hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম-৫ হজ

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন

১৭
প্রশ্ন: (৫৬২) হজের জন্য মীকাতের স্থানসমূহ কী কী?
উত্তর: হজের জন্য মীকাতের স্থানসমূহ হচ্ছে পাঁচটি: ১) যুল হুলায়ফা ২) জুহ্‌ফা ৩) ইয়ালামলাম ৪) কারণে মানাযেল ৫) যাতু ঈরক্ব।

১) যুল হুলায়ফা: যাকে বর্তমানে আবা’রে আলী বলা হয়। যা মদীনার নিকটবর্তী। মক্কা থেকে এর অবস্থান ১০ মারহালা দূরে (বর্তমান হিসেবে প্রায় ৪০০ কি. মি.)। মক্কা থেকে এটি সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মীকাত। এটি মদীনাবাসী এবং সেপথ দিয়ে গমণকারী অন্যান্যদের মীকাত।

২) জুহ্ফা: শাম তথা সিরিয়াবাসীদের মক্কা গমনের পথে পুরাতন একটি গ্রামের নাম জুহফা। সেখান থেকে মক্কার দূরত্ব ৩ মারহালা। (বর্তমানে প্রায় ১৮৬ কি. মি.)। এটা এখন আর গ্রাম নেই। বর্তমানে লোকেরা এর বদলে পার্শবর্তী স্থান রাবেগ থেকে ইহরাম বাঁধে।

৩) ইয়ালামলাম: ইয়ামানের লোকদের মক্কা আগমণের পথে একটি পাহাড় বা একটি স্থানের নাম ইয়ালামলাম। বর্তমানে এস্থানকে সা‘দিয়া বলা হয়। এখান থেকে মক্কার দূরত্ব প্রায় দু’মারহালা। (বর্তমানে প্রায় ৯২ কি. মি.।)

৪) কারণে মানাযেল: নজদ তথা পূর্ব এলাকার অধিবাসীদের মক্কা গমণের পথে তায়েফের কাছে একটি পাহাড়ের নাম। বর্তমানে একে সায়লুল কাবীর বলা হয়। এখান থেকে মক্কার দূরত্ব প্রায় দু’মারহালা (বর্তমানে প্রায় ৭৮ কি. মি.।)

৫) যাতু ইরক্ব: ইরাকের অধিবাসীদের মক্কা আগমণের পথে একটি স্থানের নাম। এখান থেকে মক্কার দূরত্ব প্রায় দু’মারহালা। (বর্তমানে প্রায় ১০০ কি. মি.।)

প্রথম চারটি মীকাত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত। [সহীহ বুখারী অধ্যায়: হজ অনুচ্ছেদ: হজ উমরার জন্য মক্কাবাসীদের মীকাত; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ অনুচ্ছেদ: হজ উমরার জন্য মীকাতের স্থান।] শেষেরটিও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার বর্ণনা অনুযায়ী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্ধারণকৃত মীকাত। যেমনটি নাসাঈ ও আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে। [নাসাঈ, অধ্যায়: হজ অনুচ্ছেদ: ইরাকবাসীদের মীকাত; আবু দাঊদ, অধ্যায়: হজ অনুচ্ছেদ: মীকাতের বর্ণনা।] কিন্তু যাতু ইরক্বের ব্যাপারে সহীহ সূত্রে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত আছে। তিনি একে কূফা ও বসরার অধিবাসীদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। তারা এসে অভিযোগ করল, হে আমীরুল মুমিনীন! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নজদবাসীদের জন্য কারণে মানাযেলকে (তায়েফের সাইলুল কাবীর) মীকাত নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু আমাদেরকে অনেকটা পথ ঘুরে সেখানে যেতে হয় এবং আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, তোমাদের পথে ঐ মীকাতের বরাবর কোনো স্থান তোমরা অনুসন্ধান কর। তখন যাতু ইরক্ব মীকাত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। [সহীহ বুখারী অধ্যায়: হজ অনুচ্ছেদ: ইরাকবাসীদের জন্য মীকাত হচ্ছে যাতু ইরক্ব।]

মোটকথা, যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে প্রমাণিত হয় তবে তো কোনো প্রশ্ন নেই। যদি প্রমাণিত না হয়, তবে তা ওমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সুন্নাত থেকে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি চার খলীফার মধ্যে অন্যতম। যারা ছিলেন সু-পথপ্রাপ্ত এবং তাদের অনুসরণ করার নির্দেশ আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উমারের সমর্থনে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে কয়েকটি বিধান নাযিল করেছেন। আয়েশা বর্ণিত হাদীসটি যদি সহীহ হয়, তবে এটাও তাঁর প্রতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমর্থন। তাছাড়া উমারের নির্দেশ যুক্তিসংগত। কেননা কোনো মানুষ যদি মীকাত থেকে ভিতরে যেতে চায় তবে সেখান থেকেই তাকে ইহরাম বাঁধতে হবে। কিন্তু এ স্থানের বরাবর কোনো পথ দিয়ে ভিতরে যেতে চাইলে মীকাত অতিক্রমকারী হিসেবে উক্ত স্থান থেকেই ইহরাম বাঁধবে।

উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর এ হাদীসে বর্তমান যুগে আমাদের জন্য বিরাট ধরনের উপকার বিদ্যমান। আর তা হচ্ছে, কোনো মানুষ যদি বর্তমান যুগে এরোপ্লেনযোগে হজ বা উমরা করতে আসতে চায়, তবে তার জন্য আবশ্যক হচ্ছে, যে মীকাতের উপর দিয়ে যাবে তার বরাবর হলেই তাকে ইহরাম বাঁধতে হবে। বিলম্ব করা বৈধ হবে না এবং জেদ্দায় গিয়ে ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না (যেমনটি অনেক লোক করে থাকে। কেননা স্থল পথে হোক, বা আকাশ পথে হোক বা সমুদ্র পথে হোক কোনো পার্থক্য নেই) মীকাতের বরাবর হলেই ইহরাম বাঁধতে হবে। এজন্য হজ যাত্রী যে দেশেরই হোক সমুদ্র পথে মক্কা আসতে চাইলে ইয়ালামলাম বা রাবেগের বরাবর হলে তাদেরকে ইহরাম বাঁধতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন