HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ইসলাম ধর্মে সৎকর্ম কবুল হওয়ার শর্তাবলি
লেখকঃ ড: মুহাম্মাদ মর্তুজা বিন আয়েশ মুহাম্মাদ
৭
প্রকৃত ইসলাম ধর্মে সৎকর্ম কবুল হওয়ার দ্বিতীয় শর্তইসলাম ধর্মের সকল কর্মে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর আনুগত্য ও অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য এবং ইসলাম ধর্মের শিক্ষা মোতাবেক তাঁর সকল নির্দেশ পালন করা একটি অপরিহার্য বিষয়, এই বিষয়টি সকল ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত। কেননা আল্লাহর উপাসনার ক্ষেত্রে এবং সৎকর্ম সম্পাদনের বিষয়ে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর সঠিক পন্থায় অনুসরণ করা প্রকৃত ইসলাম ধর্মে সৎকর্ম কবুল হওয়ার দ্বিতীয় শর্ত। তাই আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর নির্দেশিত বিধি-বিধান এবং প্রদত্ত পদ্ধতি অনুযায়ী আল্লাহর ইবাদত এবং সকল প্রকারের সৎকর্ম সম্পাদন করা অপরিহার্য। তাই যে সৎকর্মে এখলাসের সাথে সাথে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর অনুসরণ পাওয়া যাবে না, সে সৎকর্ম আল্লাহর নিকটে কবুল হবে না।
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর অনুসরণ করার নির্দেশ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে প্রদান করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেন:
﴿ قُلْ أَطِيْعُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ﴾ ,
( سورة النور , جزء من الآية ٥٤ ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “হে আল্লাহর রাসূল! তুমি বলে দাও! হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক সঠিক পন্থায় আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করো”।
(সূরা আন-নূর, আয়াত নং 54 এর অংশবিশেষ)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
﴿وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴾ , ( سورة النور , الآية ٥ 6 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: হে ঈমানদার মুসলিম সমাজ! “আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো আর জাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করো, তবেই তোমরা আল্লাহর দয়াপ্রাপ্ত হতে পারবে”।
(সূরা আন-নূর, আয়াত নং 56)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
﴿وَٱتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ﴾ , ( سورة الأعراف , جزء من الآية 158 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ করো, তবেই তোমরা আল্লাহর প্রদত্ত সুখ দায়ক সৎপথ ইসলাম ধর্মের অনুগামী হতে পারবে”।
(সূরা আল আরাফ, আয়াত নং 54 এর অংশবিশেষ)।
এই সমস্ত আয়াতগুলির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করা অপরিহার্য বিষয়। তাই তাঁর আনুগত্য পরিত্যাগ করলে কোনো ইবাদত -উপাসনা মহান আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। কেননা আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন:
" مَنْ أَحْدَثَ فِيْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ".
( صحيح البخاري , رقم الحديث 2697, وأيضاً : صحيح مسلم , رقم الحديث 17- (1718) ).
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমাদের এই ইসলাম ধর্মের মধ্যে এমন কোনো নতুন বিষয় ধর্মের কর্ম হিসেবে সংযুক্ত করবে, যে বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অংশ নয়, তাহলে সে বিষয়টি পরিত্যাজ্য বলেই বিবেচিত হবে”।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং 2697 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 17-(1718)।
জেনে রাখা উচিত যে, মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহান আল্লাহর সর্বশেষ নাবী এবং রাসূল বা দূত । তিনি সকল জাতির মানব সমাজের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর আনুগত্য ছাড়া আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং আল্লাহর আনুগত্যের দাবির কোনো অর্থই থাকে না। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন:
( مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ ) , ( سورة النساء , جزء من الآية 80 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদের আনুগত্য করতে সক্ষম হবে, সেই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর অনুগত ব্যক্তি হতে পারবে”।
(সূরা আন নিসা, আয়াত নং 80 এর অংশবিশেষ)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
( قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ) ,
( سورة آل عمران , الآية 31 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “হে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ! তুমি বলে দাও! যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করতে চাও, তাহলে আমার অনুসরণ করতে থাকো, তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলিকে ক্ষমা করে দিবেন। যেহেতু আল্লাহ হলেন ক্ষমাবান ও দয়াবান”।
(সূরা আল ইমরান, আয়াত নং 31)।
সুতরাং আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আনুগত্য ছাড়া কোনো ব্যক্তি মহান আল্লাহর প্রদত্ত সুখ দায়ক সৎপথ ইসলামের অনুগামী হতে পারবে না এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবে না।
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]এর অনুসরণ করার নির্দেশ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের মধ্যে প্রদান করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেন:
﴿ قُلْ أَطِيْعُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ﴾ ,
( سورة النور , جزء من الآية ٥٤ ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “হে আল্লাহর রাসূল! তুমি বলে দাও! হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক সঠিক পন্থায় আল্লাহর আনুগত্য করো এবং আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করো”।
(সূরা আন-নূর, আয়াত নং 54 এর অংশবিশেষ)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
﴿وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴾ , ( سورة النور , الآية ٥ 6 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: হে ঈমানদার মুসলিম সমাজ! “আর তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো আর জাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করো, তবেই তোমরা আল্লাহর দয়াপ্রাপ্ত হতে পারবে”।
(সূরা আন-নূর, আয়াত নং 56)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
﴿وَٱتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ﴾ , ( سورة الأعراف , جزء من الآية 158 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “এবং হে সকল জাতির মানব সমাজ! তোমরা আল্লাহর রাসূলের অনুসরণ করো, তবেই তোমরা আল্লাহর প্রদত্ত সুখ দায়ক সৎপথ ইসলাম ধর্মের অনুগামী হতে পারবে”।
(সূরা আল আরাফ, আয়াত নং 54 এর অংশবিশেষ)।
এই সমস্ত আয়াতগুলির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করা অপরিহার্য বিষয়। তাই তাঁর আনুগত্য পরিত্যাগ করলে কোনো ইবাদত -উপাসনা মহান আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। কেননা আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন:
" مَنْ أَحْدَثَ فِيْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ ".
( صحيح البخاري , رقم الحديث 2697, وأيضاً : صحيح مسلم , رقم الحديث 17- (1718) ).
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমাদের এই ইসলাম ধর্মের মধ্যে এমন কোনো নতুন বিষয় ধর্মের কর্ম হিসেবে সংযুক্ত করবে, যে বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অংশ নয়, তাহলে সে বিষয়টি পরিত্যাজ্য বলেই বিবেচিত হবে”।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং 2697 এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 17-(1718)।
জেনে রাখা উচিত যে, মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহান আল্লাহর সর্বশেষ নাবী এবং রাসূল বা দূত । তিনি সকল জাতির মানব সমাজের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তাঁর আনুগত্য ছাড়া আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং আল্লাহর আনুগত্যের দাবির কোনো অর্থই থাকে না। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন:
( مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ ) , ( سورة النساء , جزء من الآية 80 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদের আনুগত্য করতে সক্ষম হবে, সেই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর অনুগত ব্যক্তি হতে পারবে”।
(সূরা আন নিসা, আয়াত নং 80 এর অংশবিশেষ)।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
( قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ) ,
( سورة آل عمران , الآية 31 ).
ভাবার্থের অনুবাদ: “হে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ! তুমি বলে দাও! যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করতে চাও, তাহলে আমার অনুসরণ করতে থাকো, তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপগুলিকে ক্ষমা করে দিবেন। যেহেতু আল্লাহ হলেন ক্ষমাবান ও দয়াবান”।
(সূরা আল ইমরান, আয়াত নং 31)।
সুতরাং আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর আনুগত্য ছাড়া কোনো ব্যক্তি মহান আল্লাহর প্রদত্ত সুখ দায়ক সৎপথ ইসলামের অনুগামী হতে পারবে না এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করতে পারবে না।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন