HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

চাঁদ দেখা ও সন্দেহের দিন রোজা রাখা প্রসঙ্গে শরীয়তের বিধান

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

চাঁদ দেখা ও সন্দেহের দিন রোজা রাখা প্রসঙ্গে শরীয়তের বিধান
রোজা ইসলামি শরিয়তের শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিধানই নয় বরং ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। সারা বছরে শুধু রমজান মাসেই রোজা রাখা ফরজ।

তবে রোজা ফরজ হওয়ার সর্ম্পক কেবল চান্দ্র মাসের সাথে। আর ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুসারে মাসের হিসাবও হয় চাঁদের হিসাব অনুসারে। তাই রোজার শুরু এবং শেষ চাঁদ দেখা এবং না দেখার সাথেই সম্পৃক্ত। চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখতে হবে এবং চাঁদ দেখা গেলে রোজা ছাড়তে হবে ।

এটা দ্বীন ইসলামের বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য ইসলামের সার্বজনীনতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করে, এবং তা সমগ্র দুনিয়ার সকল মানুষের জন্য এবং সর্ব কালের জন্য প্রজোয্য বলে নির্দেশ করে।

কারণ, বর্তমান দুনিয়ার মানুষ সাধারণত বস্ত্তর্নিভর। তাই তারা প্রত্যক্ষ কোন মাধ্যম বা চাক্ষুষ কোন প্রমাণকে যত তাড়াতাড়ি বা সহজে মেনে নেয় অন্য কিছুকে ততটা মেনে নেয় না ।

ফলে আল্লাহ চাঁদ দেখার সাথে ইসলামের অনেক ইবাদতকেই সম্পৃক্ত করেছেন।

عن ابن عمر -رضي الله عنهما- قال : تراءى الناس الهلال؛ فأخبرت رسول الله صلي الله عليه و سلم أني رأيـته، فصـامه وأمـر النـاس بصـيامه رواه أبوداود (2342)

ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত : তিনি বলেন, মানুষ সম্মিলিতভাবে চাঁদ দেখতে লাগল, তাদের মাঝে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এসে সংবাদ প্রদান করি যে, আমি চাঁদ দেখেছি। এ সংবাদের উপর ভিত্তি করে রাসূল নিজে রোজা রাখেন, এবং সকলকে রোজা রাখার নির্দেশ দেন। আবু দাউদ : ২৩৪।

ইবনে আববাস হতেও এ জাতীয় একটি হাদিসের বর্ণনা পাওয়া যায়, তিনি বলেন :

جاء أعرابي إلى النبي صلي الله عليه و سلم فقال : إني رأيت الهلال -يعني رمضان- فقال : أتشهد أن لا إله إلا الله؟ . قال : نعم، قال : أتشهد أن محمداً رسول الله؟، قال : نعم . قال : يا بلال أذِّن في الناس فليصوموا غدا . ً رواه أبوداود :

এক গ্রাম্য সজ্জন রাসূল সা.-এর দরবারে এসে আরজ করল : আমি রমজানের চাঁদ দেখেছি। রাসূল বললেন : তুমি কি সাক্ষ্য প্রদান কর যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ? লোকটি উত্তর দিল : হ্যা। রাসূল বললেন : তুমি কি সাক্ষ্য প্রদান কর যে, মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল ? লোকটি উত্তর দিল : হ্যা। রাসূল অত:পর বেলাল রা.-এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন : হে বেলাল ! মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামীকাল রোজা রাখে। আবুদাউদ :২৩৪০

হাদিসটি ইসলাম ধর্মের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছে ; একজন সমাজকর্মী বা মানব সেবী তার প্রতিটি পদক্ষেপে এর প্রয়োজন উপলব্ধি করে এবং বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়। বিশেষত: যারা সাধারণ মানুষের মাঝে দাওয়াতের কাজ করেন এমন দায়ী ও সংস্কারকদের জন্য বিষয়টি অধিক প্রণিধানযোগ্য।

অর্থাৎ একজন সাধারণ মানুষ তার সততায় যদি কোন প্রকার প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, বুদ্ধি বা জ্ঞানগত কোন দুর্বলতার ইঙ্গিত যদি না থাকে এবং ব্যক্তিস্বার্থ যদি তার মধ্যে না থাকে তখন তার কথায় বিশ্বাস করা এবং তার কথাকে মূল্যায়ন করা ও তার সংবাদ অনুসারে কোন সংবাদ দেয়া অসঙ্গত নয়।

কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বীনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে—যাকে রুকনের মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে—সাধারণ এক গ্রাম্য ব্যক্তির কথা গ্রহণ করেছেন।

হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় রমজান মাসের চাঁদ এক ব্যক্তির দেখাই যথেষ্ট। যদি কোন ব্যক্তি চাঁদ দেখার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এসে সংবাদ দেয় এবং কর্তৃপক্ষ তার সংবাদ যাচাই করার পর যদি তার সংবাদ গ্রহণযোগ্য মনে করে তখন তার সংবাদ দ্বারা রমজানের চাঁদ প্রমাণিত হবে এবং কর্তৃপক্ষ যখন ঘোষণা দেবে তখন জন সাধারণের জন্য রোজা রাখা ওয়াজিব হবে।

কোন কারণে শাবান মাসের ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা না গেলে বা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় কোথাও হতে নির্ভরযোগ্য কোন সংবাদ পাওয়া না গেলে তখন অবশ্যই ত্রিশ দিন পূরণ করতে হবে এবং ত্রিশ দিন পুরো করার পর রোজা রাখবে।

এ ক্ষেত্রে পঞ্জিকা অনুসারে বিধা প্রদান ইসলামি শরিয়ত গ্রহণ করে না। কারণ, ইসলাম মাসের শুরু এবং শেষ নির্ধারণ করেছে চাঁদ দেখা এবং না-দেখার উপর ভিত্তি করে, ক্যালেন্ডারের হিসাবের উপর ভিত্তি করে নয়।

সুতরাং যদি কোন দিক হতে চাঁদ দেখার সংবাদ না আসে তখন ত্রিশ দিন পূরণ করবে। রাসূল সা. বলেন—

صوموا لرؤيته وأفطروا لرؤيته، وانسكوا لها؛ فإن غم عليكم فأكملوا ثلاثين، فإن شهد شاهدان فصوموا وأفطروا . النسائي :২১১৬

তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, চাঁদ দেখেই ভঙ্গ কর। চাঁদ দেখাকে অভ্যাসে পরিণত কর। যদি চাঁদ দেখা না যায়, তবে ত্রিশ দিন পূরণ কর। যদি দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করে, তবে তোমরা রোজা রাখ, এবং রোজা ভঙ্গ কর। নাসায়ি : ২১১৬।

الشهر تسع وعشرون ليلة، فلا تصوموا حتى تروه، فإن غم عليكم فأكملوا العدة ثلاثين . البخاري : ১৮০৮

মাস হল ২৯ রাত্রি। তবে, চাঁদ না দেখে তোমরা রোজা রেখ না। যদি চাঁদ না দেখা যায়, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। বুখারি, হাদিস নং ১৮০৮

উল্লেখিত হাদিসগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয় কোন কারণে চাঁদ দেখা না গেলে অবশ্যই তাকে ত্রিশদিন পূর্ণ করতে হবে।

শরিয়ত বিষয়টিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পর এ সংক্রান্ত অতি সাবধানতার পদ্ধতি অবলম্বন নিষ্প্রয়োজন। সুতরাং রাসূল সা. এ বিষয়ে পরিপূর্ণ সমাধান দেয়ার পরও যেন কেউ সন্দেহের দিন রোজা রাখাকে বুর্জুগী মনে না করে বরং রোজা রাখা হতে বিরত থাকে। কারণ এর মধ্যে কোন প্রকার তাকওয়া বা পরহেজগারী নিহিত নেই বরং তাকওয়া হল রাসূল সা.-এর সুন্নাতের অনুকরণ এবং তার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন