hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আন-নাসায়ী

২৫. তালাক

سنن النسائي

২৫/ পরিচ্ছেদঃ ইদ্দাতের সুষ্ঠু হিসাবের লক্ষ্যে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌র নির্দেশিত তালাকের সময় প্রসঙ্গ

৩৩৯৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ الْحَكَمِ، قَالَ: سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُهُ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ} [الطلاق: 1] قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহ্‌ তা’আলার বানীঃ (আরবি) সম্পর্কে বর্ণিত যে, ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন (আয়াতে) (আরবি) অর্থাৎ ইদ্দতের পূর্বের সময় হিসাব করে।

৩৩৯১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، قَالَ: سُئِلَ الزُّهْرِيُّ، كَيْفَ الطَّلَاقُ لِلْعِدَّةِ؟ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ: طَلَّقْتُ امْرَأَتِي فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ حَائِضٌ، فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَغَيَّظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: «لِيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ يُمْسِكْهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً وَتَطْهُرَ، فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا، فَذَاكَ الطَّلَاقُ لِلْعِدَّةِ كَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: «فَرَاجَعْتُهَا وَحَسَبْتُ لَهَا التَّطْلِيقَةَ الَّتِي طَلَّقْتُهَا»

আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) হায়াতে থাকাকালে আমি আমার স্ত্রীকে তাঁর হায়য অবস্থায় তালাক দিলাম। উমার (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর নিকট এই ঘটনা আলোচনা করলে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) রাগান্বিত হয়ে বললেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে রাখে। এরপর এক হায়েয হওয়া পযন্ত তাকে তার অবস্থায় রাখবে (সহবাস করবে না) এবং যতক্ষন না সে পবিত্র হবে। এরপর সে যদি তাকে তালাক দিতে চায়, তাহলে তার পাক অবস্থায় তাকে তালাক দেবে---- সহবাস করার পূর্বে। এই তালাক হলো ইদ্দত অনুযায়ী, যেমন মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ নাযিল করেছেন। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ) বলেনঃ আমি তাকে ফিরিয়ে রাখলাম (‘রুজু’ করলাম); আর আমি তাকে যে তালাক দিয়েছিলাম, তাকে এক তালাক হিসাবে গণ্য করলাম।

৩৩৯২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَيْمَنَ، يَسْأَلُ ابْنَ عُمَرَ، وَأَبُو الزُّبَيْرِ يَسْمَعُ: كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا؟ فَقَالَ لَهُ: طَلَّقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَ عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لِيُرَاجِعْهَا» فَرَدَّهَا عَلَيَّ، قَالَ: «إِذَا طَهُرَتْ فَلْيُطَلِّقْ أَوْ لِيُمْسِكْ» قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " {يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ} [الطلاق: 1] فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ "

ইব্‌ন জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমাকে আবূ যূবায়র অবহিত করেছেন যে, তিনি আবদুর রহমান ইব্‌ন আয়মন (রহঃ)-কে ইব্‌ন উমরের নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছেন, আর তখন আবূ যুবায়র (রাঃ) শুনছিলেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে আপনি তা কিরূপ মনে করেন? তিনি তাকে বললেনঃ নবী (সাঃ) –এর যুগে আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ) তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে উমর (রাঃ) (এ ব্যাপারে) রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে রাখে। এ কথা বলে তিনি তা (আমার দেওয়া তালাক) আমাকে রদ করলেন। তিনি বললেনঃ যখন সে পাক হবে, তখন ইচ্ছা হলে তাকে তালাক দেবে; আর না হয় তাকে রেখে দেবে। ইব্‌ন উমার (রাঃ) বলেনঃ এরপর নবী(সাঃ) বললেনঃ (কুরআনের নির্দেশ) (আরবি) অর্থঃ “হে নবী ! যখন তোমরা নারীদের তালাক দিবে তখন তাদের ইদ্দত পালনের পূর্ববর্তী অবস্থা বিবেচনা করে তালাক দিবে।”

৩৩৮৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَاسْتَفْتَى عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَقَالَ: «مُرْ عَبْدَ اللَّهِ فَلْيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ يَدَعْهَا حَتَّى تَطْهُرَ مِنْ حَيْضَتِهَا هَذِهِ، ثُمَّ تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى، فَإِذَا طَهُرَتْ فَإِنْ شَاءَ فَلْيُفَارِقْهَا قَبْلَ أَنْ يُجَامِعَهَا، وَإِنْ شَاءَ فَلْيُمْسِكْهَا، فَإِنَّهَا الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ»

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী ছিল (মাসিক) ঋতুমতী। তখন উমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর নিকট এর সমাধান চাইলেন। তিনি বললেনঃ আবদুল্লাহ্-কে বলে দাও, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় (রাজ’আত করে) এবং হায়েয থেকে পবিত্র না হওয়া পযন্ত তাকে দূরে রাখে (সহবাস না করে)। এরপর সে আবার ঋতুমতী হয়ে হয়ে যখন পবিত্র হবে, তখন সে যদি ইচ্ছা করে তবে তার সাথে সহবাস করার পূর্বেই তাকে তালাক দেবে, আর যদি সে ইচ্ছা করে তাহলে তাকে রেখে দেবে। এটাই তার সে ইদ্দত, যে অনুযায়ী স্ত্রীদের তালাক ব্যাপারে মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা আদেশ করেছেন।

৩৩৯০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لِيُمْسِكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ، ثُمَّ تَحِيضَ، ثُمَّ تَطْهُرَ، ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ بَعْدُ، وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ قَبْلَ أَنْ يَمَسَّ، فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর যুগে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেন। তখন উমর ইবনুল খাওাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর নিকট এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বললেনঃ তাকে বল, যেন তাকে ফিরিয়ে নেয় এবং পাক হওয়া পযন্ত তাকে ( সহবাস না করে ) দূরে রাখে। হায়েযের পর পাক হলে পরে যদি ইচ্ছা করে তাকে রাখবে, আর যদি ইচ্ছা করে তালাক দেবে -- স্পর্শ (সহবাস) করার পূর্বে। এটাই সে ইদ্দত, যে অনুযায়ী মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ তা’আলা স্ত্রীদের তালাক ব্যাপারে আদেশ করেছেন।
২৫/ পরিচ্ছেদঃ সুন্নাত পদ্ধতির তালাক

৩৩৯৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «طَلَاقُ السُّنَّةِ أَنْ يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا فِي غَيْرِ جِمَاعٍ»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ সুন্নত তালাক হলো স্ত্রীকে যে পবিত্রতা (মাসিক না থাকা) অবস্থায় সহবাস করা হয় নি, সে সময় তাকে (স্ত্রীকে) এক তালাক দেয়া।

৩৩৯৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي إِسْحَقَ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ: «طَلَاقُ السُّنَّةِ تَطْلِيقَةٌ وَهِيَ طَاهِرٌ فِي غَيْرِ جِمَاعٍ، فَإِذَا حَاضَتْ وَطَهُرَتْ طَلَّقَهَا أُخْرَى، فَإِذَا حَاضَتْ وَطَهُرَتْ طَلَّقَهَا أُخْرَى، ثُمَّ تَعْتَدُّ بَعْدَ ذَلِكَ بِحَيْضَةٍ» قَالَ الْأَعْمَشُ: سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেছেনঃ সুন্নত তালাক হলো, যে পাক (মাসিক না থাকা) অবস্থায় সহবাস করা হয়নি, তাতে এক তালাক দিবে। এরপর যখন হায়েয হওয়ার পর পাক হয়, তখন তাকে আর এক তালাক দিবে। এরপর যখন সে আবার হায়েয থেকে পাক হয়, তখন আরো এক তালাক দিবে। এরপর সে (এক) হায়েয ইদ্দত পালন করবে। আ’মাশ (রহঃ) বলেনঃ আমি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি এরূপ বললেন।
২৫/ পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর হায়েয অবস্থায় এক তালাক দিলে এর হুকুম কি?

৩৩৯৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى طَلْحَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا، ثُمَّ لِيُطَلِّقْهَا وَهِيَ طَاهِرٌ أَوْ حَامِلٌ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলেন। এই খবর নবী(সাঃ) – এর নিকট পৌছলে তিনি বললেন, তাকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়, এরপর তাকে তালাক দেয় পাক অবস্থায় অথবা গর্ভাবস্থায় (হওয়া স্পষ্টরূপে নিদেশিত হওয়ার পরে)।

৩৩৯৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ «طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَرَدَّهَا عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى طَلَّقَهَا وَهِيَ طَاهِرٌ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) তাকে তার নিকট ফিরিয়ে দেন। পরে তিনি তাকে পাক-পবিত্র অবস্থায় (যথা নিয়মে) তালাক দেন।

৩৩৯৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ تَطْلِيقَةً، فَانْطَلَقَ عُمَرُ فَأَخْبَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُرْ عَبْدَ اللَّهِ فَلْيُرَاجِعْهَا، فَإِذَا اغْتَسَلَتْ فَلْيَتْرُكْهَا حَتَّى تَحِيضَ، فَإِذَا اغْتَسَلَتْ مِنْ حَيْضَتِهَا الْأُخْرَى فَلَا يَمَسَّهَا حَتَّى يُطَلِّقَهَا، فَإِنْ شَاءَ أَنْ يُمْسِكَهَا فَلْيُمْسِكْهَا، فَإِنَّهَا الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি তাঁর স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় এক তালাক দেন। তখন উমর (রাঃ) গিয়ে নবী (সাঃ) – কে এ সংবাদ দিলে তিনি তাকে বললেন, আব্দুল্লাহকে বল, সে যেন তাকে ফিরিয়ে রাখে এবং যখন সে (হায়েয থেকে পবিত্র হয়ে) গোসল করবে, তখন অন্য হায়েয পযন্ত সহবাস করবে না, যখন অন্য হায়েয হতে গোসল করবে, তখন তাকে তালাক দেওয়ার আগে স্পর্শ (সহবাস) করবে না। যদি তাকে রাখতে চায়, তবে রেখে দেবে। এটাই সেই ইদ্দত – মহান মহিয়ান আল্লাহ্‌ পাক যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের তালাক দেয়ার আদেশ করেছেন।

৩৩৯৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَقَالَ: هَلْ تَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا، ثُمَّ يَسْتَقْبِلَ عِدَّتَهَا» فَقُلْتُ لَهُ: فَيَعْتَدُّ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ، فَقَالَ: «مَهْ، أَرَأَيْتَ إِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ»

ইঊনুস ইব্‌ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইব্‌ন উমর(রাঃ)- কে এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম, যে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে চিন? সে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়, তখন উমর (রাঃ) নবী(সাঃ) এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে আদেশ করলেনঃ সে যেন তাকে ফিরিয়ে রাখে এবং এরপর তার ইদ্দতের (সুষ্ঠু ব্যবস্থার) অপেক্ষা করবে। তখন তাকে আমি বললামঃ এই তালাকের জন্য কি ইদ্দত পালন করবে? তিনি বললেনঃ তবে আর কী? সে যদি অক্ষমতা এবং মূর্খতার পরিচয় দেয়, তাহলে তুমি বল তো (কি সে তালাক গণ্য হবে না) ?

৩৪০০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: رَجُلٌ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَقَالَ: أَتَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُهُ، «فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا، ثُمَّ يَسْتَقْبِلَ عِدَّتَهَا» قُلْتُ لَهُ: إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ، أَيَعْتَدُّ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ؟ فَقَالَ: «مَهْ، وَإِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ»

ইঊনুস ইব্‌ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি ইব্‌ন উমর (রাঃ)- কে বললামঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দিয়েছে। তখন তিনি বললেনঃ তুমি কি আবদুল্লাহ ইব্‌ন উমর (রাঃ)-কে চিন, সে তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়, তখন উমর (রাঃ) তার এ বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট আসলে, তিনি তাকে এ নির্দেশ দেন যে, সে যেন তাকে ফিরিয়ে নেয়; এরপর তার ইদ্দতের (যথার্থ সময়ের) অপেক্ষা করে। আমি তাকে বললামঃ যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হায়েয অবস্থায় তালাক দেয়, তখন এই তালাকের জন্যও কি তাকে ইদ্দত পালন করতে হবে? তিনি বললেনঃ তবে আর কী? যদি সে অক্ষমতা এবং মূর্খতার পরিচয় দেয়, তাহলে তুমিই বল (সে কি তালাক গণ্য হবে না) ?
২৫/ পরিচ্ছেদঃ একত্রে তিন তালাক এবং সে বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি

৩৪০৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُطَلَّقَةُ ثَلَاثًا لَيْسَ لَهَا سُكْنَى وَلَا نَفَقَةٌ»

ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

(তিনি বলেন)- তিন তালাকপ্রাপ্তা নারীর কোন খোরপোষ ও বাসস্থান নেই।

৩৪০১

দুর্বল হাদিস
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ مَحْمُودَ بْنَ لَبِيدٍ، قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثَ تَطْلِيقَاتٍ جَمِيعًا، فَقَامَ غَضْبَانًا ثُمَّ قَالَ: «أَيُلْعَبُ بِكِتَابِ اللَّهِ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ؟» حَتَّى قَامَ رَجُلٌ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا أَقْتُلُهُ؟

ইব্‌ন মাখরামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুলাহ (সাঃ)- কে এক ব্যক্তি সম্বন্ধে অবহিত করা হলো, সে তার স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দিয়েছে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে বললেনঃ সে কি আল্লাহর কিতাব নিয়ে খেলা করছে? অথচ আমি তোমাদের মাঝেই রয়েছি। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ্। আমি কি তাকে হত্যা করবো না?

৩৪০৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو وَهُوَ الْأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ: أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ الْمَخْزُومِيَّ طَلَّقَهَا ثَلَاثًا، فَانْطَلَقَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي نَفَرٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ طَلَّقَ فَاطِمَةَ ثَلَاثًا، فَهَلْ لَهَا نَفَقَةٌ؟ فَقَالَ: «لَيْسَ لَهَا نَفَقَةٌ وَلَا سُكْنَى»

আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমার কাছে ফাতিমা বিন্‌ত কায়স (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আবু আমর ইব্‌ন হাফ্‌স মাখযুমী তাকে তিন তালাক দিলে খালিদ ইব্‌ন ওয়ালীদ বনী মাখযুমের একটি ছোট দল নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর নিকট গিয়ে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ্। আবু আমর ইব্‌ন হাফ্‌স (রাঃ) ফাতিমাকে তিন তালাক দিয়েছে, এখন কি সে খোরপোষ পাবে? তখন তিনি বললেনঃ তার জন্য কোন খোরপোষ এবং বাসস্থান নেই।

৩৪০৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْأَحْمَسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الشَّعْبِيُّ، قَالَ: حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ، قَالَتْ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: أَنَا بِنْتُ آلِ خَالِدٍ، وَإِنَّ زَوْجِي فُلَانًا أَرْسَلَ إِلَيَّ بِطَلَاقِي، وَإِنِّي سَأَلْتُ أَهْلَهُ النَّفَقَةَ وَالسُّكْنَى فَأَبَوْا عَلَيَّ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ أَرْسَلَ إِلَيْهَا بِثَلَاثِ تَطْلِيقَاتٍ، قَالَتْ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا النَّفَقَةُ وَالسُّكْنَى لِلْمَرْأَةِ إِذَا كَانَ لِزَوْجِهَا عَلَيْهَا الرَّجْعَةُ»

শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললামঃ আমি আলে-খালিদের কন্যা। আর আমার স্বামী অমুক, আমার নিকট তালাকের খবর পাঠিয়েছে। আমি তার অভিভাবকের নিকট খোরপোষ এবং বাসস্থান চাইলে তারা তা আমাকে দিতে অস্বীকার করেছে। ইয়া রাসুলুল্লাহ্। তারা বললেনঃ সে তার নিকট তিন তালাকের খবর পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ খোরপোষ এবং বাসস্থান স্ত্রীর জন্য ঐ সময় দেওয়া হবে যখন তাকে ফিরিয়ে আনার (রুজ্জ’ কারার) অধিকার স্বামীর থাকে।

৩৪০২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ: أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ فَيَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ: يَا عَاصِمُ، مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عَاصِمٌ لِعُوَيْمِرٍ: لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتَ عَنْهَا، فَقَالَ عُوَيْمِرٌ: وَاللَّهِ لَا أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسْطَ النَّاسِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا، أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ نَزَلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ، فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا» قَالَ سَهْلٌ: فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا فَرَغَ عُوَيْمِرٌ قَالَ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا، فَطَلَّقَهَا ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

সাহ্-ল ইব্‌ন সা’দ সাঈদী তাঁকে অবহিত করেছেন যে, ‘উওয়াইমির ‘আজলানী ‘আসিম ইব্‌ন আদী (রা.) – এর নিকট আগমন করে বললেনঃ হে ‘আসিম। তুমি কি মনে কর, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে কোন ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে সে কি তাকে হত্যা করবে? তা হলে তো লোকেরাও তাকে হত্যা করবে অথবা কি করবে? হে আসিম। তুমি আমার পক্ষ হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) – কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বেশি প্রশ্ন করা অপছন্দ করলেন এবং তাতে দোষারোপ করলেন। রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে যা শুনলেন, তা আসিম (রাঃ) অতিশয় গুরুতর মনে করলেন। আসিম (রাঃ) ঘরে ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) – কে বললেনঃ তুমি তো আমার নিকট কিছু নিয়ে আসোনি, আমি যা জিজ্ঞাসা করেছি, তাতে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) অসন্তুষ্ট হয়েছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর শপথ। আমি রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- কে জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হবো না। এরপর উওয়াইমির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)- এর নিকট আগমন করে জনসমক্ষে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)। আপনি ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে কী বলেন, যে তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন ব্যক্তি দেখতে পায়। সে কি হত্যা করবে, ফলে আপনারাও তাকে হত্যা করবেন অথবা সে কি করবে? তখন রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তোমার এবং তোমার সংগিনীর ব্যাপারে ফয়সালা নাযিল হয়েছে। অতএব তুমি গিয়ে তাকে নিয়ো এসো। সাহল (রাঃ) বলেনঃ এরপর উভয় এসে লি’আন‍১ করলেন। তখন আমি অন্যান্য লোকের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট ছিলাম। যখন উওয়াইমির (রাঃ) লি’আন শেষ করলেন। তখন তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ্। যদি তাকে রাখি, তাহলে (লোকেরা বলবে) আমি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) – এর আদেশ করার পূর্বেই তিনি তাকে তিন তালাক দিলেন।
[১] লি’আন শব্দের অর্থ – একে অপরের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ ও ক্রোধের বদ দু’আ করা। শরীআতের পরিভাষায় স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতা ও যিনার অভিযোগ উত্থাপন করার ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর উভয়কে বিশেষ পদ্ধতিতে শপথ দেয়াকে লি’আন বলা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন