hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম-৫ হজ

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন

৯০
বিদায়ী তাওয়াফ করার পর মক্কায় অবস্থান করার বিধান
প্রশ্ন: (৫৩৪) জনৈক ব্যক্তি সকালে বিদায়ী তাওয়াফ করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আছরের পর সফর করার ইচ্ছা করে। তাকে কী কিছু করতে হবে?

উত্তর: হজ ও উমরা উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় বিদায়ী তাওয়াফ করতে হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لا يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ» .

“সর্বশেষ কাজ বায়তুল্লাহ্‌র তাওয়াফ না করে কেউ যেন বের না হয়।” [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: বিদায়ী তওয়াফ ওয়াজিব এবং ঋতুবতীর জন্য তা রহিত।] একথাটি নবীজি বিদায় হজে বলেছেন। সুতরাং বিদায়ী তাওয়াফের বিধান সেই সময় থেকে শুরু হয়েছে। একথা বলা ঠিক হবে না যে, নবী তো বিদায় হজের পূর্বে উমরা করেছেন কিন্তু বিদায়ী তাওয়াফ তো করেন নি। কেননা বিদায়ী তাওয়াফের আবশ্যকতার নির্দেশ তো বিদায় হজে পাওয়া গেছে। আর তিনি বলেছেন:

«وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجَّتِكَ» .

“হজে যেভাবে কাজ করে থাক উমরাতেও সেভাবে করো।” [সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: খালূক রং কাপড়ে লাগলে তা তিনবার ধৌত করতে হবে; সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: হজ ও উমরায় ইহরামকারীর জন্য যা বৈধ।] এ নির্দেশটি ব্যাপক অর্থবোধক। কিন্তু তার মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ‘আরাফা, মুযদালিফা ও মিনাতে অবস্থান ও কঙ্কর নিক্ষেপ। কেননা সর্বসম্মতিক্রমে একাজগুলো হজের সাথে সম্পর্কিত। এগুলো ছাড়া বাকী কাজ উক্ত হাদীসের আওতাধীন থাকবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরাকে ছোট হজরূপে আখ্যা দিয়েছেন। [দারাকুতনী ২/২৮৫ হাদীস নং (১২২)] যেমনটি আমর ইবন হাযম কর্তৃক প্রসিদ্ধ দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি মুরসাল [যে হাদীসের সনদ থেকে সাহাবীর নাম বাদ পড়ে যায় তাকে মুরসাল হাদীস বলা হয়।]। কিন্তু আলেমগণ সাধারণভাবে হাদীসটি গ্রহণ করেছেন।

তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও উমরা পূর্ণ কর।” বিদায়ী তাওয়াফ যদি হজের পূর্ণতার অংশ হয়, তবে তা উমরারও পূর্ণতার অংশ হবে।

উমরাকারী মসজিদে হারামের তাহিয়্যাত হিসেবে তাওয়াফের মাধ্যমে ভিতরে প্রবেশ করেছে। সুতরাং কোনো তাহিয়্যাত ছাড়া চলে যাওয়াও উচিৎ হবে না। তাই সে বিদায়ী তাওয়াফ করবে।

অতএব, এ ভিত্তিতে হজের ন্যায় উমরাতেও বিদায়ী তাওয়াফ করা ওয়াজিব। তিরমিযীতে একটি হাদীস পাওয়া যায়: বলা হয়েছে, “কোনো লোক যদি হজ বা উমরা করে, সে আল্লাহর ঘরের বিদায়ী তাওয়াফ না করে যেন বের না হয়।” কিন্তু এ হাদীসটি দ‘ঈফ বা দুর্বল। কেননা এর সনদে হাজ্জাজ ইবন আরত্বাত নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছে। সে দুর্বল। এ হাদীসটি দুর্বল না হলে এ মাসআলার সুস্পষ্ট দলীল হিসেবে বিবেচিত হত এবং সকল মতভেদ বিদূরীত হত। কিন্তু দুর্বল হওয়ার কারণে তা দ্বারা দলীল গ্রহণ করার কোনো ভিত্তি নেই। তবে আমরা পূর্বে যে সমস্ত মূলনীতি, দলীল ও যুক্তি উপস্থাপন করেছি তার ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, উমরায় বিদায়ী তাওয়াফ ওয়াজিব।

তাছাড়া এ তাওয়াফ সতর্কতা ও যিম্মা মুক্তিস্বরূপও হয়ে যায়। কেননা উমরাতে আপনি বিদায়ী তাওয়াফ করলে তো কেউ আপনাকে বলবে না যে আপনি ভুল করছেন। কিন্তু তা না করলে তো যারা তা ওয়াজিব মনে করে তারা বলবে, আপনি ভুল করলেন। এ কারণে তাওয়াফ করাটাই সঠিক হবে। আর তাওয়াফ না করলে আশংকা রয়ে যাবে এবং বিদ্বানদের কারো মতে তা ভুল হবে। (আল্লাহই অধিক জ্ঞানী)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন