hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রিয়াদুস সলেহিন

. রোগীদর্শন ও জানাযায় অংশগ্রহণ

رياض الصالحين

/ পরিচ্ছেদঃ রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য

৮৯৯

সহিহ হাদিস
عَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بعِيَادَةِ الْمَريضِ، وَاتِّبَاعِ الجَنَازَةِ، وَتَشْمِيتِ العَاطِسِ، وَإبْرَارِ الْمُقْسِمِ، وَنَصْرِ المَظْلُومِ، وَإجَابَةِ الدَّاعِي، وَإفْشَاءِ السَّلاَمِ . متفقٌ عَلَيْهِ

বারা’ ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে রোগীর কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, কেউ হাঁচলে তার জবাব দেওয়া, কসমকারীর কসম পুরা করা, অত্যাচারিতের সাহায্য করা, নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা ও সালাম প্রচার করার আদেশ দিয়েছেন।’
(সহীহুল বুখারী ১২৩৯, ২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৪, ৫৬৫০, ৫৮৩৮, ৫৮৪৯, ৫৮৬৩, ৬২২২, ৬২৩৫, ৬৬৫৪, মুসলিম ২০৬৬, তিরমিযী ১৭৬০, ২৮০৯, নাসায়ী ১৯৩৯, ৩৭৭৮, ৫৩০৯, ইবনু মাজাহ ২১১৫,আহমাদ ১৮০৩৪, ১৮০৬১, ১৮১৭০)

৯০০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ ». متفقٌ عَلَيْه

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘এক মুসলিমের অধিকার অপর মুসলিমের উপর পাঁচটিঃ সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচলে তার জবাব দেওয়া।’’
(সহীহুল বুখারী ১২৪০,মুসলিম ২১৬২, তিরমিযী ২৭৩৭, নাসায়ী ১৯৩৮, আবূ দাউদ ৫০৩০, ইবনু মাজাহ ১৪৩৫, আহমাদ , ১০৫৮৩, ২৭৫১১)

৯০২

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي مُوسَى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « عُودُوا المَريضَ، وَأطْعِمُوا الجَائِعَ، وَفُكُّوا العَانِي ». رواه البخاري

আবূ মূসা ‘আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা রুগী দেখতে যাও, ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও এবং বন্দীকে মুক্ত কর।’’
(সহীহুল বুখারী ৩০৪৬, ৫১৭৪, ৫৩৭৩, ৫৬৪৯, ৭১৭৩, আবূ দাউদ ৩১০৫, আহমাদ ১৯০২৩, ১৯১৪৪, দারেমী ২৪৬৫)

৯০৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « إنَّ المُسْلِمَ إِذَا عَادَ أخَاهُ المُسْلِمَ، لَمْ يَزَلْ في خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ ». قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَمَا خُرْفَةُ الجَنَّةِ ؟ قَالَ: « جَنَاهَا ». رواه مسلم

সওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোন মুসলিম যখন তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের রোগ জিজ্ঞাসা করতে যায়, সে না ফিরা পর্যন্ত জান্নাতের ‘খুরফার’ মধ্যে সর্বদা অবস্থান করে।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! খুরফাহ কী?’ তিনি বললেন, ‘‘জান্নাতের ফল-পাড়া।’’
(মুসলিম ২৫৬৮, তি, ৯৬৭, আহমাদ ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮, ২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮)

৯০৪

হাসান হাদিস
وَعَنْ عَلِيٍّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « مَا مِنْ مُسْلِم يَعُودُ مُسْلِماً غُدْوةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِي، وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبحَ، وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ في الْجَنَّةِ ». رواه الترمذي، وَقَالَ: حديث حسن

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘যে কোন মুসলিম অন্য কোন (অসুস্থ) মুসলিমকে সকাল বেলায় কুশল জিজ্ঞাসা করতে যাবে, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশ্‌তা কল্যাণ কামনা করবেন। আর যদি সে সন্ধ্যা বেলায় তাকে কুশল জিজ্ঞাসা করতে যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশ্‌তা তার মঙ্গল কামনা করে। আর তার জন্য জান্নাতের মধ্যে পাড়া ফল নির্ধারিত হবে।
(মুসলিম ২৫৬৮, তিরমিযী ৯৬৭, আহমাদ ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮, ২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮)

৯০১

সহিহ হাদিস
وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إِنَّ اللهَ - عَزَّ وَجَلَّ - يَقُولُ يَومَ القِيَامَةِ: يَا ابْنَ آدَمَ، مَرِضْتُ فَلَمْ تَعُدنِي ! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أعُودُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ ؟! قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أَنَّ عَبْدِي فُلاَناً مَرِضَ فَلَمْ تَعُدْهُ ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ عُدْتَهُ لَوَجَدْتَني عِنْدَهُ ! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَطْعَمْتُكَ فَلَمْ تُطْعِمنِي ! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أُطْعِمُكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمِينَ ؟! قَالَ: أمَا عَلِمْتَ أنَّهُ اسْتَطْعَمَكَ عَبْدِي فُلانٌ فَلَمْ تُطْعِمْهُ ! أمَا عَلِمْتَ أنَّكَ لَوْ أَطْعَمْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي ! يَا ابْنَ آدَمَ، اسْتَسْقَيْتُكَ فَلَمْ تَسْقِنِي ! قَالَ: يَا رَبِّ، كَيْفَ أَسْقِيكَ وَأنْتَ رَبُّ العَالَمينَ ؟! قَالَ: اسْتَسْقَاكَ عَبْدِي فُلاَنٌ فَلَمْ تَسْقِهِ ! أمَا عَلِمْتَ أَنَّكَ لَوْ سَقَيْتَهُ لَوَجَدْتَ ذَلِكَ عِنْدِي ! » رواه مسلم

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ আয্‌যা অজাল্ল কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনাকে দেখতে যাব, আপনি তো সারা জাহানের পালনকর্তা?’ তিনি বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল? তুমি তাকে দেখতে যাওনি। তুমি কি জানতে না যে, তুমি যদি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে অবশ্যই তুমি আমাকে তার কাছে পেতে?
হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! আমি আপনাকে কিভাবে খাবার দেব, আপনি তো সারা জাহানের প্রভু?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার কি জানা ছিল না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি খাবার দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না যে, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে অবশ্যই তা আমার কাছে পেতে?
হে আদম সন্তান! তোমার কাছে আমি পানি পান করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পান করাওনি।’ বান্দা বলবে, ‘হে প্রভু! আপনাকে কিরূপে পানি পান করাবো, আপনি তো সমগ্র জগতের প্রভু?’ তিনি বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, তুমি তাকে পান করাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তাকে পান করাতে, তাহলে তা অবশ্যই আমার কাছে পেতে? ’’
(মুসলিম ২৫৬৯, আহমাদ ৮৯৮৯)

৯০৫

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ غُلاَمٌ يَهُودِيٌّ يَخْدُمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَمَرِضَ، فَأتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ، فَقَعَدَ عِنْدَ رَأسِهِ، فَقَالَ لَهُ: « أسْلِمْ » فَنَظَرَ إِلَى أبِيهِ وَهُوَ عِنْدَهُ ؟ فَقَالَ: أَطِعْ أَبَا القَاسِمِ، فَأَسْلَمَ، فَخَرَجَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم، وَهُوَ يَقُولُ: « اَلحَمْدُ للهِ الَّذِي أنْقَذَهُ منَ النَّارِ ». رواه البخاري

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একজন ইয়াহুদী বালক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেবা করত। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রোগ জিজ্ঞাসার উদ্দেশ্যে তার নিকট গেলেন এবং তার শিয়রে বসে তাকে বললেন, ‘‘তুমি ইসলাম গ্রহণ কর।’’ সে তার পিতার দিকে তাকালে--তার পিতা সেখানেই উপস্থিত ছিল--সে বলল, ‘আবুল কাসেমের কথা মেনে নাও।’ সুতরাং সে বালকটি ইসলাম গ্রহণ করল। (তারপর সে মারা গেল।) অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলতে বলতে বের হয়ে চলে গেলেন যে, ‘‘সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা, যিনি ওকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচিয়ে নিলেন।’’
(সহীহুল বুখারী ১৩৫৬, ৫৬৫৭, আবূ দাউদ ৩০৯৫, আহমাদ ১২৩৮১, ১২৯৬২, ১৩৩২৫, ১৩৫৬৫)
/ পরিচ্ছেদঃ অসুস্থ মানুষের জন্য যে সব দো‘আ বলা হয়

৯০৬

সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم، كَانَ إِذَا اشْتَكَى الإنْسَانُ الشَّيْءَ مِنْهُ، أَوْ كَانَتْ بِهِ قَرْحَةٌ أَوْ جُرْحٌ، قَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم بِأُصْبُعِهِ هكَذا- وَوَضَعَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَة الرَّاوي سَبَّابَتَهُ بِالأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَها- وَقَالَ: «بِسمِ اللهِ، تُرْبَةُ أرْضِنَا، بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا، بِإِذْنِ رَبِّنَا». متفقٌ عَلَيْهِ

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিতঃ

যখন কোন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিজের কোন অসুস্থতার অভিযোগ করত অথবা (তার দেহে) কোন ফোঁড়া কিংবা ক্ষত হত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ আঙ্গুল নিয়ে এ রকম করতেন। (হাদীসের রাবী) সুফ্‌য়ান তাঁর শাহাদত আঙ্গুলটিকে যমীনের উপর রাখার পর উঠালেন। (অর্থাৎ তিনি এভাবে মাটি লাগাতেন।) অতঃপর দো‘আটি পড়তেনঃ ‘বিসমিল্লাহি তুরবাতু আরদ্বিনা, বিরীক্বাতি বা’যিবনা, য়্যুশফা বিহী সাক্বীমুনা, বিইযনি রাব্বিনা।’ অর্থাৎ আল্লাহর নামের সঙ্গে আমাদের যমীনের মাটি এবং আমাদের কিছু লোকের থুতু মিশ্রিত করে (ফোঁড়াতে) লাগালাম। আমাদের প্রতিপালকের আদেশে এর দ্বারা আমাদের রুগী সুস্থতা লাভ করবে।
(সহীহুল বুখারী ৫৭৪৫, ৫৭৪৬, মুসলিম ২১৯৪, আবূ দাউদ ৩৮৯৫, ইবনু মাজাহ ৩৫২১, আহমাদ ২৪০৯৬)

৯০৮

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه أَنَّهُ قَالَ لِثَابِتٍ رَحِمَهُ اللهُ: أَلاَ أَرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: اَللهم رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَأسِ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلاَّ أنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً . رواه البخاري

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ)কে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, ‘অবশ্যই।’ আনাস (রাঃ) এই দো‘আ পড়লেন, ‘‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা-ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।
(সহীহুল বুখারী ৫৭৪২, তিরমিযী ৯৭৩, আবূ দাউদ ৩৮৯০, আহমাদ ১২১২৩, ১৩৪১১)

৯০৭

সহিহ হাদিস
وَعَنْها: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَعُودُ بَعْضَ أَهْلِهِ يَمْسَحُ بِيدِهِ اليُمْنَى، وَيَقُولُ: « اَللهم رَبَّ النَّاسِ، أَذْهِبِ البَأسَ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً ». متفقٌ عَلَيْهِ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন পরিবারের কোন রোগী-দর্শন করার সময় নিজের ডান হাত তার ব্যথার স্থানে ফিরাতেন এবং এ দো‘আটি পড়তেন, ‘‘আযহিবিল বা’স, রাব্বান্না-স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উক, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী। তোমারই আরোগ্য দান হচ্ছে প্রকৃত আরোগ্য দান। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।
দেয়। (সহীহুল বুখারী ৫৭৪৩, ৫৬৭৫, ৫৭৪৪, ৫৭৫০, মুসলিম ২১৯১, ইবনু মাজাহ ৩৫২০, আহমাদ ২৩৬৫৫, ২৩৬৬২, ২৩৭১৪, ২৪২৫৩, ২৪৩১৭, ২৪৪১৪, ২৫৮৬৮)

৯০৯

সহিহ হাদিস
وَعَنْ سَعدِ بنِ أَبِي وَقَّاصٍ رضي الله عنه، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: « اَللهم اشْفِ سَعْداً، اَللهم اشْفِ سَعْداً، اَللهم اشْفِ سَعْداً ». رواه مسلم

সা‘দ ইবনে আবী অক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমার অসুস্থ অবস্থায়) আমাকে দেখা করতে এসে বললেন, ‘‘হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর, হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর। হে আল্লাহ! সা‘দকে রোগমুক্ত কর।’’
(সহীহুল বুখারী ৫৬, ১২৯৬, ২৭৪২, ২৭৪৪, ৩৯৩৬, ৪৪০৯, ৫৩৫৪, ৫৬৫৯, ৫৬৬৮, ৬৩৭৩, ৬৭৩৩, মুসলিম ১৬২৮, তিরমিযী ২১১৬, নাসায়ী ৩৬২৬, ৩৬২৭, ৩৬২৮, ৩৬৩০, ৩৬৩১, ৩৬৩২, ৩৬৩৫, আবূ দাউদ ২৮৬৪, আহমাদ ১৪৪৩, ১৪৭৭, ১৪৮২, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৯৫, দারেমী ৩১৯৬)

৯১১

সহিহ হাদিস
وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَنْ عَادَ مَرِيضاً لَمْ يَحْضُرْهُ أَجَلُهُ، فَقَالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ، إِلاَّ عَافَاهُ اللهُ مِنْ ذَلِكَ المَرَضِ. رواه أَبُو داود والترمذي، وَقَالَ: حديث حسن ، وَقَالَ الحاكم: حديث صحيح عَلَى شرط البخاري

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন রুগ্ন মানুষকে সাক্ষাৎ করবে, যার এখন মরার সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দো‘আটি বলবে, ‘আসআলুল্লাহাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশ্‌ফিয়াক’ (অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য প্রার্থনা করছি), আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’’
(আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাসান সূত্রে, হাকেম, বুখারীর শর্তে সহীহ সূত্রে) (আবূ দাউদ ৩১০৬, তিরমিযী ৩০৮৩, আহমাদ ২১৩৮, ২১৮৩, ২৩৮৮)

৯১০

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ عُثمَانَ بنِ أَبي العَاصِ رضي الله عنه: أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعاً يَجِدُهُ في جَسَدِهِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « ضَعْ يَدَكَ عَلَى الَّذِي يَألَمُ مِنْ جَسَدِكَ وَقُلْ: بِسمِ اللهِ ثَلاثاً، وَقُلْ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أجِدُ وَأُحَاذِرُ ». رواه مسلم

আবূ আব্দুল্লাহ ‘উসমান ইবনে আবুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ঐ ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি তার দেহে অনুভব করছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, ‘‘তুমি তোমার দেহের ব্যথিত স্থানে হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ এবং সাতবার ‘আ‘উযু বি‘ইয্‌যাতিল্লাহি অক্বুদরাতিহী মিন শার্রি মা আজিদু অউহাযিরু’ বল।’’ অর্থাৎ আল্লাহর ইজ্জত এবং কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি এবং যা থেকে আমি ভয় করছি।
(মুসলিম ২২০২, তিরমিযী ২০৮০, আবূ দাউদ ৩৮৯১ ইবনু মাজাহ ৩৫২২, আহমাদ ১৫৮৩৪, ১৭৪৪৯, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৫৪)

৯১২

সহিহ হাদিস
وَعَنْه: أنَّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى أَعْرَابِيٍّ يَعُوْدُهُ، وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلَى مَنْ يَعُوْدُهُ، قَالَ: «لاَ بَأسَ ؛ طَهُورٌ إنْ شَاءَ اللهُ ». رواه البخاري

উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক পীড়িত বেদুঈনের সাক্ষাতে গেলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রোগীকেই সাক্ষাৎ করতে যেতেন, তাকে বলতেন, ‘‘লা-বা’স, ত্বাহুরুন ইনশাআল্লাহ।’’ অর্থাৎ কোন ক্ষতি নেই, (গোনাহ থেকে) পবিত্র হবে ইন শাআল্লাহ।
(সহীহুল বুখারী ৩৬১৬, ৫৬৫৬, ৫৬৬২, ৭৪৭০)

৯১৩

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه: أَنَّ جِبرِيلَ أتَى النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، اشْتَكَيْتَ ؟ قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: بِسْمِ الله أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللهُ يَشْفِيكَ، بِسمِ اللهِ أُرقِيكَ . رواه مسلم

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

জিবরীল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ।’’ জিবরীল তখন এই দো‘আটি পড়লেন, ‘বিসমিল্লা-হি আরক্বীক, মিন কুল্লি শাইয়িন ইউ’যীক, অমিন শার্রি কুল্লি নাফসিন আউ ‘আইনি হা-সিদ, আল্লা-হু য়্যাশফীকা, বিসমিল্লা-হি আরক্বীক।’
অর্থাৎ আমি তোমাকে আল্লাহর নাম নিয়ে প্রত্যেক কষ্টদায়ক বস্তু থেকে এবং প্রত্যেক আত্মা অথবা বদনজরের অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঝাড়ছি। আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করুন। আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাকে ঝাড়ছি।
(সহীহুল বুখারী ৯৭২, মুসলিম ২১৮৬, ইবনু মাজাহ ৩৫২৩, আহমাদ ১১১৪০, ১১৩১৩)

৯১৪

সহিহ হাদিস
وَعَنْ أَبي سعيد الخدري وأَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، أنّه قَالَ: « مَنْ قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ، صَدَّقَهُ رَبُّهُ، فَقَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أنَا وَأَنَا أكْبَرُ . وَإِذَا قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، قَالَ: يَقُولُ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ أنَا وَحْدِي لاَ شَريكَ لِي . وَإِذَا قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أنَا لِيَ المُلْكُ وَلِيَ الحَمْدُ . وَإِذَا قَالَ: لاَ إله إِلاَّ اللهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ باللهِ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أنَا وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِي » وَكَانَ يقُولُ: « مَنْ قَالَهَا في مَرَضِهِ ثُمَّ مَاتَ لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ ». رواه الترمذي، وَقَالَ: «حديث حسن »

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তাঁরা উভয়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অল্লাহু আকবার’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আল্লাহ সবচেয়ে বড়) বলে, আল্লাহ তার সত্যায়ন করে বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি সবচেয়ে বড়।’
আর যখন সে বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, আমি একক, আমার কোন অংশী নেই।’
আর যখন সে বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হাম্‌দ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, সার্বভৌম ক্ষমতা আমারই এবং আমারই যাবতীয় প্রশংসা।’
আর যখন সে বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই), তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমার প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার বা নড়া-চড়ার শক্তি নেই।’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি তার পীড়িত অবস্থায় এটি পড়ে মারা যাবে, জাহান্নামের আগুন তাকে খাবে না।’’ (অর্থাৎ সে জাহান্নামে যাবে না।)
(তিরমিযী, হাসান সূত্রে) (তিরমিযী ৩৪৩০, ইবনু মাজাহ ৩৭৯৪)
/ পরিচ্ছেদঃ রোগীর বাড়ির লোককে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা উত্তম

৯১৫

সহিহ হাদিস
عَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبي طَالِبٍ رضي الله عنه، خَرَجَ مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فِي وَجَعِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ النَّاسُ: يَا أَبَا الحَسَنِ، كَيْفَ أصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: أصْبَحَ بِحَمْدِ اللهِ بَارِئاً . رواه البخاري

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আলী ইবনে আবী ত্বালেব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হতে তাঁর সেই অসুস্থ অবস্থায় বের হলেন, যাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। অতঃপর লোকেরা বলল, ‘হে হাসানের পিতা! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী অবস্থায় সকাল করলেন?’ তিনি বললেন, ‘আলহামদু লিল্লাহ, তিনি ভাল অবস্থায় সকাল করলেন।
(সহীহুল বুখারী ৪৪৪৭, ৬২৬৬, আহমাদ ২৩৭০, ২৯৯০)
/ পরিচ্ছেদঃ জীবন থেকে নিরাশ হওয়ার সময়ে দো‘আ

৯১৬

সহিহ হাদিস
عَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إلَيَّ، يَقُولُ: « اَللهم اغْفِرْ لِي وارْحَمْنِي، وأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى ». متفقٌ عَلَيْهِ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই দো‘আ বলতে শুনেছি, যখন তিনি (তাঁর মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে) আমার উপর ঠেস লাগিয়ে ছিলেন, ‘আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অ আলহিক্বনী বির্রাফীক্বিল আ‘লা।’ অর্থাৎ আল্লাহ গো! আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর এবং আমাকে মহান সাথীর সাথে মিলিত কর।
(সহীহুল বুখারী ৪৪৫১, ৮৯১, ১৩৮৯, ৩১০০, ৩৭৭৪, ৪৪৩৫, ৪৪৩৮, ৪৪৪০, ৪৪৪৬, ৪৪৪৯, ৪৪৫০, ৪৪৬৩, ৫২১৭, ৫৬৭৪, ৬৩৪৮, ৬৫০৯, ৬৫১০, মুসলিম ২১৯২, তিরমিযী ৩৪৯৬, ইবনু মাজাহ ১৬২০, আহমাদ ২৩৬৯৬, ২৩৯৩৩, ২৪৩৭০, মুওয়াত্তা মালিক ৫৬২)

৯১৭

দুর্বল হাদিস
وعنها قالت: رأَيْتُ رسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وهُوَ بِالموتِ، عِندهُ قدحٌ فِيهِ مَاءٌ، وهُو يدخِلُ يدهُ في القَدَحِ، ثم يمسَحُ وجهَهُ بالماءِ، ثم يقول: «اَللهم أَعِنِّي علٰى غمرَاتِ الموْتِ وَسَكَراتِ المَوْتِ » رواه الترمذي.

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তাঁর উপর তখন মৃত্যু ছেয়ে গিয়েছিল, তাঁর সামনে একটি পানি ভর্তি পাত্র ছিল। তাতে তিনি নিজের (ডান) হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন, অতঃপর (হাতের সাথে লেগে থাকা) পানি দিয়ে তাঁর মুখমন্ডল মুছছিলেন এবং বলছিলেনঃ আল্লাহ! মৃত্যুর কঠোরতা ও তার ভীষণ কষ্টের বিরুদ্ধে আমাকে সহায়তা কর।
(আমি (আলবানী) বলছিঃ তিরমিযীর কোন এক কপিতে ‘গামারাত’ শব্দের পরিবর্তে ‘মুনকারাত’ শব্দ উল্লেখ্য করা হয়েছে। এর সনদটি দুর্বল দেখুন ‘‘মিশকাত’’ (নং ১৫৬৪)। তিরমিযী ৯৮৭, ইবনু মাজাহ ১৬২৩, আহমাদ ২৩৮৩৫, ২৩৮৯৫।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন