hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের বক্তব্য

লেখকঃ আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার

(২) মুক্বীম অবস্থায় ‘ইমারত’ বিষয়ক বিধি-বিধান সম্পর্কে সঊদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের ফৎওয়া
প্রশ্ন: মুক্বীম অবস্থায় ‘ইমারত’ বা কাউকে আমীর বানানো জায়েয আছে কি? অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, তিনজন সফর অবস্থায় থাকলে তাদের একজন তাদের ‘আমীর’ হবে; উক্ত হাদীছের আলোকে মুক্বীম অবস্থায় কোনো দেশে কোনো দলের ‘আমীর’ হওয়া জায়েয হবে কি?

উত্তর: আবূ সাঈদ ও আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিনজন যখন সফরে বের হবে, তখন তাদের একজনকে তাদের আমীর বানাবে’ (আবূ দাঊদ, সনদ ‘হাসান’)। উক্ত হাদীছ দ্বারা সফর অবস্থায় আমীর বানানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সুতরাং মুক্বীম অবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি আমীর হবে।( [() সঊদী আরবের স্থায়ী ফৎওয়া বোর্ড, ১৮১৮৮ নং ফৎওয়ার দ্বিতীয় প্রশ্ন।])

প্রশ্ন: বিভিন্ন ইসলামী দলের উত্থান হয়েছে এবং হচ্ছে, দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যাদের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং তারা সবাই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আসনটি অলংকৃত করতে চায়- এক্ষণে উক্ত ইসলামী দলসমূহের উত্থানের ব্যাখ্যা আমরা কিভাবে করতে পারি? তারা কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর নিম্নোক্ত হাদীছের আওতায় পড়বে? ‘আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি ব্যতীত তাদের সবাই জাহান্নামে যাবে’। কিভাবে আমরা বিভিন্ন দল যেমন: ইখওয়ানী, খালাফী, সালাফী, তাকফীর ওয়া হিজরা, তাবলীগী, ছূফী ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় সাধন করব?

উত্তর: আল্লাহ্‌র দ্বীন একটিই এবং সেদিকে আহ্বানের পদ্ধতিও একটিই। সুতরাং যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর পদ্ধতির উপর চলবে, সে-ই সঠিক কাজটি করবে। আল্লাহই একক তাওফীক্বদাতা।( [() প্রাগুক্ত, ৬৮০০ নং ফৎওয়ার দ্বিতীয় প্রশ্ন।])

প্রশ্ন: আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র, আমাকে সর্বদা বিভিন্ন মতবাদ এবং দলের মধ্যে বসবাস করতে হয়। তাদের সবাই নিজের দলকে শ্রেষ্ঠ মনে করে এবং সর্বাত্মক চেষ্টা করে নিজেদের সহযোগী সদস্য বাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকে। যেমন: ‘জামা‘আতুল ইখওয়ান’, ‘তাবলীগ জামা‘আত (যারা ৪০ দিন, ৪ মাস চিল্লায় বের হয়)’, ‘জামা‘আতু আনছারিস-সুন্নাহ’, আব্দুল হামীদ ছাহেবের ‘জামা‘আহ ইছলাহিইয়াহ’ ইত্যাদি। এক্ষণে আমাদেরকে সঠিক পথটি বাৎলে দিবেন বলে আশা করছি।

উত্তর: নির্দিষ্টভাবে কোনো জামা‘আতের পক্ষাবলম্বন না করে হক ও দলীলভিত্তিক বিষয়কে আঁকড়ে ধরে থাকা তোমার জন্য যরূরী। তবে কোনো দল সালাফে ছালেহীনের অনুসৃত ছহীহ আক্বীদার সংরক্ষক হলে তাদেরকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। যাহোক, তোমার কর্তব্য হচ্ছে, কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ্‌র প্রতি আমল করা এবং যাবতীয় বিদ‘আত ও কুসংস্কার বর্জন করে চলা। আল্লাহ তাওফীক্ব দান করুন।( [() প্রাগুক্ত, ৪০৯৩ নং ফৎওয়ার দ্বিতীয় প্রশ্ন।])

প্রশ্ন: বর্তমান বিদ্যমান বিভিন্ন দল ও জামা‘আত, যেমন: ‘ইখওয়ানী’, ‘তাবলীগী’, ‘আনছারুস-সুন্নাহ’, ‘জাম্‌ইয়্যাহ শার্‌ইয়্যাহ’, ‘সালাফী’, ‘তাকফীর ওয়াল হিজরা’, যেগুলি বর্তমানে মিশরে রয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দলের ক্ষেত্রে একজন মুসলিমের কি ধরনের ভূমিকা হতে পারে? এসব দলের ক্ষেত্রে কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুরাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটি প্রযোজ্য হবে? ‘গাছের শিকড় কামড়ে ধরে হলেও মৃত্যু অবধি তুমি উক্ত দলগুলির সবই পরিত্যাগ করে চলবে’। (ছহীহ মুসলিম)

উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত দলগুলির প্রত্যেকটিতে কিছু হকও আছে, কিছু বাতিলও আছে, অনুরূপভাবে আছে কিছু ভুল-ভ্রান্তি, আবার আছে কিছু সঠিক দিক। ঐসব দলগুলির কোনো কোনটি অন্যগুলির তুলনায় হকের অধিকতর নিকটবর্তী এবং অধিকতর কল্যাণময়। সেজন্য আপনার উচিৎ, প্রত্যেকটি দলকে তাদের সাথে বিদ্যমান হকের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা; আর বাতিল ও ভুল-ভ্রান্তির ক্ষেত্রে তাদেরকে নছীহত করা। যেসব বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, সেগুলো পরিত্যাগ কর। আর যেসব বিষয়ে তোমার সন্দেহ না হয়, সেগুলো গ্রহণ কর। আল্লাহই একক তাওফীক্বদাতা।( [() প্রাগুক্ত, ৬২৮০ নং ফৎওয়ার চতুর্থ প্রশ্ন।])

প্রশ্ন: মুসলিমদেরকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া এবং তাদের ঐক্য বিনষ্ট করা সত্ত্বেও কি প্রত্যেকটি মুসলিমের কোনো না কোনো ইসলামী দলে থাকা এবং সেই দলের ‘আমীরে জামা‘আত’ থাকা যরূরী?

উত্তর: প্রত্যেক মুসলিমের কথা, কাজে ও বিশ্বাসে পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ্‌র বক্তব্যকে অনুসরণ করে চলা উচিৎ। অনুরূপভাবে তার কর্তব্য হচ্ছে, শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসা বা তাকে ঘৃণা করা এবং কেবলমাত্র তাঁর খুশীর জন্যই কারো সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বা তার সাথে শত্রুতা পোষণ করা।( [() প্রাগুক্ত, ৪১৬১ নং ফৎওয়ার প্রথম প্রশ্ন।])

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন