মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
শী‘আ মতবাদ প্রচার এবং তাতে তাদের সফল হওয়ার পেছনে বেশ কিছু পথ ও পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/709/3
১. রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের মিথ্যা শ্লোগান প্রদান, নিজেদের মতবাদকে তাঁর পরিবারের মতবাদের নামে নামকরণ, দা‘ওয়াতী কার্যক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে কেবলমাত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের প্রতি ভালবাসার আহ্বান, তাঁদের মর্যাদা বর্ণনা এবং তাঁদের অধিকার আদায়ের প্রতি তাকীদ প্রদান।
শী‘আরা দা‘ওয়াতী এই পদ্ধতিকে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি এবং তাঁদেরকে মাছূম জ্ঞান করার অন্যতম ওয়াসীলা হিসাবে ব্যবহার করে। আর যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি অবিচার করেছে, তাদেরকে দোষারোপ করার সেতু হিসাবে এই পদ্ধতিকে কাজে লাগায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রাফেযীদের ধারণা মতে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের প্রতি অবিচারকারী ব্যক্তিবর্গ হলেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীবর্গ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) (না‘ঊযুবিল্লাহ)। এরপর আসে ছাহাবীগণকে নিন্দা করা, কটাক্ষ করা, তাঁদেরকে খেয়ানতকারী হিসাবে অভিহিত করা, অতঃপর তাঁদেরকে লা‘নত করা এবং কাফির ফৎওয়া দেওয়ার জঘন্য পর্ব।
অতএব, বলা যায়, আলুল বায়ত বা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিবারের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের এই শ্লোগান শী‘আ মতবাদ প্রচারের এবং উহাকে মানুষের নিকট উত্তমরূপে তুলে ধরার একটি হাতিয়ার মাত্র। সেজন্য শী‘আদের দা‘ওয়াত এবং ত্রাণ বিষয়ক সংগঠনগুলি এমনকি রাজনৈতিক সংগঠনগুলিও শী‘আ মতবাদকে ভাল বলে চালিয়ে দেওয়ার এবং মানুষের কাছে উহার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির জন্যে আলুল বায়তের নামানুসারে নিজেদেরকে নামকরণ করে।
শুধু তাই নয়; বরং আলুল বায়তের ক্ববরসমূহ অবস্থিত এমন এলাকাগুলি শী‘আদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সেগুলিকে তারা পরিদর্শন স্থল বানিয়েছে, ক্ববরগুলির উপরে গম্বুজ নির্মাণ করেছে এবং সেগুলির আশেপাশে বহু বিদ‘আতী ও কুফরী কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া যাতে ঐ এলাকাগুলি পরবর্তীতে শুধুমাত্র শী‘আ অধ্যুষিত এলাকা হয়, সেজন্য ক্ববরগুলির আশেপাশে সম্পত্তি গড়ে তোলা এবং জমি ক্রয়ের বিষয়টি তো রয়েছেই।
২. শী‘আ মতবাদ প্রচারে শী‘আদের আরেকটি অভিনব কৌশল হল, সুন্নী ও শী‘আদের মধ্যে ধর্মীয়ভাবে পরস্পরে কাছাকাছি আসার আহ্বান। এটি ধোকা বৈ কিছুই নয়। মূলতঃ এই আহ্বানের অর্থই হল, শী‘আ মতবাদ এবং উহার বিশুদ্ধতার স্বীকৃতি প্রদান- যা এই মতাবলম্বনের পথ সুগম করে।
দুঃখের বিষয় হল, এই আহ্বান শী‘আদেরকে সুন্নী মুসলিম অধ্যুষিত দেশসমূহে নির্বিঘ্নে বিচরণ, কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রকাশনালয় চালু এবং তাদের মতবাদ প্রচারের পথ সহজ করে দিয়েছে।
তবে শী‘আদের বিকৃত আক্বীদাসমূহ এবং বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই কুফরী মতবাদে কেউ আপত্তি করলে তা শী‘আদের নিকট হয় মুসলিম ঐক্যকে হুমকি দেওয়ার শামিল।
এক্ষণে সুন্নীদের জানতে চাওয়া উচিৎ, ইরানের শী‘আ আলেমরা কি শী‘আ অধ্যুষিত অঞ্চলসমূহে মানুষকে সুন্নী বানানোর প্রক্রিয়া পরিচালনার অনুমতি দিবে? ইরানীরা সুন্নী হয়ে গেলে কি পারস্য মোড়লরা নীরব থাকবে? আর তারা কি এ ধরনের তৎপরতার আদৌ অুমোদন দিবে?
আল্লাহ্র কসম! তারা কখনই অনুমোদন দিবে না। উভয় জামা‘আতকে কাছাকাছি করার এই প্রতারণা মানুষকে সুন্নী বানানোর প্রক্রিয়া পরিচালনার অনুমতি দেওয়া তো দূরের কথা, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সুন্নী আক্বীদা চর্চায়ও বাঁধা প্রদান করে থাকে।
ধর্মীয়ভাবে কাছাকাছি আসার এই প্রতারণা সেখানকার সুন্নী আলেমগণকে হত্যা করে, ‘আহ্ওয়ায’-এর আরবদেরকে গোপনে খুন করে। এটি এমন একটি ধোঁকা, যা সুন্নী মসজিদসমূহ ধ্বংস করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে তালা ঝুলায় আর সুন্নী দাঈগণকে বিতাড়িত করে।
অতএব, সুন্নী মুসলিম হিসাবে আমাদের পক্ষে এমন সম্প্রদায়ের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, তারা ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়সমূহকে আঁকড়ে ধরে থাকে, ক্ববরসমূহ প্রদক্ষিণ করে এবং জীবন বাজি রেখে বিদ‘আত প্রচারে আত্মনিয়োগ করে।
৩. শী‘আ মতবাদ সম্প্রসারণের আরেকটি অন্যতম কৌশল হল, শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের প্রতি গুরুত্ব প্রদান এবং তেহরান, ক্বুম, মাশহাদ ও তাবরীযের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাযার হাযার সরলমনা মুসলিম যুবককে একত্রীকরণ। ইরান সরকার সেখানে তাদের খরচ-খরচা, জীবন-যাপন, প্রয়োজনাদি পূরণ এমনকি বিয়ে-শাদী দেওয়ার দায়িত্বও গ্রহণ করে থাকে।
এই শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের প্রধান লক্ষ্য হল, তাদেরকে শী‘আ বানানো- যাতে তারা শী‘আ মতবাদ প্রচার ও প্রসারের আহ্বায়ক হিসাবে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারে। কয়েক বছরে ছাত্রদেরকে এমর্মে শিক্ষা দেওয়া হয় যে, সব সুন্নী সরকার যালেম এবং অবৈধ। কেননা তাদের ধারণা মতে, এসব সরকার ‘ফক্বীহ’-এর শাসন ব্যবস্থা বা ইসলামের আসল ও মুহাম্মাদী পথের পথিক নয়।
৪. শী‘আ মতবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দাঈ ও শিক্ষকদের প্রেরণ এ মতবাদ প্রসারের আরেকটি মাধ্যম। বিশেষ করে দূরবর্তী মুসলিম সংখ্যালঘু এলাকা সমূহে। একটি বিদেশী পত্রিকা এ মর্মে খবর প্রকাশ করেছে যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সেখানকার সদ্য বিভক্ত অঞ্চলসমূহে ইরান শত শত শিক্ষক পাঠিয়েছে। পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ইরান সরকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
৫. শী‘আ মতবাদ প্রচারে তাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল, বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইরানী দূতাবাস সমূহের মাধ্যমে ফায়দা হাছিল করা। এসব দূতাবাসের সাংস্কৃতিক অঙ্গনগুলি ওসব এলাকায় বসবাসকারী শী‘আদের সাথে যোগাযোগ অব্যহত রাখা, তাদের সমস্যায় সহযোগিতা প্রদান, তাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদেরকে শী‘আপন্থী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বই-পুস্তক যোগান দেওয়ার মাধ্যমে শী‘আ মতবাদের দিকে আহ্বানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মন্ত্রণালয়ে পরিণত হয়েছে। এজন্য এমন কোন ইরানী দূতাবাস নেই, যেখানে তথাকথিত পাগড়ীধারী আহ্বায়ক এবং শী‘আ মতবাদ বিষয়ক তদারককারী নেই।
৬. শী‘আ মতবাদ প্রচারে তাদের আরেকটি মাধ্যম হল, অর্থ ও বস্তুগত প্রলোভনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও গোত্রপ্রধানগণকে শী‘আ মতবাদে দীক্ষিত করার জন্য অঢেল সম্পদ আর প্রলুব্ধকারী অনুদানের মাধ্যমে তাঁদের দায়ভার ক্রয় করা। সাথে সাথে তাঁদেরকে এ ধারণা প্রদান করা যে, ইসলামে শী‘আ ও সুন্নীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
ভাই পাঠক! একথা গোপন নেই যে, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং গোত্র প্রধানগণের সূত্র ধরেই ইরাক ও সিরিয়াতে শী‘আ মতবাদ প্রসার লাভ করে (তাহযীরুল বারিইয়াহ মিন নাশাতিশ্-শী‘আহ ফী সূরিইয়াহ)।
৭. শী‘আ মতবাদ প্রচারে তাদের আরো একটি মাধ্যম হল, মূর্খতা ও দরিদ্রতাপীড়িত এলাকাসমূহ খুঁজে বের করা এবং সেক্ষেত্রে জোর প্রচেষ্টা চালানো। এই মতবাদ প্রচারের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেসব এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়, আবাস স্থল গড়ে তোলা হয়, মানুষের জীবন ধারণের মানোন্নয়ন করা হয় এবং বিভিন্নমুখী সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
ইসলাম এবং আলুল বায়তের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের এই খপ্পরে পড়ে ঐসব এলাকার সাদাসিধে দরিদ্র লোকজন দলে দলে শী‘আ ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে।
৮. তাদের মতবাদ প্রচার ও প্রসারের অন্যতম আরেকটি মাধ্যম হল, মুসলমানদের সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা প্রদান এবং ইয়াহুদবাদ ও পশ্চিমা রাজনীতির বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী। মুসলিম বিশ্বে শী‘আদের মুখোজ্জ্বলের পেছনে এবং নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর হৃদ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে এই নীতির বিরাট প্রভাব রয়েছে।
ইরানী মোড়লদের ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে হাত বাড়ানোর বিষয়টি মানুষের অনুভূতিকে নাড়া দেওয়া এবং মাযহাবী স্বার্থসিদ্ধি আর রাজনৈতিক স্বার্থার্জন বৈ কিছুই নয়। ইরানী পার্লামেন্ট প্রধান বলেন, ‘ইসলামী দেশসমূহে ইরানের আধ্যাত্মিক শক্তি সে দেশের জাতীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করে যায়’ [‘সহীফাতুল আখবার’ ( صحيفة الأخبار ) ওয়েবসাইট, জুমআ, ২৭ জুন ২০০৮ ইং]।
এটি সেখানকার একজন রাজনীতিবিদের স্বীকারোক্তি যে, ইরান কেবলমাত্র তার নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করে, মুসলিম উম্মাহ্র স্বার্থে নয়।
৯. শী‘আ মতবাদ প্রচারের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ হল, শী‘আ মতবাদ বিরোধী সুন্নী রাষ্ট্রসমূহকে আঘাত করার জন্য অন্যান্য দেশসমূহের সাথে সহযোগিতা গড়ে তোলা। সেজন্য যতই সেখানকার পাগড়ীধারীরা সবচেয়ে বড় শয়তান আমেরিকাকে গলা বাজিয়ে অভিশাপ করুক না কেন ইরান সরকার ইরাক এবং এর আগে আফগানিস্তানের পতনের জন্য অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা গড়ে তুলেছিল। সাবেক ইরানী ভাইস প্রেসিডেন্ট তা স্পষ্টই ঘোষণা করেছিলেন, (তিনি বলেছিলেন), ‘ইরান না থাকলে আমেরিকা ইরাক দখল করতে পারত না এবং ইরান না থাকলে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করতে পারত না’ (‘মাযা তা‘রিফু আন হিযবিল্লাহ’ গ্রন্থের ২০৮ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)।
১০. তাদের মতবাদ প্রচার এবং দলীয় শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি মাধ্যম হল, সুন্নী সমাজের প্রতি বিদ্বেষী সম্প্রদায়গুলির সাথে মৈত্রীবন্ধন গড়ে তোলা। যেমনঃ পুরনো দিনে মার্কসবাদীদের সাথে এবং বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের সাথে। সেজন্য আপনি শী‘আদের প্রচার মাধ্যম এবং তাদের সভা-সমিতিতে সুন্নী সমাজ বর্জিত এই নামগুলির উপস্থিতি খুঁজে পাবেন। কেননা সুন্নী পরিচয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে তারা তাদের সাথে একমত হয়েছে।
এই মৈত্রীবন্ধনের আরো একটি উদ্দেশ্য হল, সুন্নীদের অবস্থানকে নড়বড়ে করা এবং ভেতর থেকে তাদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করা।
সুন্নীদের কিছু কিছু প্রতীকের প্রতি শী‘আদের সম্মান প্রদর্শনও শী‘আ মতবাদ প্রচারের আরেকটি মাধ্যম। দুঃখের বিষয় হল, সুন্নী এই প্রতীকগুলি শী‘আ মতবাদকে বৈধতা দান করে তাদের বক্তব্য এবং ফতওয়া প্রচার করছে। এই প্রতীকগুলির ধ্বজাধারীদেরকে শী‘আ মিডিয়ায় ঐক্য ও ন্যায়ের প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সম্মানিত পাঠক! শী‘আ মতবাদের বিস্তৃতি ভয়ানক বিপদ হিসাবে থেকে যাবে এবং ইসলামী কোন এলাকা তাদের টার্গেট থেকে বাদ পড়বে না। বিশেষ করে প্রাচুর্য সমৃদ্ধ ও পবিত্র স্থানসমূহের দেশ হারামাইন শরীফাইনের দেশ (সঊদী আরব)। যেখানে-সেখানে রাফেযীদের বিস্তৃতি ও সম্প্রসারণ হলেও এই দেশটি তাদের মূল টার্গেট। এটি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নয়; বরং তাদের বই-পুস্তক এবং তথাকথিত পাগড়ীধারীদের বক্তব্য থেকেই এই উদ্দেশ্য বেরিয়ে এসেছে।
তেহরানের একজন মেজর জেনারেল ‘আল-ইসলাম আলা যওইত্-তাশাইয়ূ’ গ্রন্থের লেখক বলেন, ‘দুনিয়ার সব শী‘আ মক্কা-মদীনার বিজয় এবং এতদুভয় থেকে অপবিত্র ওয়াহাবী সরকারের পতন কামনা করে’। পারস্যের এক পাগড়ীধারী বলেন, ‘পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্তের হে আমার মুসলিম ভাইয়েরা! আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে, আল্লাহ্র হারাম মক্কা মুকাররমা অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ দখল করে আছে, যারা ইয়াহুদীদের চেয়েও ভয়ানক’ (‘আল-মিশকাত আল-ইসলামিইয়াহ’ ( المشكاة الإسلامية ) ওয়েবসাইট)।
বাহরাইনের ‘কুতলাতুল বিফাক্ব’-এর জনৈক সদস্য হামযাহ আদ-দীরী বলেন, ‘সুন্নীদের আলেম-ওলামা এবং হারাম শরীফের ইমামগণ নাছেবী। সুতরাং হারামে তোমাদের সালাত একজন নাছেবীর পেছনে আদায়কৃত ছালাত হিসাবে গণ্য হবে’ (‘আল-ওয়াক্ত’ পত্রিকা, রবিবার, ২২ রজব ১৪২৮ হিঃ,৫৩১ সংখ্যা)।
আর গণপ্রজাতন্তী ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাফসানজানী ১৪/১২/১৯৮৭ ইং তারিখে ‘ইত্তেলাআত’ পত্রিকাতে তো স্পষ্টই বলেছিলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী ইরানের কাছে মক্কাকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে’।
এদিকে সঊদী শী‘আ মতাবলম্বী নিম্র আন্-নিম্র তার নিজস্ব ওয়েব সাইট ‘আশ্-শী‘আহ আলাত্-তাহাররুক’-এ প্রচারিত এক উস্কানীমূলক বক্তব্যে বলেন, ‘আমি নিজেকে আহ্বান করছি এবং সমস্ত মুমিনকে বিশেষ করে, আলুল বায়তের প্রেমিকদেরকে এবং আরো বিশেষ করে, আলুল বায়তের মিত্র ও অনুসারীদেরকে শপথ নবায়ন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ এবং আমাদের সম্ভবপর সার্বিক শক্তি দিয়ে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করছি। নির্মম ধ্বংসের এক যুগ অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সুউচ্চ ভিত্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা যেন লড়াই-সংগ্রাম করে যাই’।
লন্ডনে বসবাসরত কুয়েতী শী‘আ মতাবলম্বী ইয়াসের আল-হাবীব এক বক্তব্যে বিদ্রোহের ডাক দিয়ে বলেন, ‘মক্কা ও মদীনা আজ দখলদারিত্বের কবলে। এতদুভয়কে মুক্ত করা আবশ্যক’।
এই হল শী‘আ মতবাদ বিস্তৃতির কতিপয় মাধ্যম এবং তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সামান্য কিছু বক্তব্য। বাস্তবতা এগুলির সাক্ষ্য দেয় এবং সঠিক বিশ্লেষণ এগুলির সত্যতা প্রমাণ করে। (আরো জানতে হলে পড়ুন, ‘আল-খুত্ত্বাতুল খামসিনিইয়াহ লিআয়া-তির রাফিযা ফী ইরান’)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/709/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।