hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে আন-নাসায়ী

২৮. ওয়াসিয়াত

سنن النسائي

২৮/ পরিচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াতে দেরী করা মাকরুহ

৩৬১৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ أَنْ يَبِيتَ لَيْلَتَيْنِ، إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন মুসলমানের উচিত নয় যে, যা তার ওয়াসিয়াত করার ছিল, তাতে ওয়াসিয়াতের ব্যাপারে ওয়াসিয়াতনামা না লিখে দু’রাত অতিবাহিত করা।

৩৬১১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الصَّدَقَةِ أَعْظَمُ أَجْرًا؟ قَالَ: " أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيحٌ شَحِيحٌ تَخْشَى الْفَقْرَ وَتَأْمُلُ الْبَقَاءَ، وَلَا تُمْهِلْ حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ، قُلْتَ: لِفُلَانٍ كَذَا وَقَدْ كَانَ لِفُلَانٍ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কোন্ সাদাকায় সওয়াব বেশি? তিনি বললেন: ঐ সাদাকা, যা তুমি সুস্থ অবস্থায় কর এবং মালের প্রতি তোমার অত্যধিক লালসা থাকে, আর তুমি অভাবগ্রস্ততার ভয় কর এবং তোমার আরও বহুদিন বেঁচে থাকার আশা থাকে। আর সাদাকা করতে এত দেরী করবে না যে, তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়ে যায়। আর তুমি বলবে: এত অমুকের জন্য, অথচ তা তো অমুকের জন্য হয়েই গেছে।

৩৬১২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّكُمْ مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ؟» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا مِنَّا مِنْ أَحَدٍ إِلَّا مَالُهُ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِ وَارِثِهِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اعْلَمُوا أَنَّهُ لَيْسَ مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا مَالُ وَارِثِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ، مَالُكَ مَا قَدَّمْتَ، وَمَالُ وَارِثِكَ مَا أَخَّرْتَ»

আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে আছে যে, যার ওয়ারিসের মাল তার নিকট তার নিজের মাল হতে অধিক প্রিয়? তাঁরা বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার নিকট তার নিজের মাল তার ওয়ারিসের মাল হতে প্রিয় নয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: জেনে রাখ, তোমাদের প্রত্যেকের নিকট তার ওয়ারিসের মাল তার নিজের মাল অপেক্ষা প্রিয়। তোমার মাল তো তা-ই যা তুমি (মৃত্যুর) পূর্বেই পাঠিয়ে দিয়েছ, আর ওয়ারিসের মাল তা-ই যা রেখে তুমি মারা যাও।

৩৬১৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: {أَلْهَاكُمْ التَّكَاثُرُ حَتَّى زُرْتُمِ الْمَقَابِرَ} [التكاثر: 2]، قَالَ: " يَقُولُ ابْنُ آدَمَ: مَالِي مَالِي، وَإِنَّمَا مَالُكَ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ، أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ، أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ "

মুতাররিফ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদের মোহাচ্ছন্ন রাখে, যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। পরে তিনি বললেন: মানুষ (আদম সন্তান) বলে, আমার মাল, আমার মাল। (হে মানুষ!) তোমার মাল তো তা, যা তুমি খেয়ে শেষ করেছ কিংবা যা পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ, অথবা যা তুমি সাদাকা করে কার্যকর করেছ।

৩৬১৪

দুর্বল হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، سَمِعَ أَبَا حَبِيبَةَ الطَّائِيَّ، قَالَ: أَوْصَى رَجُلٌ بِدَنَانِيرَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَسُئِلَ أَبُو الدَّرْدَاءِ، فَحَدَّثَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَثَلُ الَّذِي يُعْتِقُ أَوْ يَتَصَدَّقُ عِنْدَ مَوْتِهِ مَثَلُ الَّذِي يُهْدِي بَعْدَمَا يَشْبَعُ»

আবূ হাবীবা তাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি কিছু দীনার (আলাদা করে) আল্লাহর রাস্তায় দেয়ার ওয়াসিয়াত করলো। এ ব্যাপারে আবূদ্দারদা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করলেন: যে ব্যক্তি মৃত্যুকালে দাসমুক্ত করে অথবা সাদাকা দেয়, তার উদাহরণ এরূপ, যেরূপ কোন ব্যক্তি তৃপ্ত হওয়ার পর হাদিয়া দিয়ে থাকে।

৩৬১৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ، إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ»

ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন মুসলমানের পক্ষে দু'টি রাত্রি এমন অবস্হায় অতিবাহিত করা উচিত নয় যে, কোন বিষয়ে তার ওয়াসিয়াত করার রয়েছে। অথচ তার নিকট তার ওয়াসিয়াতনামা লিখিত নেই।

৩৬১৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَوْلَهُ

আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উক্তি (রুপে) বর্নিত।

৩৬১৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: فَإِنَّ سَالِمًا أَخْبَرَنِي، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَمُرُّ عَلَيْهِ ثَلَاثُ لَيَالٍ، إِلَّا وَعِنْدَهُ وَصِيَّتُهُ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: «مَا مَرَّتْ عَلَيَّ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ، إِلَّا وَعِنْدِي وَصِيَّتِي»

সালিম ইব্‌ন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কোন মুসলমান ব্যাক্তির জন্য এরুপ উচিৎ নয় যে, যার নিকট এমন বস্তু রয়েছে, যার ওয়াসিয়াত করা প্রয়োজন, অথচ সে তিন রাত এভাবে অতিবাহিত করে যে, তার নিকট তার ওয়াসিয়াতনামা না থাকে। আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একথা বলতে শোনার পর থেকে আমার (এমন কোনো সময়) অতিক্রান্ত হয় নি যে, আমার কাছে আমার ওয়াসিয়াত (নামা) ছিল না।

৩৬১৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الْوَزِيرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصَى فِيهِ فَيَبِيتُ ثَلَاثَ لَيَالٍ، إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ عِنْدَهُ مَكْتُوبَةٌ»

সালিম ইব্‌ন আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: কোনো মুসলমানের জন্য উচিৎ নয়, যে বিষয়ে তার ওয়াসিয়াত করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে ওয়াসিয়াতনামা না লিখে সে তিন দিন অতিবাহিত করে।
২৮/ পরিচ্ছেদঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াসিয়াত করেছিলেন কি?

৩৬২১

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُفَضَّلٌ، عَنْ الْأَعْمَشِ، وَأَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا، وَلَا أَوْصَى بِشَيْءٍ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীনার, দিরহাম, বকরি এবং উট কিছুই রেখে যাননি, এবং (তাই) তিনি কোনো কিছুর ওয়াসিয়াতও করেন নি।

৩৬২২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مُصْعَبٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمًا وَلَا دِينَارًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا، وَمَا أَوْصَى»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীনার, দিরহাম, বকরি, উট কিছুই রেখে যাননি, এবং (তাই) তিনি কোনো কিছুর ওয়াসিয়াতও করেন নি।

৩৬২৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْهُذَيْلِ، وَأَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمًا وَلَا دِينَارًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا، وَلَا أَوْصَى» لَمْ يَذْكُرْ جَعْفَرٌ: «دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দিরহাম, দীনার, বকরি, উট কিছুই রেখে যাননি, আর তিনি ওয়াসিয়াতও করেন নি। রাবী জা'ফর (রহঃ) দীনার ও দিরহামের কথা উল্লেখ করেন নি।

৩৬২৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَارِمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَيْسَ عِنْدَهُ أَحَدٌ غَيْرِي» قَالَتْ: «وَدَعَا بِالطَّسْتِ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওফাত বরন করেছেন, তখন তাঁর কাছে আমি ব্যতীত কেউ ছিল না। তিনি (পেশাব করার জন্য) পাত্র চেয়েছিলেন।

৩৬২০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا طَلْحَةُ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي أَوْفَى، أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «لَا» قُلْتُ: كَيْفَ كَتَبَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ الْوَصِيَّةَ؟ قَالَ: «أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ»

তাল্হা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: আমি ইব্‌ন আবূ আওফা(রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি কোনো ওয়াসিয়াত করেছিলেন? তিনি বললেন: না। তিনি [তাল্হা (রাঃ)] বলেন: আমি ইব্‌ন আবূ আওফা(রাঃ)-কে বললাম: তা হলে মুসলমানদের জন্য কিরুপে ওয়াসিয়াতের বিধান করেছেন? তিনি বললেন: তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) আল্লাহ্‌র কিতাব (প্রতিপালন)-এর ওয়াসিয়াত করেছেন।

৩৬২৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَزْهَرُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: يَقُولُونَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «لَقَدْ دَعَا بِالطَّسْتِ لِيَبُولَ فِيهَا، فَانْخَنَثَتْ نَفْسُهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا أَشْعُرُ، فَإِلَى مَنْ أَوْصَى»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: লোকে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাঃ)-কে ওয়াসিয়াত করেছেন। অথচ তাঁর অবস্হা এই ছিল যে, তিনি পেশাব করার জন্য পাত্র চেয়েছিলেন; এর পরেই তিনি ঢলে পড়লেন (ইনতিকাল করেন), যা আমি অনুভব করতেও পারিনি। তাহলে তিনি কার কাছে ওয়াসিয়াত করলেন? তিনি কাউকে ওয়াসিয়াত করেছেন বলে আমার জানা নেই।
২৮/ পরিচ্ছেদঃ সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়াসিয়াত করা প্রসংগে

৩৬২৯

নির্ণীত নয়
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضُ آلِ سَعْدٍ، قَالَ: مَرِضَ سَعْدٌ، فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا»، وَسَاقَ الْحَدِيثَ

সা'দ ইব্‌ন ইবরাহীম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: সা'দ (রাঃ)-এর পরিবারের এক ব্যাক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, সা'দ (রাঃ) অসুস্হ হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে যান। তখন তিনি [সা'দ (রাঃ)] বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি আমার সমস্ত সম্পদ (দান করার) ওয়াসিয়াত করে যাব? তিনি বললেন: না। হাদীসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।

৩৬২৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَرِضْتُ مَرَضًا أَشْفَيْتُ مِنْهُ، فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي مَالًا كَثِيرًا، وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَتِي، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالشَّطْرَ؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالثُّلُثَ؟ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ لَهُمْ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ»

আমর ইব্‌ন সা'দ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নিকটবর্তী হলাম। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসলে আমি বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার অনেক সম্পদ রয়েছে। আমার কন্যা ছাড়া আর কোন ওয়ারিছ নেই। আমি কি আমার মালের দুই-তৃতীয়াংশ সাদাকা করে দেব? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেন: না। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন: হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক। কেননা তুমি যদি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাও, তবে তা তাদেরকে এরুপ অভাবগ্রস্হ অবস্হায় রেখে যাওয়া অপেক্ষা উত্তম যে, আর তারা মানুষের কাছে হাত পেতে (দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে) বেড়াবে।

৩৬২৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَاللَّفْظُ لِأَحْمَدَ قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ: جَاءَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالشَّطْرَ؟ قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالثُّلُثَ؟ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، يَتَكَفَّفُونَ فِي أَيْدِيهِمْ»

সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: আমার মক্কায় থাকাকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার রোগাবস্হায় আমাকে দেখতে আসলেন। আমি বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি ওয়াসিয়াত (আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান) করতে চাই। তিনি বললেন: না। আমি বললাম: অর্ধেক সম্পত্তি? তিনি বললেন: না। আমি বললামঃ তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন: হ্যাঁ, তিনের এক অংশ। আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক। তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাও, এটা উত্তম এ থেকে যে, তুমি তাদেরকে অভাবগ্রস্থ রেখে যাবে। আর তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে বেড়াবে (মানুষের কাছে হাত পাতবে)।

৩৬২৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ وَهُوَ بِمَكَّةَ، وَهُوَ يَكْرَهُ أَنْ يَمُوتَ بِالْأَرْضِ الَّذِي هَاجَرَ مِنْهَا، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ سَعْدَ ابْنَ عَفْرَاءَ» أَوْ «يَرْحَمُ اللَّهُ سَعْدَ ابْنَ عَفْرَاءَ» وَلَمْ يَكُنْ لَهُ إِلَّا ابْنَةٌ وَاحِدَةٌ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا» قُلْتُ: النِّصْفَ، قَالَ: «لَا»، قُلْتُ: فَالثُّلُثَ، قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ»

আমির ইব্‌ন সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: মক্কায় থাকাকালে তিনি যখন রোগাক্রান্ত হন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখতে আসেন। তিনি যে স্হান হতে হিজরত করে গেছেন (মক্কা), সেখানে মৃত্যুবরণ করতে অপছন্দ করতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আল্লাহ্ তা'আলা সা'দ ইব্‌ন আফরাকে রহম করুন। অথবা আল্লাহ্ সা'দ ইব্‌ন আফরাকে রহম করুন। এক কন্যা ব্যাতীত তাঁর [সা'দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর] আর কোন সন্তান ছিল না। তিনি বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি (দান) ওয়াসিয়াত করবো? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: অর্ধেক? তিনি বললেন: না। আমি বললামঃ এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন: হ্যাঁ, তৃতীয়াংশ। আর এক-তৃতীয়াংশও অনেক। যদি তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাও, তবে তাতে তাদেরকে এমন অভাবগ্রস্হ রেখে যাওয়া অপেক্ষা উত্তম যে, তারা মানুষের হাতে যা আছে তা পাওয়ার জন্য হাত পেতে বেড়াবে।

৩৬৩০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْكَبِيرِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا بُكَيْرُ بْنُ مِسْمَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَامِرَ بْنَ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ: أَنَّهُ اشْتَكَى بِمَكَّةَ فَجَاءَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَآهُ سَعْدٌ بَكَى وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَمُوتُ بِالْأَرْضِ الَّتِي هَاجَرْتُ مِنْهَا، قَالَ: «لَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ»، وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: يَعْنِي بِثُلُثَيْهِ؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَنِصْفَهُ، قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَثُلُثَهُ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ بَنِيكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ»

আমির ইব্‌ন সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি মক্কায় অসুস্হ হয়ে পড়েন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখতে আসেন। সা'দ (রাঃ) তাঁকে দেখে কেঁদে দিলেন এবং বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি কি ঐ স্হানেই মারা যাব, যেখান হতে আমি হিজরত করেছি? তিনি বললেন: না, ইন্শা আল্লাহ্। তিনি বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করার ওয়াসিয়াত করে যাব? তিনি বললেন: না। তিনি বললেন: তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন: না। তিনি (সা'দ) বললেন: অর্ধেক? তিনি বললেন: না। তিনি (সা'দ) বললেন তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক। যদি তুমি তোমার ছেলেদেরকে ধনবান রেখে যাও, তবে তা তাদেরকে অভাবগ্রস্হ হয়ে লোকের নিকট হাত পাতা অবস্হায় রেখে যাওয়া অপেক্ষা উত্তম।

৩৬৩২

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَادَهُ فِي مَرَضِهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَالشَّطْرَ؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَالثُّلُثَ؟ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ أَوْ كَبِيرٌ»

সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: তিনি অসুস্হ থাকাবস্হায় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে দেখতে আসেন। তিনি বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি কি আমার সমস্ত মালের জন্য ওয়াসিয়াত করবো? তিনি বললেন: না। তিনি [ সা'দ (রাঃ) ] বললেন: তাহলে অর্ধেক? তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন: না। তিনি [সা'দ (রাঃ)] আবার বললেন: এক-তৃতীয়াংশের? তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) বললেন: এক-তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়াত করতে পার। আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক অথবা বড়।

৩৬৩১

দুর্বল হাদিস
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِي، فَقَالَ: «أَوْصَيْتَ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «بِكَمْ؟» قُلْتُ: بِمَالِي كُلِّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، قَالَ: «فَمَا تَرَكْتَ لِوَلَدِكَ؟» قُلْتُ: هُمْ أَغْنِيَاءُ، قَالَ: «أَوْصِ بِالْعُشْرِ»، فَمَا زَالَ يَقُولُ وَأَقُولُ حَتَّى قَالَ: «أَوْصِ بِالثُّلُثِ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ أَوْ كَبِيرٌ»

সা'দ ইব্‌ন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: আমার অসুস্হতার সময় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখতে আসলেন এবং তিনি বললেন: তুমি কোন ওয়াসিয়াত করেছ কিনা? আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি বললেন: কত? আমি বললাম: আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্‌র রাস্তায় (দান করার ওয়াসিয়াত করেছি)। তিনি বললেন: তুমি তোমার সন্তানের জন্য কি রেখেছ? আমি বললাম: তারা ধনী। তিনি বললেন: এক-দশমাংশ ওয়াসিয়াত কর। এভাবে তিনি বলতে থাকেন; আর আমিও বলতে থাকি। অবশেষে তিনি বললেন: এক-তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়াত কর। আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক অথবা বড়।

৩৬৩৩

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْفَحَّامُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَى سَعْدًا يَعُودُهُ، فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَأُوصِي بِالنِّصْفِ؟ قَالَ: «لَا»، قَالَ: فَأُوصِي بِالثُّلُثِ؟ قَالَ: «نَعَمْ، الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، أَوْ كَبِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ فُقَرَاءَ يَتَكَفَّفُونَ»

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন: সা'দ (রাঃ) অসুস্হ থাকাকালে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে দেখতে যান। তখন সা'দ (রাঃ) তাঁকে বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্। আমি কি আমার সমস্ত মালের দুই-তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়াত করতে পারি? তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বললেন: না। তিনি [সা'দ (রাঃ)] বললেন: তাহলে আমি কি আমার অর্ধেক মালের ওয়াসিয়াত করতে পারি? তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বললেন: না। তিনি [সা'দ (রাঃ)] বললেন: আমি কি এক-তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়াত করতে পারি? তিনি বললেন: হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ। আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক অথবা বড়। আর যদি তুমি তোমার ওয়ারিসদেরকে ধনী রেখে যাও, তবে তা উত্তম হবে এর থেকে যে, তুমি তাদের দরিদ্র অবস্হায় রেখে যাবে, আর তারা (মানুষের কাছে) হাত পাতবে।

৩৬৩৪

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: لَوْ غَضَّ النَّاسُ إِلَى الرُّبُعِ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ أَوْ كَبِيرٌ»

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যদি লোক ওয়াসিয়াত করতে গিয়ে এক-চতুর্থাংশে পর্যন্ত নেমে আসে, তবে তা-ই ঠিক হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তৃতীয়াংশ (ওয়াসিয়াত) করতে পার। আর এক-তৃতীয়াংশই অধিক বা বড়।

৩৬৩৫

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَهُ وَهُوَ مَرِيضٌ، فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ لِي وَلَدٌ إِلَّا ابْنَةٌ وَاحِدَةٌ، فَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا»، قَالَ: فَأُوصِي بِنِصْفِهِ؟ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا»، قَالَ: فَأُوصِي بِثُلُثِهِ؟ قَالَ: «الثُّلُثَ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ»

সা'দ ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর নিকট আগমন করেন, তখন তিনি ছিলেন অসুস্হ। তিনি বললেন: আমার এক কন্যা ব্যাতীত আর কোনো সন্তান নেই। তাই আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি ওয়াসিয়াত (আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান) করতে চাই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: না। তিনি (সা'দ): তা হলে কি অর্ধেকের ওয়াসিয়াত করবো? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: না। তিনি [সা'দ(রাঃ)] বললেন: তাহলে কি এক-তৃতীয়াংশের ওয়াসিয়াত করতে পারি? তিনি (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ, আর এক-তৃতীয়াংশও অধিক।

৩৬৩৬

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ أَبَاهُ اسْتُشْهِدَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ سِتَّ بَنَاتٍ وَتَرَكَ عَلَيْهِ دَيْنًا، فَلَمَّا حَضَرَ جِدَادُ النَّخْلِ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ وَالِدِي اسْتُشْهِدَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ دَيْنًا كَثِيرًا، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ يَرَاكَ الْغُرَمَاءُ. قَالَ: «اذْهَبْ فَبَيْدِرْ كُلَّ تَمْرٍ عَلَى نَاحِيَةٍ»، فَفَعَلْتُ ثُمَّ دَعَوْتُهُ، فَلَمَّا نَظَرُوا إِلَيْهِ كَأَنَّمَا أُغْرُوا بِي تِلْكَ السَّاعَةَ، فَلَمَّا رَأَى مَا يَصْنَعُونَ أَطَافَ حَوْلَ أَعْظَمِهَا بَيْدَرًا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ جَلَسَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «ادْعُ أَصْحَابَكَ»، فَمَا زَالَ يَكِيلُ لَهُمْ حَتَّى أَدَّى اللَّهُ أَمَانَةَ وَالِدِي، وَأَنَا رَاضٍ أَنْ يُؤَدِّيَ اللَّهُ أَمَانَةَ وَالِدِي لَمْ تَنْقُصْ تَمْرَةً وَاحِدَةً

জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন। তিনি ছয়জন কন্যা রেখে যান। আর তিনি তার উপর দেনাও রেখে যান। খেজুর কাটার সময় হলে আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললামঃ আপনি অবগত আছেন যে, আমার পিতা উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, আর তিনি বহু দেনা রেখে গিয়েছেন। আমার মনে চায় যে, পাওনাদাররা যেন আপনাকে দেখে। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) জাবির (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি গিয়ে প্রত্যেক প্রকারের খেজুরের পৃথক পৃথক স্তুপ লাগাও। আমি তা সম্পন্ন করে তাঁকে ডেকে আনলাম। যখন তাঁরা তাঁকে দেখল, তখন তারা যেন আমার প্রতি ঐ মুহূর্তে ক্ষুব্ধ হয়ে গেল। যখন (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) তাদের এ অবস্থা লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি সর্ববৃহৎ স্তূপের চারদিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করলেন এবং পরে এর উপর বসে পড়লেন। এরপর বললেনঃ তোমার সেই লোকদেরকে ডাক। এরপরে তিনি তাদেরকে পাত্র দ্বারা মেপে মেপে দিতে আরম্ভ করলেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্‌ তা’আলা আমার পিতার আমানত (সমস্ত দেনা) আদায় করে দিলেন। আর সেখান থেকে একটা খেজুরও কমলো না। আমি শুধু চেয়েছিলাম যে, আল্লাহ্‌ তা’আলা আমার পিতার দেনা পরিশোধ করে দেন।
২৮/ পরিচ্ছেদঃ মীরাসের পূর্বে কর্জ পরিশোধ করা এবং এ বিষয়ে জাবির (রাঃ)-এর হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে বর্ণনা বিরোধ

৩৬৩৭

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ وَهُوَ الْأَزْرَقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ: أَنَّ أَبَاهُ تُوُفِّيَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبِي تُوُفِّيَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ، وَلَمْ يَتْرُكْ إِلَّا مَا يُخْرِجُ نَخْلُهُ، وَلَا يَبْلُغُ مَا يُخْرِجُ نَخْلُهُ مَا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ دُونَ سِنِينَ، فَانْطَلِقْ مَعِي يَا رَسُولَ اللَّهِ لِكَيْ لَا يُفْحِشَ عَلَيَّ الْغُرَّامُ، «فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدُورُ بَيْدَرًا بَيْدَرًا فَسَلَّمَ حَوْلَهُ وَدَعَا لَهُ ثُمَّ جَلَسَ عَلَيْهِ، وَدَعَا الْغُرَّامَ فَأَوْفَاهُمْ، وَبَقِيَ مِثْلُ مَا أَخَذُوا»

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁর পিতা বহু কর্জ রেখে ইনতিকাল করেন। (তিনি বলেন) আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললামঃ আমার পিতা কর্জ রেখে ইনতিকাল করেছেন, আর তিনি তার খেজুর বাগানের উৎপাদন ব্যতীত আর কিছুই রেখে যাননি। আর এর উৎপাদন এমন যে, তাতে কয়েক বছর না মিলালে কর্জ আদায় হবে না। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার সঙ্গে চলুন, যাতে পাওনাদাররা আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার না করে। এ কথায় রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সঙ্গে আসলেন এবং প্রত্যেক স্তূপের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে লাগলেন। তিনি প্রত্যেকটির নিকট গিয়ে সালাম করলেন এবং দু’আ করলেন, এর উপর বসলেন। আর তিনি পাওনাদারদের ডেকে তাদের পাওনা পরিশোধ করতে শুরু করলেন এবং তাদের দেনা পরিশোধ করে দিলেন। আর সে পরিমান অবশিষ্ট রইল, যে পরিমান তারা নিয়ে গিয়েছিল।

৩৬৩৯

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ حَرَمِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: كَانَ لِيَهُودِيٍّ عَلَى أَبِي تَمْرٌ، فَقُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ حَدِيقَتَيْنِ، وَتَمْرُ الْيَهُودِيِّ يَسْتَوْعِبُ مَا فِي الْحَدِيقَتَيْنِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ لَكَ أَنْ تَأْخُذَ الْعَامَ نِصْفَهُ وَتُؤَخِّرَ نِصْفَهُ؟» فَأَبَى الْيَهُودِيُّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ لَكَ أَنْ تَأْخُذَ الْجِدَادَ؟» فَآذِنِّي فَآذَنْتُهُ، فَجَاءَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ فَجَعَلَ يُجَدُّ وَيُكَالُ مِنْ أَسْفَلِ النَّخْلِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو بِالْبَرَكَةِ حَتَّى وَفَيْنَاهُ جَمِيعَ حَقِّهِ مِنْ أَصْغَرِ الْحَدِيقَتَيْنِ - فِيمَا يَحْسِبُ عَمَّارٌ - ثُمَّ أَتَيْتُهُمْ بِرُطَبٍ وَمَاءٍ فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا، ثُمَّ قَالَ: «هَذَا مِنَ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ»

জাবির ইৱ্‌ন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমার পিতা এক ইয়াহুদি হতে খেজুর ধার নিয়েছিলেন। তার দেনা আদায় না হতেই তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন এবং দু’টি বাগান রেখে যান। ইয়াহুদির (পাওনা) খেজুর দুই বাগানের সব ফলকে পূর্ণরূপে গ্রাস করে ফেলেছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহুদিকে বললেনঃ তুমি কি এরূপ করতে পার যে, তোমার খেজুরের অর্ধেক এ বছর এবং বাকি অর্ধেক আগামী বছর নিবে? ইয়াহুদি এতে অস্বীকৃত জানালো। তিনি জাবির (রাঃ)-কে বললেনঃ তুমি খেজুর কাটার সময় আমাকে সংবাদ দিতে পারবে? আমি খেজুর কাটার সময় তাঁকে খবর দিলাম। তিনি আবু বকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে আসলেন এবং খেজুরের নিচের দিক হতে মেপে মেপে ও কেটে দেওয়া শুরু করা হল। রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বরকতের জন্য দু’আ করতে থাকলেন। ফলে তার সমস্ত পাওনা (আম্বারের বর্ণনা অনুসারে) আমাদের ছোট বাগানের খেজুর দ্বারাই আদায় হয়ে গেল। (আর বড় বাগান এমনই রয়ে গেল), জাবির (রাঃ) বলেনঃ পরে আমি তাঁদের নিকট তাজা খেজুর এবং পানি পেশ করলাম। (সকলের পানাহার শেষ হলে) পরে তিনি (রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সালাম)) বললেনঃ এগুলো সেই নিয়ামত, যে সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।

৩৬৩৮

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ، قَالَ: وَتَرَكَ دَيْنًا فَاسْتَشْفَعْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى غُرَمَائِهِ أَنْ يَضَعُوا مِنْ دَيْنِهِ شَيْئًا، فَطَلَبَ إِلَيْهِمْ فَأَبَوْا، فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اذْهَبْ فَصَنِّفْ تَمْرَكَ أَصْنَافًا، الْعَجْوَةَ عَلَى حِدَةٍ، وَعِذْقَ ابْنِ زَيْدٍ عَلَى حِدَةٍ، وَأَصْنَافَهُ ثُمَّ ابْعَثْ إِلَيَّ»، قَالَ: فَفَعَلْتُ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ فِي أَعْلَاهُ أَوْ فِي أَوْسَطِهِ، ثُمَّ قَالَ: «كِلْ لِلْقَوْمِ»، قَالَ: فَكِلْتُ لَهُمْ حَتَّى أَوْفَيْتُهُمْ، ثُمَّ بَقِيَ تَمْرِي كَأَنْ لَمْ يَنْقُصْ مِنْهُ شَيْءٌ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইৱ্‌ন আমর ইৱ্‌ন হারাম (রাঃ) ইনতিকাল করেন। তিনি দেনা রেখে যান। আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পাওনাদারদের কাছে এ মর্মে সুপারিশ করার আবেদন করলাম যাতে তারা তার (পিতার) কিছু ঋণ কমিয়ে দেয়। তিনি তাদের কাছে (তা) দাবী করলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বল্লেনঃ হে জাবির! তুমি চলে যাও এবং প্রত্যেক প্রকার খেজুর পৃথক করে ফেল অর্থাৎ আজওয়া পৃথক কর এবং ‘ইযক ইব্‌ন যায়দ পৃথক করে রাখ। এভাবে অন্যান্য প্রকারকে (পৃথক কর)। পরে আমার নিকট লোক পাঠাবে। জাবির (রাঃ) বলেনঃ আমি (রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথামত) কাজ করলাম। পরে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে সর্বোচ্চ স্তূপের উপর অথবা মধ্যম স্তূপের উপর বসে বললেনঃ লোকদেরকে মেপে দিতে থাক। তিনি [জাবির (রাঃ)] বলেনঃ আমি তাদেরকে মেপে দিতে লাগলাম এবং এভাবে তাদের পাওনা পরিশোধ করে দিলাম। আমার খেজুর অবশিষ্ট রইলো। মনে হলো যে, তা হতে কিছুই কমেনি।

৩৬৪০

সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: تُوُفِّيَ أَبِي وَعَلَيْهِ دَيْنٌ، فَعَرَضْتُ عَلَى غُرَمَائِهِ أَنْ يَأْخُذُوا الثَّمَرَةَ بِمَا عَلَيْهِ فَأَبَوْا، وَلَمْ يَرَوْا فِيهِ وَفَاءً، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، قَالَ: «إِذَا جَدَدْتَهُ فَوَضَعْتَهُ فِي الْمِرْبَدِ فَآذِنِّي»، فَلَمَّا جَدَدْتُهُ وَوَضَعْتُهُ فِي الْمِرْبَدِ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَدَعَا بِالْبَرَكَةِ، ثُمَّ قَالَ: «ادْعُ غُرَمَاءَكَ فَأَوْفِهِمْ»، قَالَ: فَمَا تَرَكْتُ أَحَدًا لَهُ عَلَى أَبِي دَيْنٌ إِلَّا قَضَيْتُهُ، وَفَضَلَ لِي ثَلَاثَةَ عَشَرَ وَسْقًا، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَضَحِكَ وَقَالَ: «ائْتِ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ، فَأَخْبِرْهُمَا ذَلِكَ»، فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُمَا، فَقَالَا: قَدْ عَلِمْنَا إِذْ صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا صَنَعَ أَنَّهُ سَيَكُونُ ذَلِكَ

জাবির ইৱ্‌ন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমার পিতা মারা যান এবং তাঁর উপর দেনা থেকে যায়। আমি আমার পিতার পাওনাদারদের ডেকে বললামঃ তারা যেন তার দেনার বিনিময়ে এই খেজুর নিয়ে নেয়। কিন্তু তারা তা অস্বীকার করল। কেননা, তারা তাতে পরিশোধ দেখতে পেল না (তাদের কাছে খেজুরের পরিমান কম মনে হল)। জাবির (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে একথা বললাম। তিনি বললেনঃ তুমি যখন খেজুর কাটবে এবং উঠানে স্তূপকৃত করবে, তখন আমাকে সংবাদ দেবে। জাবির (রাঃ) বলেনঃ আমি খেজুর কেটে উঠানে রেখে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আবু বকর এবং উমর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে আসলেন। তিনি এসে তার উপর বসে পরলেন এবং বরকতের জন্য দু’আ করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি তোমার পাওনাদারদের ডেকে আন এবং তাদের পাওনা দিয়ে দাও। তিনি [জাবির (রাঃ)] বলেন, আমার পিতার কাছে যাদের পাওনা ছিল, তাদের সকলের পাওনা আদায় করে দিলাম, কারো পাওনা অবশিষ্ট রইলো না; বরং তের ওসাক[১] (খেজুর) অবশিষ্ট থেকে গেল। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই সংবাদ দিলে তিনি শুনে হাসলেন এবং বললেনঃ যাও তুমি আবু বকর এবং উমরকেও এ খবর দাও। আমি তাঁদের কাছে গিয়ে এ খবর দিলে তারা বললেনঃ আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করলেন, তার ফল এটাই হবে।
[১] এক ওসাক হল- ষাট সা’ এবং এক সা’ হল তিন সের এগার ছটাক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন