hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের বক্তব্য

লেখকঃ আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার

১৯
(১৭) শায়খ ইবরাহীম ইবনে আমের আর-রুহায়লী( [() শায়খ ইবরাহীম আর-রুহায়লী ১৩৮৩ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আক্বীদা বিভাগের অধ্যাপক এবং মসজিদে নববীতে নিয়মিত দারস প্রদান করেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছেঃ ১. মাওক্বিফু আহলিস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ মিন আহলিল আহওয়া ওয়াল বিদ‘আহ ২. আত-তাকফীর ওয়া যওয়াবিতুহু। তিনি ত্রিশটিরও অধিক বইয়ের ভাষ্যকর। যেমনঃ ১. শারহুল আক্বীদাহ আল-ওয়াসেতিইয়াহ ২. শারহুল আরবা‘ঈন আন-নাবাবিইয়াহ ইত্যাদি।])
প্রশ্নঃ মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে অগণিত সংগঠন ও দলের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সেখানে আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা‘আতের আক্বীদা পোষণকারীদের মধ্যেও বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংগঠন ও তার আমীর বা সভাপতির প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামী করে থাকে। প্রশ্ন হলো, এসমস্ত সংগঠনে যোগদানের হুকুম কি? এবং এসব দলাদলি থেকে বাঁচার উপায় কি?

উত্তরঃ কোনো সংগঠন, দল বা প্রতিষ্ঠানে যোগদান বা তার সাথে সংশ্লিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা দুই প্রকারঃ

এক. সাধারণ সংশ্লিষ্টতা, যেমনঃ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যালয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোনো একটি দেশের সাথে সংশ্লিষ্টতা। এই প্রকার সংশ্লিষ্টতা স্বাভাবিক এবং বৈধ। কারণ এর উপর ভিত্তি করে ‘অলা ও বারা’ (মিত্রতা ও শত্রুতা) কিংবা গোঁড়ামী সৃষ্টি হয় না। বরং মানুষের বিভিন্ন বিষয়কে সুশৃংখলিত করার জন্য এসব সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন রয়েছে। তেমনিভাবে কোনো দেশে যদি নিয়ম থাকে যে, কোনো সংস্থার অধীনে ছাড়া একাকী দা‘ওয়াতী কাজ করা যাবে না, তাহলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কোনো একটি সংস্থার অধীনে দা‘ওয়াতী কাজে বাধা নেই। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে, এর উপর ভিত্তি করে যেন ‘অলা ও বারা’ না হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ সংস্থার অধীনে থাকবে, তার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি এ সংস্থার বাইরে থাকবে, তার সাথে শত্রুতা পোষণ করবে। কারণ, প্রত্যেক দা‘ঈকে এ সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে এমনটি নয়। যে ব্যক্তি এর সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইবে, সে সম্পৃক্ত হবে। পক্ষান্তরে, যে এর সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে মসজিদে দারস দিতে চায়, সে তা পারবে, তাতে কোনো বাধা নেই।

দুই. ইসলামী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে এরূপ বলা যে, এটিই আহলুস-সুন্নাহ্‌র সংগঠন; সুতরাং যে এই সংগঠনে আসবে, সে সুন্নী। আর যে এখানে আসবে না, সে বিরোধী এবং বিদ‘আতী। সংগঠনের অবস্থা এরূপ হলে তাতে যোগ দেওয়া হারাম। কোনো সংগঠনের উপর ভিত্তি করে যদি ‘অলা ও বারা’ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে কারো জন্য তাতে যোগ দেওয়া আদৌ বৈধ নয়, ঐ সংগঠনের প্রধান যত বড় বিদ্বানই হোক না কেন।

আর অন্ধভক্তির ব্যাপারে বলব, অন্ধভক্তি শুধুমাত্র সংগঠনের সাথে নির্দিষ্ট নয়। কিছু মানুষ মনে করে, সংগঠন বন্ধ হয়ে গেলে অন্ধভক্তি বন্ধ হয়ে যাবে। এটি ভুল ধারণা। কারণ, সংগঠনের অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামী ছাড়াও রয়েছে নির্দিষ্ট আলেমের বিষয়ে গোঁড়ামী, বইয়ের গোঁড়ামী, বংশের গোঁড়ামী ইত্যাদি। সুতরাং গোঁড়ামীর দোহায় দিয়ে কোনো বৈধ জিনিষকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। যাহোক, সকল প্রকারের গোঁড়ামী দূরীকরণের চেষ্টা করতে হবে। পরিশেষে বলব, সুশৃঙ্খলভাবে দা‘ওয়াতী কাজ করার স্বার্থে কেবল কোনো সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এবং তার সাথে সম্পৃক্ত হতে কোনো বাধা নেই।( [() হিজরী ২৯/০৪/১৪৩৩ তারিখে মসজিদে নববীতে দারস্ প্রদানের সময় জনৈক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।])

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন