HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আত্মগঠন
লেখকঃ খালিদ ইবন আব্দুল আযীয আবাল খায়ল
৩
আত্মগঠনমহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
﴿بَلِ ٱلۡإِنسَٰنُ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦ بَصِيرَةٞ ١٤ وَلَوۡ أَلۡقَىٰ مَعَاذِيرَهُۥ ١٥﴾ [ القيامة : ١٤، ١٥ ]
“বরং মানুষ তার নিজের ব্যাপারে সম্যক অবগত। যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।” [সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১৪-১৫]
আল্লামা ইবন কাসীর রহ. আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, প্রতিটি মানুষই নিজের ব্যাপারে সাক্ষী, নিজ কর্ম সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, অস্বীকার করুক কিংবা অজুহাত পেশ করুক। [তাফসীর ইবন কাসীর ৪/৪৪৯।]
আয়াতের মাধ্যমে একটি বিষয় প্রমাণিত হলো যে, ব্যক্তির অন্তরের গোপন বিষয়াদি সম্বন্ধে আল্লাহর পর তার চেয়ে বেশি আর কেউ জানে না। সেসব বিষয়ে আল্লাহর পর সর্বাধিক পরিজ্ঞাত ব্যক্তি সে নিজেই।
তাইতো মানুষের কাছে শরী‘আতের চাহিদা হচ্ছে, মানবাত্মা একান্ত অনুগত হওয়া অবধি মানুষ তার পরিচর্যা ও শাসন করে যাবে, তার বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। বিষয়টি নিতান্ত সহজ ব্যাপার নয় যে, সকলের পক্ষে তাতে সফল হওয়া সম্ভব বরং খুবই কঠিন। অবাঞ্চিত সব যাতনা ও কষ্টে ভরা দীর্ঘ রাস্তা, যার সত্যতা মিলে আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীতে,
﴿وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٦٩﴾ [ العنكبوت : ٦٩ ]
“আর যারা আমাদের পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমরা অবশ্যই আমাদের পথসমূহের দিশা দিব।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৯]
আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর শর্তারোপ করেছেন দু’টি:
এক. আল্লাহর আনুগত্যের ওপর সর্বাত্মক পরিশ্রম করা, আত্মাকে কঠোর সাধনা-সংগ্রামে নিয়োজিত রাখা এবং শাসনের মাধ্যমে তাকে সুগঠিত ও নিয়ন্ত্রিত করা।
দুই. এসব কিছু হতে হবে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে, সুখ-ঐশ্বর্য্য অর্জন কিংবা পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে নয়।
এর রহস্য বোধ করি এটিই, (আল্লাহ ভালো জানেন) সঠিক পথের হিদায়াত এবং অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর রাস্তা প্রাপ্তি এমন এক বিশাল অর্জন যা আল্লাহ তা‘আলা কেবল তাদেরই দান করেন যারা এর প্রত্যাশা করে এবং চেষ্টা-সাধনার মাধ্যমে প্রত্যাশার সত্যতার প্রমাণ উপস্থাপন করে।
এ প্রবন্ধে আমরা কিছু কার্যকর পন্থা ও উপাদান অনুসন্ধানের চেষ্টা করব, আল্লাহর তাওফীকের পর যার মাধ্যমে বান্দা নিজ আত্মাকে একটি ঈমানী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হবে আর এতেই তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের শান্তি নিশ্চিত হবে।
সেসব উপাদানের কিছু আছে যা অর্জন করতে হবে আর কিছু আছে যা বর্জন করতে হবে। চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গের কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, বরণীয় বিষয়গুলো আলোচনা করার আগে বর্জনীয় বিষয়াদির আলোচনা অধিক কার্যকর। তাই সেই পদ্ধতিরই আমরা অনুসরণ করছি:
﴿بَلِ ٱلۡإِنسَٰنُ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦ بَصِيرَةٞ ١٤ وَلَوۡ أَلۡقَىٰ مَعَاذِيرَهُۥ ١٥﴾ [ القيامة : ١٤، ١٥ ]
“বরং মানুষ তার নিজের ব্যাপারে সম্যক অবগত। যদিও সে নানা অজুহাত পেশ করে থাকে।” [সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১৪-১৫]
আল্লামা ইবন কাসীর রহ. আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, প্রতিটি মানুষই নিজের ব্যাপারে সাক্ষী, নিজ কর্ম সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত, অস্বীকার করুক কিংবা অজুহাত পেশ করুক। [তাফসীর ইবন কাসীর ৪/৪৪৯।]
আয়াতের মাধ্যমে একটি বিষয় প্রমাণিত হলো যে, ব্যক্তির অন্তরের গোপন বিষয়াদি সম্বন্ধে আল্লাহর পর তার চেয়ে বেশি আর কেউ জানে না। সেসব বিষয়ে আল্লাহর পর সর্বাধিক পরিজ্ঞাত ব্যক্তি সে নিজেই।
তাইতো মানুষের কাছে শরী‘আতের চাহিদা হচ্ছে, মানবাত্মা একান্ত অনুগত হওয়া অবধি মানুষ তার পরিচর্যা ও শাসন করে যাবে, তার বিরুদ্ধে লাগাতার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। বিষয়টি নিতান্ত সহজ ব্যাপার নয় যে, সকলের পক্ষে তাতে সফল হওয়া সম্ভব বরং খুবই কঠিন। অবাঞ্চিত সব যাতনা ও কষ্টে ভরা দীর্ঘ রাস্তা, যার সত্যতা মিলে আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীতে,
﴿وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٦٩﴾ [ العنكبوت : ٦٩ ]
“আর যারা আমাদের পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমরা অবশ্যই আমাদের পথসমূহের দিশা দিব।” [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৬৯]
আল্লাহ তা‘আলা হিদায়াত দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর শর্তারোপ করেছেন দু’টি:
এক. আল্লাহর আনুগত্যের ওপর সর্বাত্মক পরিশ্রম করা, আত্মাকে কঠোর সাধনা-সংগ্রামে নিয়োজিত রাখা এবং শাসনের মাধ্যমে তাকে সুগঠিত ও নিয়ন্ত্রিত করা।
দুই. এসব কিছু হতে হবে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে, সুখ-ঐশ্বর্য্য অর্জন কিংবা পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে নয়।
এর রহস্য বোধ করি এটিই, (আল্লাহ ভালো জানেন) সঠিক পথের হিদায়াত এবং অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর রাস্তা প্রাপ্তি এমন এক বিশাল অর্জন যা আল্লাহ তা‘আলা কেবল তাদেরই দান করেন যারা এর প্রত্যাশা করে এবং চেষ্টা-সাধনার মাধ্যমে প্রত্যাশার সত্যতার প্রমাণ উপস্থাপন করে।
এ প্রবন্ধে আমরা কিছু কার্যকর পন্থা ও উপাদান অনুসন্ধানের চেষ্টা করব, আল্লাহর তাওফীকের পর যার মাধ্যমে বান্দা নিজ আত্মাকে একটি ঈমানী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হবে আর এতেই তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনের শান্তি নিশ্চিত হবে।
সেসব উপাদানের কিছু আছে যা অর্জন করতে হবে আর কিছু আছে যা বর্জন করতে হবে। চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গের কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, বরণীয় বিষয়গুলো আলোচনা করার আগে বর্জনীয় বিষয়াদির আলোচনা অধিক কার্যকর। তাই সেই পদ্ধতিরই আমরা অনুসরণ করছি:
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন