HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
সন্তান প্রতিপালনে ইসলামের প্রেরণা
লেখকঃ আলী হাসান তৈয়ব
৬
সন্তানকে তাহনীক করানোনব জাতকের কানে আযান দেবার পর এবার দায়িত্ব তাকে তাহনীক করানো। অর্থাৎ সামান্য খেজুর চিবিয়ে নব জাতকের মুখে খানিকটা ঘষে দেয়া। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَهُ إِلَيَّ ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى» .
‘আমার একটি সন্তান জন্ম নিল। তাকে নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন মূসা। তারপর খেজুর দিয়ে তাকে তাহনীক করেন। তিনি তার জন্য বরকতের দু‘আ করেন এবং আমার কাছে তাকে ফিরিয়ে দেন। এটি ছিল আবূ মূসার বড় সন্তানের ঘটনা।’ [বুখারী : ৫৪৬৭; মুসলিম : ৫৭৩৯]
আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ ابْنٌ لأَبِى طَلْحَةَ يَشْتَكِى فَخَرَجَ أَبُو طَلْحَةَ فَقُبِضَ الصَّبِىُّ فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ مَا فَعَلَ ابْنِى قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ هُوَ أَسْكَنُ مِمَّا كَانَ . فَقَرَّبَتْ إِلَيْهِ الْعَشَاءَ فَتَعَشَّى ثُمَّ أَصَابَ مِنْهَا فَلَمَّا فَرَغَ قَالَتْ وَارُوا الصَّبِىَّ . فَلَمَّا أَصْبَحَ أَبُو طَلْحَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ : أَعْرَسْتُمُ اللَّيْلَةَ . قَالَ نَعَمْ قَالَ : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمَا . فَوَلَدَتْ غُلاَمًا فَقَالَ لِى أَبُو طَلْحَةَ احْمِلْهُ حَتَّى تَأْتِىَ بِهِ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم -. فَأَتَى بِهِ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- وَبَعَثَتْ مَعَهُ بِتَمَرَاتٍ فَأَخَذَهُ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ : أَمَعَهُ شَىْءٌ . قَالُوا نَعَمْ تَمَرَاتٌ . فَأَخَذَهَا النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- فَمَضَغَهَا ثُمَّ أَخَذَهَا مِنْ فِيهِ فَجَعَلَهَا فِى فِى الصَّبِىِّ ثُمَّ حَنَّكَهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ» .
‘আবূ তালহার একটি ছেলে ছিল অসুস্থ। এমতাবস্থায় আবূ তালহা সফরে গেলেন। সফর থেকে যখন ফিরলেন, জিজ্ঞেস করলেন আমার ছেলের কী অবস্থা? উম্মু সুলাইম বললেন, সে আগের চেয়ে বেশি প্রশান্তিতে আছে। উম্মু সুলাইম তারপর তার সামনে রাতের খাবার পরিবেশন করলেন। আবূ তালহা রাতের খাবার গ্রহণ করলেন। অতপর তার সঙ্গে সহবাস করলেন। এ কাজ সমাপ্ত হলে উম্মে সুলাইম বললেন, (আমাদের সন্তান মৃত্যু বরণ করেছে তাই) লোকেরা তাকে দাফন করেছে। সকাল হলে আবূ তালহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলেন। তাঁকে এ ঘটনা জানালেন। অতপর (তার স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের পারাকাষ্ঠায় মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়ে) তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ কি তোমরা সহবাস করেছো?’ বললেন, জী। তিনি দু‘আ করলেন, ‘হে আল্লাহ, এদের মধ্যে বরকত দিন’। (রাসূলুল্লাহর দু‘আর বরকতে সে রাতের মিলনে গর্ভ ধারণ হয়।) অতপর উম্মে সুলাইম একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তখন আবূ তালহা আমাকে বলেন, একে নিয়ে তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাও। শিশুটিকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে এলেন। আর উম্মে সুলাইম তার সঙ্গে কিছু খেজুরও পাঠান। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলে) তিনি তাকে গ্রহণ করেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তার সঙ্গে কি কিছু আছে?’ সাহাবীরা বললেন, হ্যা, তার সঙ্গে খেজুর আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গ্রহণ করলেন এবং তা চিবুলেন। তারপর নিজের মুখ থেকে নিয়ে তা শিশুর মুখে দেন এবং তাহনীক করেন। আর তার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ।’ [বুখারী : ৫০৪৮; মুসলিম : ৫৭৩৭]
عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ قُبَاءً فَوَلَدْتُ بِقُبَاءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُهُ فِي حَجْرِهِ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ رِيقُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَنَّكَهُ بِالتَّمْرَةِ ثُمَّ دَعَا لَهُ فَبَرَّكَ عَلَيْهِ ، وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الإِسْلاَمِ فَفَرِحُوا بِهِ فَرَحًا شَدِيدًا لأَنَّهُمْ قِيلَ لَهُمْ إِنَّ الْيَهُودَ قَدْ سَحَرَتْكُمْ فَلاَ يُولَدُ لَكُمْ
‘আসমা বিনতে আবী বকর রাদিয়াআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়েরকে গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, আমি মক্কা থেকে বের হলাম আমি প্রায় বাচ্চা প্রসবের মেয়াদ পুরো করে ফেলেছি। তারপর আমি মদীনায় পৌঁছলাম। সেখানে কুবা পল্লীতে আমি সন্তান জন্ম দিলাম। অতপর বাচ্চাটিকে নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলাম এবং তাকে তাঁর কোলে দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর চাইলেন। খেজুর চিবুলেন এবং বাচ্চাটির মুখে একটু থুথু দিয়ে দিলেন। ফলে তার পেটে প্রথম যা পড়ে তা হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থুথু। অতপর তিনি খেজুর দিয়ে তার তাহনীক করেন। অতপর তার জন্য দু‘আ করেন। বরকত কামনা করেন। আর এ-ই ছিল ইসলামে জন্মগ্রহণকারী প্রথম শিশু। এতে সবাই যার পর নাই খুশি হন। কারণ, তাদের বলা হয়েছিল ইহুদীরা তাদের যাদু করেছে। তাই তাদের কোনো সন্তান হবে না।’ [বুখারী : ৫৪৬৯; মুসলিম : ৫৭৪১]
সন্তানের তাহনীক করানো পর আসে তার আকীকার কথা। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র একটি প্রবন্ধই লিখিত হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিগণ সেখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা যারা দীনের ওপর চলতে চাই, নিজের জীবনটাকে নববী আদর্শে সুসজ্জিত করতে চাই, তারাও কিন্তু সন্তান জন্ম ও তৎপরবর্তী করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে না জানার কারণে যা করার তা করতে পারি না। উল্টো যা না করা উচিত, যা পিতার ও সন্তানের জন্য কল্যাণকর নয়, তাই করা করে থাকি। আশা করি আমাদের কুরআন-হাদীস রোমন্থিত এ নিবন্ধ আমাদের চলার পথে অমূল্য পাথেয় যোগাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তাঁর নির্বাচিত এবং তাঁর রাসূলের প্রদর্শিত পথে চলবার তাওফীক দিন। আমীন।
«وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ فَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ وَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَهُ إِلَيَّ ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى» .
‘আমার একটি সন্তান জন্ম নিল। তাকে নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন মূসা। তারপর খেজুর দিয়ে তাকে তাহনীক করেন। তিনি তার জন্য বরকতের দু‘আ করেন এবং আমার কাছে তাকে ফিরিয়ে দেন। এটি ছিল আবূ মূসার বড় সন্তানের ঘটনা।’ [বুখারী : ৫৪৬৭; মুসলিম : ৫৭৩৯]
আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ ابْنٌ لأَبِى طَلْحَةَ يَشْتَكِى فَخَرَجَ أَبُو طَلْحَةَ فَقُبِضَ الصَّبِىُّ فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ مَا فَعَلَ ابْنِى قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ هُوَ أَسْكَنُ مِمَّا كَانَ . فَقَرَّبَتْ إِلَيْهِ الْعَشَاءَ فَتَعَشَّى ثُمَّ أَصَابَ مِنْهَا فَلَمَّا فَرَغَ قَالَتْ وَارُوا الصَّبِىَّ . فَلَمَّا أَصْبَحَ أَبُو طَلْحَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ : أَعْرَسْتُمُ اللَّيْلَةَ . قَالَ نَعَمْ قَالَ : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمَا . فَوَلَدَتْ غُلاَمًا فَقَالَ لِى أَبُو طَلْحَةَ احْمِلْهُ حَتَّى تَأْتِىَ بِهِ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم -. فَأَتَى بِهِ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- وَبَعَثَتْ مَعَهُ بِتَمَرَاتٍ فَأَخَذَهُ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- فَقَالَ : أَمَعَهُ شَىْءٌ . قَالُوا نَعَمْ تَمَرَاتٌ . فَأَخَذَهَا النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- فَمَضَغَهَا ثُمَّ أَخَذَهَا مِنْ فِيهِ فَجَعَلَهَا فِى فِى الصَّبِىِّ ثُمَّ حَنَّكَهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ» .
‘আবূ তালহার একটি ছেলে ছিল অসুস্থ। এমতাবস্থায় আবূ তালহা সফরে গেলেন। সফর থেকে যখন ফিরলেন, জিজ্ঞেস করলেন আমার ছেলের কী অবস্থা? উম্মু সুলাইম বললেন, সে আগের চেয়ে বেশি প্রশান্তিতে আছে। উম্মু সুলাইম তারপর তার সামনে রাতের খাবার পরিবেশন করলেন। আবূ তালহা রাতের খাবার গ্রহণ করলেন। অতপর তার সঙ্গে সহবাস করলেন। এ কাজ সমাপ্ত হলে উম্মে সুলাইম বললেন, (আমাদের সন্তান মৃত্যু বরণ করেছে তাই) লোকেরা তাকে দাফন করেছে। সকাল হলে আবূ তালহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলেন। তাঁকে এ ঘটনা জানালেন। অতপর (তার স্ত্রীর বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের পারাকাষ্ঠায় মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়ে) তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ কি তোমরা সহবাস করেছো?’ বললেন, জী। তিনি দু‘আ করলেন, ‘হে আল্লাহ, এদের মধ্যে বরকত দিন’। (রাসূলুল্লাহর দু‘আর বরকতে সে রাতের মিলনে গর্ভ ধারণ হয়।) অতপর উম্মে সুলাইম একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তখন আবূ তালহা আমাকে বলেন, একে নিয়ে তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাও। শিশুটিকে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে এলেন। আর উম্মে সুলাইম তার সঙ্গে কিছু খেজুরও পাঠান। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলে) তিনি তাকে গ্রহণ করেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তার সঙ্গে কি কিছু আছে?’ সাহাবীরা বললেন, হ্যা, তার সঙ্গে খেজুর আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর গ্রহণ করলেন এবং তা চিবুলেন। তারপর নিজের মুখ থেকে নিয়ে তা শিশুর মুখে দেন এবং তাহনীক করেন। আর তার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ।’ [বুখারী : ৫০৪৮; মুসলিম : ৫৭৩৭]
عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ قُبَاءً فَوَلَدْتُ بِقُبَاءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُهُ فِي حَجْرِهِ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ رِيقُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَنَّكَهُ بِالتَّمْرَةِ ثُمَّ دَعَا لَهُ فَبَرَّكَ عَلَيْهِ ، وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الإِسْلاَمِ فَفَرِحُوا بِهِ فَرَحًا شَدِيدًا لأَنَّهُمْ قِيلَ لَهُمْ إِنَّ الْيَهُودَ قَدْ سَحَرَتْكُمْ فَلاَ يُولَدُ لَكُمْ
‘আসমা বিনতে আবী বকর রাদিয়াআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়েরকে গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, আমি মক্কা থেকে বের হলাম আমি প্রায় বাচ্চা প্রসবের মেয়াদ পুরো করে ফেলেছি। তারপর আমি মদীনায় পৌঁছলাম। সেখানে কুবা পল্লীতে আমি সন্তান জন্ম দিলাম। অতপর বাচ্চাটিকে নিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলাম এবং তাকে তাঁর কোলে দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর চাইলেন। খেজুর চিবুলেন এবং বাচ্চাটির মুখে একটু থুথু দিয়ে দিলেন। ফলে তার পেটে প্রথম যা পড়ে তা হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থুথু। অতপর তিনি খেজুর দিয়ে তার তাহনীক করেন। অতপর তার জন্য দু‘আ করেন। বরকত কামনা করেন। আর এ-ই ছিল ইসলামে জন্মগ্রহণকারী প্রথম শিশু। এতে সবাই যার পর নাই খুশি হন। কারণ, তাদের বলা হয়েছিল ইহুদীরা তাদের যাদু করেছে। তাই তাদের কোনো সন্তান হবে না।’ [বুখারী : ৫৪৬৯; মুসলিম : ৫৭৪১]
সন্তানের তাহনীক করানো পর আসে তার আকীকার কথা। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র একটি প্রবন্ধই লিখিত হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিগণ সেখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা যারা দীনের ওপর চলতে চাই, নিজের জীবনটাকে নববী আদর্শে সুসজ্জিত করতে চাই, তারাও কিন্তু সন্তান জন্ম ও তৎপরবর্তী করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে না জানার কারণে যা করার তা করতে পারি না। উল্টো যা না করা উচিত, যা পিতার ও সন্তানের জন্য কল্যাণকর নয়, তাই করা করে থাকি। আশা করি আমাদের কুরআন-হাদীস রোমন্থিত এ নিবন্ধ আমাদের চলার পথে অমূল্য পাথেয় যোগাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তাঁর নির্বাচিত এবং তাঁর রাসূলের প্রদর্শিত পথে চলবার তাওফীক দিন। আমীন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন