HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
চাঁদ দেখা ও সন্দেহের দিন রোজা রাখা প্রসঙ্গে শরীয়তের বিধান
লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৪
ঈদ ও রমজান জামাতের সাথে পালন করা জরুরিএখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে ইসলাম কখনো ফিরকাবন্দি দলাদলি এবং মতবিরোধকে সমর্থন করে না । ইসলাম ঐক্য ভ্রাতৃত্ব এবং শান্তি শৃঙ্খলাকেই সমর্থন করে এবং এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। বিশেষ করে ঈদ, রোজা, কোরবানি, হজ, ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইসলাম অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে ।
বলতে গেলে এ সকল বিধানের মূল লক্ষ্যই হল মুসলমানদের ঐক্যকে অটুট রাখা এবং তাদের পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করা ও অনৈক্য দুর করা। সুতরাং কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ সকল বিষয়ে একক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত এক মাত্র সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ। অন্য কেউ তাদেরকে শুধু মাত্র সহযোগিতা করতে পারে । এ বিষয়ে রাসূল সা.বলেন ,
الصوم يوم تصومون، والفطر يوم تفطرون، والأضحى يوم تضحون . الترمذي : ৬৯৭
অর্থ : যেদিন সকলে রোজা পালন করবে, সেদিনই রোজা পালন করতে হবে ; যেদিন সকলের ঈদুল ফিতর পালন করবে, সেদিন ঈদুল ফিতর পালন করতে হবে । আর যেদিন সকলে কোরবানি পালন করবে, সেদিনই কোরবানি বা ঈদুল আযহা উদযাপন করবে।তিরমিজি : ৬৯৭। হাদিসটি সহিহ।
হাদিসটির ব্যাখ্যা এই যে, রোজা রাখা, ভঙ্গ করা, ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে সকলের অনুবর্তী হওয়া এবং অধিকাংশ মানুষের অনুকরণ করাই কাম্য। এ সকল বিষয়—প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতানুসারে—ব্যক্তি বিশেষের প্রভাব বা দ্বারা নির্ধারিত হবে না
সুতরাং কেউ একা চাঁদ দেখার পর তা যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করে তখন তার উচিত হল সে বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাবে না বরং চুপচাপ থাকবে। সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে এবং অধিকাংশ মানুষ বা জামাতের অনুকরণ করবে। জামাত-চ্যুত হওয়াও, এ ক্ষেত্রে, বৈধ নয়। ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন মতের অধিকারী হলেও, সকলের অনুবর্তী হওয়াই তার জন্য ওয়াজিব।
কোন ব্যক্তি একাকী রোজা বা ঈদের চাঁদ দেখল, এবং মানুষ তার কথা গ্রহণ করল না—তার ক্ষেত্রে কীভাবে সমাধান প্রদান করা হবে, এ ব্যাপারে আলেমগণ তিন মতে বিভক্ত হয়েছেন। একদলের মত এই যে, সে রোজা রাখবে, এবং যেহেতু সে নিজে চাঁদ প্রত্যক্ষ করেছে, তাই গোপনে রোজা ভঙ্গ করবে এবং ঈদের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে গোপনে আহার করবে। অপরদলের মত : রোজা পালন করবে এবং সকলের সাথে সম্মিলিতভাবে পরদিন ঈদ পালন করবে। তৃতীয় মত হল : সে রোজা রাখবে সম্মিলিতভাবে সকলের সাথে, এবং ঈদও পালন করবে সকলের সাথে। তৃতীয় মতটি উপরোক্ত হাদিসের আলোকে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য মত। ইবনে তাইমিয়ার মাজমুঊ ফাতাওয়া দৃষ্টব্য। খন্ড : ২৫, পৃষ্ঠা : ২১৪-২১৮।
বলতে গেলে এ সকল বিধানের মূল লক্ষ্যই হল মুসলমানদের ঐক্যকে অটুট রাখা এবং তাদের পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করা ও অনৈক্য দুর করা। সুতরাং কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ সকল বিষয়ে একক কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত এক মাত্র সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ। অন্য কেউ তাদেরকে শুধু মাত্র সহযোগিতা করতে পারে । এ বিষয়ে রাসূল সা.বলেন ,
الصوم يوم تصومون، والفطر يوم تفطرون، والأضحى يوم تضحون . الترمذي : ৬৯৭
অর্থ : যেদিন সকলে রোজা পালন করবে, সেদিনই রোজা পালন করতে হবে ; যেদিন সকলের ঈদুল ফিতর পালন করবে, সেদিন ঈদুল ফিতর পালন করতে হবে । আর যেদিন সকলে কোরবানি পালন করবে, সেদিনই কোরবানি বা ঈদুল আযহা উদযাপন করবে।তিরমিজি : ৬৯৭। হাদিসটি সহিহ।
হাদিসটির ব্যাখ্যা এই যে, রোজা রাখা, ভঙ্গ করা, ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে সকলের অনুবর্তী হওয়া এবং অধিকাংশ মানুষের অনুকরণ করাই কাম্য। এ সকল বিষয়—প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতানুসারে—ব্যক্তি বিশেষের প্রভাব বা দ্বারা নির্ধারিত হবে না
সুতরাং কেউ একা চাঁদ দেখার পর তা যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করে তখন তার উচিত হল সে বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাবে না বরং চুপচাপ থাকবে। সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিবে এবং অধিকাংশ মানুষ বা জামাতের অনুকরণ করবে। জামাত-চ্যুত হওয়াও, এ ক্ষেত্রে, বৈধ নয়। ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন মতের অধিকারী হলেও, সকলের অনুবর্তী হওয়াই তার জন্য ওয়াজিব।
কোন ব্যক্তি একাকী রোজা বা ঈদের চাঁদ দেখল, এবং মানুষ তার কথা গ্রহণ করল না—তার ক্ষেত্রে কীভাবে সমাধান প্রদান করা হবে, এ ব্যাপারে আলেমগণ তিন মতে বিভক্ত হয়েছেন। একদলের মত এই যে, সে রোজা রাখবে, এবং যেহেতু সে নিজে চাঁদ প্রত্যক্ষ করেছে, তাই গোপনে রোজা ভঙ্গ করবে এবং ঈদের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে গোপনে আহার করবে। অপরদলের মত : রোজা পালন করবে এবং সকলের সাথে সম্মিলিতভাবে পরদিন ঈদ পালন করবে। তৃতীয় মত হল : সে রোজা রাখবে সম্মিলিতভাবে সকলের সাথে, এবং ঈদও পালন করবে সকলের সাথে। তৃতীয় মতটি উপরোক্ত হাদিসের আলোকে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য মত। ইবনে তাইমিয়ার মাজমুঊ ফাতাওয়া দৃষ্টব্য। খন্ড : ২৫, পৃষ্ঠা : ২১৪-২১৮।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন