hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রিয়াদুস সলেহিন

১৮. নিষিদ্ধ বিষয়াবলী

رياض الصالحين

১৮/ পরিচ্ছেদঃ গীবত (পরনিন্দা) নিষিদ্ধ এবং বাক্ সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব

১৫২০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي مُوسَى رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ المُسْلمِينَ أَفْضَلُ ؟ قَالَ: «مَنْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ». متفق عَلَيْهِ

আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! সর্বোত্তম মুসলিম কে?’ তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।”
(সহীহুল বুখারী ১১, মুসলিম ৪২, তিরমিযী ২৫০৪, ২৬২৮, নাসায়ী ৪৯৯৯)

১৫১৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْراً أَوْ لِيَصْمُتْ». متفق عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।”
(সহীহুল বুখারী ৬০১৮, ৩৩৩১, ৫১৮৬, ৬১৩৬, ৬১৩৮, ৬৪৭৫, মুসলিম ৪৭, ১৪৬৮, তিরমিযী ১১৮৮, আহমাদ ৭৫৭১, ৯২৪০, ৯৩১২, ৯৫০৩, ১০০৭১, ১০৪৭৫, দারেমী ২২২২)

১৫২১

সহিহ হাদিস
وَعَنْ سَهْلِ بنِ سَعدٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الجَنَّةَ». متفق عَلَيْهِ

সাহ্ল ইবনে সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।”
(সহীহুল বুখারী ৬৪৭৪, ৬৮০৭, তিরমিযী ২৪০৮, আহমাদ ২২৩১৬)

১৫২২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّه سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «إنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيهَا يَزِلُّ بِهَا إِلَى النَّارِ أَبْعَدَ مِمَّا بَيْنَ المَشْرِقِ وَالمَغْرِبِ». متفق عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, “মানুষ চিন্তা-ভাবনা না ক‘রে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার দ্বারা তার পদস্খলন ঘটে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকে বেশি দূরত্ব দোযখে গিয়ে পতিত হয়।”
(সহীহুল বুখারী ৬৪৭৭, ৬৪৭৮, মুসলিম ২৯৮৮, তিরমিযী ২৩১৪, আহমাদ ৭১৭৪, ৭৮৯৮, ৮২০৬, ৮৪৪৪, ৮৭০৩, ৮৯৬৭, ১০৫১৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৯৪)

১৫২৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ الله تَعَالَى مَا يُلْقِي لَهَا بَالاً يَرْفَعُهُ اللهُ بِهَا دَرَجَاتٍ، وَإِنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلَمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ تَعَالَى لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَهْوِيْ بِهَا فِي جَهَنَّمَ». رواه البخاري

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বান্দা আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষজনক এমন কথা অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলে, যার ফলে আল্লাহ তার মর্যাদা উন্নীত ক‘রে দেন। আবার কখনো বান্দা অন্যমনস্ক হয়ে আল্লাহর অসন্তোষজনক এমন কথা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামে গিয়ে পতিত হয়।”
(সহীহুল বুখারী ৬৪৭৭, ৬৪৭৮, মুসলিম ২৯৮৮, তিরমিযী ২৩১৪, আহমাদ ৭১৭৪, ৭৮৯৮, ৮২০৬, ৮৪৪৪, ৮৭০৩, ৮৯৬৭, ১০৫১৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৯৪)

১৫২৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي عَبدِ الرَّحْمَانِ بِلاَلِ بنِ الحَارِثِ المُزَنِيِّ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ تَعَالَى مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ اللهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَومِ يَلْقَاهُ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ الله لَهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ». رواه مالك في المُوَطَّأ، والترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح

আবূ আব্দুর রহমান বিলাল ইবনে হারেস মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “মানুষ আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। পক্ষান্তরে মানুষ আল্লাহ তা‘আলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”
(মুঅত্তা মালেক, তিরমিযী, হাসান সহীহ) (তিরমিযী ২৩১৯, ৩৯৬৯, আহমাদ ১৫৪২৫, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৪৮ )

১৫২৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ سُفيَانَ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدِّثنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ: قلْ: رَبِّيَ اللهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ» قُلْتُ: يَا رَسُول اللهِ، مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ ؟ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هَذَا» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

সুফ্য়ান ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন কথা বাত্লে দিন, যা মজবুত-ভাবে ধরে রাখব।’ তিনি বললেন, “তুমি বল, আমার রব আল্লাহ, অতঃপর তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।” আমি পুনরায় নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্য আপনি কোন্ জিনিসকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন?’ তিনি স্বীয় জিহ্বাকে (স্বহস্তে) ধারণ-পূর্বক বললেন, “এটাকে।”
(মুসলিম ৩৮, তিরমিযী ২৪১০, ইবনু মাজাহ ৩৯৭২, আহমাদ ১৪৯৯০, ১৮৯৩৮, দারেমী ২৭১০)

১৫২৬

দুর্বল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لَا تُكْثِرُوْا الْكَلَامَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللهِ، فَإِنَّ كَثْرَةَ الْكَلَامِ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّه تَعَالىٰ قَسْوَةٌ لِلْقَلْبِ، وَإِنَّ أبْعَدَ النَّاسِ مِنَ اللهِ القَلْبُ القَاسِي» . رواه الترمذي .

আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহর যিকর ভিন্ন অধিক কথা বলো না। কেননা আল্লাহ তা‘আলার যিকর শূন্য অধিক কথা বার্তা অন্তরকে শক্ত করে ফেলে আর শক্ত অন্তরের লোক আল্লাহ থেকে সবচাইতে দূরে।
(তিরমিযি) (আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি এরূপই বলেছেন। অথচ এর সনদে ইবরাহীম ইবনু আব্দিল্লাহ্ ইবনে হাতেব রয়েছেন তিনি মাজহূল হাল। তাকে ইবনু হিববান তার নীতি অনুযায়ী নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন আর শাইখ আহমাদ শাকের এর দ্বারা অভ্যাসগতভাবে বিভ্রান্ত হয়ে হাদীসটিকে সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন। আর হাদীসটিকে ইমাম মালেক ঈসা (আ) হতে পৌঁছেছে এ কথা বলে বর্ণনা করেছেন। সে ব্যাপারে আমি “য‘ঈফা” গ্রন্থে (নং ৯২০) বিস্তারিত আলোচনা করেছি।)

১৫২৭

হাসান হাদিস
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «مَنْ وَقَاهُ اللهُ شَرَّ مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ، وَشَرَّ مَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ دَخَلَ الجَنَّةَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু’পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান) এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
(তিরমিযী হাসান) (তিরমিযী ২৪০৯)

১৫২৮

হাসান হাদিস
وَعَنْ عُقبَةَ بنِ عَامرٍ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ: «أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ، وابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

উক্ববাহ ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! কিসে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?’ তিনি বললেন, “তুমি নিজ রসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ, অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর।) আর নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন কর।”
(তিরমিযী হাসান) (তিরমিযী ২৪০৬)

১৫২৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا أَصْبَحَ ابْنُ آدَمَ، فَإِنَّ الأَعْضَاءَ كُلَّهَا تَكْفُرُ اللِّسانَ، تَقُولُ: اتَّقِ اللهَ فِينَا، فَإِنَّما نَحنُ بِكَ ؛ فَإِنِ اسْتَقَمْتَ اسْتَقَمْنَا، وَإِنِ اعْوَجَجْتَ اعْوَجَجْنَا» . رواه الترمذي

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয়, তখন তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিভকে অত্যন্ত বিনীতভাবে নিবেদন করে যে, ‘তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ, আমাদের ব্যাপারসমূহ তোমার সাথেই সম্পৃক্ত। যদি তুমি সোজা সরল থাক, তাহলে আমরাও সোজা-সরল থাকব। আর যদি তুমি বক্রতা অবলম্বন কর, তাহলে আমরাও বেঁকে বসব।”
(তিরমিযী ২৪০৭, আহমাদ ১১৪৯৮)

১৫৩১

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ ؟» قَالُوا: اَللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ: أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُوْلُ فَقَدْ بَهَتَّهُ». رواه مسلم

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তোমরা কি জান, গীবত কাকে বলে?” লোকেরা বলল, ‘আল্লাহ ও তাঁর রসূল অধিক জানেন।’ তিনি বললেন, “তোমার ভাই যা অপছন্দ করে, তাই তার পশ্চাতে আলোচনা করা।” বলা হল, ‘আমি যা বলি, তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার রায় কি? (সেটাও কি গীবত হবে?)’ তিনি বললেন, “তুমি যা (সমালোচনা ক‘রে) বললে, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তার গীবত করলে। আর তুমি যা (সমালোচনা ক‘রে) বললে, তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তাকে অপবাদ দিলে।”
(মুসলিম ২৫৮৯, তিরমিযী ১৯৩৪, আবূ দাউদ ৪৮৭৪, আহমাদ ৭১০৬, ৮৭৫৯, ২৭৪৭৩, ৯৫৮৬, দারেমী ২৭১৪)

১৫৩০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ مُعَاذٍ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَخْبِرْني بِعَمَلٍ يُدْخِلُني الجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ ؟ قَالَ: «لَقَدْ سَأَلتَ عَنْ عَظِيمٍ، وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ: تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤتِي الزَّكَاةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ، وَتَحُجُّ البَيْتَ» ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الخَيْرِ ؟ الصَّوْمُ جُنَّةٌ، وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ المَاءُ النَّارَ، وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ» ثُمَّ تَلاَ: ﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ ﴾ حَتَّى بَلَغَ ﴿ يَعۡمَلُونَ ﴾ [السجدة: ١٦، ١٧] ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ، وَعَمُودِهِ، وَذِرْوَةِ سِنَامِهِ» قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «رَأسُ الأمْرِ الإسْلامُ، وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ، وَذِرْوَةِ سِنَامِهِ الجِهادُ» ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمِلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ !» قُلْتُ: بلَى يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ وَقَالَ: «كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُوْنَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ ؟ فَقَالَ: «ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ! وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ ؟». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

মুআয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল বাত্লে দেন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।’ তিনি বললেন, “তুমি বিরাট (কঠিন) কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে। তবে এটা তার পক্ষে সহজ হবে, যার পক্ষে মহান আল্লাহ সহজ ক‘রে দেবেন। (আর তা হচ্ছে এই যে,) তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার কোন অংশী স্থাপন করবে না। নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে, মাহে রমযানের রোযা পালন করবে এবং কাবা গৃহের হজ্জ পালন করবে।” পুনরায় তিনি বললেন, “তোমাকে কল্যাণের দ্বারসমূহ বাতলে দেব না কি? রোযা ঢাল স্বরূপ, সদকাহ গুনাহ নিশ্চিহ্ন করে; যেমন পানি আগুনকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। আর মধ্য রাত্রিতে মানুষের নামায।” অতঃপর তিনি এই আয়াত দু’টি পড়লেন- যার অর্থ, “তারা শয্যা ত্যাগ করে, আশায় বুক বেধেঁ এবং আশংকায় ভীতি-বিহ্বল হয়ে তাদের প্রতিপালককে আহ্বান করে এবং আমি তাদেরকে যে সব জীবিকা দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় ক‘রে থাকে। তাদের সৎকর্মের পুরস্কার স্বরূপ তাদের জন্য নয়ন-প্রীতিকর যা কিছু লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, কেউ তা অবগত নয়।” (সূরা সেজদা ১৬-১৭ আয়াত) তারপর বললেন, “আমি তোমাকে সব বিষয়ের (দ্বীনের) মস্তক, তার খুঁটি, তার উচ্চতম চূড়া বাতলে দেব না কি?” আমি বললাম, ‘অবশ্যই বাতলে দিন, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, “বিষয়ের মস্তক হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার উচ্চতম চূড়া হচ্ছে জিহাদ।” পুনরায় তিনি প্রশ্ন করলেন, “আমি তোমাকে সে সবের মূল সম্বন্ধে বলে দেব না কি?” আমি বললাম, ‘অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রসূল!’ তখন তিনি নিজ জিভটিকে ধরে বললেন, “তোমার মধ্যে এটিকে সংযত রাখ।” মু‘আয বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা যে কথা বলি তাতেও কি আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে?’ তিনি বললেন, “তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক হে মুআয! মানুষকে তাদের নিজেদের জিভ-ঘটিত পাপ ছাড়া অন্য কিছু কি তাদের মুখ থুবড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে?”
(তিরমিযী, হাসান সহীহ) (তিরমিযী ২৬১৬, মা ৩৯৭৩, আহমাদ ২১৫১১, ২১৫৪২, ২১৫৬৩, ২১৬১৭)

১৫৩২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي بَكْرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي خُطْبَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ بِمِنًى فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ: «إِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ». متفق عَلَيْهِ

আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায়ী হজ্জে মিনায় ভাষণ দানকালে বলেছেন, “নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল এবং তোমাদের স‎ম্ভ্রম তোমাদের (আপসের মধ্যে) এ রকমই হারাম, যেমন তোমাদের এ দিনের সম্মান তোমাদের এ মাসে এবং তোমাদের এ শহরে রয়েছে। শোন! আমি কি পৌঁছে দিলাম?”
(সহীহুল বুখারী ৬৭, ১০৫, ১৪৪১, ৩১৯৭, ৪৪০৬, ৪৬৬২, ৫৫৫০, ৭০৭৮, ৭৪৪৭, মুসলিম ১৬৭৯, ইবনু মাজাহ ২৩৩, আহমাদ ১৯৮৭৩, ১৯৮৯৪, ১৯৯৩৬, ১৯৯৮৫, দারেমী ১৯১৬)

১৫৩৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قُلْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم: حَسْبُكَ مِنْ صَفِيَّةَ كَذَا وَكَذَا . قَالَ بَعْضُ الرُّوَاةِ: تَعْنِي قَصِيرَةً، فقالَ: «لَقَدْ قُلْتِ كَلِمَةً لَوْ مُزِجَتْ بِمَاءِ البَحْرِ لَمَزَجَتْهُ!» قَالَتْ: وَحَكَيْتُ لَهُ إِنْسَاناً فَقَالَ: «مَا أُحِبُّ أنِّي حَكَيْتُ إِنْسَاناً وَإِنَّ لِي كَذَا وَكَذَا». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বললাম, ‘আপনার জন্য সাফিয়ার এই এই হওয়া যথেষ্ট।’ (কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সাফিয়া বেঁটে।) এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (আমাকে) বললেন, “তুমি এমন কথা বললে, যদি তা সমুদ্রের পানিতে মিশানো হয়, তাহলে তার স্বাদ পরিবর্তন করে দেবে!”
আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা তাঁর নিকট একটি লোকের পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করলাম। তিনি বললেন, “কোন ব্যক্তির পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করি আর তার বিনিময়ে এত এত পরিমাণ ধনপ্রাপ্ত হই, এটা আমি আদৌ পছন্দ করি না।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান সহীহ) (আবূ দাউদ ৪৮৭৫, তিরমিযী ২৫০২, আহমাদ ২৫০৩২)
مَزَجَته এর ভাবার্থ হল, তার সাংঘাতিক দুর্গন্ধ ও নিকৃষ্টতার কারণে সমুদ্রের পানিতে মিশে তার স্বাদ অথবা গন্ধ পরিবর্তন ক‘রে দেয়। এই উপমাটি গীবত নিষিদ্ধ হওয়া ও তা থেকে সতর্কীকরণের ব্যাপারে অত্যন্ত প্রভাবশালী ও পরিণত বাক্য।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

অর্থাৎ, (আমার নবী) মনগড়া কথা বলে না, (সে যা কিছু বলে) তা প্রত্যাদেশকৃত অহী ব্যতীত আর কিছুই নয়। (সূরা নাজ্ম ৩-৪ আয়াত)

১৫৩৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنسٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لَمَّا عُرِجَ بي مَرَرْتُ بِقَومٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبرِيلُ؟ قَالَ: هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأكُلُوْنَ لُحُومَ النَّاسِ، وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ !» . رواه أَبُو داود

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যখন আমাকে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হল, সে সময় এমন ধরনের কিছু মানুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামার, তা দিয়ে তারা নিজেদের মুখমণ্ডল খামচে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি, প্রশ্ন করলাম, ওরা কারা? হে জিব্রীল! তিনি বললেন, ওরা সেই লোক, যারা মানুষের মাংস ভক্ষণ করত ও তাদের সম্ভ্রম লুটে বেড়াত।”
(সহীহুল বুখারী ৬৫৮১, ৭৫১৭, আবূ দাউদ ৪৭৪৮, ৪৮৭৮)

১৫৩৫

সহিহ হাদিস
. وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «كُلُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ حَرَامٌ: دَمُهُ وَعِرْضُهُ وَمَالُهُ» . رواه مسلم

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ অন্য মুসলিমের উপর হারাম।”
(সহীহুল বুখারী ৫১৪৪, ৬০৬৬, মুসলিম ২৫৬৩, ২৫৬৪, তিরমিযী ১১৩৪, ১৯৮৮, নাসায়ী ৩২৩৯, ৪৪৯৬, ৪৫০৬, ৪৫০৭, ৪৫০৮, আবূ দাউদ ৩৪৩৮, ৩৪৪৩, ৪৯১৭, ইবনু মাজাহ ১৮৬৭, ২১৭২, ২১৭৪, আহমাদ ৭৬৭০, ৭৮১৫, ৮০৩৯, ২৭৩৩৪, ১০৫৬৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৩৯১, ১৬৮৪)
১৮/ পরিচ্ছেদঃ গীবতে (পরচর্চায়) অংশগ্রহণ করা হারাম। যার নিকট গীবত করা হয় তার উচিত গীবতকারীর তীব্র প্রতিবাদ করা এবং তার সমর্থন না করা। আর তাতে সক্ষম না হলে স‎ম্ভব হলে উক্ত সভা ত্যাগ করে চলে যাওয়া

১৫৩৬

হাসান হাদিস
وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ رَدَّ عَنْ عِرْضِ أَخِيهِ، رَدَّ اللهُ عَنْ وَجْهِهِ النَّارَ يَومَ القيَامَةِ» . رواه الترمذي، وقال :[ حديث حسن ]

আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করবে, কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তা'আলা জাহান্নামের আগুন থেকে তার চেহারাকে রক্ষা করবেন।’’
(তিরমিযী- হাসান) (তিরমিযী ১৯৩১, আহমাদ ২৬৯৮৮, ২৬৯৯৫)

১৫৩৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عِتبَانَ بنِ مَالكٍ رضي الله عنه فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ المَشْهُورِ الَّذِيْ تَقَدَّمَ فِي بَابِ الرَّجَاءِ قَالَ: قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَقَالَ: «أَيْنَ مَالِكُ بنُ الدُّخْشُمِ ؟» فَقَالَ رَجُلٌ : ذَلِكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللهَ وَلاَ رَسُولَهُ، فَقَالَ النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم : «لاَ تَقُلْ ذَلِكَ أَلاَ تَراهُ قَدْ قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ يُريدُ بِذَلكَ وَجْهَ اللهِ ! وإنَّ الله قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ يَبْتَغي بِذَلِكَ وَجْهَ اللهِ» . متفق عَلَيْهِ

ইত্বান ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যা বিগত ‘আল্লাহর প্রতি আশা’ পরিচ্ছেদে বর্ণিত একটি সুদীর্ঘ হাদীসের অংশ বিশেষ। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়ানোর উদ্দেশ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘মালেক ইবনে দুখ্‌শুম কোথায়!’’ একটি লোক বলে উঠল, ‘সে তো একজন মুনাফিক; আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসে না।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘ও কথা বলো না। তুমি কি মনে কর না যে, সে (কালিমাহ) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়েছে এবং সে তার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়? যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার উদ্দেশ্যে (কালিমাহ) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম ক‘রে দেন।’’
(সহীহুল বুখারী ৭৭, ১৮৯, ৪২৪, ৪২৫, ৬৬৭, ৬৮৬, ৮৩৮, ৮৪০, ১১৮৬, ৪০১০, ৫৪০১, ৬৩৫৪, ৬৪২২, ৬৯৩৮, মুসলিম ৩৩, আবূ দাউদ ১৪১১, ইবনু মাজাহ ৬৬০, ৭৫৪, আহমাদ ২৩১০৯, ২৩১২৬)

১৫৩৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ كَعْبِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ فِي قِصَّةِ تَوْبَتِهِ وَقَدْ سَبَقَ فِي بَابِ التَّوبَةِ. قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي القَومِ بِتَبُوكَ : «مَا فَعَلَ كَعْبُ بنُ مَالِكٍ ؟» فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم! حَبَسَهُ بُرْدَاهُ وَالنَّظَرُ فِي عِطْفَيْهِ . فَقَالَ لَهُ مُعاذُ بنُ جَبَلٍ: بِئْسَ مَا قُلْتَ، وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلِمنَا عَلَيْهِ إِلاَّ خَيْراً، فَسَكَتَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم . متفقٌ عَلَيْهِ

কা’ব ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

যা তাওবাহ পরিচ্ছেদে ২২ নম্বরে সুদীর্ঘ হাদীস তাঁর তাওবার কাহিনী অতিবাহিত হয়েছে, তিনি বলেন, তাবূক পৌঁছে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদের মাঝে বসে ছিলেন, তখন আমার ব্যাপারে বললেন, ‘‘কা’ব বিন মালেকের কি হয়েছে?’’ বানু সালেমাহ (গোত্রের) একটি লোক বলে উঠল যে, ‘হে আল্লাহর রসূল! তার দুই চাদর এবং দুই পার্শ্ব (বাহু) দর্শন (অর্থাৎ ধন ও তার অহংকার) তাকে আটকে দিয়েছে।’ (এ কথা শুনে) মু‘আয ইবন জাবাল (রাঃ) বললেন, ‘‘তুমি নিকৃষ্ট কথা বললে। আল্লাহর কসম! হে আল্লাহর রসূল! আমরা তাকে ভালই জানি।’’ সুতরাং আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীরব থাকলেন।
(সহীহুল বুখারী ২৭৫৮, ২৯৮৭- ২৯৫০, ৩০৮৮, ৩৫৫৬, ৩৮৮৯, ৩৯৫১, ৪৪১৮, ৪৬৭৭, ৪৬৭৩, ৪৬৭৬, ৪৬৭৭, ৪৬৭৮, ৬২৫৫, ৬৬৯০, ৭২২৫, মুসলিম ২৭৬৯, তিরমিযী ৩১০২, নাসায়ী ৩৮২৪- ৩৮২৬, আবূ দাউদ ২২০২, ৩৩১৭, ৩৩১৯, ৩৩২১, ৪৬০০, আহমাদ ১৫৩৪৩, ১৫৩৪৫, ১৫৩৫৪, ২৬৬২৯, ২৬৬৩৪, ২৬৬৩৭)
১৮/ পরিচ্ছেদঃ যে সব কারণে গীবত বৈধ

জেনে রাখুন যে, সঠিক শরয়ী উদ্দেশ্যে গীবত বৈধ; যখন গীবত ছাড়া সে উদ্দেশ্য পূরণ হওয়া সম্ভবপর হয় না। এমন কারণ ৬টিঃ- ১। অত্যাচার ও নির্যাতন: নির্যাতিত ও অত্যাচারিত ব্যক্তির পক্ষে বৈধ যে, সে শাসক, বিচারক প্রমুখ (প্রভাবশালী) ব্যক্তি যাঁরা অত্যাচারীকে উচিত সাজা দিয়ে ন্যায় বিচার করার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা রাখেন তাঁদের নিকট নালিশ করবে যে, ‘অমুক ব্যক্তি আমার উপর এই অত্যাচার করেছে।’ ২। মন্দ কাজের অপসারণ ও পাপীকে সঠিক পথ ধরানোর কাজে সাহায্য কামনা। বস্ত্ততঃ শরীয়ত বহিঃর্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ব্যাপারে শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিকে গিয়ে বলবে যে, ‘অমুক ব্যক্তি মন্দ কাজে লিপ্ত। সুতরাং আপনি তাকে তা থেকে বাধা দিন’ ইত্যাদি। তবে এর পিছনে কেবল অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে বাধা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হতে হবে; অন্যথা তা হারাম হবে। ৩। ফতোয়া জানা। মুফতি (বা আলেমের) নিকট গিয়ে বলবে, ‘আমার পিতা আমার ভাই বা আমার স্বামী অথবা অমুক ব্যক্তি এই অন্যায় অত্যাচার আমার প্রতি করেছে। তার কি কোন অধিকার আছে? (এমন করার অধিকার যদি না থাকে) তবে তা থেকে মুক্তি পাবার এবং অন্যায়ের প্রতিকার করার ও নিজ অধিকার অর্জন করার উপায় কী?’ অনুরূপ আবেদন পেশ করা। এরূপ বলা প্রয়োজনে বৈধ। তবে সতর্কতামূলক ও উত্তম পন্থা হল, নাম না নিয়ে যদি বলে, ‘এক ব্যক্তি, বা লোক বা স্বামী এই করেছে, সে সম্পর্কে আপনি কী বলেন?’ নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম না নিয়ে এরূপ বললে উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে। এ সত্ত্বেও নির্দিষ্ট ক‘রে নাম নিয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা বৈধ। যেমন এ মর্মে পরবর্তীতে হিন্দের হাদীস উল্লেখ করব---ইনশা আল্লাহ তা'আলা। ৪। মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করা ও তাদের মঙ্গল কামনা করা। এটা অনেক ধরণের হতে পারে। তার মধ্যে যেমন:- (ক) হাদীসের দোষযুক্ত রাবী ও (বিচারকার্যে) সাক্ষীর দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা। সর্বসম্মতিক্রমে এরূপ করা বৈধ; বরং প্রয়োজনবশতঃ ঐরূপ করা অত্যাবশ্যক। (খ) কোন ব্যক্তির সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক জোড়ার জন্য, কোন ব্যবসায়ে অংশীদারি গ্রহণের উদ্দেশ্যে, কারো কাছে আমানত রাখার জন্য, কারো সাথে আদান-প্রদান করার মানসে অথবা কারো প্রতিবেশী হবার জন্য ইত্যাদি উদ্দেশ্যে পরামর্শ চাওয়া। আর সে ক্ষেত্রে যার নিকট পরামর্শ চাওয়া হয়, তার উচিত প্রকৃত অবস্থা খুলে বলা। বরং হিতাকাঙ্ক্ষী মনোভাব নিয়ে যত দোষ-ত্রুটি থাকবে সব ব্যক্ত ক‘রে দেবে। অনুরূপভাবে যখন কোন দ্বীনী জ্ঞান পিপাসুকে দেখবে যে, সে কোন বিদআতী ও মহাপাপী লোকের নিকট জ্ঞানার্জন করতে যাচ্ছে এবং আশংকা বোধ করবে যে, ঐ বিদআতী ও ফাসেক (মহাপাপী) দ্বারা সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাহলে সে আবশ্যিকভাবে তাকে তার অবস্থা ব্যক্ত ক‘রে তার মঙ্গল সাধন করবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শর্ত হল যে, এর পিছনে তার উদ্দেশ্য যেন হিতাকাঙ্ক্ষাই হয়। এ ব্যাপারটি এমন যে, সাধারণত: এতে ভুল হয়ে থাকে। কখনো বা বক্তা হিংসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐ কথা বলে। কিন্তু শয়তান তার ব্যাপারটা গোলমাল ক‘রে দেয় এবং তার মাথায় গজিয়ে দেয় যে, সে হিত উদ্দেশ্যেই ঐ কাজ করছে (অথচ বাস্তব তার বিপরীত)। এ জন্য মানুষের সাবধান থাকা উচিত। (গ) যখন কোন উচ্চপদস্থ সরকারী অফিসার, গভর্নর বা শাসক, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে---হয় তার অযোগ্যতার কারণে কিংবা পাপাচারী বা উদাসীন থাকার কারণে ইত্যাদি---তাহলে উক্ত ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রনেতার নিকট তার স্বরূপ তুলে ধরা একান্ত কর্তব্য। যাতে সে তার স্থানে অন্য উপযুক্ত কর্মী নিয়োগ করতে পারে কিংবা কমপক্ষে তার সম্পর্কে তার জানা থাকবে এবং সেই অনুযায়ী তার সাথে আচরণ করবে এবং তার প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকবে, আর সে তাকে সংশোধন হবার জন্য উৎসাহিত করার চেষ্টা করবে, তারপর তাকে পরিবর্তন করে দেবে। ৫। প্রকাশ্যভাবে কেউ পাপাচরণ বা বিদআতে লিপ্ত হলে তার কথা বলা। যেমন প্রকাশ্যভাবে মদ্য পান করলে, লোকের ধন অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করলে, বলপূর্বক ট্যাক্স বা চাঁদা আদায় করলে, অন্যায়ভাবে যাকাত ইত্যাদি অসূল করলে, অন্যায় কাজের কর্তৃত্ব করলে, তার কেবল সেই প্রকাশ্য অন্যায়ের কথা উল্লেখ করা বৈধ। (যাতে তার অপনোদন সম্ভব হয়) পক্ষান্তরে তার অন্যান্য গোপন দোষ-ত্রুটি উল্লেখ করা বৈধ নয়। তবে যদি উল্লিখিত কারণসমূহের মধ্যে অন্য কোন কারণ থাকে, যেমন আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি, তাহলে তাও ব্যক্ত করা বৈধ হবে। ৬। প্রসিদ্ধ নাম ধরে পরিচয় দেওয়া। সুতরাং যখন কোন মানুষ কোন মন্দ খেতাব দ্বারা সুপরিচিত হয়ে যাবে; যেমন চোখ-ওঠা, খোঁড়া, কালা, অন্ধ, টেরা ইত্যাদি তখন সেই পরিচায়ক খেতাবগুলি উল্লেখ করা সিদ্ধ। তবে অবমাননা বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে সে সব উল্লেখ করা নিষিদ্ধ। পক্ষান্তরে উক্ত পদবী ছাড়া অন্য শব্দ বা নাম দ্বারা যদি পরিচয় দান সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই সব চাইতে উত্তম। এই হল ছয়টি কারণ, যার ভিত্তিতে গীবত করা বৈধ। আর এর অধিকাংশ সর্ববাদিসম্মত। সহীহ হাদীস থেকে এর বিভিন্ন দলীলও প্রসিদ্ধ। যার কিছু নিম্নরূপ:-

১৫৪০

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُا، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَا أَظُنُّ فُلاَناً وَفُلاَناً يَعْرِفَانِ مِنْ دِينِنَا شَيْئاً» . رواه البخاري . قَالَ: قَالَ اللَّيْثُ بنُ سَعدٍ أَحَدُ رُوَاةِ هَذَا الحَدِيثِ : هَذَانِ الرَّجُلاَنِ كَانَا مِنَ المُنَافِقِينَ .

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘আমার মনে হয় না যে, অমুক ও অমুক লোক আমাদের দ্বীন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান রাখে।’’
(সহীহুল বুখারী ৬০৬৮)

১৫৩৯

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا : أَنَّ رَجُلاً اسْتَأذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «ائْذَنُوا لَهُ، بِئْسَ أَخُو العَشِيرَةِ ؟» . متفق عَلَيْهِ . احتَجَّ بِهِ البُخَارِيُّ فِي جَوَازِ غِيبَة أَهلِ الفَسَادِ وَأَهلِ الرِّيبِ .

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট আসার অনুমতি চাইল। তিনি বললেন, ‘‘ওকে অনুমতি দাও। ও নিজ বংশের অত্যন্ত মন্দ ব্যক্তি।’’
(সহীহুল বুখারী ৬০৩২, ৬০৫৪, ৬১৩১, মুসলিম ২৫৯১, তিরমিযী ১৯৯৬, আবূ দাউদ ৪৭৯১, ৪৭৯২, আহমাদ ২৩৫৮৬, ২৩৯৮৪, ২৪২৭৭, ২৪৭২৬, ২৪৮৭৮, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৭২)

১৫৪১

সহিহ হাদিস
وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنتِ قَيسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : أَتَيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقُلْتُ : إِنَّ أَبَا الجَهْمِ وَمُعَاوِيَةَ خَطَبَانِي ؟ فَقَالَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَمَّا مُعَاوِيَةُ، فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ، وَأَمَّا أَبُو الجَهْمِ، فَلاَ يَضَعُ العَصَا عَنْ عَاتِقِهِ». متفق عَلَيْهِ

ফাত্বেমাহ বিন্তে ক্বাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলাম, ‘আবুল জাহ্ম ও মুয়াবিয়াহ আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেন। (এ ক্ষেত্রে আমি কী করব?)’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘মুআবিয়াহ তো গরীব মানুষ, তার নিকট মালধনই নেই। আর আবুল জাহ্ম, সে তো নিজ কাঁধ হতে লাঠিই নামায় না।’’
(মুসলিম ১৪৮০, তিরমিযী ১১৩৫, ১১৮০, নাসায়ী ৩২২২, ৩২৩৭, ৩২৪৪, ৩২৪৫, ৩৪০৩, ৩৪০৪, ৩৪০৫, ৩৪১৮, ৩৫৪৫ ৩৫৪৯, ৩৫৫১, ৩৫৫২, আবূ দাউদ ২২৮৪, ২২৮৮, আহমাদ ২৬৫৬০, ২৬৭৭৫, ২৬৭৮৭, ২৬৭৯১, ২৬৭৯৩, ২৬৭৯৭, মুওয়াত্তা মালিক ১২৩৪, দারেমী ২১৭৭, ২২৭৪, ২২৭৫)

১৫৪৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : قَالَتْ هِنْدُ امْرَأةُ أَبي سُفْيَانَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم : إِنَّ أَبَا سُفْيَانَ رَجُلٌ شَحِيحٌ وَلَيْسَ يُعْطِينِي مَا يَكْفِينِي وَوَلَدِي إِلاَّ مَا أَخَذْتُ مِنْهُ، وَهُوَ لاَ يَعْلَمُ ؟ قَالَ: «خُذِيْ مَا يَكْفِيكِ وَوَلَدَكِ بِالمَعْرُوفِ» . متفق عَلَيْهِ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ সুফয়ানের স্ত্রী হিন্দ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বললেন যে, ‘আবূ সুফয়ান একজন কৃপণ লোক। আমি তার সম্পদ থেকে (তার অজান্তে) যা কিছু নিই তা ছাড়া সে আমার ও আমার সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খরচ দেয় না।’ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন মোতাবেক খরচ (তার অজান্তে) নিতে পার।’’
(সহীহুল বুখারী ২২১১, ২৪৬০, ৫৩৫৯, ৫৩৬৪, ৫৩৭০, ৬৬৪১, ৭১৬১, ৭১৮০, মুসলিম ১৭১৪, নাসায়ী ৫৪২০, আবূ দাউদ ৩৫৩২, ৩৫৩৩, ইবনু মাজাহ ২২৯৩, আহমাদ ২৩৫৯৭, ২৩৭১১, ২৫১৮৫, ২৫৩৬০, দারেমী ২২৫৯)

১৫৪২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ، فَقَالَ عَبدُ اللهِ بنُ أُبَيّ : ﴿ لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ﴾ [المنافقون: ٧]، وَقَالَ: ﴿ لئن رجعنا إلى المدينة ليخرجن الأعز منها الأذل﴾ [المنافقون: ٨]، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَبدِ اللهِ بنِ أُبَيِّ، فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ : مَا فَعلَ، فَقَالُوا : كَذَبَ زَيدٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَوَقَعَ في نَفْسِي مِمَّا قَالُوهُ شِدَّةٌ حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى تَصْدِيقِي : ﴿ ‏إذا جاءك المنافقون﴾ [المنافقون: ١] ثُمَّ دَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ فَلَوَّوْا رُؤُوسَهُمْ . متفق عَلَيْهِ

যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে এক সফরে বের হলাম, যাতে লোকেরা সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই (মুনাফিকদের সর্দার, স্ব-মতাবলম্বী লোকদেরকে সম্বোধন ক‘রে) বলল, ‘তোমরা আল্লাহর রসূলের সঙ্গীদের জন্য ব্যয় করো না, যতক্ষণ না তারা সরে দাঁড়ায়।’ এবং সে আরও বলল, ‘আমরা মদিনায় ফিরে গেলে সেখান হতে সম্মানী অবশ্যই হীনকে বহিষ্কার করবে।’ (যায়েদ বলেন,) আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে তা জানিয়ে দিলাম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডেকে পাঠালেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই (কিন্তু) বারবার শপথ করে বলল যে, সে তা বলেনি। লোকেরা বলল, ‘যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মিথ্যা কথা বলেছে।’ (যায়েদ বলেন,) লোকদের কথা শুনে আমার মনে অত্যন্ত দুঃখ হল। অবশেষে আল্লাহ আমার কথার সত্যতায় সূরা ‘ইযা জা-আকাল মুনাফিক্বূন’ অবতীর্ণ করলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আল্লাহর নিকট) তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে তাদেরকে ডাকলেন। কিন্তু তারা নিজেদের মাথা ফিরিয়ে নিল।
(সহীহুল বুখারী ৪৯০০, মুসলিম ২৭৭২, তিরমিযী ৩৩১২-৩৩১৪, আহমাদ ১৮৭৯৯, ১৮৮০৯, ১৮৮৪৬)
১৮/ পরিচ্ছেদঃ চুগলী করা হারাম

১৫৪৪

সহিহ হাদিস
وعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مرَّ بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ: «إِنَّهُمَا يُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبيرٍ ! بَلَى إِنَّهُ كَبِيرٌ : أَمَّا أَحَدُهُمَا، فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ» . متفق عَلَيْهِ . وهذا لفظ إحدى روايات البخاري

হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘চুগলখোর জান্নাতে যাবে না।’’
(সহীহুল বুখারী ৬০৫৬, মুসলিম ১০৫, তিরমিযী ২০২৬, আবূ দাউদ ৪৮৭১, আহমাদ ২২৭৩৬, ২২৭৯৪, ২২৮১৪, ২২৮৫০, ২২৮৫৯, ২২৮৭৮, ২২৯১১, ২২৯২৪, ২২৯৪০)

১৫৪৫

সহিহ হাদিস
وعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مرَّ بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ: «إِنَّهُمَا يُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبيرٍ ! بَلَى إِنَّهُ كَبِيرٌ : أَمَّا أَحَدُهُمَا، فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ» . متفق عَلَيْهِ . وهذا لفظ إحدى روايات البخاري

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, ‘‘ঐ দুই কবর-বাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না।’’ (তারপর বললেন,) ‘‘হ্যাঁ, অপরাধ তো বড়ই ছিল। ওদের একজন (লোকের) চুগলী করে বেড়াত। আর অপরজন পেশাবের ছিটা থেকে বাঁচত না।’’
(সহীহুল বুখারী ২১৬, ২১৮, ১৩৬১, ১৩৭৮, ৬০৫২, ৬০৫৫, মুসলিম ২৯২, তিরমিযী ৭০, নাসায়ী ৩১, ২০৬৮, আবূ দাউদ ২০, ইবনু মাজাহ ৩৪৭, আহমাদ ১৯৮১, দারেমী ৭৩৯)

১৫৪৬

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ مَا العَضْهُ ؟ هِيَ النَّمِيمَةُ ؛ القَالَةُ بَيْنَ النَّاسِ» . رواه مسلم

ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘মিথ্যা ও অপবাদ’ জিনিস আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব না? তা হচ্ছে চুগলী করা, লোকালয়ে কারো সমালোচনা করা।’’
(সহীহুল বুখারী ৬১৩৪, মুসলিম ২৬০৬, তিরমিযী ১৯৭১, আবূ দাউদ ৪৯৮৯, আহমাদ ৩৬৩১, ৩৭১৯, ৩৮৮৬, ৪০৮৪, ৪০৯৭, ৪১৭৬, ২৭৮৩৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন