HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
চাঁদ দেখা ও সন্দেহের দিন রোজা রাখা প্রসঙ্গে শরীয়তের বিধান
লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
৩
সন্দেহের দিন রোজা রাখার বিধানউনত্রিশ তারিখে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে যদি আকাশে চাঁদ দেখা না যায় এবং কোথাও থেকে চাঁদ দেখার কোন সংবাদ না আসে, তখন শাবানের ত্রিশ তারিখকে হাদিসের ভাষায় সন্দেহের দিন বলা হয় । এ দিন রোজা রাখা সম্পর্কে হাদিসে সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্দেহের দিনে রোজা পালন করে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে নিষেধ করে এরশাদ করেছেন—
لا تصوموا قبل رمضان؛ صوموا للرؤية وأفطروا للرؤية، فإن حالت دونه غياية فأكملوا ثلاثين . النسائي : ২১৩০
তোমরা রমজান আগমনের পূর্বে রোজা পালন কর না, চাঁদ দেখে রোজা রাখ, এবং চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ কর। যদি আআশ মেঘে ঢেকে যায়, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। নাসায়ি : ২১৩০, হাদিসটি সহিহ।
অপর স্থানে এসেছে—
لا تقدموا رمضان بصوم يوم ولا يومين، إلا رجل كان يصوم صوماً فليصمه . مسلم : ১০৮২
তোমরা একদিন, কিংবা দুইদিন পূর্বে রোজা রেখে রমজান মাসকে এগিয়ে নেবে না, তবে এমন ব্যক্তির জন্য বৈধ, যে ব্যক্তি ঐ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখায় অভ্যস্ত তখন তার জন্য ঐ দিন নফল রোজা রাখা বৈধ।
অনেকে অতিরিক্ত সতর্কতা বশত এ দিন রোজা রাখে, যা আদৌ সঠিক নয়। কারণ রোজা শুরু এবং শেষ করাকে নির্ধারণ করেছে চাঁদ দেখা এবং না দেখার উপর।
চাঁদ দেখা না গেলে রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নাই। আম্মার ইবনে ইয়াসার রা. তাই, বলতেন :
من صام اليوم الذي يشك به الناس فقد عصى أبا القاسم صلى الله عليه وسلم . الترمذي ৬৮৬
মানুষের কাছে সংশয়পূর্ণ দিবসে যে ব্যক্তি রোজা পালন করবে, সে নিশ্চয় আবুল কাছেম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্যতায় লিপ্ত হল। তিরমিজি : ৬৮৬।
কোন ব্যক্তি চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি এবং তার নিকট কোন নির্ভরযোগ্য খবরও পৌঁছেনি এ অবস্থায় সে দোদুল্যমান নিয়ত নিয়ে রোজা রাখে—যেমন সে বলল, যদি দিনটি রমজান ভুক্ত হিসেবে প্রমাণ হয়, তবে আমি রমজানেরই রোজা হিসেবে তা পালন করলাম অন্যথায় তা নফল রোজা। এ ধরনের নিয়ত করা সঠিক নয়, এ রকম করলে তার রোজা হবে না। আর যদি নিয়ত করে—যদি রমজান হয় তবে তা রমজানের রোজা। অন্যথায় কোন রোজাই নয়—তখন অগ্রগণ্য মতানুসারে তার রোজা সঠিক হবে।
কারণ, নিয়ত সাধারণত তার জ্ঞানেরই অনুকরন করে। ফলে সে যখন বিশ্বাস করবে আগামি কাল রমজান মাসের শুরু তখন সে রোজার জন্য নিয়ত নির্দিষ্ট করে নিবে। কিন্ত যখন জানতে পারবে যে রমজান নয় তখন সে রোজা ভঙ্গ করে ফেলবে।
আর যদি কেউ সে দিন নফল রোজা রাখার নিয়ত করে এবং এদিন নফল রোজা রাখার কোন ধারাবাহিকতা বা অভ্যাস নাই তাহলে তার রোজা হবে না। কারণ, পরস্পর বিরোধী দুটো নিয়্যত একই কাজে কার্যকর হতে পারে না।
ইসলামি শরিয়ত রোজা রাখা এবং ইফতার করার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে সিদ্ধান্তকে যদি অনুকরণ করা হয় তবে বর্তমানে আমাদের দেশে পঞ্জিকা অনুসারে সৌর বাৎসরিক হিসাব গণনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত নতুন ফিরকা ও তার ফিতনার ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হবে না।
শরিয়ত, সন্দেহাতীতভাবে, তার ভিত হল : রাসূল সা.হতে প্রমাণিত শরয়ি বর্ণনার প্রশ্নাতীত অনুকরণ, অনুসরণ, ও তা নির্বিঘ্নে মান্য করা। আর এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই শরয়ি নস বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট করেছে চাঁদ দেখার সাথে, পঞ্জিকার সাথে নয়।
অর্থাৎ যখন চাঁদ দেখা যাবে, যদিও তা দৃষ্ট হয় নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্র হতে, বা অন্য কোন উপায়ে তবে, সে অনুসারে আমল করা আবশ্যক হিসেবে গণ্য হবে। কারণ, বিষয়টি তখন রাসূলের উক্তির ব্যাপকতা —‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, কিংবা ভঙ্গ কর’-র আওতাভুক্ত হবে। আর যদি না দেখা যায়, তবে অবশ্যই ত্রিশ দিন পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অনেক কিছুই এখন সহজ হয়ে গেছে। এখন যদি কেউ দূরবীনের সাহায্যে চাঁদ অনুসন্ধান করে তবে তা অবশ্যই নিষেধ নয়। তবে এমন নয় যে দুরবীন ছাড়া চলবে না এবং দুরবীন ব্যবহার করা জরুরি। কারণ, হাদিসের বাহ্যিক বর্ণনা দ্বারা আমরা অবগত হই যে, স্বাভাবিক দৃষ্টির উপর নির্ভর করাই যথেষ্ট। সম্মিলিতভাবে, চাঁদ দেখা আবশ্যক। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। ইবনে উসাইমিন : মাজমূঊ ফাতাওয়া : খন্ড : ১৯, পৃষ্ঠা : ৩৬-৩৭
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্দেহের দিনে রোজা পালন করে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে নিষেধ করে এরশাদ করেছেন—
لا تصوموا قبل رمضان؛ صوموا للرؤية وأفطروا للرؤية، فإن حالت دونه غياية فأكملوا ثلاثين . النسائي : ২১৩০
তোমরা রমজান আগমনের পূর্বে রোজা পালন কর না, চাঁদ দেখে রোজা রাখ, এবং চাঁদ দেখে রোজা ভঙ্গ কর। যদি আআশ মেঘে ঢেকে যায়, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। নাসায়ি : ২১৩০, হাদিসটি সহিহ।
অপর স্থানে এসেছে—
لا تقدموا رمضان بصوم يوم ولا يومين، إلا رجل كان يصوم صوماً فليصمه . مسلم : ১০৮২
তোমরা একদিন, কিংবা দুইদিন পূর্বে রোজা রেখে রমজান মাসকে এগিয়ে নেবে না, তবে এমন ব্যক্তির জন্য বৈধ, যে ব্যক্তি ঐ দিনগুলোতে নফল রোজা রাখায় অভ্যস্ত তখন তার জন্য ঐ দিন নফল রোজা রাখা বৈধ।
অনেকে অতিরিক্ত সতর্কতা বশত এ দিন রোজা রাখে, যা আদৌ সঠিক নয়। কারণ রোজা শুরু এবং শেষ করাকে নির্ধারণ করেছে চাঁদ দেখা এবং না দেখার উপর।
চাঁদ দেখা না গেলে রোজা রাখার কোন প্রয়োজন নাই। আম্মার ইবনে ইয়াসার রা. তাই, বলতেন :
من صام اليوم الذي يشك به الناس فقد عصى أبا القاسم صلى الله عليه وسلم . الترمذي ৬৮৬
মানুষের কাছে সংশয়পূর্ণ দিবসে যে ব্যক্তি রোজা পালন করবে, সে নিশ্চয় আবুল কাছেম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্যতায় লিপ্ত হল। তিরমিজি : ৬৮৬।
কোন ব্যক্তি চাঁদ দেখার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি এবং তার নিকট কোন নির্ভরযোগ্য খবরও পৌঁছেনি এ অবস্থায় সে দোদুল্যমান নিয়ত নিয়ে রোজা রাখে—যেমন সে বলল, যদি দিনটি রমজান ভুক্ত হিসেবে প্রমাণ হয়, তবে আমি রমজানেরই রোজা হিসেবে তা পালন করলাম অন্যথায় তা নফল রোজা। এ ধরনের নিয়ত করা সঠিক নয়, এ রকম করলে তার রোজা হবে না। আর যদি নিয়ত করে—যদি রমজান হয় তবে তা রমজানের রোজা। অন্যথায় কোন রোজাই নয়—তখন অগ্রগণ্য মতানুসারে তার রোজা সঠিক হবে।
কারণ, নিয়ত সাধারণত তার জ্ঞানেরই অনুকরন করে। ফলে সে যখন বিশ্বাস করবে আগামি কাল রমজান মাসের শুরু তখন সে রোজার জন্য নিয়ত নির্দিষ্ট করে নিবে। কিন্ত যখন জানতে পারবে যে রমজান নয় তখন সে রোজা ভঙ্গ করে ফেলবে।
আর যদি কেউ সে দিন নফল রোজা রাখার নিয়ত করে এবং এদিন নফল রোজা রাখার কোন ধারাবাহিকতা বা অভ্যাস নাই তাহলে তার রোজা হবে না। কারণ, পরস্পর বিরোধী দুটো নিয়্যত একই কাজে কার্যকর হতে পারে না।
ইসলামি শরিয়ত রোজা রাখা এবং ইফতার করার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সে সিদ্ধান্তকে যদি অনুকরণ করা হয় তবে বর্তমানে আমাদের দেশে পঞ্জিকা অনুসারে সৌর বাৎসরিক হিসাব গণনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত নতুন ফিরকা ও তার ফিতনার ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হবে না।
শরিয়ত, সন্দেহাতীতভাবে, তার ভিত হল : রাসূল সা.হতে প্রমাণিত শরয়ি বর্ণনার প্রশ্নাতীত অনুকরণ, অনুসরণ, ও তা নির্বিঘ্নে মান্য করা। আর এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই শরয়ি নস বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট করেছে চাঁদ দেখার সাথে, পঞ্জিকার সাথে নয়।
অর্থাৎ যখন চাঁদ দেখা যাবে, যদিও তা দৃষ্ট হয় নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ-কেন্দ্র হতে, বা অন্য কোন উপায়ে তবে, সে অনুসারে আমল করা আবশ্যক হিসেবে গণ্য হবে। কারণ, বিষয়টি তখন রাসূলের উক্তির ব্যাপকতা —‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ, কিংবা ভঙ্গ কর’-র আওতাভুক্ত হবে। আর যদি না দেখা যায়, তবে অবশ্যই ত্রিশ দিন পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে।
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অনেক কিছুই এখন সহজ হয়ে গেছে। এখন যদি কেউ দূরবীনের সাহায্যে চাঁদ অনুসন্ধান করে তবে তা অবশ্যই নিষেধ নয়। তবে এমন নয় যে দুরবীন ছাড়া চলবে না এবং দুরবীন ব্যবহার করা জরুরি। কারণ, হাদিসের বাহ্যিক বর্ণনা দ্বারা আমরা অবগত হই যে, স্বাভাবিক দৃষ্টির উপর নির্ভর করাই যথেষ্ট। সম্মিলিতভাবে, চাঁদ দেখা আবশ্যক। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত। ইবনে উসাইমিন : মাজমূঊ ফাতাওয়া : খন্ড : ১৯, পৃষ্ঠা : ৩৬-৩৭
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন