HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা
লেখকঃ শরীফ ইবন ‘আলী আর-রাজেহী
সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদের যথাযথ অনুসরণ করবে, তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হউক।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কুরআনকে রক্ষা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং আমরা অবশ্যই তার সংরক্ষক।” - (সূরা আল-হিজর: ৯)। আর কুরআনের মাধ্যমে তিনি তাঁর দ্বীনকে সংরক্ষণ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দীনকে সংরক্ষণ করার জন্য কতিপয় উপায় ঠিক করেছেন। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হলো আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাওহীদবাদী উম্মাতের আলেমগণকে ইসলামের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং বিদ‘আত ও তার ভয়াবহতা বর্ণনা করার তাওফীক প্রদান। আর এ ব্যাপারে তাওফীকপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র., কেননা, তিনি এই মহান বিষয়ে মহৎ ভূমিকা রেখেছেন এবং এই সংগ্রামে সুন্দর বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাঁর সংগ্রামের ফসল ছিল তাঁর রচিত ও লিখিত অনেক গ্রন্থ (আল্লাহ সেগুলো কবুল করুন)। প্রত্যেক সুন্নাহপ্রেমী ও সুন্নাহর অনুসারী ব্যক্তি এবং কল্যাণ ও হকের অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি সে গ্রন্থগুলো প্রকাশের ব্যাপারে চেষ্টাসাধনা করেছেন; আর ইসলামের প্রতিরক্ষাকারী ও তার অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি তা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন; তন্মধ্যে বাদশা আবদুল আযীয আলে সাউদ র. ছিলেন অন্যতম। তিনি শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর গ্রন্থগুলো মুদ্রণ ও প্রকাশনার বরকতময় মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তা যথাযথ তত্ত্বাবধান করেন; আর তাঁর পরবর্তীতে এই ব্যাপারে তাঁর নীতির অনুসরণ করেন তাঁর পুণ্যবান ছেলে সন্তানগণ- আল্লাহ তা‘আলা তাঁদের মধ্যকার মৃতদের প্রতি রহম করুন এবং জীবিতদেরকে তাওফীক দান করুন, আর তাঁদের মাঝে বরকত নাযিল করুন। শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ ( منهاج السنة النبوية ) নামক গ্রন্থটি হল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুসমূহের অন্যতম একটি; আর তার বড় একটি অংশের ব্যাপারে আলেমগণ পাঠনে ও সারসংক্ষেপ করার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাউদী ফতোয়া বিভাগের নেতৃত্বে তা মূদ্রণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; আর অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ র. বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকাশনা ও মুদ্রণের করেছে; কারণ, সকল মুসিলমের নিকট এই গ্রন্থটির গুরুত্ব অনেক বেশি। সাউদী রাষ্ট্রের প্রাক্তন গ্রাণ্ড মুফতী শাইখ আবদুল্লাহ ইবন বায র. এর সভাপতিত্বে গঠিত রাষ্ট্রের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড এই গ্রন্থটি পাঠ করার এবং তা থেকে ফায়দা হাসিলের উপদেশ দিয়েছে।
এই জন্য আমি পছন্দ করেছি যে, আমি এ মূল্যবান গ্রন্থটিকে হাতের নাগালে নিয়ে আসব এবং তার উপকারিতাকে ব্যাপক করার কাজে অংশগ্রহণ করব; ফলে আমি তার উপর কতগুলো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছি এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর আমি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে কোনো প্রকার বৃদ্ধি করা বা পাঠাংশের মধ্যে কোনো প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই সম্পাদন করেছি- আল্লাহ শাইখুল ইসলামকে রহম করুন এবং তাঁকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ এটাকে ভালোভাবে ইসলাম ও মুসলিমগণের কাজে লাগান এবং ঐ ব্যক্তিকে দ্বিগুণ পুরস্কার দান করুন, যিনি আল্লাহ তা‘আলার প্রতিদানের প্রত্যাশায় তাঁর গ্রন্থসমূহ প্রকাশ করা এবং তা বণ্টন করার ব্যবস্থা করেছেন।
সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদের যথাযথ অনুসরণ করবে, তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হউক।
এসব প্রশ্ন ও উত্তর আবর্তিত হয় রাফেযী (শিয়া) মতবাদকে কেন্দ্র করে এবং ঐসব ব্যক্তিদেরকে কেন্দ্র করে, যারা নিজেদেরকে শিয়া, ইমামিয়্যা, জাফরিয়্যা এবং দ্বাদশ ইমামীয় নামে আখ্যায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে; মূলত এ হচ্ছে কতগুলো নাম যা বাস্তব অর্থে এক এবং একটি দল বা সম্প্রদায়কে বুঝায়। আর এরা আমাদের বর্তমান যুগের শিয়া সম্প্রদায়ের বড় বড় দল।
এ গ্রন্থের উত্তরগুলো শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে নেয়া হয়েছে, যা তাঁর মূল্যবান গ্রন্থ মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ ( منهاج السنة النبوية ) এর মধ্যে রয়েছে। যে ব্যক্তি আরও ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করতে চায়, সে যেন তাঁর মূলগ্রন্থটি অধ্যয়ন করে। এই উত্তরগুলো কোনো প্রকার সংযোজন বা বৃদ্ধি করা ছাড়াই শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিয়া সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর এ বক্তব্যসমূহ, তাদের মতবাদ ও মতবাদের বর্ণনাসমূহের ব্যাপারে তাঁর ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতারই প্রমাণ বহন করে। তিনি এমনভাবে তা বর্ণনা করেছেন যে, তাতে তাদের মূলনীতির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তা যেন উপর থেকে তাদের উপর ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে তাদের মূলনীতিগুলো ধসে পড়েছে এবং তাদের বুনিয়াদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা তাঁর যুক্তি-প্রমাণসমূহকে প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হল না এবং তাঁর বক্তব্যসমূহের সমালোচনা করতে পারল না; কেননা তাঁর বর্ণনাভিত্তিক ও যুক্তিভিত্তিক দলীল ও প্রমাণসমূহ এবং শান্তিপূর্ণ সমালোচনাগুলো প্রতিষ্ঠিত ছিল সুস্থ বুনিয়াদের উপর; ফলে তা তাদেরকে নির্বাক (লা-জওয়াব) করে দিল এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল এমনভাবে তারা যেন ভীতসন্ত্রস্ত গাধা, যা সিংহের সম্মুখ হতে পলায়ন করে। তাই আমরা আল্লাহর কাছে দো‘আ করি তিনি যেন শাইখুল ইসলামকে রহম করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে তাঁকে পুরস্কার দান করেন এবং তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করেন। এখন আমি আপনাকে নিম্নোক্ত পাতাসমূহের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ছেড়ে দিচ্ছি; যাতে তা পাঠ করতে পারেন, তার দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন এবং তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
আল্লাহ সকলকে এমন কাজের তাওফীক দিন, যা তিনি ভালবাসেন ও পছন্দ করেন; আর তিনি তাঁর দীনকে বিজয়ী করুন, তাঁর কথাকে সমুন্নত করুন এবং আমাদেরকে এমন সব ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন, আর তারাও তাঁকে ভালোবাসেন। ... আমীন!
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কুরআনকে রক্ষা ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং আমরা অবশ্যই তার সংরক্ষক।” - (সূরা আল-হিজর: ৯)। আর কুরআনের মাধ্যমে তিনি তাঁর দ্বীনকে সংরক্ষণ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দীনকে সংরক্ষণ করার জন্য কতিপয় উপায় ঠিক করেছেন। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হলো আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাওহীদবাদী উম্মাতের আলেমগণকে ইসলামের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং বিদ‘আত ও তার ভয়াবহতা বর্ণনা করার তাওফীক প্রদান। আর এ ব্যাপারে তাওফীকপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র., কেননা, তিনি এই মহান বিষয়ে মহৎ ভূমিকা রেখেছেন এবং এই সংগ্রামে সুন্দর বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন। তাঁর সংগ্রামের ফসল ছিল তাঁর রচিত ও লিখিত অনেক গ্রন্থ (আল্লাহ সেগুলো কবুল করুন)। প্রত্যেক সুন্নাহপ্রেমী ও সুন্নাহর অনুসারী ব্যক্তি এবং কল্যাণ ও হকের অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি সে গ্রন্থগুলো প্রকাশের ব্যাপারে চেষ্টাসাধনা করেছেন; আর ইসলামের প্রতিরক্ষাকারী ও তার অনুসারী প্রত্যেক ব্যক্তি তা প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন; তন্মধ্যে বাদশা আবদুল আযীয আলে সাউদ র. ছিলেন অন্যতম। তিনি শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর গ্রন্থগুলো মুদ্রণ ও প্রকাশনার বরকতময় মহান উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তা যথাযথ তত্ত্বাবধান করেন; আর তাঁর পরবর্তীতে এই ব্যাপারে তাঁর নীতির অনুসরণ করেন তাঁর পুণ্যবান ছেলে সন্তানগণ- আল্লাহ তা‘আলা তাঁদের মধ্যকার মৃতদের প্রতি রহম করুন এবং জীবিতদেরকে তাওফীক দান করুন, আর তাঁদের মাঝে বরকত নাযিল করুন। শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. এর মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ ( منهاج السنة النبوية ) নামক গ্রন্থটি হল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুসমূহের অন্যতম একটি; আর তার বড় একটি অংশের ব্যাপারে আলেমগণ পাঠনে ও সারসংক্ষেপ করার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাউদী ফতোয়া বিভাগের নেতৃত্বে তা মূদ্রণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; আর অনুরূপভাবে ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ র. বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রকাশনা ও মুদ্রণের করেছে; কারণ, সকল মুসিলমের নিকট এই গ্রন্থটির গুরুত্ব অনেক বেশি। সাউদী রাষ্ট্রের প্রাক্তন গ্রাণ্ড মুফতী শাইখ আবদুল্লাহ ইবন বায র. এর সভাপতিত্বে গঠিত রাষ্ট্রের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড এই গ্রন্থটি পাঠ করার এবং তা থেকে ফায়দা হাসিলের উপদেশ দিয়েছে।
এই জন্য আমি পছন্দ করেছি যে, আমি এ মূল্যবান গ্রন্থটিকে হাতের নাগালে নিয়ে আসব এবং তার উপকারিতাকে ব্যাপক করার কাজে অংশগ্রহণ করব; ফলে আমি তার উপর কতগুলো প্রশ্ন প্রণয়নের ব্যবস্থা করেছি এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর আমি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে কোনো প্রকার বৃদ্ধি করা বা পাঠাংশের মধ্যে কোনো প্রকার পরিবর্তন ছাড়াই সম্পাদন করেছি- আল্লাহ শাইখুল ইসলামকে রহম করুন এবং তাঁকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ এটাকে ভালোভাবে ইসলাম ও মুসলিমগণের কাজে লাগান এবং ঐ ব্যক্তিকে দ্বিগুণ পুরস্কার দান করুন, যিনি আল্লাহ তা‘আলার প্রতিদানের প্রত্যাশায় তাঁর গ্রন্থসমূহ প্রকাশ করা এবং তা বণ্টন করার ব্যবস্থা করেছেন।
সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সকল সাহাবীগণ ও কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা তাঁদের যথাযথ অনুসরণ করবে, তাদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হউক।
এসব প্রশ্ন ও উত্তর আবর্তিত হয় রাফেযী (শিয়া) মতবাদকে কেন্দ্র করে এবং ঐসব ব্যক্তিদেরকে কেন্দ্র করে, যারা নিজেদেরকে শিয়া, ইমামিয়্যা, জাফরিয়্যা এবং দ্বাদশ ইমামীয় নামে আখ্যায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে; মূলত এ হচ্ছে কতগুলো নাম যা বাস্তব অর্থে এক এবং একটি দল বা সম্প্রদায়কে বুঝায়। আর এরা আমাদের বর্তমান যুগের শিয়া সম্প্রদায়ের বড় বড় দল।
এ গ্রন্থের উত্তরগুলো শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য থেকে নেয়া হয়েছে, যা তাঁর মূল্যবান গ্রন্থ মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ ( منهاج السنة النبوية ) এর মধ্যে রয়েছে। যে ব্যক্তি আরও ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করতে চায়, সে যেন তাঁর মূলগ্রন্থটি অধ্যয়ন করে। এই উত্তরগুলো কোনো প্রকার সংযোজন বা বৃদ্ধি করা ছাড়াই শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিয়া সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর এ বক্তব্যসমূহ, তাদের মতবাদ ও মতবাদের বর্ণনাসমূহের ব্যাপারে তাঁর ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতারই প্রমাণ বহন করে। তিনি এমনভাবে তা বর্ণনা করেছেন যে, তাতে তাদের মূলনীতির অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তা যেন উপর থেকে তাদের উপর ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে তাদের মূলনীতিগুলো ধসে পড়েছে এবং তাদের বুনিয়াদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা তাঁর যুক্তি-প্রমাণসমূহকে প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম হল না এবং তাঁর বক্তব্যসমূহের সমালোচনা করতে পারল না; কেননা তাঁর বর্ণনাভিত্তিক ও যুক্তিভিত্তিক দলীল ও প্রমাণসমূহ এবং শান্তিপূর্ণ সমালোচনাগুলো প্রতিষ্ঠিত ছিল সুস্থ বুনিয়াদের উপর; ফলে তা তাদেরকে নির্বাক (লা-জওয়াব) করে দিল এবং তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল এমনভাবে তারা যেন ভীতসন্ত্রস্ত গাধা, যা সিংহের সম্মুখ হতে পলায়ন করে। তাই আমরা আল্লাহর কাছে দো‘আ করি তিনি যেন শাইখুল ইসলামকে রহম করেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে তাঁকে পুরস্কার দান করেন এবং তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করেন। এখন আমি আপনাকে নিম্নোক্ত পাতাসমূহের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ছেড়ে দিচ্ছি; যাতে তা পাঠ করতে পারেন, তার দিকে দৃষ্টি দিতে পারেন এবং তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
আল্লাহ সকলকে এমন কাজের তাওফীক দিন, যা তিনি ভালবাসেন ও পছন্দ করেন; আর তিনি তাঁর দীনকে বিজয়ী করুন, তাঁর কথাকে সমুন্নত করুন এবং আমাদেরকে এমন সব ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন, আর তারাও তাঁকে ভালোবাসেন। ... আমীন!
শাইখুল ইসলাম ইমাম আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র. বলেন: আল্লাহ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আমরা আমাদের সালাতের মধ্যে বলি:
﴿ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [ الفاتحة : ٦، ٧ ]
“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন; তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন, যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়ন এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।” ( সূরা আল-ফাতিহা: ৬–৭ )। বস্তুত পথভ্রষ্ট হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে হক তথা সত্যকে চিনতে পারে নি, যেমন খ্রিষ্টানগণ; আর অভিশপ্ত হল ঐ বিপথগামী ব্যক্তি, যে সত্যকে জানে এবং তার বিপরীত কাজ করে, যেমন ইয়াহূদীগণ ...; আর ‘সরল পথ’ সত্যকে জানা ও তার উপর আমল করাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমনটি সুন্নাহ-ভিত্তিক দো‘আর মধ্যে রয়েছে:
« اللهم، أرني الحق حَقّا ووفّقني لاتباعه، وأرني الباطل باطلا ووفّقني لاجتنابه، ولا تَجْعَلْه مشتبهًا علي فاتبع الهوى » .
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সত্যকে সত্যরূপে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তার অনুসরণ করার তাওফীক দিন; আর বাতিলকে বাতিলরূপেই আমাকে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তা বর্জন করার তাওফীক দিন; আর আপনি তাকে আমার জন্য সন্দেহ-সংশয়পূর্ণ করবেন না, তাহলে যে আমি প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বসব।” [পৃ. ১৯, ১ম খণ্ড ]।
﴿ ٱهۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ ٦ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧ ﴾ [ الفاتحة : ٦، ٧ ]
“আমাদেরকে সরল পথের হিদায়াত দিন; তাদের পথ, যাদেরকে আপনি নিয়ামত দিয়েছেন, যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়ন এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।” ( সূরা আল-ফাতিহা: ৬–৭ )। বস্তুত পথভ্রষ্ট হচ্ছে ঐ ব্যক্তি, যে হক তথা সত্যকে চিনতে পারে নি, যেমন খ্রিষ্টানগণ; আর অভিশপ্ত হল ঐ বিপথগামী ব্যক্তি, যে সত্যকে জানে এবং তার বিপরীত কাজ করে, যেমন ইয়াহূদীগণ ...; আর ‘সরল পথ’ সত্যকে জানা ও তার উপর আমল করাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেমনটি সুন্নাহ-ভিত্তিক দো‘আর মধ্যে রয়েছে:
« اللهم، أرني الحق حَقّا ووفّقني لاتباعه، وأرني الباطل باطلا ووفّقني لاجتنابه، ولا تَجْعَلْه مشتبهًا علي فاتبع الهوى » .
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে সত্যকে সত্যরূপে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তার অনুসরণ করার তাওফীক দিন; আর বাতিলকে বাতিলরূপেই আমাকে দেখিয়ে দিন এবং আমাকে তা বর্জন করার তাওফীক দিন; আর আপনি তাকে আমার জন্য সন্দেহ-সংশয়পূর্ণ করবেন না, তাহলে যে আমি প্রবৃত্তির অনুসরণ করে বসব।” [পৃ. ১৯, ১ম খণ্ড ]।
১. উত্তর: তারা অজ্ঞতা ও যুলুমের দিক বিবেচনায় ভীষণভাবে প্রবৃত্তির পূজারী; নবীগণের পরে প্রথম সারির মুহাজির ও আনসার এবং যাঁরা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করেছে (আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট), তাঁদের মধ্যকার আল্লাহ তা‘আলার উত্তম বন্ধুদের সাথে তারা (রাফেযীরা) শত্রুতা করে; পক্ষান্তরে তারা ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, মুশরিক এবং নুসাইরি (তথাকথিত সিরিয়ার আলাভী সম্প্রদায়), ইসমাঈলিয়্যা (আগাখানী সম্প্রদায়) ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট নাস্তিকদের বিভিন্ন কাফির ও মুনাফিকদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে। [পৃ. ২০, ১ম খণ্ড]।
৪. উত্তর: যায়েদ (ইবন আলী ইবন হুসাইন) এর আবির্ভাবের সময় থেকে শিয়া সম্প্রদায় রাফেযী ও যায়েদিয়া উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়; কারণ, যখন যায়েদকে আবূ বকর ও ওমর রা. সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন তিনি তাঁদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন; তখন একটি দল তাকে প্রত্যাখ্যান করে; ফলে তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন: " رفضتموني " অর্থাৎ তোমরা আমাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছ। অতএব তারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেছে বিধায় তাদেরকে ‘রাফেযী’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। আর শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে যে বা যারা তাকে প্রত্যাখ্যান বা অস্বীকার করেনি তার সাথে তাদের সম্পর্কযুক্ত করার কারণে তাদেরকে ‘যায়েদিয়া’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। [ পৃ. ৩৫, ১ম খণ্ড ]।
৭. উত্তর: আলেমগণ সাধারণ বর্ণনা, রিওয়ায়েত ও সনদের মাধ্যমে এই কথার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, রাফেযীরা চরম মিথ্যাবাদী গোষ্ঠী; আর তাদের মাঝে মিথ্যার বিষয়টি অনেক পুরাতন বিষয়; আর এই জন্যই ইসলামের ইমামগণ তাদেরকে অধিক হারে মিথ্যা বলার স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যর অধিকারী বলে জানতেন। [ পৃ. ৫৯, ১ম খণ্ড ]।
১১
৮. প্রশ্ন: তারা মিথ্যা ও প্রতারণাকে পবিত্র মনে করে— এই কথাটা কি সঠিক এবং তারা তাকে কী নামে নামকরণ করে?৮. উত্তর: তারা বলে: আমাদের ধর্ম হল ‘তাকিয়্যা’ !! আর তা হলো: তাদের কোনো ব্যক্তির মনের মধ্যে যা আছে, তার মুখের ভাষায় তার বিপরীত কথা বলা। বস্তুত এটা হল নিরেট মিথ্যা ও কপটতা (নিফাকী)। [ পৃ. ৬৮, ১ম খণ্ড ]।
১০. উত্তর: সেই ব্যক্তির চেষ্টা-প্রচেষ্টার চেয়ে কোন্ চেষ্টাসাধনা সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ, যে ব্যক্তি দীর্ঘ পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে যায়, বেশি বেশি অসার কথা বলে, মুসলিম সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে, সাহাবী ও তাবে‘য়ীগণকে অভিশাপ দেয়, কাফির ও মুনাফিকদেরকে সহযোগিতা করে, বিভিন্ন রকম কুটকৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে, যথাসম্ভব নতুন পথ ও মত তৈরি করে, মিথ্যা সাক্ষ্য’র মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে এবং তার অনুসারীদেরকে প্রতারণার জাল সম্পর্কে কথা বলে। [ পৃ. ১২১, ১ম খণ্ড ]।
১৩. উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকদেরকে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের অন্তরে নেই; আর রাফেযীরাও এটাকে তাদের ধর্মের মূলনীতিসমূহের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে এবং তারা তাকে ‘তাকিয়্যা’ ( التقيّة ) নাম দিয়েছে; আর তারা এটাকে আহলে বাইতের ইমামগণের পক্ষ থেকে বলে বর্ণনা করে, যাঁদেরকে আল্লাহ তা‘আলা এর থেকে মুক্ত রেখেছেন, এমনকি তারা জা‘ফর সাদিকের নিকট থেকে বর্ণনা করে যে, তিনি বলেছেন: ‘তাকিয়্যা’ ( التقيّة ) হচ্ছে আমার এবং আমার পূর্বপুরুষগণের ধর্ম। অথচ আল্লাহ তা‘আলা আহলে বাইত ও তাঁরা ভিন্ন অন্যান্য মুমিনদেরকেও এর থেকে পবিত্র করে রেখেছেন। কারণ আহলে বাইত বা নবী পরিবারের সদস্যগণ ছিলেন সত্যবাদিতা ও ঈমানের বাস্তবতায় শ্রেষ্ঠ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত, আর তাঁদের দীন ছিল ‘তাকওয়া’ (আল্লাহ ভীতি), ‘তাকিয়্যা’ (মিথ্যা বলা) নয়। [ পৃ. ৪২, ২য় খণ্ড ]।
১৪. উত্তর: যাদের মধ্যে অধিকাংশ রাফেযীদেরকে পাওয়া যাবে: তারা হয়ত নাস্তিক, মুনাফিক ও ধর্মত্যাগী; অথবা তাদেরকে পাওয়া যাবে জাহিল তথা মূর্খদের মাঝে, যাদের কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা ভিত্তিক ও যুক্তি-বুদ্ধি ভিত্তিক কোনো জ্ঞান নেই। [ পৃ. ৮১, ২য় খণ্ড ]।
১৫. উত্তর: দুনিয়ার প্রতি তাদের ভালবাসা এবং তার প্রতি তাদের লোভ-লালসার বিষয়টি সুস্পষ্ট; আর এই জন্য তারা হোসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে চিঠি লিখেছিল; অতঃপর তিনি যখন তাদের নিকট তাঁর চাচতো ভাইকে পাঠালেন, তারপর তিনি যখন স্বশরীরে আগমন করলেন, তখন তারা তাঁর সাথে প্রতারণা করেছে এবং দুনিয়ার বিনিময়ে আখেরাতকে বিক্রয় করে দিয়েছে; তারা তাঁকে তাঁর শত্রুর কাছে সমর্পণ করেছে এবং তারা তাঁর শত্রুর সাথে যোগ দিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে; সুতরাং ঐসব লোকদের নিকট কোন্ দ্বীনদারী থাকতে পারে? আর তাদের নিকট কোন্ জিহাদই বা আছে? আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তাদের নিকট থেকে এমন বহু তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানেন না, এমনকি তিনি তাদের বিরুদ্ধে বদদো‘আও করেছেন। তিনি বলেছেন: “হে আল্লাহ আমি তাদের উপর বিরক্ত, আর তারাও আমার উপর বিরক্ত। সুতরাং আপনি আমার জন্য তাদের জায়গায় তাদের চেয়ে ভালো লোকের ব্যবস্থা করে দিন। আর তাদের জন্যও আমার জায়গায় আমার চেয়ে খারাপ লোকের ব্যবস্থা করে দিন।” [ পৃ. ৯০ - ৯১, ২য় খণ্ড ]।
১৯. উত্তর: আল্লাহর দীনের মধ্যে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এমন মিথ্যার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে, যে ধরনের মিথ্যারোপ তারা ভিন্ন অন্য কেউ করেনি; আর তারা এমনভাবে সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে, যেমনিভাবে তারা ভিন্ন অন্য কেউ তা প্রত্যাখ্যান করেনি; আর তারা আল-কুরআনকে এমনভাবে বিকৃত করেছে, যে ধরনের বিকৃতি তারা ভিন্ন অন্য কেউ করেনি। [ পৃ. ৪০৪, ৩য় খণ্ড ]।
২৩
২০. প্রশ্ন: বিভিন্ন বিষয়ে আহলে বাইতের ইজমার বিরোধিতার কারণে রাফেযীদের দ্বারা আহলে বাইতের অনুসরণ করার দাবির বিষয়টির বিশুদ্ধতা কতটুকু?২০. উত্তর: কোনো সন্দেহ নেই যে, তারা সাহাবীগণের ইজমার বিরুদ্ধাচরণের সাথে সাথে আহলে বাইত তথা নবী পরিবারের ইজমারও বিরোধিতা করেছে; কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এবং আবূ বকর, ওমর, ওসমান ও আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের যুগে নবী পরিবার- বনু হাশিমের মধ্যে এমন কোনো ব্যক্তি ছিলেন না যিনি দ্বাদশ ইমামের কথা বলতেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে কাউকে মাসুম বা নিষ্পাপ বলতেন এবং তিন খলিফা (আবূ বকর, ওমর ও ওসমান) কে কাফির বলতেন (নাউযুবিল্লাহ); এমনকি (তাঁদের মধ্যে) এমন কেউ ছিলেন না যিনি তাঁদের (আবু বকর, উমর ও উসমানের) নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেন, (আল্লাহর) গুণাবলী অস্বীকার করতেন এবং তাকদীরকে অস্বীকার করতেন। [ পৃ. ৪০৬ - ৪০৭, ৩য় খণ্ড ]। (অর্থাৎ একাজগুলোই রাফেযীরা করে থাকে, ফলে তারা আহলে বাইতের ইজমা তথা ঐকমত্যেরও বিরোধিতা করেছে।)
২৪
২১. প্রশ্ন: রাফেযীদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষ কিছু খারাপ গুণ উল্লেখ করবেন বলে কি আমরা আশা করতে পারি ?২১. উত্তর: যে মিথ্যা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়, সত্যকে অস্বীকার করা, অধিক মূর্খতা, অসম্ভবের প্রতি বিশ্বাস, বিবেক-বুদ্ধির কমতি, প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে চরম বাড়াবাড়ি এবং অস্পষ্ট বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা, অনুরূপ বৈশিষ্ট্য অপর কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে পাওয়া যায় না। [ পৃ. ৪৩৫, ৩য় খণ্ড]।
২৪. উত্তর: তারা তাদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করতে এবং ‘গাইরুল্লাহ’ তথা আল্লাহ ভিন্ন অন্যের পূজা করতে নির্দেশ প্রদান করে; আর তাদেরকে আল্লাহর পথে চলতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; ফলে তারা ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’ –এই সাক্ষ্য দানের বাস্তবতা থেকে বের হয়ে যায়; কারণ, তাওহীদের হাকীকত তথা বাস্তবতা হল, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা; তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা, তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে ভয় না করা, তাঁকে ছাড়া অন্য কারোর উপর ভরসা না করা এবং দীনকে শুধু তাঁর জন্য নির্দিষ্ট করা, অন্য কোনো সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট না করা; আর ফিরিশ্তা ও নবীদেরকে রব বা প্রভু বলে গ্রহণ না করা। সুতরাং ইমাম, শাইখ, আলেম ও রাজা প্রমুখের সাথে বিশ্বাস ও ইবাদতের সম্পর্ক হবে কিভাবে ! [ পৃ. ৪৯০, ৩য় খণ্ড]।
২৫. উত্তর: রাফেযীরা ... যদি সাক্ষ্য দেয়, তাহলে তারা এমন বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়, যার সম্পর্কে তারা জানে না, অথবা তারা জেনে-বুঝে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়; সুতরাং তাদের অবস্থান হল এমন, যেমনটি ইমাম শাফে‘য়ী র. বলেছেন: “আমি রাফেযী সম্প্রদায়ের চেয়ে বেশি মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী অপর কোনো একটি সম্প্রদায়কেও দেখিনি। [ পৃ. ৫০২, ৩য় খণ্ড]।
২৭. উত্তর: জা‘ফর সাদিকের পূর্ববর্তীদের উপর মিথ্যা আরোপের চেয়ে তার উপর মিথ্যা আরোপের বিষয়টি অনেক বেশি; মিথ্যাবাদীদের পক্ষ থেকে তার উপর মিথ্যার বিপদটি খুব বেশিই আপতিত হয়েছে। তিনি কখনও এসব মিথ্যার সাথে জড়িত নন। আর এই জন্যই দেখা যায় যে, মিথ্যাবাদিরা তার প্রতি বিভিন্ন প্রকারের মিথ্যা সম্পর্কযুক্ত করেছে। (তাঁর নামে মিথ্যা গ্রন্থ রচনা করেছে) [ পৃ. ৫৪, ৪র্থ খণ্ড ]।
২৮. উত্তর: হুসাইন রা. এর বংশধরগণ যেসব বিপদের সম্মুখীন হয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম একটি বড় বিপদ হল রাফেযীদের দ্বারা হুসাইন রা. এর বংশধরদের সাথে বংশ-সম্পর্ক দাবি করা। (অর্থাৎ তাদের এ দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা) [ পৃ. ৬০, ৪র্থ খণ্ড ]।
২৯. উত্তর: রাফেযীদের অধিকাংশ দলীল হল কবিতাসমষ্টি, যা তাদের মূর্খতা ও যুলুমের সাথে মানানসই; আর মিথ্যা গল্প-কাহিনী, যা তাদের মূর্খতা ও মিথ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দ্বীনের মূলনীতি কখনো এ ধরনের কবিতাসমষ্টি দ্বারা সাব্যস্ত করা যায় না। তবে তারা তা করতে পারে যারা বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। [ পৃ. ৬৬, ৪র্থ খণ্ড ]।
৩০. উত্তর: [মূল কবিতার উল্লেখসহ বংলা অনুবাদ ]:
إذا شئت أن ترضى لنفسك مذهبا
تنال به الزلفى وتنجو من النـــار
[যখন তুমি তোমার নিজের জন্য কোনো মাযহাবকে পছন্দ করবে,
যার দ্বারা নৈকট্য লাভ করবে এবং মুক্তি পাবে জাহান্নাম থেকে]
فدن بكتاب الله والسنــــة التي
أتت عن رسول الله من نقل أخيار
[তাহলে তুমি আল্লাহর কিতাব ও এমন সুন্নাহর নিকটবর্তী হও, যা
রাসূলুল্লাহর নিকট থেকে এসেছে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের বর্ণনার দ্বারা ]
ودع عنك دين الرفض والبــدع التي
يقودك داعيها إلى النار والعــــــار
[আর তোমার থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও রাফেযী ও বিদ‘আতের ধর্ম, যার
আহ্বায়ক তোমাকে পরিচালিত করবে জাহান্নাম ও অপমানের দিকে ]
وسر خلف أصحاب الرسول فإنهم
نجوم هدى في ضوئها يهتدي الساري
[আর পথ চল রাসূলের সাহাবীদের পিছনে; কারণ, তাঁরা নিশ্চয়
ধ্রুবতারা, যার আলোতে পথের দিশা পাবে ভ্রমণকারী পথিক ]
وعج عن طريق الرفض فهو مؤسس
على الكفر تأسيسا على جرف هار
[আর বিরত থাক রাফেযীদের পথ থেকে; কারণ, তা হয়েছে প্রতিষ্ঠিত
মজবুতভাবে কুফরীর ভীতের উপর, আর এক গর্তের ধ্বংসোন্মুখ কিনারায় ]
هما خطتا : إما هدى وسعادة
وإما شقاء مع ضلالة كفار
[ রাস্তা তো দু’টি: হয় হিদায়াত ও সৌভাগ্যের পথ,
আর না হয় কাফিরদের পথ ভ্রষ্টতার সাথে দুর্ভাগ্যের পথ ]
فأي فريقينا أحـــــــــــــق بأمنه
وأهدى سبيلا عند ما يحكم الباري
[ সুতরাং আমাদের কোন দলটি তাঁর নিরাপত্তার বেশি হকদার
এবং সুপথ প্রাপ্ত, যখন বারী তা‘আলা বিচার-ফায়সালা করবেন ]
أمن سب اصحاب الرسول وخــالف ال
كتاب ولم يعبأ بثابت أخبــــــــــار
[ সেই ব্যক্তি, যে রাসূলের সাহাবীদেরকে গালি দিয়েছে এবং বিরোধিতা করেছে
কিতাবের, আর মনোযোগ দেয়নি হাদিসগুলো প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে? ]
أم المقتدى بالوحي يسلك منهج ال
صحابة مع حب القرابة الاطهار .
[ নাকি যে ব্যক্তি ওহীর অনুসরণকারী, পথ চলে পদ্ধতির অনুসরণে
সাহাবীগণের, সাথে রয়েছে রাসূলের নিকটতম পবিত্র লোকদের প্রতি ভালবাসা ।
- [ পৃ. ১২৮, ৪র্থ খণ্ড ]।
إذا شئت أن ترضى لنفسك مذهبا
تنال به الزلفى وتنجو من النـــار
[যখন তুমি তোমার নিজের জন্য কোনো মাযহাবকে পছন্দ করবে,
যার দ্বারা নৈকট্য লাভ করবে এবং মুক্তি পাবে জাহান্নাম থেকে]
فدن بكتاب الله والسنــــة التي
أتت عن رسول الله من نقل أخيار
[তাহলে তুমি আল্লাহর কিতাব ও এমন সুন্নাহর নিকটবর্তী হও, যা
রাসূলুল্লাহর নিকট থেকে এসেছে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের বর্ণনার দ্বারা ]
ودع عنك دين الرفض والبــدع التي
يقودك داعيها إلى النار والعــــــار
[আর তোমার থেকে ঝেড়ে ফেলে দাও রাফেযী ও বিদ‘আতের ধর্ম, যার
আহ্বায়ক তোমাকে পরিচালিত করবে জাহান্নাম ও অপমানের দিকে ]
وسر خلف أصحاب الرسول فإنهم
نجوم هدى في ضوئها يهتدي الساري
[আর পথ চল রাসূলের সাহাবীদের পিছনে; কারণ, তাঁরা নিশ্চয়
ধ্রুবতারা, যার আলোতে পথের দিশা পাবে ভ্রমণকারী পথিক ]
وعج عن طريق الرفض فهو مؤسس
على الكفر تأسيسا على جرف هار
[আর বিরত থাক রাফেযীদের পথ থেকে; কারণ, তা হয়েছে প্রতিষ্ঠিত
মজবুতভাবে কুফরীর ভীতের উপর, আর এক গর্তের ধ্বংসোন্মুখ কিনারায় ]
هما خطتا : إما هدى وسعادة
وإما شقاء مع ضلالة كفار
[ রাস্তা তো দু’টি: হয় হিদায়াত ও সৌভাগ্যের পথ,
আর না হয় কাফিরদের পথ ভ্রষ্টতার সাথে দুর্ভাগ্যের পথ ]
فأي فريقينا أحـــــــــــــق بأمنه
وأهدى سبيلا عند ما يحكم الباري
[ সুতরাং আমাদের কোন দলটি তাঁর নিরাপত্তার বেশি হকদার
এবং সুপথ প্রাপ্ত, যখন বারী তা‘আলা বিচার-ফায়সালা করবেন ]
أمن سب اصحاب الرسول وخــالف ال
كتاب ولم يعبأ بثابت أخبــــــــــار
[ সেই ব্যক্তি, যে রাসূলের সাহাবীদেরকে গালি দিয়েছে এবং বিরোধিতা করেছে
কিতাবের, আর মনোযোগ দেয়নি হাদিসগুলো প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে? ]
أم المقتدى بالوحي يسلك منهج ال
صحابة مع حب القرابة الاطهار .
[ নাকি যে ব্যক্তি ওহীর অনুসরণকারী, পথ চলে পদ্ধতির অনুসরণে
সাহাবীগণের, সাথে রয়েছে রাসূলের নিকটতম পবিত্র লোকদের প্রতি ভালবাসা ।
- [ পৃ. ১২৮, ৪র্থ খণ্ড ]।
৩৪. উত্তর: তারা ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’র প্রতি জঘন্যতম অপবাদ দেয়। আবার তাদের মধ্যকার কেউ কেউ তাঁর প্রতি এমন অশ্লীলতার অপবাদ দেয় যা থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছেন এবং এই ব্যাপারে আল-কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। [পৃ. ৩৪৪, ৪র্থ খণ্ড]।
৩৮
৩৫. প্রশ্ন: তাদের এই কর্মকাণ্ডকে (‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’র প্রতি অপবাদ প্রদানকে) কি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কষ্ট দেওয়া বলে বিবেচনা করা হবে ?৩৫. উত্তর: এটা সর্বজন বিদিত যে, একজন মানুষের জন্য মারাত্মক কষ্টকর ব্যাপার হলো তার স্ত্রীর উপর অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মিথ্যারোপ করা এবং বলা যে সে ব্যভিচারিনী। [পৃ. ৩৪৫ - ৩৪৬, ৪র্থ খণ্ড]।
৩৭. উত্তর: রাফেযীরা পরস্পর বিরোধী কথাবার্তা বলে থাকে; কারণ, তারা আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বিশেষায়িত করে এইভাবে যে, তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহায্যকারী, যিনি না হলে তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের) দীন প্রতিষ্ঠিত হত না। আবার তারাই আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে উপরোক্ত গুণাগুণের পরিপন্থী অক্ষম, অসহায় অপমানজনক বিশেষণে বিশেষায়িত করে। [ পৃ. ৪৮৫, ৪র্থ খণ্ড ]।
৩৮. উত্তর: যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণকে ইবলিসের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে করে, সে ব্যক্তির মত আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণের উপর এত বড় জঘন্য মিথ্যারোপকারী ব্যক্তি এবং শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের প্রতি এমন পর্যায়ের শত্রুতা পোষণকারী ব্যক্তি আর একটিও অবশিষ্ট নেই। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ঈমানদারদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালে সাহায্য করবেন। [ পৃ. ৫১৬, ৪র্থ খণ্ড ]।
৩৯. উত্তর: যদি তাদের কেউ জানে যে, সে যা বলছে তা বাতিল, তারপরও সে তা প্রকাশ করে এবং বলে যে তা আল্লাহর নিকট থেকে সত্য, তাহলে সে হবে ঐসব ইয়াহূদী আলেমদের শ্রেণীভুক্ত, যারা অল্প মূল্যে বিক্রয় করার জন্য তাদের নিজ হাতে কিতাব লেখে, তারপর বলে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে, তার কারণে তাদের জন্য ধ্বংস এবং তারা যা অর্জন করেছে, তার কারণে তাদের জন্য ধ্বংস। আর যদি তাদের কেউ সেটাকে সত্য বিশ্বাস করে, তাহলে এটা তার চূড়ান্ত অজ্ঞতা ও ভ্রষ্টতার প্রতিই ইঙ্গিত করে। [ পৃ. ১৬২, ৫ম খণ্ড ]।
৪০. উত্তর: কোন সন্দেহ নেই যে, তাঁরা হলেন মুসলিমগণের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত এবং দীন ইসলামের অন্যতম ইমাম; আর তাঁদের বক্তব্য ও মতামতগুলো তাঁদের মত করে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান পাওয়ার উপযুক্ত; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তাঁদের থেকে যা বর্ণনা করা হয়, তার অধিকাংশই মিথ্যা ও বানোয়াট। [পৃ. ১৬৩, ৫ম খণ্ড ]।
৪১. উত্তর: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত তাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেন এবং সাক্ষ্য প্রদান করেন যে, তিনি খোলাফায়ে রাশেদীনের অন্যতম মহান খলিফা এবং সুপথপ্রাপ্ত ইমামগণের অন্তর্ভুক্ত অন্যতম ইমাম। [ পৃ. ১৮, ৬ষ্ঠ খণ্ড]।
৪৩. উত্তর: এই ব্যাপারে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় তা হচ্ছে, সকল উম্মতের উপর তাঁদেরকে ভালবাসা, বন্ধুরূপে গ্রহণ করা, সম্মান করা এবং তাঁদেরকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়টি আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বহু সনদে বর্ণিত হয়েছে। তাঁর পক্ষ থেকে তাঁদের ব্যাপারে কখনো একটি কটুক্তির প্রকাশ ঘটেছে বলে জানা যায়নি এবং এটাও জানা যায়নি যে, তিনি তাঁদের চেয়ে খিলাফতের অধিক হকদার ছিলেন বলে দাবী করেছেন। যারা মুতাওয়াতির তথা বহু সনদে বর্ণিত হাদিসগুলোর ব্যাপারে জ্ঞান রাখেন, যেগুলো বর্ণিত হয়েছে বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীগণের মাধ্যমে তাদের কাছে এটা অত্যন্ত বিখ্যাত বিষয়। [পৃ. ১৬৪, ৬ষ্ঠ খণ্ড]।
৪৮. উত্তর: পূর্ব থেকে যা শুনেছে এবং যা বর্ণিত হয়ে তার কাছে এসেছে সেগুলোকে পরিত্যাগ করবে, তারপর প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তি যেন ইসলামের মধ্যে সংঘটিত ঐসব ফিতনা, অন্যায় ও ফ্যাসাদসমূহের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করে, যা তার সময়ে এবং তার কাছাকাছি সময়ে সংঘটিত হয়; তাহলে সে দেখতে পাবে এর অধিকাংশ ঘটনাই রাফেযীদের পক্ষ থেকে সংঘটিত হয়েছে। আর আপনি তাদেরকে মানুষের মাঝে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফিতনাবাজ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারীরূপে পাবেন। তারা উম্মতের মধ্যে সম্ভাব্য ফিতনা, অন্যায় ও ফ্যাসাদ সংঘটিত করার ব্যাপারে কোনো প্রকার পিছপা হয় না। [ পৃ. ৩৭২, ৬ষ্ঠ খণ্ড ]।
৫০. উত্তর: রাফেযীরা আহলে সুন্নাতের সাথে তাদের ভালবাসার কথা প্রকাশ করার ব্যাপারে অত্যন্ত চালাকী করে; তাদের কেউই তার দীন আহলে সুন্নাতের লোকদের কাছে প্রকাশ করে না; এমনকি তারা সাহাবীদের ফযীলতের বিষয়গুলো মুখস্থ করে এবং আরো মুখস্থ করে এমন সব কাব্য, যেগুলো রচিত হয়েছে তাঁদের প্রশংসা ও রাফেযীদের নিন্দা করা প্রসঙ্গে, যার মাধ্যমে তারা আহলে সুন্নাতের সাথে তাদের ভালবাসা ও হৃদ্যতার অভিনয় করে। [ পৃ. ৪২৫, ৬ষ্ঠ খণ্ড ]।
৫১. উত্তর: রাফেযী সম্প্রদায়ের অনুসারী ব্যক্তি নিফাকের পথ অবলম্বন করেই (আহলে সুন্নাতের) যে কারোর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে মেলামেশা করে; কারণ, তার অন্তরের মধ্যে যে ধর্মের লালন করা হয়, তা নষ্ট ধর্ম; সে তা লালন করে মিথ্যা, বিশ্বাসঘাতকতা, জনগণকে প্রতারিত করা এবং তাদের সাথে অসৎ উদ্দেশ্যর আশ্রয় নিয়ে। সুতরাং তার শক্তি থাকতে সে তাদের সাথে প্রতারণা ও ক্ষতিকর আচরণ করতে ভুল করে না। [ পৃ. ৪২৫, ৬ষ্ঠ খণ্ড ]।
৫২. উত্তর: আল্লাহ তা‘আলা একাধিক জায়গায় মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন মিথ্যা, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার শব্দ ব্যবহার করার দ্বারা; আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো রাফেযী সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। [ পৃ. ৪২৭, ৬ষ্ঠ খণ্ড ]।
৫৬. উত্তর: যে ব্যক্তি রাফেযী মতবাদ আবিষ্কার করেছে, তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ছিল দীন ইসলামের মধ্যে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা, তার পবিত্রতা নষ্ট করা এবং তাকে তার অবকাঠামোসহ নির্মূল বা ধ্বংস করা ... আর এটা ইবনু সাবা ও তার অনুসারীদের থেকে পরিচিত। সেই তো এমন ব্যক্তি, যে (রাসূলের পরে) আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ব্যাপারে খিলাফতের নস তথা ভাষ্য রয়েছে বলে বানোয়াট বক্তব্য তৈরি করেছে, (বস্তুত এটা মিথ্যাচার; কারণ আলী রা. এর খিলাফতের ব্যাপারে এ ধরনের কোনো বক্তব্য আল্লাহ বা তাঁর রাসূল প্রদান করেন নি) আর সেই তো প্রচলন করেছে যে, আলী রা. মা‘সুম (বে-গুনাহ বা পাপমুক্ত)। (এটা তারই তৈরী, ইসলামে কেউই এ ধরণের বিশ্বাস নবী-রাসূল ছাড়া অন্য কারও জন্য করে না) [ পৃ. ২১৯ - ২২০, ৭ম খণ্ড ]।
৫৮. উত্তর: আহলে বাইতের সকল আলেম, অর্থাৎ বনু হাশিমের তাবেয়ীগণ এবং তাঁদের অনুসারী হোসাইন ইবন আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার বংশধর ও হাসান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বংশধর প্রমুখের নিকট থেকে সঠিকভাবে প্রমাণিত বর্ণনা রয়েছে যে, তাঁরা আবূ বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে অভিভাবক ও বন্ধুরূপে গ্রহণ করতেন এবং তাঁরা তাঁদেরকে আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর উপরে মর্যাদা দিতেন; আর এই প্রসঙ্গে তাঁদের নিকট থেকে মুতাওয়াতির সনদে অনেক বর্ণনা সাব্যস্ত বা প্রমাণিত আছে। [ পৃ. ৩৯৬, ৭ম খণ্ড ]।
মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ ( منهاج السنة النبوية ), আবূ আব্বাস শাইখুল ইসলাম তকী উদ্দীন আহমদ ইবন তাইমিয়্যা র.।
তার মুদ্রণ ও প্রকাশনার ব্যাপারে তত্ত্ববধান করেছে ইদারাতুস সাকাফা ওয়ান নাশরি ( إدارة الثقافة والنشر ), ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; প্রথম মুদ্রণ: ১৪০৬ হি.
গ্রন্থটি তৈরী করেছেন
শরীফ ইবন আলী আর-রাজেহী
রিয়াদ: পোস্ট বক্স নং (১৫৩২), পোস্ট কোড নং (১১৩৪২)
ই-মেইল: sarajhi@yahoo.com
তার মুদ্রণ ও প্রকাশনার ব্যাপারে তত্ত্ববধান করেছে ইদারাতুস সাকাফা ওয়ান নাশরি ( إدارة الثقافة والنشر ), ইমাম মুহাম্মদ ইবন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; প্রথম মুদ্রণ: ১৪০৬ হি.
গ্রন্থটি তৈরী করেছেন
শরীফ ইবন আলী আর-রাজেহী
রিয়াদ: পোস্ট বক্স নং (১৫৩২), পোস্ট কোড নং (১১৩৪২)
ই-মেইল: sarajhi@yahoo.com
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন