HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
চাঁদ দেখা ও সন্দেহের দিন রোজা রাখা প্রসঙ্গে শরীয়তের বিধান
লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৫
ইসলামের দিক নির্দেশনাকে যদি অনুকরণ করা হয় তাহলে কোন প্রকার ফেৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয় নাবিশেষভাবে আলেম-ওলামা ইসলামের দায়ী এবং মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ যদি চাঁদ দেখার ইসলামি বিধানকে অনুসরণ করেন তাহলে দেশে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ও মত বিরোধ দেখা দেবে না। পারস্পরিক দন্দ্ব, রেষারেষি দুর হবে সমগ্র পৃথিবীর সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের পারস্পরিক দূরত্ব ও বিরোধ নিরসন করতে সহায়ক হবে।
এ বিষয়েটি সমাধান করার জন্য যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তাহল : চাঁদ দেখা এবং এর ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বে দেয়া যেতে পারে। তারা যখন ইসলামি বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে তখন সমগ্র জাতিকে তা অবহিত করবে এবং তাদের দিক নির্দেশনা অনুসারে রোজা বা ঈদ পালিত হবে। আর যখন তারা ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখা নিশ্চিত হবে না তখন ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
বিভিন্ন মতের মাঝে অধিক গ্রহণযোগ্য বক্তব্য অনুসারে এ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় যে ভৌগলিক পার্থক্যের কারণে চাঁদ কখনো এক স্থানে দেখা দেয়, অপর স্থানে দেখা দেয় না। যদিও অন্যান্য ভূমির সাথে পার্থক্য হয়, তবুই নির্দিষ্ট ভূমির অধিবাসীরা তাদের দেখার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কোন ভূমিতে এক ব্যক্তি যদি চাঁদ দেখে, তবে সকলের উপর রোজা রাখা বা ঈদ পালন ওয়াজিব হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে কোরআনের বর্ণনা উল্লেখ করা যেতে পারে। কোরআনে এসেছে—
شهر رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ }[ البقرة : 185]،
অর্থাৎ, রমজান মাস, যাতে কোরান নাজিল হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়েত ও সত-অসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। তোমাদের মাঝে যে মাস প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন রোজা রাখে।
রাসূল বলেছেনততোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, এবং ভঙ্গ কর। শরিয়ত প্রণেতার পক্ষ হতে মাসে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি চাঁদ দেখার সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে। তবে, চাঁদ উদিত হওয়ার স্থান ভূমিগত পার্থক্যের ফলে পৃথক হওয়াই স্বাভাবিক।দ্র : মাজমুঊ ফাতাওয়া ইবনে উসাইমিন : খন্ড : ১৯, পৃষ্ঠা : ৪৪-৪৭।
আর যদি কোন কারণে নিজেদের দেশে চাঁদ দেখা নিশ্চিত হতে না পারে তবে তাদের পার্শ্ববর্তী কোন ইসলামি দেশে চাঁদ দেখা গেলে তাদের অনুকরণে আমল করা শরিয়ত সম্মত। ফলে তারা যেদিন রোজা রাখবে সেদিন রোজা আর তারা যে দিন ঈদ করবে সেদিন ঈদ রাখা বাঞ্ছনীয়।
কারণ যখন কোথাও হতে চাঁদ দেখা না যায় তখন এ ছাড়া আর কোন করণীয় থাকে না । কিন্তু এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন হল, এ ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যদি কখনো দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেয়—যেমন সৌরবাৎসরিক পঞ্জিকা মতে রোজা রাখা বা ভঙ্গ করার আদেশ জারি করল, তখন আমাদের কি করণীয় ?
তবে এ ক্ষেত্রে বাহ্যত: তাদের অনুসরণ করাই শ্রেয় ও অগ্রগণ্য। যারা দায়িত্বশীল বা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কারণ, প্রকাশ্য মতবিরোধ এড়িয়ে যাওয়া খুবই জরুরি। হাদিসে এসেছে-
الصوم يوم تصومون
অর্থাৎ, যেদিন সকলে রোজা পালন করবে, সেদিনই রোজা।
এ হাদিসের উপর ভিত্তি করে উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা যেতে পারে। তাছাড়া, শরিয়ত ও মানবিক যুক্তির ভিত্তিতে বলা যায়, ইসলামের এ জাতীয় অমৌলিক মাসআলার ব্যাপারে বিরোধ এড়িয়ে ঐক্যের ভিত দৃঢ় করা কল্যাণকর ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
মাসের শুরু ও সমাপ্তির ব্যাপারে সংখ্যালঘু কিছু মুসলিম সমাজের মাঝে এ জাতীয় বিরোধ থাকা কোনভাবেই উচিত নয় । কারণ এতে কলহ-বিবাদ-দলাদলি এবং বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয় এবং অমুসলিমদের মাঝে মুসলমানদের প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং তাদের মতামত অর্থহীন হয়।
এ বিষয়েটি সমাধান করার জন্য যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তাহল : চাঁদ দেখা এবং এর ঘোষণা দেয়ার বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বে দেয়া যেতে পারে। তারা যখন ইসলামি বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে তখন সমগ্র জাতিকে তা অবহিত করবে এবং তাদের দিক নির্দেশনা অনুসারে রোজা বা ঈদ পালিত হবে। আর যখন তারা ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী চাঁদ দেখা নিশ্চিত হবে না তখন ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
বিভিন্ন মতের মাঝে অধিক গ্রহণযোগ্য বক্তব্য অনুসারে এ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয় যে ভৌগলিক পার্থক্যের কারণে চাঁদ কখনো এক স্থানে দেখা দেয়, অপর স্থানে দেখা দেয় না। যদিও অন্যান্য ভূমির সাথে পার্থক্য হয়, তবুই নির্দিষ্ট ভূমির অধিবাসীরা তাদের দেখার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কোন ভূমিতে এক ব্যক্তি যদি চাঁদ দেখে, তবে সকলের উপর রোজা রাখা বা ঈদ পালন ওয়াজিব হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে কোরআনের বর্ণনা উল্লেখ করা যেতে পারে। কোরআনে এসেছে—
شهر رَمَضَانَ الَّذِيَ أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ }[ البقرة : 185]،
অর্থাৎ, রমজান মাস, যাতে কোরান নাজিল হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়েত ও সত-অসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। তোমাদের মাঝে যে মাস প্রত্যক্ষ করবে, সে যেন রোজা রাখে।
রাসূল বলেছেনততোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, এবং ভঙ্গ কর। শরিয়ত প্রণেতার পক্ষ হতে মাসে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি চাঁদ দেখার সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে। তবে, চাঁদ উদিত হওয়ার স্থান ভূমিগত পার্থক্যের ফলে পৃথক হওয়াই স্বাভাবিক।দ্র : মাজমুঊ ফাতাওয়া ইবনে উসাইমিন : খন্ড : ১৯, পৃষ্ঠা : ৪৪-৪৭।
আর যদি কোন কারণে নিজেদের দেশে চাঁদ দেখা নিশ্চিত হতে না পারে তবে তাদের পার্শ্ববর্তী কোন ইসলামি দেশে চাঁদ দেখা গেলে তাদের অনুকরণে আমল করা শরিয়ত সম্মত। ফলে তারা যেদিন রোজা রাখবে সেদিন রোজা আর তারা যে দিন ঈদ করবে সেদিন ঈদ রাখা বাঞ্ছনীয়।
কারণ যখন কোথাও হতে চাঁদ দেখা না যায় তখন এ ছাড়া আর কোন করণীয় থাকে না । কিন্তু এক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন হল, এ ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যদি কখনো দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেয়—যেমন সৌরবাৎসরিক পঞ্জিকা মতে রোজা রাখা বা ভঙ্গ করার আদেশ জারি করল, তখন আমাদের কি করণীয় ?
তবে এ ক্ষেত্রে বাহ্যত: তাদের অনুসরণ করাই শ্রেয় ও অগ্রগণ্য। যারা দায়িত্বশীল বা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কারণ, প্রকাশ্য মতবিরোধ এড়িয়ে যাওয়া খুবই জরুরি। হাদিসে এসেছে-
الصوم يوم تصومون
অর্থাৎ, যেদিন সকলে রোজা পালন করবে, সেদিনই রোজা।
এ হাদিসের উপর ভিত্তি করে উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা যেতে পারে। তাছাড়া, শরিয়ত ও মানবিক যুক্তির ভিত্তিতে বলা যায়, ইসলামের এ জাতীয় অমৌলিক মাসআলার ব্যাপারে বিরোধ এড়িয়ে ঐক্যের ভিত দৃঢ় করা কল্যাণকর ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
মাসের শুরু ও সমাপ্তির ব্যাপারে সংখ্যালঘু কিছু মুসলিম সমাজের মাঝে এ জাতীয় বিরোধ থাকা কোনভাবেই উচিত নয় । কারণ এতে কলহ-বিবাদ-দলাদলি এবং বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয় এবং অমুসলিমদের মাঝে মুসলমানদের প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং তাদের মতামত অর্থহীন হয়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন