রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত হাসান এবং হুসায়নের পক্ষে আকীকা করেন।

তাঁর পিতার মাধ্যমে, তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আকীকা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আল্লাহ্‌ তা‘আলা মাতাপিতার অবাধ্যতাকে পছন্দ করেন না, যেন তিনি এই (আকীকা) [১] নামকে অপছন্দ করলেন ঐ ব্যক্তি আরয করলোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি আপনার নিকট জিজ্ঞাসা করছি, কারো সন্তান হলে সন্তানের পক্ষ হতে যা যবেহ করা হয় সেই বিষয়ে। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি স্বীয় সন্তানের পক্ষ হতে যবেহ করতে ইচ্ছে করে, সে যেন ছেলে সন্তানের পক্ষ হতে দু’টি বকরী যবেহ করে একই ধরনের এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ হতে একটি বকরী যবেহ করে। রাবী দাউদ (রহঃ) বলেনঃ আমি যায়দ ইব্‌ন আসলাম (রহঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, এক প্রকার অর্থ কি? তিনি বললেনঃ দেখতে যেন একই প্রকার হয়, একত্রে যবেহ করা হয়।

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে আকীকা আছে। কাজেই তার জন্য যবেহ করবে এবং তার মাথা মুণ্ডন করবে।

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের জন্য দু’টি বকরী যা একই প্রকার হবে এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী যবেহ করতে হবে।

তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ছেলে সন্তানের আকীকায় দু’টি বকরী একই রকমের, কন্যা সন্তানের আকীকায় একটি বকরী যবেহ করতে হবে।

তিনি বলেনঃ আমি হুদায়বিয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট কুরবানীর জন্তুর গোশ্ত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্য উপস্থিত হই। তখন আমি তাঁকে বলতে শুনিঃ পুত্র সন্তানের পক্ষ হতে আকীকার জন্য দু’টি বকরী, আর কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী তা নর হোক বা মাদী, যবেহ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ পুত্র সন্তানের জন্য দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের জন্য একটি বকরী যবেহ করতে হবে, তা নর হোক বা মাদী।

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান এবং হুসায়নের আকীকায় দু’টি করে বকরী যবেহ করেন।