HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

একজন ইমামের দায়-দায়িত্ব

লেখকঃ মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক

ইমাম ও সামাজিক দায়-দায়িত্ব
ব্যক্তিগত ও মসজিদ কেন্দ্রিক দায়-দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে একজন ইমামকে অন্যান্য সামাজিক দায়-দায়িত্বও যথার্থরূপে পালন করে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপগুলো খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হতে পারে।

কল্যাণ কমিটি গঠন: প্রতিটি মসজিদে, নিষ্ঠাবান ও উৎসাহী মুসল্লীদের সমন্বয়ে একটি কল্যাণ কমিটি গঠন করা আবশ্যক। ইমামের নেতৃত্বে এ কমিটির কাজ হবে, এলাকায় বসবাসরত দুঃস্থ, অভাবগ্রস্ত, অসুস্থ ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেয়া এবং তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মসজিদের তহবিলে জমা-হওয়া অর্থ শুধুই ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের বেতন এবং মসজিদের উন্নয়ন কর্মে ব্যয় হতে হবে তেমন কোনো কথা নেই। বরং মসজিদে অর্থদানকারীদের যদি জানা থাকে যে তাদের দানকৃত টাকা মসজিদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যান্য কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়, তাহলে যে কোনো কল্যাণমূলক কাজে এ অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে।

কল্যাণ কমিটির কাজ হবে নিম্নরূপ :

(১) এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করে যাওয়া, যেমনঃ রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ করা, বেকার যুবকদেরকে মসজিদের পক্ষ থেকে ব্যয়ভার বহন করে প্রশিক্ষিত করে তোলা এবং উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র তালাশ করে নেয়ার ব্যাপারে সাহায্য করা। মসজিদের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ করে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে নিতে পারলে আরো উত্তম যেখানে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

(২) স্বাস্থ্যসেবা : এলাকায় বসবাসরতদের মাঝে স্বাস্থ্য-সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা, মসজিদের এলাকায় কোনো চিকিৎসক থাকলে তাকে সপ্তাহে একদিন এলাকাবাসীর মাঝে বিনামূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান। মসজিদের এলাকার পক্ষ থেকে অন্য দরিদ্র এলাকায় চিকিৎসা শিবিরেরও ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

(৩) ইমামের নেতৃত্ব সামাজিক কল্যাণ কমিটির আরেকটি দায়িত্ব হবে এলাকায় অবস্থিত স্কুল মাদ্রাসাগুলোকে সাপোর্ট করা, এলাকার সকল শিশুদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা, স্কুলগামীদেরকে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় ইলম আহরণের উদ্দেশে মসজিদ কর্তৃক পরিচালিত দীনি তালিম প্রোগ্রামে শরীক করার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।

(৪) বয়োবৃদ্ধদের সেবা: এলাকায় বসবাসরত বয়স্কদের বিশেষভাবে যত্ন নেয়া। তাদেরকে নিয়মিত জামাআতের সাথে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে তাগিদ দেয়া এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা। মসজিদ কর্তৃক পরিচালিত নানাধর্মী দাওয়াতি ও সামাজিক কার্যক্রমের সাথে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে রাখা।

নারী উন্নয়ন: এলাকায় বসবাসরত নারীদের ধর্মীয় অজ্ঞতা দূর করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলানো। সকল নারীই যেন শরয়ি পর্দা বজায় রেখে, শরিয়তের বিধান মোতাবেক জীবনযাপনে সচেষ্ট হয়, তার জন্য মুজাহাদা করে যাওয়া। অসহায় ও দুস্থ নারীদের সেবায় এগিয়ে যাওয়া ও ঘরোয়া পরিবেশে আঞ্জাম দিতে পারে, তাদের জন্য, এমন কাজের সুযোগ করে দেওয়া। প্রয়োজনে মসজিদের পক্ষ থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

এতিম ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো: এলাকায় বসবাসরত এতিম ছেলে-মেয়েদের খোঁজ-খবর নেয়া, তাদের তালিম তরবিয়তের ব্যবস্থা করা, একজন মুমিন ও সুনাগরিক হিসেবে যাতে তারা বেড়ে উঠতে সক্ষম হয় সে ব্যাপারে যত্নবান্ হওয়া।

সমাজের গণ্যমান্য ও প্রভাবশালীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি দাওয়াতি কাজে ব্যবহার করা, মসজিদ ও মসজিদকেন্দ্রিক পরিচালিত যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথ সুগম করার প্রয়োজনে এ বিষয়টি খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সালাম ও কুশল বিনিময়, তাদেরকে হাদিয়া তোহফা দেওয়া, যেমনঃ আতর, টুপি, জায়নামাজ ইত্যাদি প্রদান একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।

এলাকায় বসবাসকারী ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আলাদা লিস্ট বানানো এবং তাদের সাথে মসজিদ, দাওয়া ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে সময় সময় মতবিনিময় করা, ও তাদের প্রত্যেককে এসব কাজের সাথে জড়িত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

সরকারি অফিস ও অফিসারদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা: মসজিদ এলাকায় বিরাজমান সরকারি অফিস _ যদি থাকে_ ও অফিসারদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি। কেননা এর দ্বারা মসজিদ ও মসজিদের আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষের, ওই অফিসকেন্দ্রিক প্রয়োজনগুলো মেটানোর পথ অনেকটাই সুগম হতে পারে।

আঞ্চলিক ইমাম কমিটি: এলাকায় অবস্থিত সকল মসজিদের ইমামদের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক ইমাম সমিতি গঠিত হওয়া প্রয়োজন যার উদ্দেশ্য হবে ইমামদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি নজর দেওয়া, কারও প্রতি জুলুম করা হলে তা সকলে মিলে প্রতিহত করা। একজন প্রবীণ ইমামের নেতৃত্বে এ কমিটি এলাকায় সম্মিলিতভাবে দাওয়া কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাবে ।

উপসংহারে বলতে চাই, আয়েম্মায়ে কেরাম, যেহেতু এখনও সর্বজন কর্তৃক শ্রদ্ধার পাত্র, তাই ইসলামের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক যেন শিথিল না হয়ে যায় সে জন্য অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় প্রতিজন ইমামকেই কাজ করে যেতে হবে, এবং এ জন্য যেসব দায়-দায়িত্ব তাকে পালন করতে হবে সবই নিষ্ঠার সাথে যথার্থ যোগ্যতা অর্জন করে পালন করে যেতে হবে।

وصلى الله على نبينا محمد وعلى آله و صحبه أجمعين

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন