HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইবন রজব আল-হাম্বলী রহ. এর ‘লাতায়িফুল মা‘আরিফ’ অবলম্বনে রমযানের দায়িত্ব-কর্তব্য

লেখকঃ শাইখ যাইনুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবন রজব আল-হাম্বলী রহ.

১০
পরিচ্ছেদ: রমযানের শেষ সাত দিন
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত যে,

«أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أُرُوا لَيْلَةَ القَدْرِ فِي المَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ» .

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নযোগে রমযানের শেষের সাত রাতে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ কথা শোনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব, যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৫।]

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ، فَلَا يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي» .

“তোমরা রমযানের শেষ দশদিনে কদরের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দুর্বল অথবা অপারগ হয়ে পড়ে, তবে সে যেন শেষ সাত রাতে অলসতা না করে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৫।] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করতে আদেশ করেছেন। ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«التَمِسُوهَا فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ لَيْلَةَ القَدْرِ، فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى، فِي سَابِعَةٍ تَبْقَى، فِي خَامِسَةٍ تَبْقَى» .

“তোমরা তা (লাইলাতুল কদর) রমযানের শেষ দশকে তালাশ কর। লাইলাতুল কদর (শেষ দিক থেকে গনণায়) নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০২১।]

বুখারীর অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«هِيَ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، هِيَ فِي تِسْعٍ يَمْضِينَ، أَوْ فِي سَبْعٍ يَبْقَيْنَ» .

“তা শেষ দশকে, তা অতিবাহিত নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কদর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০২২।]

উয়াইনা ইবন আবদুর রহমান বলেন, আমার পিতা আবদুর রহমান বলেন,

«ذُكِرَتْ لَيْلَةُ القَدْرِ عِنْدَ أَبِي بَكْرَةَ فَقَالَ : مَا أَنَا مُلْتَمِسُهَا لِشَيْءٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلاَّ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَإِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ : التَمِسُوهَا فِي تِسْعٍ يَبْقَيْنَ، أَوْ فِي سَبْعٍ يَبْقَيْنَ، أَوْ فِي خَمْسٍ يَبْقَيْنَ، أَوْ فِي ثَلاَثِ أَوَاخِرِ لَيْلَةٍ، وَكَانَ أَبُو بَكْرَةَ يُصَلِّي فِي العِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ كَصَلاَتِهِ فِي سَائِرِ السَّنَةِ، فَإِذَا دَخَلَ العَشْرُ اجْتَهَدَ» .

“আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে একবার লাইলাতুল কদর সম্পর্কে আলোচনা হলো। তিনি বললেন, আমি লাইলাতুল ক্বাদর রামাযানের শেষ দশ দিন ছাড়া অন্য কোনো রাতে অনুসন্ধান করব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে একটি বাণী শোনার কারণে; কারণ আমি তাকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা এ রাতটিকে রমযানের নয় দিন বাকী থাকতে বা সাত দিন বাকী থাকতে বা পাঁচ দিন বাকী থাকতে বা তিন দিন বাকী থাকতে বা এর শেষ রাতে অন্বেষণ কর। বর্ণনাকারী বলেন, আবু বাকরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রামাযানের বিশ দিন পর্যন্ত অন্যান্য সুন্নাতের মতোই সালাত আদায় করতেন। কিন্তু শেষ দশ দিনের ক্ষেত্রে খুবই প্রচেষ্টা চালাতেন”। [তিরমিযী, ৭৯৪, ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবন হিব্বান, ৩৬৮৬, শু‘য়াইব আরনাঊত বলেছেন, হাদীসের সনদটি সহীহ। মুসতাদরাকে হাকিম, ১৫৯৮, ইমাম হাকিম রহ. বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ, তবে ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. তাখরিজ করেননি।]

....

আব্দুল্লাহ ইবন উনাইস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي بَادِيَةً أَكُونُ فِيهَا، وَأَنَا أُصَلِّي فِيهَا بِحَمْدِ اللَّهِ، فَمُرْنِي بِلَيْلَةٍ أَنْزِلُهَا إِلَى هَذَا الْمَسْجِدِ، فَقَالَ : «انْزِلْ لَيْلَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ» .

“আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এক গ্রামে থাকি এবং সেখানে আলহামদুলিল্লাহ সালাত আদায় করি। অতএব, আমাকে লাইলাতুল কদরের সংবাদ দিন সে রাতে এ মসজিদে এসে সালাত আদায় করব। তিনি বললেন, তুমি তেইশ তারিখ রাতে এসো”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৩৮০, আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]

কেউ কেউ চব্বিশ রমযান রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করে থাকেন। এটি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ও হাসান রহ. এর মত। হাসান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সূর্যকে বিশ বছর যাবত পর্যবেক্ষণ করেছি। আর চব্বিশে রমযান সূর্য উদিত হয় কিন্তু এর আলোকরশ্মি থাকে না। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণনা আছে, ইমাম বুখারী তা উল্লেখ করেছেন, তবে তিনি বলেছেন: ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে সঠিক বর্ণনা হলো তেইশ তারিখ দিবাগত রাত। আইঊব সাখতিয়ানী রহ. তেইশে রমযান রাতে গোসল করতেন, আর চব্বিশে রমযান সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। তিনি বলতেন, তেইশে রমযান মদীনাবাসীর রাত আর চব্বিশে রমযান বসরাবাসীর রাত।

লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে আলেমগণ মতানৈক্য করেছেন। জমহুর আলেমের মতে এটি রমযানের শেষ দশকে। সহীহ হাদীসসমূহ এ মতটিই প্রমাণ করে। তবে শেষ দশকের কোন রাতটি বেশি সম্ভাবনাময় সে ব্যাপারে তারা মতানৈক্য করেছেন। হাসান ও মালিক রহ. থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, শেষ দশকের সব রাতেই লাইলাতুল কদর তালাশ করতে হবে। এ মতটি আমাদের অনেক আলেম গ্রহণ করেছেন। তবে অধিকাংশ আলিমের মতে, শেষ দশকের কতিপয় রাত লাইলাতুল কদরের সম্ভাবনাময় রাত। অতঃপর তারা বলেছেন: বেজোড় রাতগুলোই বেশি সম্ভাবনাময়। নির্দিষ্ট কোন রাত সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্পষ্ট বাণী নেই।

লাইলাতুল কদরের রাত নির্ধারণ না করার হিকমত (আল্লাহই ভালো জানেন) মুমিনগণ যাতে এ রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারে। তাই রমযানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতকেই লাইলাতুল কদর বলা হয়। লাইলাতুল কদর পাওয়ার আশায় এ শেষ দশকের প্রতিটি রাতে ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করা ও ই‘তিকাফ করা দ্বারা এটিই প্রমাণিত হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন