HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
দাঈ ভাইদের প্রতি
লেখকঃ চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ
৫
দাঈর আবশ্যক গুণাবলি :দাওয়াতি ময়দানে সফল হবার জন্য একজন দাওয়াত কর্মীর যেসব গুণাবলি থাকা প্রয়োজন; আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে সেগুলো উল্লেখ করেছেন। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে তা থেকে কিছু তুলে ধরা হল :
(১) এলেম : দাওয়াত হতে হবে জ্ঞান ভিত্তিক। যে বিষয়ে আপনি দাওয়াত দিবেন সে বিষয়ে আপনার পূর্ণ বুৎপত্তি থাকা বাঞ্ছনীয়। সে সম্পর্কে আপনার অজানা থাকা চলবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ ﴿১০৮ سورة يوسف﴾
‘তুমি বল : এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আমি আহবান করি সজ্ঞানে।’ (ইউসুফ : ১০৮)
অতএব, জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করা হয়েছে। জানা বিষয়ে কথা বলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। অজ্ঞ-মূর্খরা বিনাশ করে, গঠন করতে পারে না। নষ্ট করে, সংশোধন করতে পারে না। হে আল্লাহর বান্দা, আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একটি বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা না নিয়ে অপরকে দাওয়াত দেবেন না। আর প্রকৃত জ্ঞানতো সেটিই যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বলেছেন। সুতরাং সচেতন ও জ্ঞানবান হওয়া জরুরি।
একজন শিক্ষার্থী ও দাওয়াত কর্মীর প্রথম কর্তব্য হচ্ছে, যে বিষয়ে দাওয়াত দিচ্ছে তা নিরীক্ষণ করা, বিষয়বস্ত্ত ও দলিলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা। যদি বিষয়বস্ত্তর সত্যতা সুস্পষ্ট ও বোধগম্য বলে অনুভূত হয় তবেই কেবল দাওয়াত দেবে।
(২) ইখলাস : একজন দাঈর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয় হচ্ছে আল্লাহর জন্য আন্তরিক হওয়া। লোক দেখানো, খ্যাতি লাভ, প্রশংসা কুড়ানোর মনোবৃত্তি তার উদ্দেশ্য হওয়া কাম্য নয়। দাঈ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য।
সহি বুখারিতে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন -
‘প্রত্যেক আমলের ফলাফল নিয়ত অনুযায়ী হয়ে থাকে।’
তাই দাঈ হিসাবে আপনার কর্তব্য হচ্ছে দাওয়াত কর্মে আন্তরিক হওয়া। এটাই হচ্ছে বড় চরিত্র, এটাই বড় গুণ, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যার প্রয়োজন সর্বাধিক। সুতরাং দাওয়াতি কাজে আপনার কামনা হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের সফলতা।
(৩) ধৈর্য ও সহনশীলতা : দাওয়াত কর্মী হিসাবে আপনাকে অতিমাত্রায় সহনশীল হতে হবে। হতে হবে পরমত সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল। যেমন ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। দাওয়াতি ময়দানে তাঁকে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনও বিচলিত হননি। বরং ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন। অতএব তাড়াহুড়ো ও কঠোর নীতি গ্রহণ করা হতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কঠিনভাবে।
(৪) নম্রতা : আল্লাহ তাআলা মুসা ও হারুন আ. কে যখন ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে পাঠালেন তখন তাদেরকে ফেরাউনের সাথে নম্রতা বজায় রেখে কথা বলার আদেশ করেছেন। অথচ সে ছিল সবচেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী।
আল্লাহ বলেন-
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى ). سورة طه (
‘তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। (ত্বহা : ৪৪)
(৫) সদয় আচরণ : নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন -
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ .) سورة آل عمران (
‘অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতে তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।’ (আলে ইমরান : ১০৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
‘হে আল্লাহ, যার ওপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের ওপর সদয় আচরণ করল তুমি তার প্রতি সদয় ব্যবহার কর, আর যার ওপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ করল, তুমি তার প্রতি নির্দয় আচরণ কর।’ (মুসলিম)
তাই আপনাকে একজন দাঈ হিসাবে নবী আদর্শের অনুবর্তিতায় দাওয়াত কর্মে কোমল হতে হবে। সর্বাবস্থায় মাধুর্যপূর্ণ ব্যবহার বজায় রাখতে হবে, কোনোভাবেই মানুষের ওপর কঠোর হওয়া যাবে না। অশোভন, রূঢ় ও কষ্টদায়ক আচরণ করে তাদেরকে দীন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে না। আপনাকে ধৈর্য্য ও সহনশীল হতে হবে। হতে হবে নেতৃত্বে সাবলীল, কথা ও আচরণে কোমল। এতে আপনার দাওয়াতের টার্গেট মুসলিম ভাইয়ের অন্তরে প্রভাব পড়বে, আপনার কথা শুনতে চাইবে, আপনার প্রতি নমনীয় হবে, আপনার প্রশংসা করবে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সর্বোপরি আপনার দাওয়াত কবুল করবে। মনে রাখবেন রূঢ়তা অপরকে নিজ হতে বিচ্ছিন্ন করে দূরে ঠেলে দেয়; কাছে আনে না। হৃদ্যতার পরিবর্তে ঘৃণা সৃষ্টি করে।
(৬) প্রথমে নিজে আমল করা : দাঈর জন্য বাঞ্ছনীয় বরং আবশ্যক গুণাবলীর মধ্যে এটিও একটি যে, লোকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি দাওয়াত দেবে নিজের মধ্যে আগে তা বাস্তবায়ন করবে। তাকে সে বিষয়ে আদর্শ হতে হবে। এমন হওয়া চলবে না যে, অপরকে হকের দাওয়াত দিল, ভালো কাজ করতে বলল, আর নিজে তা থেকে দূরে সরে রইল অথবা কোনো বিষয়ে অন্যকে নিষেধ করল, এরপর নিজে তাতে জড়িয়ে পড়ল। এটা অবশ্যই ক্ষতিকর।
মূলত সফল মুমিন ও স্বার্থক দাঈ তারাই যারা আহবানকৃত বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজেরা আমল করে বরং এক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অগ্রসর থাকে আর নিষিদ্ধ বিষয়াদি হতে নিজেরা দূরে থাকে এবং বর্জনের দিক দিয়ে অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿২﴾ كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿৩﴾ ) سورة الصف (
‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা কর না তা তোমরা বল কেন? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা, আল্লাহর নিকট অতিশয় অসন্তোষজনক।’ (সাফফ : ২-৩)
আল্লাহ তাআলা ইহুদিদের এ মর্মে ভৎর্সনা করেছেন যে, তারা মানুষকে কল্যাণের কথা বলে অথচ নিজেরা নিজেদের ভুলে থাকে।
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ . ) سورة البقرة (
‘তবে কি তোমরা লোকদেরকে সৎকাজে আদেশ করছো এবং তোমাদের নিজেদের ভুলে যাচ্ছ। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর; তবে কি তোমরা হৃদয়ঙ্গম করছো না?’ (বাকারা : ৪৪)
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, হে আল্লাহ আমাদের সকলকে আপনার রাস্তায় উত্তমভাবে দাওয়াত দেয়ার তাওফিক দিন। আমাদের সকলকে দীনের ব্যাপারে বিশুদ্ধ বুঝ দান করুন। দীনের ওপর অবিচল থাকা সহজ করে দিন। আমাদেরকে হিদায়েতপ্রাপ্ত ও হিদায়েতের পথপ্রদর্শক-নেককাজকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন। নিশ্চয়ই আপনি বড় দয়ালু মহান দাতা।
সমাপ্ত
(১) এলেম : দাওয়াত হতে হবে জ্ঞান ভিত্তিক। যে বিষয়ে আপনি দাওয়াত দিবেন সে বিষয়ে আপনার পূর্ণ বুৎপত্তি থাকা বাঞ্ছনীয়। সে সম্পর্কে আপনার অজানা থাকা চলবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ ﴿১০৮ سورة يوسف﴾
‘তুমি বল : এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আমি আহবান করি সজ্ঞানে।’ (ইউসুফ : ১০৮)
অতএব, জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে ফরজ করা হয়েছে। জানা বিষয়ে কথা বলা থেকে সাবধান থাকতে হবে। অজ্ঞ-মূর্খরা বিনাশ করে, গঠন করতে পারে না। নষ্ট করে, সংশোধন করতে পারে না। হে আল্লাহর বান্দা, আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একটি বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা না নিয়ে অপরকে দাওয়াত দেবেন না। আর প্রকৃত জ্ঞানতো সেটিই যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বলেছেন। সুতরাং সচেতন ও জ্ঞানবান হওয়া জরুরি।
একজন শিক্ষার্থী ও দাওয়াত কর্মীর প্রথম কর্তব্য হচ্ছে, যে বিষয়ে দাওয়াত দিচ্ছে তা নিরীক্ষণ করা, বিষয়বস্ত্ত ও দলিলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা। যদি বিষয়বস্ত্তর সত্যতা সুস্পষ্ট ও বোধগম্য বলে অনুভূত হয় তবেই কেবল দাওয়াত দেবে।
(২) ইখলাস : একজন দাঈর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয় হচ্ছে আল্লাহর জন্য আন্তরিক হওয়া। লোক দেখানো, খ্যাতি লাভ, প্রশংসা কুড়ানোর মনোবৃত্তি তার উদ্দেশ্য হওয়া কাম্য নয়। দাঈ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য।
সহি বুখারিতে ওমর ইবনে খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন -
‘প্রত্যেক আমলের ফলাফল নিয়ত অনুযায়ী হয়ে থাকে।’
তাই দাঈ হিসাবে আপনার কর্তব্য হচ্ছে দাওয়াত কর্মে আন্তরিক হওয়া। এটাই হচ্ছে বড় চরিত্র, এটাই বড় গুণ, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যার প্রয়োজন সর্বাধিক। সুতরাং দাওয়াতি কাজে আপনার কামনা হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের সফলতা।
(৩) ধৈর্য ও সহনশীলতা : দাওয়াত কর্মী হিসাবে আপনাকে অতিমাত্রায় সহনশীল হতে হবে। হতে হবে পরমত সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল। যেমন ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। দাওয়াতি ময়দানে তাঁকে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনও বিচলিত হননি। বরং ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন। অতএব তাড়াহুড়ো ও কঠোর নীতি গ্রহণ করা হতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কঠিনভাবে।
(৪) নম্রতা : আল্লাহ তাআলা মুসা ও হারুন আ. কে যখন ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে পাঠালেন তখন তাদেরকে ফেরাউনের সাথে নম্রতা বজায় রেখে কথা বলার আদেশ করেছেন। অথচ সে ছিল সবচেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী।
আল্লাহ বলেন-
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى ). سورة طه (
‘তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। (ত্বহা : ৪৪)
(৫) সদয় আচরণ : নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন -
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ .) سورة آل عمران (
‘অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন হতে তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।’ (আলে ইমরান : ১০৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
‘হে আল্লাহ, যার ওপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের ওপর সদয় আচরণ করল তুমি তার প্রতি সদয় ব্যবহার কর, আর যার ওপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ করল, তুমি তার প্রতি নির্দয় আচরণ কর।’ (মুসলিম)
তাই আপনাকে একজন দাঈ হিসাবে নবী আদর্শের অনুবর্তিতায় দাওয়াত কর্মে কোমল হতে হবে। সর্বাবস্থায় মাধুর্যপূর্ণ ব্যবহার বজায় রাখতে হবে, কোনোভাবেই মানুষের ওপর কঠোর হওয়া যাবে না। অশোভন, রূঢ় ও কষ্টদায়ক আচরণ করে তাদেরকে দীন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে না। আপনাকে ধৈর্য্য ও সহনশীল হতে হবে। হতে হবে নেতৃত্বে সাবলীল, কথা ও আচরণে কোমল। এতে আপনার দাওয়াতের টার্গেট মুসলিম ভাইয়ের অন্তরে প্রভাব পড়বে, আপনার কথা শুনতে চাইবে, আপনার প্রতি নমনীয় হবে, আপনার প্রশংসা করবে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সর্বোপরি আপনার দাওয়াত কবুল করবে। মনে রাখবেন রূঢ়তা অপরকে নিজ হতে বিচ্ছিন্ন করে দূরে ঠেলে দেয়; কাছে আনে না। হৃদ্যতার পরিবর্তে ঘৃণা সৃষ্টি করে।
(৬) প্রথমে নিজে আমল করা : দাঈর জন্য বাঞ্ছনীয় বরং আবশ্যক গুণাবলীর মধ্যে এটিও একটি যে, লোকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি দাওয়াত দেবে নিজের মধ্যে আগে তা বাস্তবায়ন করবে। তাকে সে বিষয়ে আদর্শ হতে হবে। এমন হওয়া চলবে না যে, অপরকে হকের দাওয়াত দিল, ভালো কাজ করতে বলল, আর নিজে তা থেকে দূরে সরে রইল অথবা কোনো বিষয়ে অন্যকে নিষেধ করল, এরপর নিজে তাতে জড়িয়ে পড়ল। এটা অবশ্যই ক্ষতিকর।
মূলত সফল মুমিন ও স্বার্থক দাঈ তারাই যারা আহবানকৃত বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজেরা আমল করে বরং এক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অগ্রসর থাকে আর নিষিদ্ধ বিষয়াদি হতে নিজেরা দূরে থাকে এবং বর্জনের দিক দিয়ে অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿২﴾ كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ ﴿৩﴾ ) سورة الصف (
‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা কর না তা তোমরা বল কেন? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা, আল্লাহর নিকট অতিশয় অসন্তোষজনক।’ (সাফফ : ২-৩)
আল্লাহ তাআলা ইহুদিদের এ মর্মে ভৎর্সনা করেছেন যে, তারা মানুষকে কল্যাণের কথা বলে অথচ নিজেরা নিজেদের ভুলে থাকে।
أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ . ) سورة البقرة (
‘তবে কি তোমরা লোকদেরকে সৎকাজে আদেশ করছো এবং তোমাদের নিজেদের ভুলে যাচ্ছ। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর; তবে কি তোমরা হৃদয়ঙ্গম করছো না?’ (বাকারা : ৪৪)
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, হে আল্লাহ আমাদের সকলকে আপনার রাস্তায় উত্তমভাবে দাওয়াত দেয়ার তাওফিক দিন। আমাদের সকলকে দীনের ব্যাপারে বিশুদ্ধ বুঝ দান করুন। দীনের ওপর অবিচল থাকা সহজ করে দিন। আমাদেরকে হিদায়েতপ্রাপ্ত ও হিদায়েতের পথপ্রদর্শক-নেককাজকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন। নিশ্চয়ই আপনি বড় দয়ালু মহান দাতা।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন