মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“তোমাদের নিকট রমযান মাস উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের ওপর আল্লাহ তা‘আলা এ মাসের সাওম ফরয করেছেন। এ মাস আগমনের কারণে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ী পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।” [নাসাঈ, হাদীস নং ২১০৬, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। মুসনাদে আহমদ, ৭১৪৮, শু‘আইব আরনাঊত বলেছেন, হাদীসটি সহীহ।]
কবি বলেছেন:
সাওমের মাস বরকত নিয়ে এসেছে দুয়ারে। অতএব, তোমরা অতিথিকে সম্মান করো, সে আসছে।
‘উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মারফু‘ সূত্রে বর্ণনা করেন,
“তোমাদের কাছে রমযান মাস এসেছে, বরকতের মাস। এ মাসে রয়েছে কল্যাণ, আল্লাহ তোমাদেরকে সে কল্যাণে আবৃত করে দেন। ফলে তিনি রহমত নাযিল করেন, গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে দো‘আ কবুল করা হয়। আল্লাহ তোমাদের (সৎ কাজের) প্রতিযোগিতার দিকে তাকান এবং তিনি তোমাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের কাছে গর্ব করেন। সুতরাং তোমরা তোমাদের নিজেদের কল্যাণ আল্লাহকে দেখাও। কেননা হতভাগা তো সে ব্যক্তি যে এ মাসে মহান আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়।” [মুসনাদুশ শামিয়্যীন, তাবরানী, ৩/২৭১, হাদীস নং ২২৩৮। কিতাবটির লেখক আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন কাসেম বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সিকাহ; তারতীবুল আমালিল খামীসিয়্যাহ লিশশাজারী, ইয়াহইয়া ইবন হুসাইন আশ-শাজারী আল-জুরজানী, ১/৩৫০, হাদীস নং ১২৩৪।]
সহীহাইনে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“রমযান মাস আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করে দেওয়া হয়।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৯।]
“যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলে বন্দী করা হয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৭৯।]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“শয়তান ও দুষ্ট জিন্নদেরকে রমযান মাসের প্রথম রাতেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেন, হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর বহু লোককে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ থেকে থাকে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৬৮২, ইমাম তিরমিযী রহ. বলেছেন, এ পরিচ্ছেদে আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ, ইবন মাস‘ঊদ ও সালমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৬৪২। আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। নাসাঈ, হাদীস নং ২১০৭। মুসতাদরাক হাকিম, হাদীস নং ১৫৩২, তিনি হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন।]
....
‘আমর ইবন মুররাহ আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“কুযা‘আ থেকে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি আল্লাহর রাসূল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, রমযান মাসের সাওম পালন করি ও রমযানের রাতে সালাত আদায় করি এবং যাকাত আদায় করি তাহলে আমার ব্যাপারে আপনি কী মনে করেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি এরূপ আমল করে মারা যাবে সে সিদ্দীক ও শহীদগণের সাথে থাকবেন”। [ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ২২১২, আলবানী রহ. হাদীসের সনদটি সহীহ বলেছেন। সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ৩৪৩৮, শু‘আইব আরনাঊত হাদীসের সনদটিকে শাইখাইনের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন।]
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাস পর্যন্ত পৌঁছার দো‘আ করতেন। তিনি রজব মাস আসলে বলতেন,
“হে আল্লাহ আমাদেরকে রজব ও শা‘বান মাসে বরকত দান করুন এবং রমযান মাস পর্যন্ত আমাদেরকে পৌঁছান (হায়াত দান করুন)।” [মু‘জামুল আওসাত, তাবরানী, ৪/১৮৯, হাদীস নং ৩৯৩৯, তাবরানী রহ. বলেন, এ সনদ ব্যতীত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীসটি বর্ণিত হয় নি, যায়েদ ইবন আবু রুকাদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। শু‘আবুল ঈমান, বাইহাকী, ৫/৩৪৮, হাদীস নং ৩৫৩৪। ইমাম হাইসামী রহ. মাজমা‘উয যাওয়ায়েদে (৩/১৪০) বলেন, হাদীসটি ইমাম তাবরানী রহ. আল-আওসাতে যায়েদ ইবন আবু রুকাদ থেকে বর্ণনা করেছেন। তার ব্যাপারে ইমামগণ মতানৈক্য করেছেন। কেউ কেউ তাকে সিকাহ বলেছেন।]
‘আব্দুল ‘আযীয ইবন মারওয়ান রহ. বলেন, রমযান মাস আগমন করলে মুসলিমগণ বলত, হে আল্লাহ! রমযান মাস আমাদের উপর ছায়ার মত এসে যাচ্ছে। অতএব, তাকে আমাদের মাঝে পৌঁছে দাও এবং আমাদেরকে তার কাছে সোপর্দ করুন। আমাদেরকে রমযানের সাওম ও সালাত আদায়ের তাওফিক দান করুন। এ মাসে কঠোর পরিশ্রম ও ইজতিহাদ, শক্তি ও কর্ম তৎপরতা দান করুন এবং ফিতনা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।
মু‘আল্লা ইবন ফযল রহ. বলেন, আগেকার মুসলিমগণ রমযানের আগের ছয়মাস রমযান পাওয়ার জন্য দো‘আ করতেন। আর বাকী ছয়মাস তাদের আমল কবুল হওয়ার দো‘আ করতেন।
ইয়াহইয়া ইবন আবু কাসীর রহ. বলেন, তাদের দো‘আ ছিলো, হে আল্লাহ আমাকে রমযানের জন্য সুস্থ রাখুন, রমযানকে আমার কাছে সোপর্দ করুন এবং আমার আমল কবুল হওয়াসহ রমযানকে আপনি গ্রহণ করুন।
রমযান মাস পাওয়া ও এতে সাওম পালন করা অনেক বড় নি‘আমত। একথার দলীল হলো তিন ব্যক্তির হাদীস, যারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাদের দু’জন শহীদ হন এবং আরেকজন তাদের পরে বিছানায় স্বাভাবিকভাবে মারা যান। আগে মারা যাওয়া দু’জনকে স্বপ্নে দেখানো হলো। তাদের ব্যাপারে শুনে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
“সে কি তার পরে একবছর বেঁচে ছিল না? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে কি রমযান পায় নি এবং এর সাওম পালন করে নি? তারা বললেন, জি হ্যাঁ। তিনি বললেন, সে কি বিগত একবছর এত এত রাকাত সালাত আদায় করে নি ও সিজদা করে নি? তারা বললেন, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তাদের মধ্যে আসমান ও জমিন সম পার্থক্য হবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ১৪০৩, শু‘আইব আরনুঊত হাদীসটিকে হাসান লিগাইরিহি বলেছেন। সহীহ ইবন হিব্বান, হাদীস নং ২৯৮২, আলবানী রহ. ‘আততা‘লীক আততারগীব’ (১/১৪২) এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন।]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রমযান মাস এসেছে, তবে কী দো‘আ পড়বো? তিনি বলেন, তুমি বলবে,
“হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো। অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।” [তিরমিযী, ৩৫৩১, ইমাম তিরমিযী রহ. বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবন মাজাহ, ৩৮৫০, আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। মুসতাদরাক হাকিম, ১৯৪২, ইমাম হাকিম রহ. বলেছেন, হাদিসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ, তবে তারা কেউ তাখরিজ করেননি।]
রমযান এসেছে। এতে রয়েছে নিরাপত্তা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে ঘর পাওয়ার মহাসফলতা। যে ব্যক্তি এ মাসে লাভবান হতে পারবে না তাহলে সে আর কখন লাভবান হবে? যে ব্যক্তি এ মাসে তার মাওলার (আল্লাহর) নৈকট্য লাভ করতে পারবে না সে এরপরে তাঁর নৈকট্য লাভ করতে পারবে না। যে ব্যক্তির ওপর আল্লাহ এ মাসে রহম করবেন সে তাঁর রহমতপ্রাপ্ত হবে আর যে ব্যক্তি তাঁর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে সে প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।
কবি বলেছেন:
لتطهير القلوب من الفساد
أتى رمضـــان مزرعة العباد
وزادَك فاتخذه للمعــــــاد
فأدِّ حقوقــــــه قولا وفعلا
تأوه نادمًا عند الحصـــــاد
فمن زرع الحبوب وما سقاها
বান্দার ইবাদতের শস্যক্ষেতস্বরূপ রমযান এসেছে ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে তাদের অন্তরকে পবিত্র করতে। অতএব, কথা ও কাজে এর হক আদায় করো, এটি তোমার জন্য পাথেয়স্বরূপ। অতএব, কিয়ামতের দিনের পাথেয় হিসেবে একে গ্রহণ করো। যে ব্যক্তি শস্য চাষ করল অথচ সেচ দিলো না সে ফসল তোলার সময় লজ্জিত হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/113/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।