HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জুমু‘আ ফযীলত ও বিধি-বিধান

লেখকঃ শাইখ আবদুল আযীয ইবন আহমাদ আল-উমাইর

জুমু‘আর দিনের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য
বিভিন্ন সহীহ হাদীসসমূহে জুমু‘আর দিনের বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হলো:

১. জুমু‘আর দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘নিঃসন্দেহে জুমু‘আর দিন সেরা দিন ও আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর নিকট তা ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।” [সহীহ ইবন মাজাহ]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘‘যে সকল দিনে সূর্য উদিত হয়েছে তন্মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু‘আর দিন। সেই দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সেই দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং সেই দিনেই জান্নাত থেকে তাকে বের করা হয়েছে।” [সহীহ মুসলিম]

২. জুমু‘আর দিন মুসলিমদের ঈদের দিন:

যদি ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহা জুমু‘আর দিনে হয় তাহলে সেই দিনে দুই ঈদ একত্রে হবে। যে ব্যক্তি সেই দিন ঈদের সালাত আদায় করবে তার ওপর জুমু‘আর সালাত ফরয না। সে ইচ্ছা করলে জুমু‘আর সালাতে আসতেও পারে, নাও আসতে পারে (যোহর আদায় করবে)। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি যখন এ আয়াতটি তেলাওয়াত করেন:

﴿ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ﴾ [ المائ‍دة : ٣ ]

‘‘আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করলাম ও তোমাদের ওপর আমার নি‘আমতকে সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দীন হিসাবে প্রদান করে সন্তুষ্ট হলাম।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩] তখন তার নিকট একজন ইয়াহূদী ছিল। সে বলল: যদি আয়াতটি আমাদের ওপর নাযিল হত তাহলে আমরা সেই দিনটিকে ঈদের দিন বানিয়ে নিতাম। অতঃপর ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বললেন: আয়াতটি ঈদের দিনেই নাযিল হয়েছে (আর তা ছিল) জুমু‘আর দিন ও ‘আরাফার দিন।” [সহীহ তিরমিযী]

৩. জুমু‘আর দিন মন্দ কাজ দূর করা ও গুনাহ মাফের দিন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘এক জুমআ থেকে অপর জুমু‘আ এতদুভয়ের মাঝের (গুনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবীরা গুনাহের সাথে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে।” [সহীহ মুসলিম]

৪. জুমু‘আর সালাতে যাত্রাকারীর প্রত্যেক ধাপে এক বছরের সালাত ও সাওম পালনের ছওয়াব হয়:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে (খুৎবা) শ্রবণ করবে ও চুপ থাকবে তার জুমু‘আর সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের সালাত ও সাওম পালনের ছওয়াব হবে।” [সুনান তিরমিযী ও নাসাঈ]

৫. জুমু‘আর দিনে একটি সময় আছে যে সময়ে দো‘আ কবুল হয়:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় জুমু‘আর দিনে এমন একটি সময় আছে যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর নিকট কোনো ভালো জিনিসের প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি বলেন: আর তা সামান্য সময় মাত্র।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম]

অধিকাংশ আলেমের মতে, দো‘আ কবুলের সম্ভাবনার সেই সময়টি হলো আসরের সালাতের পরের সময়। দ্বিপ্রহরের পরের সময়টিতেও দো‘আ কবুলের আশা করা যেতে পারে। সুতরাং মুসলিমগণের উচিৎ এ সময়টিতে নিজের ও সকল মুসলিমদের জন্য বেশি বেশি দো‘আ করা।

৬. অন্যান্য উম্মতকে এ থেকে বিভ্রান্ত করে জুমু‘আর দিনকে আল্লাহ তা‘আলা এ উম্মতের জন্য বাছাই করে রেখেছিলেন:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘জুমু‘আ থেকে আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে বিভ্রান্ত করে রেখেছিলেন। ফলে ইয়াহূদীদের জন্য ছিল রবিবার। অতঃপর আল্লাহ আমাদেরকে নিয়ে এসেছেন এবং আমাদেরকে জুমু‘আর দিনের জন্য পথ দেখিয়েছেন অতঃপর শনি তারপর রবি। এমনিভাবে কিয়ামতের দিনও তারা আমাদের পরে হবে। দুনিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে আমরা সবার পরে এবং কিয়ামতের দিন আমাদের ফয়সালা সাবার আগে হবে।” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম]

৭. জুমু‘আর দিনেই কিয়ামত হবে:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘‘কিয়ামত জুমু‘আর দিনেই কায়েম হবে।” [সহীহ মুসলিম]

৮. জুমু‘আর দিনে মৃত্যুবরণ করা শুভ মৃত্যুর লক্ষণ:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘কোনো মুসলিম যদি জুমু‘আর দিনে অথবা জুমু‘আর রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।” [সুনান তিরমিযী]

৯. জুমু‘আর সালাত ত্যাগ করা কবীরা গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আ ত্যাগের ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘যে সকল লোক জুমু‘আ ত্যাগ করে তারা যেন অবশ্যই তা থেকে ফিরে আসে, নচেৎ আল্লাহ তা‘আলা তাদের হৃদয়ের ওপর মোহর মেরে দিবেন অতঃপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” [সহীহ মুসলিম]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমু‘আ ত্যাগ করবে আল্লাহ তার হৃদয়ের ওপর মোহর মেরে দিবেন।” [সুনান তিরমিযী ও নাসাঈ]

অপর একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার ইচ্ছা হয়, কোনো ব্যক্তিকে লোকদের ইমামতি করার আদেশ দেই, অতঃপর যে সকল লোক জুমু‘আর সালাতে আসে নি তাদের ঘর-বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়ে সেগুলোকে জ্বালিয়ে দেই।” [সহীহ মুসলিম]

উপরোক্ত হাদীসসমূহ জুমু‘আর সালাতের গুরুত্বের ওপর তাকিদ দিচ্ছে। এর অর্থ এই নয় যে, শুধুমাত্র জুমু‘আর সালাতই ফরয; বরং জুমু‘আর সালাত যেমন ফরয তেমনিভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামা‘আতে আদায় করাও ওয়াজিব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন