HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নারী ইসলামের পূর্বে ও পরে
লেখকঃ মুতয়েব উমার আল-হারেসী
৬
নারীদের প্রতি ইসলামের সুবিচার:নারীদের প্রতি ইসলামের সুবিচারের বহি:প্রকাশ হলো, ইসলাম যুদ্ধের ময়দানে বৃদ্ধা ও শিশুদের ন্যায় নারীদের হত্যা করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া তাদের ঋতুবতী ও প্রসূতি হওয়াকালীন তাদের সাথে উঠা-বসা ও মেলামেশা করা বৈধ করেছে (সহবাস ব্যতীত)। তাদের সাথে ঐ সময় কোনো প্রকার বৈষম্য করাকে ইসলাম সমর্থন করে না। যেমনটি জাহেলিয়্যাতের যুগে কতক সম্প্রদায়ের লোক, ইয়াহূদীরা ও আরও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের নারীদের সাথে বিভিন্ন ধরণের বৈষম্য করত।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন,
«كنت أشرب من الإناء وأنا حائض، ثم أناوله النبي صلى الله عليه وسلم فيضع فاه على موضع فيًّ»
“আমি ঋতুবতী অবস্থায় একটি পাত্র থেকে পানি পান করতাম। তারপর একই পাত্রটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পানি পান করতে দিলে, তিনি তা দিয়েই পানি পান করতেন এবং পাত্রের যে স্থানে আমি আমার মুখ রাখতাম তিনি ঠিক সে স্থানেই মুখ রাখতেন।
তিনি আরও বলেন,
«وكان يتكئ في حجرها وهي حائض رضي الله عنها ويقرأ القرآن» .
“ঋতুকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোলে হেলান দিয়ে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।”
৫.জিহাদ হিজরত ও ইজারার ক্ষেত্রে ইসলাম নারীদের অধিকার সমুন্নত রেখেছেন।
ইসলামে যেভাবে পুরুষরা হিজরত করেছে অনুরূপভাবে নারীরাও হিজরত করার সুযোগ পেয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا جَآءَكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ مُهَٰجِرَٰتٖ فَٱمۡتَحِنُوهُنَّۖ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِيمَٰنِهِنَّۖ فَإِنۡ عَلِمۡتُمُوهُنَّ مُؤۡمِنَٰتٖ فَلَا تَرۡجِعُوهُنَّ إِلَى ٱلۡكُفَّارِۖ لَا هُنَّ حِلّٞ لَّهُمۡ وَلَا هُمۡ يَحِلُّونَ لَهُنَّۖ وَءَاتُوهُم مَّآ أَنفَقُواْۚ .....﴾ [ الممتحنة : ١٠ ]
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কাছে মুমিন মহিলারা হিজরত করে আসলে তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখ। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে অধিক অবগত। অতঃপর যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন মহিলা, তাহলে তাদেরকে আর কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠিও না। তারা কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিররাও তাদের জন্য হালাল নয়। তারা যা ব্যয় করেছে, তা তাদেরকে ফিরিয়ে দাও। তোমরা তাদেরকে বিয়ে করলে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না, যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মোহর প্রদান কর। আর তোমরা কাফির নারীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রেখ না, তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা তোমরা ফেরত চাও, আর তারা যা ব্যয় করেছে, তা যেন তারা চেয়ে নেয়। এটা আল্লাহর বিধান। তিনি তোমাদের মাঝে ফয়সালা করেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [সূরা আল-মুমতাহিনাহ, আয়াত: ১০]
যুদ্ধের ময়দানে মহিলাদের এমন কিছু ভূমিকা রয়েছে, যা একজন পুরুষ লোকের দ্বারা সমাধান করা সম্ভব নয়। ফলে পুরুষের সাথে নারীরাও যুদ্ধ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যেমন, বর্ণিত আছে উম্মে আতীইয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাতটি যুদ্ধ করেছেন, তিনি তাদের ছওয়ারীর পিছনে ছিলেন, তাদের জন্য খাওয়ার তৈরি করতেন এবং তাদের কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন ও তাদের পট্টি লাগাতেন।
«وكذا أم سليم بنت ملحان كانت حاملاً يوم حنين ومعها خنجر بيدها فيقول لها النبي صلى الله عليه وسلم :" أم سليم ؟ " وتجيب : بنعم بأبي أنت وأمي يا رسول الله اقتل الذين ينهزمون عنك !! فإنهم لذلك أهل ! ويسألها زوجها أبو طلحة عن الخنجر الذي معها فتقول : اتخذته إن دنا مني أحد من المشركين بقرت بطنه» .
“অনুরূপভাবে উম্মে সুলাইম বিনতে মালহান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হুনাইনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি তখন গর্ভবতী ছিলেন। তার হাতে একটি বর্ম ছিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উম্মে সুলাইম বলে ডাক দিলে তিনি উত্তরে বলেন হাঁ হে রাসূল! আপনার উপর আমার মাতা পিতা কুরবান হোক। আমি যারা আপনার থেকে পলায়ন করে আসে তাদের হত্যা করব। কারণ, তারা এরই উপযুক্ত।
তার স্বামী আবু তালহা তাকে তার বর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, আমার নিকট দিয়ে যদি কোনো কাফের অতিক্রম করে, তখন তার পেটে আঘাত করার জন্য আমি এ লাঠি নিয়ে এসেছি।
«وقل مثل ذلك في حق صفية بنت عبد المطلب يوم الأحزاب وأم عمارة وكعيبة الأسلمية وخولة بنت الأزور !!»
“অনুরূপভাবে সুফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব আহযাবের যুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। উম্মে আম্মারা কুয়াইবাতুল আসলামিয়্যা ও খাওলা বিনতে আযওয়ার প্রমুখ নারী সাহাবীগণ বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে অনেক নারীদের দেখা গেছে তারা আমানত গ্রহণ করতেন এবং বন্ধক রাখতেন। তাদের আমানত ও বন্ধক রাখাতে কোনো বাধা ছিল না, বরং তাদের আমানত রাখা ও বন্ধক রাখাও গ্রহণ যোগ্যই ছিল।
ইসলাম নারীদের শুধু পুরুষের মতই সমান মর্যাদা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং ইসলাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের পুরুষের চেয়েও অধিক মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে করীমে নারীদের নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। নারী যখন মা হয় তখন সন্তানের জন্য জান্নাতকে তাদের দু পায়ের তলে রেখেছেন। আর ইসলাম নারীদের সাথে সদাচরণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছে তিন বার আর পুরুষদের প্রতি দিয়েছে একবার। কোনো মহিলা সন্তান প্রসবের সময় মারা গেলে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।
৬. আর পুরুষের মতো নারীদেরও মতামত দেওয়া ও পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যখন তারা কোনো গ্রহণ যোগ্য মতামত দেবে তখন তা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বিভিন্ন সময় পরামর্শ চাইলে তিনি তাকে বলেছিলেন:
«والله لا يخزيك الله أبدا إنك لتصل الرحم وتصدق الحديث وتحمل الكل وتقري الضيف وتعين على نوائب الحق»
“আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আল্লাহ আপনাকে কখনো অপমানিত করবে না। কারণ, আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক সমুন্নত রাখেন। সত্য কথা বলেন, অসহায় মানুষের সহায়তা করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সাহায্য করেন।”
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার পরামর্শ গ্রহণ করে আমল করতে আরম্ভ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার পরামর্শের মধ্যে বরকত ও কল্যাণ দান করেন।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন,
«كنت أشرب من الإناء وأنا حائض، ثم أناوله النبي صلى الله عليه وسلم فيضع فاه على موضع فيًّ»
“আমি ঋতুবতী অবস্থায় একটি পাত্র থেকে পানি পান করতাম। তারপর একই পাত্রটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পানি পান করতে দিলে, তিনি তা দিয়েই পানি পান করতেন এবং পাত্রের যে স্থানে আমি আমার মুখ রাখতাম তিনি ঠিক সে স্থানেই মুখ রাখতেন।
তিনি আরও বলেন,
«وكان يتكئ في حجرها وهي حائض رضي الله عنها ويقرأ القرآن» .
“ঋতুকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোলে হেলান দিয়ে বসে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।”
৫.জিহাদ হিজরত ও ইজারার ক্ষেত্রে ইসলাম নারীদের অধিকার সমুন্নত রেখেছেন।
ইসলামে যেভাবে পুরুষরা হিজরত করেছে অনুরূপভাবে নারীরাও হিজরত করার সুযোগ পেয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا جَآءَكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ مُهَٰجِرَٰتٖ فَٱمۡتَحِنُوهُنَّۖ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِيمَٰنِهِنَّۖ فَإِنۡ عَلِمۡتُمُوهُنَّ مُؤۡمِنَٰتٖ فَلَا تَرۡجِعُوهُنَّ إِلَى ٱلۡكُفَّارِۖ لَا هُنَّ حِلّٞ لَّهُمۡ وَلَا هُمۡ يَحِلُّونَ لَهُنَّۖ وَءَاتُوهُم مَّآ أَنفَقُواْۚ .....﴾ [ الممتحنة : ١٠ ]
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কাছে মুমিন মহিলারা হিজরত করে আসলে তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখ। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে অধিক অবগত। অতঃপর যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন মহিলা, তাহলে তাদেরকে আর কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠিও না। তারা কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিররাও তাদের জন্য হালাল নয়। তারা যা ব্যয় করেছে, তা তাদেরকে ফিরিয়ে দাও। তোমরা তাদেরকে বিয়ে করলে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না, যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মোহর প্রদান কর। আর তোমরা কাফির নারীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রেখ না, তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা তোমরা ফেরত চাও, আর তারা যা ব্যয় করেছে, তা যেন তারা চেয়ে নেয়। এটা আল্লাহর বিধান। তিনি তোমাদের মাঝে ফয়সালা করেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [সূরা আল-মুমতাহিনাহ, আয়াত: ১০]
যুদ্ধের ময়দানে মহিলাদের এমন কিছু ভূমিকা রয়েছে, যা একজন পুরুষ লোকের দ্বারা সমাধান করা সম্ভব নয়। ফলে পুরুষের সাথে নারীরাও যুদ্ধ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যেমন, বর্ণিত আছে উম্মে আতীইয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাতটি যুদ্ধ করেছেন, তিনি তাদের ছওয়ারীর পিছনে ছিলেন, তাদের জন্য খাওয়ার তৈরি করতেন এবং তাদের কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন ও তাদের পট্টি লাগাতেন।
«وكذا أم سليم بنت ملحان كانت حاملاً يوم حنين ومعها خنجر بيدها فيقول لها النبي صلى الله عليه وسلم :" أم سليم ؟ " وتجيب : بنعم بأبي أنت وأمي يا رسول الله اقتل الذين ينهزمون عنك !! فإنهم لذلك أهل ! ويسألها زوجها أبو طلحة عن الخنجر الذي معها فتقول : اتخذته إن دنا مني أحد من المشركين بقرت بطنه» .
“অনুরূপভাবে উম্মে সুলাইম বিনতে মালহান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হুনাইনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি তখন গর্ভবতী ছিলেন। তার হাতে একটি বর্ম ছিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উম্মে সুলাইম বলে ডাক দিলে তিনি উত্তরে বলেন হাঁ হে রাসূল! আপনার উপর আমার মাতা পিতা কুরবান হোক। আমি যারা আপনার থেকে পলায়ন করে আসে তাদের হত্যা করব। কারণ, তারা এরই উপযুক্ত।
তার স্বামী আবু তালহা তাকে তার বর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, আমার নিকট দিয়ে যদি কোনো কাফের অতিক্রম করে, তখন তার পেটে আঘাত করার জন্য আমি এ লাঠি নিয়ে এসেছি।
«وقل مثل ذلك في حق صفية بنت عبد المطلب يوم الأحزاب وأم عمارة وكعيبة الأسلمية وخولة بنت الأزور !!»
“অনুরূপভাবে সুফিয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব আহযাবের যুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। উম্মে আম্মারা কুয়াইবাতুল আসলামিয়্যা ও খাওলা বিনতে আযওয়ার প্রমুখ নারী সাহাবীগণ বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে অনেক নারীদের দেখা গেছে তারা আমানত গ্রহণ করতেন এবং বন্ধক রাখতেন। তাদের আমানত ও বন্ধক রাখাতে কোনো বাধা ছিল না, বরং তাদের আমানত রাখা ও বন্ধক রাখাও গ্রহণ যোগ্যই ছিল।
ইসলাম নারীদের শুধু পুরুষের মতই সমান মর্যাদা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং ইসলাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের পুরুষের চেয়েও অধিক মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে করীমে নারীদের নামে একটি সূরা নাযিল করেছেন। নারী যখন মা হয় তখন সন্তানের জন্য জান্নাতকে তাদের দু পায়ের তলে রেখেছেন। আর ইসলাম নারীদের সাথে সদাচরণ করার জন্য উপদেশ দিয়েছে তিন বার আর পুরুষদের প্রতি দিয়েছে একবার। কোনো মহিলা সন্তান প্রসবের সময় মারা গেলে সে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবে।
৬. আর পুরুষের মতো নারীদেরও মতামত দেওয়া ও পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। যখন তারা কোনো গ্রহণ যোগ্য মতামত দেবে তখন তা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বিভিন্ন সময় পরামর্শ চাইলে তিনি তাকে বলেছিলেন:
«والله لا يخزيك الله أبدا إنك لتصل الرحم وتصدق الحديث وتحمل الكل وتقري الضيف وتعين على نوائب الحق»
“আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আল্লাহ আপনাকে কখনো অপমানিত করবে না। কারণ, আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক সমুন্নত রাখেন। সত্য কথা বলেন, অসহায় মানুষের সহায়তা করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে সাহায্য করেন।”
এছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার পরামর্শ গ্রহণ করে আমল করতে আরম্ভ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার পরামর্শের মধ্যে বরকত ও কল্যাণ দান করেন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন