hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম-৪ সাওম

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন

মানুষ যে এলাকায় থাকবে সে এলাকায় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে সাওম ভঙ্গ করবে প্রশ্ন: (৩৯৪) সাওম আদায়কারী যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর হয়, কিন্তু আগের দেশে ঈদের চাঁদ দেখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেকি এখন সাওম ভঙ্গ করবে? উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় দেশে ঈদের চাঁদ এখনও দেখা যায় নি।
উত্তর: কোনো মানুষ যদি এক ইসলামী রাষ্ট্র থেকে অপর ইসলামী রাষ্ট্রে গমণ করে আর উক্ত রাষ্ট্রে সিয়াম ভঙ্গের সময় না হয়ে থাকে, তবে সে তাদের সাথে সিয়াম চালিয়ে যাবে, যে পর্যন্ত না তারা সিয়াম ভঙ্গ করে। কেননা মানুষ যখন সাওম রাখে তখন সাওম রাখতে হবে, মানুষ যখন সাওম ভঙ্গ করে তখন সাওম ভঙ্গ করতে হবে। মানুষ যেদিন কুরবানীর ঈদ করে সেদিন কুরবানীর ঈদ করবে। যদিও তার একদিন বা দু’দিন বেশি হয়ে যায় তার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য হবে। যেমন, কোনো লোক সাওম রেখে পশ্চিম দিকের কোনো দেশে ভ্রমণে শুরু করল। সেখানে সূর্য অস্ত যেতে দেরী হচ্ছে। তখন সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবশ্যই দেরী করবে। যদিও সময় সাধারণ দিনের চেয়ে দু’ঘন্টা বা তিন ঘন্টা বা তার চাইতে বেশি হয়।

দ্বিতীয় শহরে সে যখন পৌঁছেছে তখন সেখানে ঈদের চাঁদ দেখা যায় নি। অতএব, সে অপেক্ষা করবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে চাঁদ না দেখে সাওম রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ “তোমরা চাঁদ দেখে সাওম রাখ, চাঁদ দেখে সাওম ভঙ্গ কর।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম অনুচ্ছেদ: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী যখন তোমরা চাঁদ দেখবে..সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: সিয়াম অনুচ্ছেদ: চাঁদ দেখে রামাযানের রোযা রাখা ওয়াজিব।]

এর বিপরীত কেউ যদি এমন দেশে সফর করে যেখানে নিজের দেশের পূর্বে চাঁদ দেখা গেছে (যেমন, কেউ বাংলাদেশ থেকে সঊদী আরব সফর করে) তবে সে ঐ দেশের হিসাব অনুযায়ী সাওম ভঙ্গ করবে এবং ঈদের সালাত পড়ে নিবে। আর যে কটা সিয়াম বাকী থাকবে তা রামাযান শেষে কাযা আদায় করে নিবে। চাই একদিন হোক বা দু‘দিন। কেননা আরবী মাস ২৯ দিনের কম হবে না বা ৩০ দিনের বেশি হবে না। ২৯ দিন পূর্ণ না হলেও সাওম ভঙ্গ করবে এজন্য যে, চাঁদ দেখা গেছে। আর চাঁদ দেখা গেলে তো সাওম ভঙ্গ করা আবশ্যক। কিন্তু যেহেতু একটি সাওম কম হলো তাই রামাযান শেষে তা কাযা করতে হবে। কেননা মাস ২৮ দিনে হয় না।

কিন্তু পূর্বের মাসআলাটি এর বিপরীত। নতুন চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সাওম ভঙ্গ করা জায়েয নয়। কেননা নতুন চাঁদ না উঠা পর্যন্ত রামাযান মাস বহাল। যদিও দু‘একদিন বেশি হয়ে যায় তাতে কোনো অসুবিধা নেই। সেটা এক দিনে কয়েক ঘন্টা বৃদ্ধি হওয়ার মত। (অতিরিক্ত সাওম নফল হিসেবে গণ্য হবে।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন