HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে ‘তাকওয়া’র স্বরূপ ও সমাজ জীবনে এর প্রভাব

লেখকঃ ড. মোঃ ছানাউল্লাহ

‘তাকওয়া’র স্তরসমূহ
‘তাকওয়া’ ‘বেঁচে থাকা’ অর্থে ব্যবহৃত হলে এর তিনটি স্তর পরিলক্ষিত হয়।

প্রথম স্তর হল কুফর ও শির্‌ক থেকে বেঁচে থাকা। এ অর্থে একজন সাধারণ মুসলিমকেও মুত্তাকী বলা যায়; যদিও তার থেকে গুনাহ্ প্রকাশ পেয়ে থাকে। এ অর্থ বুঝানোর জন্য পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় মুত্তাকূণ, মুত্তাকীন ও তাকওয়া শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।

দ্বিতীয় স্তর- যা প্রকৃতপক্ষে কাম্য, তা হল এমন সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা যা আল্লাহ্‌ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের পছন্দনীয় নয়। কুরআন ও হাদীসে তাকওয়ার যেসব মর্যাদা ও কল্যাণ প্রতিশ্রুত হয়েছে তা এ স্তরের তাকওয়ার উপর ভিত্তি করেই হয়েছে।

তৃতীয় স্তরটি তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তর। সকল নবী-রাসূলগণ ও তাঁদের বিশেষ উত্তরাধিকারী ওলীগণ এ স্তরের তাকওয়া অর্জন করে থাকেন। এ স্তরের তাকওয়া হল অন্তরকে আল্লাহর ব্যতীত সবকিছু থেকে মুক্ত রাখা [. মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ) অনুবাদ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, তাফসীর মাআরেফুল কোরআন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯১।]। উল্লেখিত মতের সাথে একমত পোষণ করে কাযী নাসিরুদ্দীন বায়যাবী (র) বলেন, ‘তাকওয়া’র তিনটি স্তর রয়েছে :

এক. শিরক থেকে মুক্ত হয়ে চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে বেঁচে থাকা।

দুই. যা করলে পাপ হয় অথবা ছেড়ে দিলে পাপ হয় এমন সবকিছূ থেকে দূরে থাকা। কারো কারো মতে সামান্য ও ছোট-খাটো ক্রটি-বিচ্যুতি থেকেও বেঁচে থাকা। আর ইসলামী শরী’আতে এটিই তাকওয়া নামে পরিচিত। পবিত্র কুরআনের বাণী ‘আর যদি গ্রামের অধিবাসীরা ঈমান গ্রহণ করে ও তাকওয়া অবলম্বন করে’ বলে ‘তাকওয়া’র এ অর্থটি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিন. নিজের অন্তরকে সত্য-সঠিক তথা আল্লাহ্‌ তা‘আলা থেকে ফিরিয়ে রাখে এমন কিছু থেকে পুত-পবিত্র থাকা এবং সম্পূর্ণরূপে আল্লাহমুখী হওয়া। এটিই হচ্ছে প্রকৃত তাকওয়া যা আল্লাহর বাণী ‘তোমরা আল্লাহকে যথার্থরূপে ভয় কর’ দ্বারা বুঝানো হয়েছে [. কাযী নাসির উদ্দীন আবদুল্লাহ্ ইবন ওমর ইবন মুহাম্মদ আল-বায়যাবী, প্রাগুক্ত, পৃ. 16.]। তাফসীর জালালাইন এর টীকায়ও ‘তাকওয়া’র স্তর-বিন্যাস তিন প্রকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক. সাধারণের তাকওয়া। তা হল কুফর থেকে বেঁচে থাকা।

দুই. খাছ লোকদের তাকওয়া, আর তা হচ্ছে আল্লাহ্‌র সকল নির্দেশসমূহ পালন করা এবং তাঁর সকল নিষেধাজ্ঞা থেকে দুরে থাকা।

তিন. বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের তাকওয়া। আর তা হল আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরত রাখে এমন সবকিছূ থেকে বেঁচে থাকা [. জালালুদ্দীন আল সুয়ূতী, তাফসীর জালালাইন, সিঙ্গাপুর : এদারা নশর ওয়া ইশা’আতে ইসলামিয়্যাহ্, তা.বি., পৃ. ৪, টীকা নং ২০।]। এতে বুঝা যায় যে, পূর্ণ ইসলামই প্রকৃত পক্ষে তাকওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সা)-এর পূর্ণ আনুগত্য করা এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাককেই তাকওয়া বলা হয় [. মুফতী মুহাম্মদ শফী (রহ) অনুবাদ, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, তাফসীর মাআরেফুল কোরআন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯১।]। বস্তুত তারাই মুত্তাকী, যাদের ঈমান ও ‘আমল দুটিই পূর্ণাঙ্গ। আর ঈমান ও আমল এ দুয়ের সমন্বয়ই ইসলাম [. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৪।]।

ইমাম আল-গাযালী (র) তাকওয়ার চারটি স্তর বর্ণনা করেছেন।

এক. শরী’আতে যে সকল বস্তুকে হারাম করা হয়েছে, আল্লাহ্‌র ভয়ে সকল বস্তু থেকে বিরত থাকা। যেমন, মদ্যপান, ব্যভিচার, জুয়াখেলা ও সুদ খাওয়া প্রভৃতি হারাম কাজ থেকে আত্মরক্ষা করা। এটি সাধারণ মুমিনের তাকওয়া। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় মু’মিন।

দুই. হারাম বস্তুসমূহ হতে বিরত থাকার পর সন্দেহযু্ক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতেও দূরে থাকা। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় সালিহ। তিন. সকল হারাম বস্তু ও সন্দেহযু্ক্ত হালাল বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকার পর আল্লাহ্‌র ভয়ে অনক সন্দেহবিহীন হালাল বস্তুও পরিত্যাগ করে, এ শ্রেণীকে মুত্তাকী বলা হয় । চার. তিন শ্রেণীর তাকওয়া আয়ত্ত করার পর এমন সকল হালাল বস্তু পরিত্যাগ করা যা ইবাদাতে কোনরূপ সহায়তা করে না। এ শ্রেণীর মুত্তাকীকে বলা হয় ‘সিদ্দীক’ [. ইসলামী বিশ্বকোষ, প্রাগুক্ত, পৃ. ১০৮-১০৯।]।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন