HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জানাযার কিছু বিধান

লেখকঃ শিহাবউদ্দিন হোসাইন

জানাযা বিষয়ে প্রশ্নাবলি
প্রশ্ন ১ - পুরুষদের কবর কতটুকু গভীর হবে আর নারীদের কবর কতটুকু গভীর হবে?

উত্তর - উত্তম হচ্ছে উভয়ের কবর মানবাকৃতির অর্ধেক পরিমাণ গভীর করা, যেন হিংস্রপ্রাণীর আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকে।

প্রশ্ন ২ - পাহাড়ি এলাকায় মৃতব্যক্তিকে পাহাড়ের গর্তে বা গুহায় দাফন করা হয় এটা কেমন?

উত্তর - সম্ভব হলে কবর খনন করা এবং কাচা ইটের দেয়াল তৈরি করে দেয়া উত্তম। আর যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পাহাড়ের গুহায় মাটি দেবে এবং হিংস্রজন্তু হতে নিরাপদ থাকার ব্যবস্থা করবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তালা বলেন,

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ ١٦﴾ [ التغابن :16]

“অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর”। সূরা আত্তাগাবুনঃ (১৬)

প্রশ্ন ৩ - কাচা ইট পাওয়া না গেলে পাথর ব্যাবহার করা যাবে কি?

উত্তর - বর্ণিত আয়াতের দ্বারা বুঝা যায় যে কাচা ইট পাওয়া না গেলে কাঠ, পাথর, পাত ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে, যার দ্বারা মৃতের সুরক্ষা হয়, অতঃপর মাটি দেবে। আল্লাহ তালা বলেছেন,

﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ ١٦﴾ [ التغابن :16]

“অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর”। সূরা আত্তাগাবুনঃ (১৬)

অনুরূপ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إذا أمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم» ( رواه البخاري )

“আমি যখন তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ করি, তোমরা তোমাদের সাধ্যানুযায়ী তা বাস্তবায়ন কর”। (বুখারি)

প্রশ্ন ৪ - অনেক জায়গায় দেখা যায় যে, নারী-পুরুষের কবর সহজে পার্থক্য করার জন্য, নারীদের জন্য একধরনের চিহ্ন আর পুরুষদের জন্য অন্য ধরনের চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কাজের কোন ভিত্তি আছে কি?

উত্তর - আমার জানামতে এর কোন ভিত্তি নেই, সুন্নত হচ্ছে দাফন, উচ্চতা ও গভীরতা নারী-পুরুষ সকলের জন্য সমান হবে।

প্রশ্ন ৫ - সহজে পার্থক্য করার সুবিধার্থে গোরস্থানের কিছু অংশ পুরুষদের জন্য আর কিছু অংশ মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা কেমন?

উত্তর - আমার জানা মতে এর কোন ভিত্তি নেই। শরিয়ত সম্মত নিয়ম হল সমগ্র গোরস্থান সকলের জন্য সমপর্যায়ের থাকবে, এটাই সকলের জন্য সহজতর উপায়। ইসলামের ঊষালগ্ন হতে অধ্যাবদি এ পদ্ধতিই চলে আসছে। মদিনার ‘জান্নাতুল বাকি’ নামক গোরস্থান নারী-পুরুষের জন্য সমান ছিল, আর সমস্ত কল্যাণ ও মঙ্গল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাগণের অনুসরণের মধ্যেই বিদ্যমান।

প্রশ্ন ৬ - সহজে পরিচিতির জন্য অনেক গোরস্থানের প্রতিরক্ষা দেয়ালে নম্বর লাগানো হয় এটা কেমন?

উত্তর – অনেক ক্ষেত্রে কবরের উপর লিখার কারণে কবর কেন্দ্রিক ফেতনা সৃষ্টি হয়, তাই কবরের উপর লিখা সম্পুর্ণ নিষেধ ও না-জায়েয। আর প্রতিরক্ষা দেয়ালে নম্বর লাগানো নিষেধ হওয়া সম্পর্কে আমার নিকট যদিও কোন প্রমাণ নেই, তবুও বলব যেহেতু এটাও কবরের উপর লিখার সাদৃশ্য তাই এটা বর্জন করা উচিৎ।

প্রশ্ন ৭ - অনেক সান্ত্বনা প্রদানকারীকে দেখা যায় যে, সহজে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে তারা শোকাহত লোকদেরকে কবর হতে দূরে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে তাদের সাথে কথা-বার্তা বলে, এরূপ করা কেমন?

উত্তর - আমার জানামতে এরূপকরাতে কোন সমস্যা নেই, কারণ এতে সান্ত্বনা জ্ঞাপন সহজ হয়।

প্রশ্ন ৮ - মুমূর্ষু বা মৃত মহিলাদেরকে মেহেদী দেয়া কেমন?

উত্তর - আমার জানা মতে এর কোন ভত্তি নেই।

প্রশ্ন ৯ – মৃত ব্যক্তিকে মিসওয়াক করানো কেমন?

উত্তর - আমার জানামতে এর কোন ভিত্তি নেই, শরি‘আতের বিধান হচ্ছে মৃতকে অযু করানো, অযু করানোর সময় যখন কুলি করানো হয় তখন যদি জীবিতদের ন্যায় তাকেও মিসওয়াক করিয়ে দেয়া হয়, তাহলে করানো যেতে পারে।

প্রশ্ন ১০ - উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কিভাবে কিবলামুখী করবে?

উত্তর – ডানপাশে শোয়াবে এবং মুখমন্ডল কিবলামুখী করে দেবে, যেমনটি করা হয় কবরে শোয়াবার সময়।

প্রশ্ন ১১ - মৃতের উপর কোরআন মজিদ রেখে দেয়া কেমন?

উত্তর – এ ধরণের কাজ শরিয়ত সম্মত নয়, শরি‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই, বরং এগুলো বিদ‘আত।

প্রশ্ন ১২ - জানাযার নামাজ মাঠে পড়াই উত্তম বলে সুবিদিত, তাই গোরস্থানের একাংশ জানাযার জন্য নির্দিষ্ট করব না ঈদের মাঠেই জানাযা পড়ব?

উত্তর - জানাযার জন্য যদি নির্ধারিত কোন স্থান থাকে তাহলে সেখানেই পড়বে অন্যথায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জানাযা মসজিদেই পড়বে। জানাযার নামাজ মসজিদে পড়তে কোন সমস্যা নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়জা নামী ব্যক্তির দু’পুত্রের জানাযা মসজিদেই পড়েছেন।

প্রশ্ন ১৩ - কোন মুসল্লি নিজ মহল্লায় ফরজ নামাজ পড়লেন অতঃপর জানাযার জন্য গিয়ে দেখলেন যে, ঐ মসজিদে এখনও ফরজ নামাজের জামাত হয়নি। এমতাবস্থায় সে জানাযার জন্য অপেক্ষা করবে না অন্যদের সাথে নামাজে শরিক হবে? এমনিভাবে যে ব্যক্তি এত বিলম্বে আসল যে, নামাজ তিন রাকাত হয়ে গেছে, যদি সে জামাতে শরিক হয় তাহলে তার জানাযাও ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এমতাবস্থায় সে কি করবে?

উত্তর - কোন মুসলিম যদি মসজিদে এসে দেখতে পায় যে, মুসল্লিগণ জামাতের সহিত নামাজ পড়ছে তখন সেও জামাতে শরিক হয়ে যাবে, এ নামাজ তার জন্য নফল হবে। বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুজর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেছিলেন,

«صل الصلاة لوقتها فإن أقيمت وأنت في المسجد فصل معهم فإنها لك نافلة» ( رواه مسلم )

“হে আবুজর, সময়মত নামাজ পড়, যদি নামাজের ইকামত হয় আর তুমি তখন মসজিদে থাক, তখন তাদের সাথেও নামাজ পড়, এটা তোমার জন্য নফল হবে”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিদায় হজে মিনায় অবস্থান করছিলেন, দু’ব্যক্তিকে রাসূলের নিকট আনা হল যারা জামাতে অংশগ্রহণ করে নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন,

«ما منعكما أن تصليا معنا ؟» فقالا : يا رسول الله قد صلينا في رحالنا . قال : «لا تفعلا إذا صليتما في رحالكما ثم أتيتما مسجد جماعة فصليا معهم فإنها لكم نافلة»

“আমাদের সাথে তোমরা কেন নামাজ পড়নি” তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমরা আমাদের দলের সাথে নামাজ পড়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন: “এরূপ কর না, যখন তোমরা তোমাদের তাবুতে নামাজ পড়ে নাও, অতঃপর কোন মসজিদের জামাতে এসে উপস্থিত হও, তখন তাদের সাথেও নামাজ পড়, এটা তোমাদের জন্য নফল হবে”।

প্রশ্ন ১৪ – মৃত ব্যক্তি যদি এই মর্মে অসিয়ত করে যে, তার জানাযার নামাজ অমুক ব্যক্তি পড়াবে, তাহলে ইমামতির জন্য অসিয়তকৃত ব্যক্তি উত্তম হবে না নির্ধারিত ইমাম?

উত্তর - অসিয়তকৃত ব্যক্তির তুলনায় মসজিদের নির্ধারিত ইমামই উত্তম, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« لا يؤمن الرجل الرجل في سلطانه» ( رواه مسلم )

“কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কর্তৃত্বের জায়গায় ইমামতি করবে না”। (মুসলিম)

প্রশ্ন ১৫ - ইমামের সামনে জানাযার জন্য লাশ রাখার নিয়ম কি?

উত্তর - মৃত পুরুষের লাশ এভাবে রাখবে যে, লাশের মাথা যেন ইমাম বরাবর হয়, আর মৃত মহিলার লাশ এভাবে রাখবে যে, লাশের কোমর যেন ইমাম বরাবর হয়। এপদ্ধতিই সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আর যদি লাশ নারী-পুরুষ উভয়ের হয়, যেমন নারী, পুরুষ ও বাচ্ছা, তাহলে ইমামের সামনে প্রথমে পুরুষের লাশ, অতঃপর বালকের লাশ, অতঃপর মহিলার লাশ, অতঃপর বালিকার লাশ রাখবে। লাশ রাখার ক্ষেত্রে পুরুষের মাথা বরাবর মহিলাদের কোমর হবে, যেন সকল লাশের অবস্থান ইমামের সামনে শরিয়ত সম্মত পদ্ধতিতে হয়।

প্রশ্ন ১৬ - এহরামরত মহিলার লাশকে কিভাবে কাফন পড়াবে?

উত্তর - অন্যান্য মহিলাদের ন্যায় তাকেও ইযার (দেহের নিম্নাংশের পরিধেয় বস্ত্র), উড়না, জামা ও দু’চাদর দ্বারা কাফন পড়াবে। মাথা ঢেকে দেবে তবে নেকাব ব্যতীত। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এহরামত মৃত মহিলাকে নেকাব পড়াতে নিষেধ করেছেন, যেহেতু সে এহরামরত তাই সুগন্ধিও লাগাবে না।

প্রশ্ন ১৭ - ভিডিওর মাধ্যমে মৃতের গোসল ও কাফন দাফন শিখানো কেমন?

উত্তর – বহু সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, ছবি অঙ্কন করা নিষেধ, ছবি অঙ্কনকারীগণ অভিশপ্ত, তাই ভিডিও ছাড়া অন্য উপায়ে মৃতের গোসল ও কাফন-দাফন শিখাবে।

প্রশ্ন ১৮ – শহরের ভেতর অবস্থিত গোরস্থান ঈদগাহের একেবারে নিকটে এমতাবস্থায় ঈদগাহ পরিবর্তন করার হুকুম কি?

উত্তর - এটা আদালতের কাজ, আদালত বিবেচনা করবে এ অবস্থায় শরি‘আতের দৃষ্টিতে কি করা উচিৎ।

প্রশ্ন ১৯ - গোরস্থানের গেটে গোরস্থানে প্রবেশের দো‘আ লেখার হুকুম কি?

উত্তর - আমার জানামতে এর কোন ভিত্তি নেই। এর বিপরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের উপর কিছু লিখতে নিষেধ করেছেন বলে প্রমাণিত, তা ছাড়া কবরের গেটের উপর লেখার অনুমোদন, কবরের উপর লেখার প্রচলনকে প্রসারিত করবে, তাই কবরের গেটের উপর দো‘আ ইত্যাদি লেখা ঠিক হবে না।

প্রশ্ন ২০ - কবরের উপর কাচা খেজুর গাছের ডালা স্থাপন করার হুকুম কি?

উত্তর - এটা শরিয়ত সম্মত নয় বরং বিদআত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, অমুক দু’কবরে আযাব হচ্ছে, তাই তিনি ঐ দু’কবরের উপর খেজুরের ডালা স্থাপন করেছেন, যাতে কবর আযাব বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য কোন কবরের উপর তিনি তা স্থাপন করেননি। এতে বুঝাগেল যে এ কাজটি ঐ দু’কবরের সাথে সীমাবদ্ধ ছিল, তাই অন্য কোথায় এ কাজ করা বৈধ হবে না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد» ( رواه مسلم )

“যে এমন কোন কাজ করল যে বিষয়ে আমাদের আদর্শ নেই, তা পরিত্যক্ত”। (মুসলিম) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

« من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد» ( متفق عليه )

“আমাদের এ দ্বীনে যে নতুন কিছুর উদ্ভাবন করল, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা পরিত্যক্ত”। (বুখারি ও মুসলিম)

বর্ণিত হাদিসদ্বয় একথার প্রমাণ যে, কবরের উপর লিখা, ফুল দেয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ না-জায়েয। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে চুনা করতে, কবরের উপর ঘর বানাতে, বসতে ও লিখতে নিষেধ করেছেন।

প্রশ্ন ২১ – মুক্তাদির যদি জানা না থাকে যে, মৃত ব্যক্তি নারী কি পুরুষ, এমতাবস্থায় সে কিভাবে দো‘আ পড়বে?

উত্তর - দোয়ার বিষয়টি ব্যাপক, তাই এখানে যদি পুংলিঙ্গের স্থলে স্ত্রীলিঙ্গ আর স্ত্রীলিঙ্গের স্থলে পুংলিঙ্গের সর্বনাম ব্যবহার করা হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই।

প্রশ্ন ২২ - বালকদের জানাযায় কোন দো‘আ পড়বে?

উত্তর - বড়দের জন্য যে দো‘আ পড়া হয় বালকদের জন্য অনুরূপ দোয়াই পড়বে। হ্যাঁ, তাদের জন্য সহিহ হাদিস দ্বারা যে অতিরিক্ত দো‘আ প্রমাণিত, তা হচ্ছেঃ

« اللهم اجعله ذخرا لوالديه وفرطا وشفيعا مجابا اللهم أعظم به أجورهما وثقل به موازينهما وألحقه بصالح سلف المؤمنين واجعله في كفالة إبراهيم عليه الصلاة والسلام و قه برحمتك عذاب الجحيم »

“হে আল্লাহ, এই বাচ্চাকে তার পিতা-মাতার জন্য অগ্রবর্তী নেকী ও সযত্নে রক্ষিত সম্পদ হিসাবে কবুল কর এবং তাকে এমন সুপারিশকারী বানাও যার সুপারিশ কবুল করা হয়। হে আল্লাহ, এই বাচ্চার দ্বারা তার পিতা-মাতার সওয়াব আরো বৃদ্ধি কর। এর দ্বারা তাদের নেকীর পাল্লা আরো ভারী করে দাও। আর একে নেককার মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং তাকে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের যিম্মায় রাখ। তাকে তোমার রহমতের দ্বারা দোযখের আযাব হতে বাঁচিয়ে দাও”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«الطفل يصلى عليه ويدعى لوالديه» ( رواه أحمد )

“বাচ্চার উপর নামাজ পড়া হবে, কিন্তু দো‘আ তার পিতা-মাতার জন্য করা হবে”। (আহমদ)

প্রশ্ন ২৩ - মৃত যদি কোন ভিন্ন দেশের শ্রমিক হয় এবং তার অভিভাকগণ লাশের দাবি করে, কিন্তু লাশ পৌঁছানোর প্রচুর খরচের সাথে সাথে তাকে দীর্ঘদিন বক্সে রাখতে হয়, যার কারণে তার নাড়িভুড়ি পর্যন্ত গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমতাবস্থায় কফিল কি তাকে মৃত্যুর স্থানেই দাফন করবে, না অভিভাকদের দাবি অনুযায়ী তার দেশে পাঠিয়ে দেবে?

উত্তর - জীবিত-মৃত সর্বাবস্থায় প্রতিটি মুসলিম মর্যাদার অধিকারী, তাই কোন মুসলমানের লাশ স্থান্তরের মধ্যে যদি প্রশ্নে বর্ণিত সমস্যার সম্ভাবনা থাকে তাহলে কোন অবস্থাতেই একজন মুসলমানের লাশ স্থান্তর করা জায়েয হবে না। যেখানে তার মৃত্যু হয়েছে সেখানেই তার দাফন হবে, এটাই শরিয়ত স্বীকৃত নিয়ম। হ্যাঁ, যদি তার লাশ স্থানন্তরের উপর ধর্মীয় কোন কল্যাণ নির্ভরশীল হয়, এবং স্থানন্তর না করলে মুসলিমগণ তা হতে বঞ্চিত হবে, আর স্থানন্তর দ্বারা প্রশ্নে বর্ণিত লাশ বিকৃতির সমস্যাও না-থাকে তাহলে স্থানন্তর করা যেতে পারে।

হ্যাঁ, যদি আরব উপদ্বীপে কোন কাফেরের মৃত্যু হয় তাহলে অবশ্যই তার লাশ স্থানান্তর করতে হবে। কোন অবস্থাতেই তাকে আরব উপদ্বীপে দাফন করা জায়েয হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুসলিদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়ার জন্য অসিয়ত করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

«لايجتمع فيها دينان» ( رواه أحمد )

“আরব উপদ্বীপে কখনো দু’টি ধর্ম একত্র হতে পারে না”। (আহমদ)

প্রশ্ন ২৪ - জনৈক মহিলা কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই মৃতদের গোসল দিতেন, যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ, তবুও তিনি কাজটি এ জন্য ছেড়ে দিয়েছেন যে, এ কাজের দ্বারা মানুষ নির্বোধ ও নির্দয় হয়ে যায়। তার এ মন্তব্যের উপর আমরা একমত পোষণ করব কি না?

উত্তর - মুসলিমদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে এ মহিলার জন্য উচিৎ যে, তিনি নিয়মিতভাবে মৃতদের গোসল দিয়ে যাবেন এবং আল্লাহর নিকট হতে পুরুস্কারের দৃঢ় আশা রাখবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

« من كان في حاجة أخيه كان الله في حاجته» ( متفق عليه )

“যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পুরো করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পুরো করবেন”। (বুখারি ও মুসলিম)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,

« والله في عون العبد ما كان العبد في عون أخيه» ( رواه مسلم )

“আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার সাহায্যে লেগে থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহয্যে লেগে থাকে”। (মুসলিম)

প্রশ্ন ২৫ - মৃতের জানাযার নামাজ পড়ার জন্য সফর করার হুকুম কি?

উত্তর– জানাযার জন্য সফর করা যেতে পারে, কোন সমস্যা নেই।

দরুদ ও সালাম নাযিল হোক মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবার এবং সমস্ত সাহাবি ও মুমিনদের উপর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন