাদত। এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,

﴿يُوفُونَ بِٱلنَّذۡرِ وَيَخَافُونَ يَوۡمٗا كَانَ شَرُّهُۥ مُسۡتَطِيرٗا ٧﴾ [ الانسان : ٧ ]

“তারা অঙ্গীকার পূরণ করে আর সেদিনকে (কিয়ামত দিবসকে) ভয় করে, যে দিনের বিপদ-আপদ হবে সর্বব্যাপী ও সর্বগ্রাসী।” [সূরা আদ-দাহার, আয়াত: ৭]

الأصل الثاني

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন