মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“আমার বন্ধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। তা হলো, প্রত্যেক মাসে তিন দিন সিয়াম পালন করা, দুহার দু-রাকাত (চাশতের) সালাত আদায় করা এবং নিন্দ্রা যাওয়ার আগে যেন আমি বিতর সালাত আদায় করে নিই।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৮১, মুসলিম, হাদীস নং ৭২১।]
“আমার দোস্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন। যতদিন আমি জীবিত থাকব, ততদিন তা ছাড়ব না। প্রতি মাসে তিনটি সাওম পালন করা, চাশতের সালাত আদায় করা এবং বিতর আদায় না করা পর্যন্ত যেন আমি নিদ্রায় না যাই।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭২২।]
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“আমার বন্ধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ের উপদেশ দিয়েছেন, যতদিন আমি জীবিত থাকব, ততদিন তা ছাড়ব না ইনশাআল্লাহ। তিনি আমাকে সালাতুদ-দুহা, ঘুমের পূর্বে বিতরের সালাত আদায় ও প্রতি মাসে তিনটি সাওম পালন করা।” [সহীহ ইবন খুজাইমা, হাদীস নং ১২২১। আল্লামা ‘আজমী রহ. হাদীসের সনদটিকে সহীহ বলেছেন।]
আবূ যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের কেউ যখন ভোরে উঠে, তখন তার প্রতিটি জোড়ার ওপর একটি সদকা রয়েছে। প্রতি সুবহানাল্লাহ সদকা, প্রতি আলহামদুলিল্লাহ সদকা, প্রতি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সদকা, প্রতি তাকবীর তথা আল্লাহু আকবার সদকা, আমর বিল মারুফ (সৎকাজের আদেশ) সদকা, নাহী ‘আনিল মুনকার (অসৎকাজের নিষেধ) সদকা। অবশ্য চাশতের সময় দু রাকাত সালাত আদায় করা এ সবের পক্ষ থেকে যথেষ্ট।” [মুসলিম, হাদীস নং ৭২০।]
আব্দুল্লাহ ইবন বুরাইদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“আমি আবূ বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, মানব দেহে তিনশ ষাটটি জোড়া রয়েছে। প্রত্যেক জোড়ার জন্য তাকে সদকা করা উচিৎ। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী, এভাবে কেউ সদকা করতে কি সক্ষম? তিনি বললেন, মসজিদ থেকে কফ মুছে ফেলা বা রাস্তা থেকে ক্ষতিকর জিনিস সরিয়ে ফেলা সদকা। আর তুমি যদি এসব করতে সক্ষম না হও তবে দুহার সময় দু-রাকাত সালাত আদায় করা তোমার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।” [সহীহ ইবন খুজাইমা, হাদীস নং ১২২৬। আল্লামা ‘আজমী রহ. হাদীসের সনদটিকে সহীহ বলেছেন।]
নু‘আইম ইবন হাম্মার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন,
“আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, হে আদম সন্তান! তুমি যেন দিনের প্রথমে আমার জন্য চার রাকাত সালাত আদায় করতে অপারগ না হও, ফলে (তার বিনিময়ে) আমি তোমার জন্য দিনের শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট করে দিব।” [আবূ দাউদ, হাদীস নং ১২৮৯, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
আল্লামা শাওক্বানী রহ. বলেছেন, এ হাদীস দ্বারা আলেমগণ সালাতুদ-দুহার দলীল দিয়ে থাকেন। এখানে চার রাকাত বলতে সালাতুদ-দুহাকেই বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, এ হাদীস দ্বারা ফজরের সুন্নত ও ফরয চার রাকাতের সালাতকেও বুঝায়। কেননা প্রকৃতপক্ষে দিনের প্রথম ভাগে এ সালাতই আদায় করা হয়। তখন এর অর্থ নিম্নোক্ত হাদীস অনুসারে হবে,
“যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল সে সারাদিন আল্লাহর যিম্মায় থাকল।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫৭।]
যাইনুদ্দীন ইরাকী রহ. বলেছেন, এটা নির্ভর করে দিন কি ফজরের উদয় থেকে শুরু হয় নাকি সূর্যোদয় থেকে শুরু হয়? জমহুর আলেমদের মতে, ফজরের উদয় থেকেই দিন শুরু হয়। অতএব, ফজরের উদয় থেকে দিন শুরু ধরে নিলেও সূর্যোদয়ের পরে চার রাকাত সালাত দিনের প্রথম ভাগে ধরে আদায় করলে কোনো অসুবিধা নেই। এটাই মূলত হাদীস বিশারদ ও সমস্ত মানুষের আমল হিসেবে বিবেচিত। তারা এ চার রাকাতকে সালাতুদ-দুহা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। [নাইলুল আওতার, শাওকানী, ৩/৬২।]
“আবূ দারদা ও আবূ যর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার বরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে আল্লাহ তা‘আলা থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “হে আদম সন্তান! তুমি দিনের প্রথমে চার রাকাত সালাত আদায় করলে দিনের শেষ পর্যন্ত তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭৫, তিনি হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন।]
“যে ব্যক্তি চাশতের জোড় সালাতে নিত্য সংরক্ষণ করবে, সমূদ্রের ফেনার মতোও যদি তার গুনাহ হয়, তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৪৬, ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রহ. বলেন, ওয়াকী‘, নাদ্বর ইবন শুমাইল রহ. প্রমূখ হাদীসশাস্ত্রের ইমাম নাহহাস ইবন কাহম রহ. সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। এই হাদীসটি ছাড়া তার অন্য কোনো হাদীস সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।]
আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে সালাতুদ-দুহা আদায় করতেন যে, আমরা বলতাম তিনি হয়ত আর পরিত্যাগ করবেন না। আবার যখন তা আদায় করা থেকে বিরত থাকতেন তখন আমরা বলতাম যে, হয়ত তিনি আর তা আদায় করবেন না।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭৭, তিনি হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন।]
আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সারিয়া (ছোট যুদ্ধাভিযান) প্রেরণ করলেন। তারা দ্রুত বিজয় লাভ করে অনেক গনীমত নিয়ে ফিরে আসেন। ফলে লোকজন নিকটবর্তী অভিযান, অধিক গনীমত লাভ ও দ্রুত প্রত্যাবর্তনের করা বলতে লাগল (এতে তারা আশ্চর্যিত হলো এবং ঈর্ষা করতে লাগল)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও নাতিদীর্ঘ অভিযান, অধিক গনীমত অর্জন ও দ্রুত ফিরে আসার কথা বলে দিবো? যে ব্যক্তি অযু করে মসজিদে গিয়ে দুহার নফল সালাত আদায় করবে, সে এর চেয়েও অতি দ্রুত লাভবান হবে, অধিক গনীমত অর্জন করবে ও দ্রুত প্রত্যাবর্তন করবে।” [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৬৬৩৮। আল্লামা শুয়াইব আরনাউত হাদীসটিকে হাসান লিগাইরিহী বলেছেন।]
“হাদীসে السُّبْحَةَ দ্বারা নফল সালাত উদ্দেশ্য। التَّسْبِيحِ হলো এর মূল। নফল সালাতকে সুবহাহ বলার কারণ হলো, ফরয সালাতে যেসব তাসবীহ পাঠ করা হয় তা মূলত নফল। এ কারণে নফল সালাতকে সুবহাহ বলা হয়। এটা ফরয সালাতের তাসবীহের ন্যায়।” [ফাতহুল বারী, ইবন হাজার আসকালানী, ৩/৫৫-৫৬।]
আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি অযু করে ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ইহরামধারী হাজীর অনুরূপ সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। অপর পক্ষে যে ব্যক্তি কেবল চাশতের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যায় সে উমরাহকারীর ন্যায় সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পর হতে পরের ওয়াক্ত সালাত আদায় করাকালীন সময়ের মধ্যে কোনোরূপ বেহুদা কাজ ও কথাবার্তায় লিপ্ত না হয়, তার আমলনামা সপ্তাকাশে লিপিবদ্ধ হবে। অর্থাৎ সে উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে” [আবূ দাঊদ, হাদীস নং ৫৫৮। আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]
“কেবল আওয়াব তথা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীগণই সালাতুদ-দুহার সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেছেন, সালাতুদ-দুহা হলো আউওয়াবীনের সালাত।” [আল-মুসতাদরাক লিলহাকিম, হাদীস নং ১১৮২। ইমাম হাকিম রহ. বলেন, হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ, তবে বুখারী ও মুসলিম কেউ তাদের কিতাবে উল্লেখ করেন নি।]
আল্লামা আলবানী রহ. বলেছেন, “যারা মাগরিবের পরে ছয় রাকাত সালাত আদায় করাকে সালাতুল আউওয়াবীন বলেন, এ হাদীস তাদের সে দাবী খণ্ডন করে দিয়েছে। আসলে এ ছয় রাকাতের নামের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং প্রকৃতপক্ষে মাগরিবের পরে ছয় রাকাত সালাত সাব্যস্ত নেই।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/94/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।