HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামি আকিদার বৈশিষ্ট্যসমূহ

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ

দ্বিতীয়ত : ইসলামি আকিদার স্বয়ংসম্পূর্ণতার স্বরূপ :
ইসলামি আকিদা উল্লেখিত বিষয়ের কেবল সমন্বিত রূপই নয়, বরং আলোচিত ব্যাপকতার সাথে সাথে উক্ত বিষয়সমূহের মাঝে পারস্পরিক যোগসূত্রও বিদ্যমান রেখেছে যে, একটি অপরটি থেকে বিচ্ছিন্ন বা আলাদা কিছু নয়। এখানে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো, যেখানে প্রতিটি বিষয় ও অধ্যায়ের ব্যাপকতার দলিলের সাথে পারস্পরিক যোগসূত্রও দৃশ্যমান হবে।

১ - ইসলামি আকিদার পরিধি : পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামি আকিদা আল্লাহ, পরকাল দিবস, ফেরেশতা, কিতাব, নবি-রাসূল এবং ভাল-মন্দের তাকদিরের সমন্বিত রূপ। এর বিপরীতে কতক আকিদা আছে, যা সব বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয় বা সব বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে না। আবার তার অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো পাশাপাশি অবস্থান করলেও পরস্পরের মাঝে কোন যোগসূত্র বিদ্যমান থাকে না। প্রত্যেকটি বিষয় নিজস্ব আঙ্গিনায় বিচরণ করে ও পৃথক সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকে। আমাদের আলোচিত ইসলামি আকিদা এমন নয়, বরং এর এক একটি বিষয় বা রুকন প্রত্যেকটি বিষয় বা রুকনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। চুড়ান্তরূপে সব ক’টি বিষয় মিলে একটি পরিপূর্ণ ও পূণাঙ্গ জীবন বিধানের স্বীকৃতরূপ, যা মানব জাতির জীবনে ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্য বয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

আরেকটু পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, ইসলামি আকিদার প্রতিটি রুকন, প্রথম ও প্রধান রুকন তথা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সাথে যুক্ত, মূলত আল্লাহর প্রতি ঈমান-ই হচ্ছে ইসলামি আকিদার মূল ভিত্তি বা মেরুদন্ড। অতঃপর আকিদার অন্যান্য রুকন এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পূর্ণতা লাভ করে। উদাহরণত পরকালের বিশ্বাস, আল্লাহর ইনসাফ, হিকমত, আসমান-জমিন ও জীবন-মৃত্যুর বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ পরকালের বিশ্বাস মানে আল্লাহর বিভিন্ন সিফাতের উপর বিশ্বাসের আরেকটি ধাপ। যদি আমরা এ শেষ দিবসে বিশ্বাস না রাখি, যেখানে প্রত্যেকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে, প্রত্যেক বস্ত্ত তার মূল আকৃতিতে উপস্থিত হবে, তবে আমাদের ঈমানই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস : ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস মূলত আল্লাহর কুদরত তথা আরেকটি সিফাতের উপরই বিশ্বাস। ইরশাদ হচ্ছে :

الْحَمْدُ لِلَّهِ فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَاعِلِ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا أُولِي أَجْنِحَةٍ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ يَزِيدُ فِي الْخَلْقِ مَا يَشَاءُ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ﴿الفاطر :১﴾

‘‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান ও জমিনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক-তারা দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার পাখাবিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির ভেতর যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সক্ষম।’’ [আল-ফাতের : ১]

ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস আল্লাহর সে জীবন বিধানের উপর বিশ্বাসেরই নামান্তর, যার উপর তিনি আমাদের পরিচালিত করতে চান। কারণ তাদের মাধ্যমেই তিনি নবি-রসূলদের উপর বার্তা প্রেরণ করেন। তাই ফেরেশতাদের উপর ঈমান মূলত আলাদা কোন জিনিসের উপর ঈমান নয় বরং আল্লাহর উপর ঈমানের একটি অংশ এবং অন্যান রুকনের সাথে সম্পৃক্ত।

এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, ঈমানের একটি রুকন আরেকটি রুকনের সাথে সম্পৃক্ত, আবার সবকটি রুকন আল্লাহর প্রতি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। অতএব আসমানি কিতাবের উপর ঈমান আল্লাহর বিধানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত, যা তিনি মানবজাতির ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্যের জন্য রচনা করেছেন। তদ্রুপ নবিদের উপর ঈমানের সাথেও সম্পৃক্ত, কারণ তারাই ফেরেশতাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ওহীর বিধান আমাদের পর্যন্তপৌঁছিয়েছেন।

তাকদিরের উপর বিশ্বাসও আল্লাহর উপর বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত। কারণ তাকদিরের উপর বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তাআলাই একমাত্র এ বিশ্বসংসার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনাকারী । ভাল-মন্দ ও কল্যাণ-অকল্যাণ একমাত্র তার থেকেই উৎসারিত হয়।

এ আলোচনার দ্বারা আমাদের কাছে স্পষ্ট হল যে, আরকানুল ঈমান তথা আকিদার প্রতিটি রুকন অপর রুকনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

২. আমলের পরিধি : আগেই আলোচনা হয়েছে, ইসলামি আকিদা থেকে উৎসারিত আমল দুনিয়া-আখেরাত উভয় জগতের সাথে সম্পৃক্ত। এখানে আরেকটি কথা বলতে চাই যে, এ আকিদা দুনিয়া এবং আখেরাতের আমলের মাঝখানে কোন পাথর্ক্য সৃষ্টি করে না। একই আমল দুনিয়ার জন্য যেমন বিবেচ্য তদ্রুপ আখেরাতের জন্যও। অতএব ইসলামি আকিদার ভেতর কোন আমল শুধু দুনিয়া কিংবা শুধু আখেরাতের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং প্রত্যেকটি আমল এক দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন দুনিয়ার জন্য অপর দৃষ্টিকোণ থেকে আখেরাতের জন্য।

এমনকি যেসব আমল বাহ্যত শুধু আখেরাতের বলেই মনে হয়, সে আমলগুলোতেও বস্ত্তত পার্থিব স্বার্থ নিহিত রয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে :

إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ ﴿العنكبوت - ৪৫﴾

‘‘নিশ্চিয় নামাজ অশীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে।’’ [আনকাবুত : ৪৫]

অর্থাৎ সালাতের মধ্যে পার্থিব উপকারিতাও বিদ্যমান, যা বাহ্যত আখেরাতের আমল বলে প্রতিয়মান হয়। আরো ইরশাদ হচ্ছে :

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿البقرة :১৮৩﴾

‘‘হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা (এ দুনিয়াতেই) মুত্তাকি হতে পার।’’ [আল-বাকারা : ১৮৩]

এমনিভাবে ইসলামি আকিদা থেকে উৎসারিত সকল আমলের মাঝে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জগতের স্বার্থ বিদ্যমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য : যে সব আমলকে আমরা শুধু পার্থিব বলে মনে করি, যেমন পানাহার, ঘুমানো, পোষাক পরিধান, বিবাহ-শাদি ও দুনিয়ার উন্নতি কল্পে অন্যন্য পার্থিব কর্ম ব্যস্ততা। সেগুলোও কিন্তু আখেরাতের আমল হিসেবে বিবেচ্য। তবে এর জন্য কিছু শর্তের অনুসরণ করা প্রয়োজন। অর্থাৎ আখেরাতের প্রতিদান পেতে হলে এ সব জিনিসের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম এবং আল্লাহর নির্দেশের অনুসরণ করতে হবে। তবেই এ সব আমল ইসলামের দৃষ্টিতে মূল ইবাদত বলে গণ্য হবে। যেহেতু এতে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা হয়েছে এবং তার সন্তুষ্টির জন্যই সম্পাদন করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে :

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ ﴿الذاريات :৫৬﴾

‘‘একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি- মানব ও জ্বিনজাতি।’’ [জারিয়াত : ৫৬]

আরো ইরশাদ হচ্ছে :

قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ . قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ . لَا شَرِيكَ لَهُ ﴿الأنعام :১৬১-১৬৩﴾

‘‘বলুন, আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ, একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য। তার কোন শরীক নেই।’’ [আল আনআম : ১৬২-১৬৩]

এমনিভাবে অন্যসব আমল ও ইসলামি আকিদা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য সমানভাবে বিবেচনা করে।

৩- মানব অবয়বের পরিধি- আমরা আগেই বলেছি- ইমলামি আকিদা মানবজাতির দৈহিক, মানসিক এবং অন্তরাত্মার সবটুকু সন্নিবেশিত করে। তাই বলে এগুলো পৃথক পৃথক নয়। তবে এতটুকু ঠিক : কখনো দৈহিক কর্মচঞ্চলতা প্রাধান্য পায়, যেমন খানা-পান করা ও স্ত্রী সহবাস করা। কখনো চিন্তাশক্তি প্রাধান্য পায়, যেমন- চিন্তার সময় কিংবা গভীর মনোযোগ দিয়ে কোন কর্ম বা বিষয় গবেষণার মুহূর্তে। কখনো আত্মার কর্ম প্রাধান্য পায়, যেমন- ইবাদতের সময় ইত্যাদি। কিন্তু ইসলাম এগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন বিবেচনা করে না। যেমন খানা-পান করা এবং স্ত্রী সহবাসের সময় যদি হালাল-হারাম বিবেচনা এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করে তা সম্পন্ন করা হয়, তাহলে এর উপকারিতা শুধু শরীরে সীমাবদ্ধ থাকে না, পরকালীন ইবাদত বলেও গণ্য হয়। চিন্তার সময় সে খারাপ বিষয় থেকে বিরত থাকে। ভাল বিষয় নিয়ে চিন্তা করে। এবং আল্লাহকে ভয় করে, বিধায় এ চিন্তাও শুধু তার বোধশক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকে না, ইবাদতে পরিগণিত হয়। মূল ইবাদতের সময়ও শরীর, বোধশক্তি এবং আত্মা সমানভাবে সক্রিয় থাকে। যেমন নামাজ- এতে শুধু আত্মার কর্মই নয়, বরং তাতে উঠা-বসা, রুকু-সেজদার মাধ্যমে যোগ হয় শরীর, কুরআনের আয়াতে ধ্যান নিমগ্নতার কারণে যোগ হয় আত্মা। রসূল সা. বলেন :

ليس لك من صلاتك إلا ما وعيت .

তুমি নামাজে যতটুকু যত্নশীল হবে, ততটুকুই উপকৃত হবে।

৪- সামাজিক পরিধি- ইতঃপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে- ইসলামি আকিদা- ব্যক্তি, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র প্রভৃতিকে শামিল করে। এখানে আমরা বলতে চাই, ইসলামী আকিদা এ সব বিষয়কে আলাদা করে বিবেচনা করে না। এমন নয় ব্যক্তিকে এক ধাচে আর সমাজকে অন্য ধাচে পরিচালিত করে। বরং উভয়কে একই ধাচে পরিচালিত করে তবে উভয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভিন্ন।

মানদন্ড বলতে- আল্লাহর প্রতি ঈমান, তাকওয়া এবং তাঁর নির্দেশিত বিধি-বিধান। এ মানদন্ডের আওতায় কিছু দায়িত্ব সম্পাদন করে ব্যক্তি, আর কিছু দায়িত্ব সম্পাদন করে সমাজ। কিন্তু উভয়ে এক মানদন্ড-এক দীক্ষায় পরিচালিত। অতএব আমরা বলতে পারি- বিভিন্ন জাতি-গোত্র বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন হলেও তাদের লক্ষ্য অভিন্ন। ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে আলাদা হলেও তাদের উদ্দেশ্য এক। ব্যক্তি-সমাজ, রাজা-প্রজা, ধনী-গরীব কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। যেমনটি হয়ে আছে- জাহিলিয়্যাতপূর্ণ সমকালীন প্রাচ্য-পাশ্চাত্যে বরং বিশ্বের সর্বত্র। একদিকে অত্যাচারী শাসক অন্যদিকে অত্যাচারিত জনতা। একদিকে সংঘবদ্ধ জনতা অন্যদিকে নিঃসঙ্গ জননেতা।

তদ্রুপ জাতি ও রাষ্ট্র একত্রিত- এক আল্লাহর ইবাদত এবং তাঁর হুকুম অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে। অধিকন্তু এ বিষয়টি আকিদার মেরুদন্ডও বটে। ইরশাদ হচ্ছে :

وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ ﴿المائدة :৪৪﴾

‘‘যে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফয়সালা করে না, সে কাফের।’’ [আল-মায়েদা : ৪৪]

আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারের ব্যাপারেও জাতি-রাষ্ট্র সমান। অধিকন্তু এ বিষয়টি আকিদার আবেদনও বটে। ইরশাদ হচ্ছে :

كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ﴿أل عمران :১১০﴾

‘‘তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। তোমাদেরকে মানবজাতির কল্যাণে বের করা হয়েছে। তোমরা কল্যাণের আদেশ করবে, অকল্যাণ হতে বিরত রাখবে। এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।’’ [আলে ইমরান : ১১০]

অত্র আয়াতে সুস্পষ্টভাবে রাজা-প্রজা উভয়ের সহযোগিতা ও অভিন্নতা লক্ষণীয়।

৫- সম্পর্কের পরিধি- আমরা আগে বলে এসেছি- ইসলামি আকিদা : মানুষের নিজ আত্মার সাথে সম্পর্ক, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক, পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত। এ সমস্ত সম্পর্ক এক অক্ষে এসে একত্রিত হয়ে যায়। অর্থাৎ আল্লাহর উপর ঈমান এবং তাঁর ইবাদত। মানুষের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অর্থাৎ তাঁর উপর ঈমান আনা, তাঁর ইবাদত করা। নিজের নফসের সাথে সম্পর্কের মানে, তাকে সংশোধন করা, যা সম্পূর্ণ হয় আল্লাহর উপর ঈমান, ইবাদত এবং উভয়ের আবেদন তথা আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চলার মাধ্যমে। পারস্পরিক সম্পর্ক পূর্ণতা পায় আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তার ফয়সালার শরনাপন্ন হওয়ার মাধ্যমে। এভাবে সমস্ত সম্পর্ক একগ্রন্থিতে গ্রন্থিত হয়ে যায়, যার নীতি নির্ধারক ঈমান। এভাবেই ঈমানের একটি শাখা আরেকটি শাখার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন