HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি

লেখকঃ আবুল কালাম আযাদ আনোয়ার ও আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান

ধৈর্য
ধৈর্য ব্যতীত কোনো ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ অর্জনে প্রতিটি মানুষই ধৈর্যের মুখাপেক্ষী। কেননা আমল অল্প হোক কিংবা বেশি, তা আদায় করতে হলে উপযুক্ত ধৈর্যের প্রয়োজন। তাইতো এর প্রতি উৎসাহ দিয়ে অনেক আয়াত ও হাদীস বর্ণিত হয়েছে ।

ইবনে মাসঊদ রা. বলেন—

«الصبر نصف الإيمان» .

“ধৈর্য ঈমানের অর্ধেক।”

আলেমগণ বলেন, ঈমানের অর্ধেক ধৈর্য ও বাকি অর্ধেক শুকরিয়া। ধৈর্যকে আরবীতে বলা হয় সবর। আর সবর শব্দের আসল অর্থ হচ্ছে, আটকানো, ফিরানো, বাধা প্রদান।

আর শরিয়তের পরিভাষায় সবর (ধৈর্য) পাঁচ ভাগে বিভক্ত:

(১) ওয়াজিব ধৈর্য : এটি আবার তিন প্রকার।

(ক) আল্লাহর আনুগত্যে ধৈর্যধারণ। অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নে নিজেকে নিবেদিত রাখা। যেমন, মুসলিমদের সাথে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। যাকাত আদায় ও পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।

(খ) গুনাহ থেকে ধৈর্যধারণ। অর্থাৎ পাপে জড়িত হওয়া থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন হারাম দৃষ্টি থেকে ধৈর্যধারণ, অবৈধ সম্পদ ছেড়ে দেওয়া। গীবত ও খারাপ বন্ধু-বান্ধব পরিত্যাগ― ইত্যাদি।

(গ) আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিপদাপদের উপর ধৈর্যধারণ। সর্বসম্মতি ক্রমে এটি ওয়াজিব। অর্থাৎ হতাশা ও নৈরাশ্য প্রকাশ করা থেকে নিজেকে সংরক্ষণ করা। কোন-রূপ অভিযোগ পেশ করা থেকে জিহ্বাকে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ হয় এমন কাজ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হেফাযত করা। যেমন―গাল চাপটানো, জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা প্রভৃতি। আত্মীয়-স্বজন কিংবা সম্পদ হারানো এবং অসুস্থতার উপর ধৈর্যধারণ এ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত, মানুষের কষ্ট দেওয়াও এর আওতাভুক্ত।

সবর বা ধৈর্যের বিপরীত হলো― অসন্তোষ তথা রাগ প্রকাশ করা, অভিযোগ করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া এবং উৎকন্ঠা ও নৈরাশ্য ব্যক্ত করা। এর কারণে প্রতিদান নষ্ট হয়ে যায়, বিপদ - মুসীবত আরো বেড়ে যায় এবং ঈমান হ্রাস পায়।

নেক কাজ করা ও অন্যায় - অসৎ কাজ থেকে ফিরে থাকা সম্পর্কিত ধৈর্য বিপদ-আপদের উপর ধৈর্য অবলম্বন করা থেকে উত্তম। এ অভিমত প্রকাশ করেছেন সা‘ঈদ ইবনে যোবায়ের, মাইমূন ইবনে মেহরান প্রমুখ। আর ভালো কাজে ধৈর্যধারণ করা হারাম থেকে বেঁচে থাকার ধৈর্য থেকে উত্তম।

(২) মুস্তাহাব ধৈর্য : এটি হচ্ছে মাকরূহ কাজ ছেড়ে দেওয়া ও মুস্তাহাব আমলের ধৈর্য। যেমন―অপরাধীর মোকাবেলায় তার অনুরূপ অপরাধ না করা।

(৩) হারাম ধৈর্য : যেমন―মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত খানা-পিনা পরিত্যাগ করা, ধ্বংসাত্মক বস্তুর উপর ধৈর্যধারণ। যেমন―আগুন লাগলে তার উপর কিংবা পরিবারের কেউ অশ্লীল কাজ করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ ।

(৪) মাকরূহ ধৈর্যধারণ: মাকরূহ কাজে অথবা মুস্তাহাব ছেড়ে দেওয়ার উপর ধৈর্যধারণ।

(৫) মুবাহ (জায়েয) ধৈর্য : ক্ষতি হয় না এ পরিমাণ সময় খাবার গ্রহণ না করা অথবা কিছু সময় ঠান্ডার উপর ধৈর্যধারণ।

ধৈর্যের ফযীলত :

ধৈর্য ধারণের ফযীলত অনেক। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো :―

(১) ধৈর্যের প্রতিদান অসীম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন―

﴿إِنَّمَا يُوَفَّى ٱلصَّٰبِرُونَ أَجۡرَهُم بِغَيۡرِ حِسَابٖ ١٠ ﴾ [ الزمر : ١٠ ]

‘একমাত্র ধৈর্যশীলদের প্রতিদান হিসাব ছাড়া দেওয়া হবে।’ [যুমার: ১০]

যেহেতু সিয়াম ধৈর্যের অন্তর্ভুক্ত, তাই এর প্রতিদানও বিনা হিসেবে দেওয়া হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বনী আদমের প্রতিটি আমলের প্রতিদান দশগুণ থেকে সাত শত গুণ দেওয়া হবে। আল্লাহ বলেন: সিয়াম ব্যতীত। কেননা সেটি আমার জন্যে, আর এর প্রতিদান আমিই দেব।’

(২) ধৈর্যশীলদের জন্যে মহা সুসংবাদ : আল্লাহ বলেন―

﴿وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥ ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةٞ قَالُوٓاْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ ١٥٦ أُوْلَٰٓئِكَ عَلَيۡهِمۡ صَلَوَٰتٞ مِّن رَّبِّهِمۡ وَرَحۡمَةٞۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُهۡتَدُونَ ١٥٧ ﴾ [ البقرة : ١٥٥، ١٥٧ ]

‘আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন, যারা মুসীবতে আক্রান্ত হলে বলে― إنا لله وإنا إليه راجعون অর্থাৎ আমরা আল্লাহর জন্যেই এবং পরিশেষে তার কাছেই ফিরে যাব। প্রভুর পক্ষ থেকে তাদের উপর শান্তি ও রহমত রয়েছে এবং তারাই হেদায়েতপ্রাপ্ত।’ [বাকারা : ১৫৫-১৫৭]

(৩) আল্লাহর বিশেষ সঙ্গ ও ভালোবাসা : আল্লাহ বলেন―

﴿وَٱصۡبِرُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ٤٦ ﴾ [ الانفال : ٤٦ ]

‘তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’ [আনফাল : ৪৬]

মহান আল্লাহ আরো বলেন:

﴿وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٤٦ ﴾ [ ال عمران : ١٤٦ ]

আল্লাহ তা‘আলা ধৈর্যশীলদের পছন্দ করেন। [আল ইমরান : ১৪৬]

(৪) ধৈর্য উত্তম সম্পদ। আল্লাহ বলেন―

﴿وَلَئِن صَبَرۡتُمۡ لَهُوَ خَيۡرٞ لِّلصَّٰبِرِينَ ١٢٦ ﴾ [ النحل : ١٢٦ ]

আর যদি তোমরা ধৈর্যধারণ কর তাহলে তা ধৈর্যশীলদের জন্য উত্তম। [নাহল : ১২৬]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―

«وما أعطي أحد عطاء خيراً وأوسع من الصبر» .

“কোনো বান্দাকে ধৈর্যের মত উত্তম সম্পদ অন্য কিছু দেওয়া হয়নি।” [বুখারী : ১৩৭৬]

(৫) আল্লাহ তা‘আলা ধৈর্যশীলদের উত্তম প্রতিদানের ওয়াদা করেছেন। তিনি বলেন―

﴿وَلَنَجۡزِيَنَّ ٱلَّذِينَ صَبَرُوٓاْ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٦ ﴾ [ النحل : ٩٦ ]

‘অবশ্যই ধৈর্যশীলদের আমলের চেয়েও উত্তম প্রতিদান দেওয়া হবে।’ [নাহল : ৯৬]

সিয়াম সাধনায় ধৈর্যের অনুশীলন :

ধৈর্যের প্রকারসমূহের মাঝে সিয়াম সাধনা অন্যতম। কেননা এর মাঝে তিন প্রকার ধৈর্যই বিদ্যমান। এটি আল্লাহর আনুগত্যের উপর ধৈর্য ধারণের প্রকৃত স্বরূপ। আবার বান্দা নফসের চাহিদার বিপরীত অবস্থান নেয় ফলে এটি গুনাহ থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে সবরেরস্বরূপ। পাশাপাশি নির্ধারিত কষ্ট-মুসীবতের উপর ধৈর্যধারণও এর মাঝে পাওয়া যায়। কেননা রোযাদারকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করতে হয়। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়ামের মাসকে সবরের মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―

«صوم شهر الصبر وثلاثة أيام من كل شهر صوم الدهر» .

‘সবর মাস তথা রমযান মাসের রোযা এবং প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখা পূর্ণ এক বছর রোযার সমতুল্য।’ [আবু দাউদ : ২০৭৩]

ধৈর্য অর্জনে মুজাহাদার প্রয়োজন :

ধৈর্যের জন্যে মুজাহাদা ও অনুশীলনের প্রয়োজন। ভালো কাজ করা, খারাপ কাজ ছেড়ে দেওয়া, দুঃখ-বেদনা ও মুসীবতের সময় এবং মানুষ কষ্টে আক্রান্ত হলে―সর্বক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন। অবশ্যই এ সমস্ত কাজে মানুষকে কষ্ট করতে হয়। কিন্তু ধৈর্যের পথ অবলম্বন করার স্বরূপ আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাহায্য করেন। অতঃপর দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম পরিণতি লাভ করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―

«ومن يتصبر يصبره الله» .

যে ব্যক্তি ধৈর্যের অনুশীলন করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যধারণের তৌফিক দিয়ে দেন। [বুখারী : ১৩৭৬]

ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যে আল্লাহ তা‘আলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা প্রয়োজন। কেননা তিনি ধৈর্যদানকারী ও সাহায্যকারী। আল্লাহ বলেন―

﴿ وَٱصۡبِرۡ وَمَا صَبۡرُكَ إِلَّا بِٱللَّهِۚ﴾ [ النحل : ١٢٧ ]

‘আর তুমি ধৈর্যধারণ কর। আল্লাহর ইচ্ছাই তোমার ধৈর্যধারণের শক্তি।’ [নাহল : ১২৭]

আল্লাহ তা‘আলা আপন জাতির প্রতি মুসা আ.-এর বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন—

﴿ٱسۡتَعِينُواْ بِٱللَّهِ وَٱصۡبِرُوٓاْۖ﴾ [ الاعراف : ١٢٨ ]

‘তোমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা কর এবং ধৈর্য ধারণ কর।’ [আ‘রাফ : ১২৮]

ভাল মানুষের ধৈর্য ও মন্দ লোকের ধৈর্যের মাঝে পার্থক্য :

ভাল মানুষ আল্লাহর আনুগত্যে ধৈর্য ধারণ করে। আর মন্দ মানুষ শয়তানের আনুগত্যে ধৈর্য ধরে। মন্দ লোকেরা কুপ্রবৃত্তির পিছনে অধিক ধৈর্য ধরে। আর আল্লাহর আনুগত্যে খুব কম সময় ধৈর্য ধরে। তারা শয়তানের আনুগত্যে সবকিছু প্রচুর পরিমাণে খরচ করে। কিন্তু আল্লাহর পথে সামান্য বস্তুও খরচ করার উপর ধৈর্যধারণ করে না। নফসের চাহিদা পূরণ করতে অনেক কষ্ট সহ্য করে, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জনে কোনো কষ্ট করতে চায় না।

নেয়ামতের উপর ধৈর্যধারণ :

অনেকে মনে করে ধৈর্য কষ্টদায়ক বিষয়ের সাথেই সংশিষ্ট। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যেভাবে কষ্টের উপর ধৈর্য ধরতে হয়, ঠিক তেমনিভাবে নেয়ামত ও আনন্দদায়ক বিষয়ের উপর ধৈর্য ধারণ করতে হয়। বরং এ ব্যাপারে ধৈর্যধারণ কষ্টের সময়ের ধৈর্যের চেয়ে বেশি কঠিন। আর এ কারণেই সত্যবাদীগণ এ গুণে গুণান্বিত হয় এবং অন্যরা এর থেকে গাফেল থাকে। কারণ নেয়ামতের উপর সবর করার বিষয়টি শক্তি সামর্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন―

والعبد مأمور بالصبر في السراء أعظم من الصبر في الضراء

‘মানুষের সুসময়ে ধৈর্যধারণ মুসীবতে ধৈর্যধারণের চেয়ে আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’

আল্লাহ তা‘আলা বলেন―

﴿ وَلَئِنۡ أَذَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ مِنَّا رَحۡمَةٗ ثُمَّ نَزَعۡنَٰهَا مِنۡهُ إِنَّهُۥ لَيَ‍ُٔوسٞ كَفُورٞ ٩ وَلَئِنۡ أَذَقۡنَٰهُ نَعۡمَآءَ بَعۡدَ ضَرَّآءَ مَسَّتۡهُ لَيَقُولَنَّ ذَهَبَ ٱلسَّيِّ‍َٔاتُ عَنِّيٓۚ إِنَّهُۥ لَفَرِحٞ فَخُورٌ ١٠ إِلَّا ٱلَّذِينَ صَبَرُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَأَجۡرٞ كَبِيرٞ ١١ ﴾ [ هود : ٩، ١١ ]

‘আমি মানুষকে অনুগ্রহ করার পর আবার তা ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সে নিরাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। আর মুসীবতের পর নেয়ামত প্রদান করলে সে বলে, আমা থেকে দূরাবস্থা চলে গেল। সে খুশি হয় এবং গর্ব করে। তবে যারা ধৈর্যধারণ করে এবং নেক আমল করে তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহান প্রতিদান। [হুদ : ৯-১১]

সুদিনে নেয়ামতের উপর ধৈর্যের দিকসমূহ :

(১) নেয়ামতের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হওয়া এবং তা পেয়ে ধোঁকায় না পড়া। গর্ব ও অহংকার না করা। অকৃতজ্ঞ না হওয়া এবং এমনভাবে খুশি না হওয়া, যা দেখে আল্লাহ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হন।

(২) নেয়ামত অর্জনে সম্পূর্ণ ডুবে না পড়া। যার ফলে অন্যান্য দিকসমূহ থেকে গাফেল হয়ে হক ও বাতিলের পার্থক্য না করে তাতে ডুবে থাকা হয়।

(৩) আল্লাহ তা‘আলার হক আদায়ে ধৈর্যধারণ।

(৪) হারাম কাজে তা খরচ করা থেকে নিজেকে আঁকড়ে রাখা। নিজের নাফসকে এমনভাবে প্রবৃত্তির পিছনে ছেড়ে না দেওয়া, যা তাকে হারাম পথে ধাবিত করে।

ধৈর্যের আদব সমূহ :

ধৈর্যধারণের অনেক আদব রয়েছে।

মুসীবত আসার প্রথম ধাপেই ধৈর্যধারণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :―

«إنـما الصبر عنـد الصـدمة الأولى» .

‘প্রথম আঘাতের ধৈর্যধারণই প্রকৃত ধৈর্যধারণ।’ [১ বুখারী : ১২০৩]

মুসীবতের সময় ‘‘ইন্নালিল্লাহ’’ পড়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন―

﴿ ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةٞ قَالُوٓاْ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيۡهِ رَٰجِعُونَ ١٥٦ ﴾ [ البقرة : ١٥٦ ]

“যখন তাদের উপর মুসীবত আসে তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাব। [২ বাকারাহ্ : ১৫৬]

উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন―কোনো মুসলিম মুসীবতে পড়লে যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী إنا لله وإنا إليه راجعــون এবং নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বস্তু দান করবেন। اللهــم أجرني في مصيبتي واخلف لي خيــراً منها উম্মে সালামা রা. বলেন, যখন আবু সালামা ইন্তেকাল করলেন তখন আমি বললাম মুসলিমদের মাঝে আবু সালামার চেয়ে উত্তম আর কে-ই বা আছে? অল্প সময়ের মাঝেই আল্লাহ তা‘আলা আমার জন্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নির্ধারণ করলেন।

মুসীবতের সময় জবান ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্থির থাকা। তবে উঁচু আওয়াজ ও চিৎকার-চেঁচামেচি না করে কাঁদা বৈধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন