HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
লেখকঃ শাইখ আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন বায
৪
আল্লাহর সাথে শির্ক-এর বিশ্লেষণইবাদতে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করার নাম শির্ক। যেমন, প্রতিমা-মূর্তি বা অন্য কাউকে ডেকে তার নিকট সাহায্য কামনা, তার জন্য মান্নত বা তার উদ্দেশ্যে সালাত পড়া বা সাওম পালন করা বা যবেহ করা এভাবে বাদাভী-র উদ্দেশ্যে বা ‘আইদারুস’র উদ্দেশ্যে যবেহ করা বা কোনো ব্যক্তির উদ্দেশ্যে সালাত পড়া বা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বা ইরাকস্থ শাইখ আবদুল কাদির জিলানী, ইয়ামনস্থ ‘আইদারুস, মিশরস্থ বাদাভী বা অন্যান্য মৃত বা যারা অনুপস্থিত তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা, এইসব কাজের নাম শির্ক।
এভাবে কেউ যদি নক্ষত্ররাজি বা জিন্নদের ডেকে তাদের কাছে ফরিয়াদ করে বা সাহায্য কামনা করে বা এ জাতীয় ইবাদত কর্মের কোনো একটি যখন কোনো জড় সৃষ্টি, মৃত বা অনুপস্থিত কারো জন্য নিবেদন করে তখন তা আল্লাহর সাথে শির্ক নামে আখ্যায়িত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَوۡ أَشۡرَكُواْ لَحَبِطَ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ﴾ [ الانعام : ٨٨ ]
“তারা যদি শির্ক করত তাহলে তাদের সব কৃতকর্ম নিষ্ফল হয়ে যেত”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৮৮]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥﴾ [ الزمر : ٦٥ ]
“তোমাদের প্রতি এবং তোমার পূর্বে অতীত সমস্ত রাসূলগণের প্রতি অবশ্যই এ বার্তা পাঠানো হয়েছে, তুমি যদি আল্লাহর সাথে শির্ক কর তাহলে তোমার সমস্ত নেক আমল অবশ্যই বৃথা যাবে। আর তুমি নিঃসন্দেহে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬৫]
শির্কের মধ্যে একটি হলো, পূর্ণভাবে গাইরুল্লাহ’র ইবাদত করা। এটাকে শির্কও বলা হয়, কুফুরীও বলা হয়। যে আল্লাহ তা‘আলা থেকে সম্পূর্ণ বিমুখ হয়ে অন্যের উদ্দেশ্যে ইবাদত নির্দিষ্ট করে যেমন বৃক্ষ, প্রস্তর, মূর্তি, জিন্ন বা কোনো মৃত ব্যক্তি যাদেরকে তারা আওলিয়া নাম দিয়ে থাকে, তাদের ইবাদত করে, তাদের উদেশ্যে সালাত আদায় করে, সাওম পালন করে এবং আল্লাহকে পুরোপুরি ভুলে যায়, এটা হবে সবচেয়ে বড় কুফুরী ও জঘন্যতম শির্ক। (আল্লাহর কাছে তা থেকে নিরাপত্তা কামনা করি।) এভাবে যারা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং বলে: মা‘বূদ বা উপাস্য বলতে কেউ নেই এবং এই পার্থিব জীবন একটি বস্তুগত ব্যাপার মাত্র। যেমনটি সমাজতন্ত্রী ও নাস্তিকরা বলে থাকে, এরা হলো চরম পর্যায়ের কাফির, মুশরিক ও পথভ্রষ্ট। (আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি।)
মোটকথা, এ জাতীয় সব আকীদা-বিশ্বাসকে আল্লাহর সাথে শির্ক ও কুফুরী বলা হয়ে থাকে।
কোনো কোনো লোক স্বীয় অজ্ঞতাবশতঃ মৃত ব্যক্তিকে ডাকা এবং তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করাকে উসীলা (মাধ্যম) নামে আখ্যায়িত করে এবং তা জায়েয মনে করে। এটা মারাত্মক ভুল, কেননা একাজ আল্লাহর সাথে শির্ক হিসেবে পরিগণিত; যদিও অজ্ঞ লোকেরা বা মুশরিকরা এটাকে “উসীলা” নাম দিয়ে থাকে। এটাই হলো মুশরিকদের ধর্ম, আল্লাহ তা‘আলা যার নিন্দা ও দোষারূপ করেছেন। এটাকে অস্বীকার এবং এ থেকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ﴾ [ المائدة : ٣٥ ]
“হে মুমিনগণ, আল্লাহকে তাকওয়া অবলম্বন কর এবং তাঁর নৈকট্য তালাশ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩৫]
এই আয়াতে যে উসীলার কথা বলা হয়েছে তা হলো আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের দ্বারা তাঁর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। সমস্ত ওলামায়ে কেরামের নিকট এটাই উসীলার অর্থ। সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা একটি উসীলা, আল্লাহর জন্য যবেহ করা একটি উসীলা। যেমন, কুরবানী দেওয়া, হজের হাদী দেওয়া, এভাবে সিয়াম পালন করাও একটি উসীলা। সাদকা প্রদান একটি উসীলা, আল্লাহ তা‘আলার যিকির, কুরআন তিলাওয়াতও উসীলা। এটাই হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ﴾ [ المائدة : ٣٥ ]
এর মর্মার্থ আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের দ্বারা তাঁর নৈকট্য লাভের চেষ্টা কর। ইবন কাসির, ইবন জরীর ও বাগাভী প্রমুখ মুফাস্সীরগণ এক বাক্যে বলেছেন এর প্রকৃত অর্থ হলো: আল্লাহর আনুগত্য দ্বারা তাঁর নৈকট্য তালাশ কর এবং তোমরা যেখানেই থাক তাঁর প্রবর্তিত বিষয়াদি যথা- সালাত, সিয়াম, সদকা ইত্যাদি দ্বারা তা কামনা কর।
এভাবে আল্লাহ তা‘আলার অন্য একটি আয়াতে এই অর্থ ব্যক্ত করেছেন, আর তা হলো:
﴿أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ وَيَرۡجُونَ رَحۡمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]
“তারা যাদেরকে আহ্বান করে তারা নিজেরাই তো নিজেদের রবের নৈকট্য লাভের জন্য উসীলা তালাশ করে যে, তাদের মধ্যে কে অধিক নিকটবর্তী। তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৫৭]
এভাবে রাসূলবর্গ ও তাদের অনুসারীগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ঐসব বিষয়কেও উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন যা তিনি প্রবর্তিত রেখেছেন। যেমন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, সাওম, সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি।
আর কোনো কোনো লোকের ধারণা যে, উসীলা মানে মৃত ব্যক্তির ডাকা ও আওলিয়াদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা তা একটি বাতিল ধারণা, এটা মুশরিকদেরই আকীদাহ, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِ﴾ [ يونس : ١٨ ]
“তারা আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর ইবাদত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তদুপরি তারা বলে যে, এগুলো আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ১৮] আল্লাহ তাদের এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেন,
﴿قُلۡ أَتُنَبُِّٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ﴾ [ يونس : ١٨ ]
“(হে রাসূল) আপনি তাদেরকে বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি জানেন না? তিনি পাক-পবিত্র, তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি বহু উর্ধ্বে।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ১৮]
আল্লাহ তা‘আলা আমাকে ও সকল মুসলিমকে সঠিকভাবে তাঁর দীন অনুধাবনের এবং এর উপর অচিল থাকার তাওফীক দান করুন। আর আমাদের সকল কু-প্রবৃত্তি ও পাপাচারের অমঙ্গল থেকে তিনি আশ্রয় প্রদান করুন। তিনি সর্বশ্রোতা, অতি সন্নিকটে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর সঠিক অনুসারীদের ওপর দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন।
এভাবে কেউ যদি নক্ষত্ররাজি বা জিন্নদের ডেকে তাদের কাছে ফরিয়াদ করে বা সাহায্য কামনা করে বা এ জাতীয় ইবাদত কর্মের কোনো একটি যখন কোনো জড় সৃষ্টি, মৃত বা অনুপস্থিত কারো জন্য নিবেদন করে তখন তা আল্লাহর সাথে শির্ক নামে আখ্যায়িত হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَوۡ أَشۡرَكُواْ لَحَبِطَ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ﴾ [ الانعام : ٨٨ ]
“তারা যদি শির্ক করত তাহলে তাদের সব কৃতকর্ম নিষ্ফল হয়ে যেত”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৮৮]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
﴿وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥﴾ [ الزمر : ٦٥ ]
“তোমাদের প্রতি এবং তোমার পূর্বে অতীত সমস্ত রাসূলগণের প্রতি অবশ্যই এ বার্তা পাঠানো হয়েছে, তুমি যদি আল্লাহর সাথে শির্ক কর তাহলে তোমার সমস্ত নেক আমল অবশ্যই বৃথা যাবে। আর তুমি নিঃসন্দেহে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬৫]
শির্কের মধ্যে একটি হলো, পূর্ণভাবে গাইরুল্লাহ’র ইবাদত করা। এটাকে শির্কও বলা হয়, কুফুরীও বলা হয়। যে আল্লাহ তা‘আলা থেকে সম্পূর্ণ বিমুখ হয়ে অন্যের উদ্দেশ্যে ইবাদত নির্দিষ্ট করে যেমন বৃক্ষ, প্রস্তর, মূর্তি, জিন্ন বা কোনো মৃত ব্যক্তি যাদেরকে তারা আওলিয়া নাম দিয়ে থাকে, তাদের ইবাদত করে, তাদের উদেশ্যে সালাত আদায় করে, সাওম পালন করে এবং আল্লাহকে পুরোপুরি ভুলে যায়, এটা হবে সবচেয়ে বড় কুফুরী ও জঘন্যতম শির্ক। (আল্লাহর কাছে তা থেকে নিরাপত্তা কামনা করি।) এভাবে যারা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং বলে: মা‘বূদ বা উপাস্য বলতে কেউ নেই এবং এই পার্থিব জীবন একটি বস্তুগত ব্যাপার মাত্র। যেমনটি সমাজতন্ত্রী ও নাস্তিকরা বলে থাকে, এরা হলো চরম পর্যায়ের কাফির, মুশরিক ও পথভ্রষ্ট। (আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি।)
মোটকথা, এ জাতীয় সব আকীদা-বিশ্বাসকে আল্লাহর সাথে শির্ক ও কুফুরী বলা হয়ে থাকে।
কোনো কোনো লোক স্বীয় অজ্ঞতাবশতঃ মৃত ব্যক্তিকে ডাকা এবং তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করাকে উসীলা (মাধ্যম) নামে আখ্যায়িত করে এবং তা জায়েয মনে করে। এটা মারাত্মক ভুল, কেননা একাজ আল্লাহর সাথে শির্ক হিসেবে পরিগণিত; যদিও অজ্ঞ লোকেরা বা মুশরিকরা এটাকে “উসীলা” নাম দিয়ে থাকে। এটাই হলো মুশরিকদের ধর্ম, আল্লাহ তা‘আলা যার নিন্দা ও দোষারূপ করেছেন। এটাকে অস্বীকার এবং এ থেকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ﴾ [ المائدة : ٣٥ ]
“হে মুমিনগণ, আল্লাহকে তাকওয়া অবলম্বন কর এবং তাঁর নৈকট্য তালাশ কর”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩৫]
এই আয়াতে যে উসীলার কথা বলা হয়েছে তা হলো আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের দ্বারা তাঁর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা। সমস্ত ওলামায়ে কেরামের নিকট এটাই উসীলার অর্থ। সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করা একটি উসীলা, আল্লাহর জন্য যবেহ করা একটি উসীলা। যেমন, কুরবানী দেওয়া, হজের হাদী দেওয়া, এভাবে সিয়াম পালন করাও একটি উসীলা। সাদকা প্রদান একটি উসীলা, আল্লাহ তা‘আলার যিকির, কুরআন তিলাওয়াতও উসীলা। এটাই হলো আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ﴾ [ المائدة : ٣٥ ]
এর মর্মার্থ আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের দ্বারা তাঁর নৈকট্য লাভের চেষ্টা কর। ইবন কাসির, ইবন জরীর ও বাগাভী প্রমুখ মুফাস্সীরগণ এক বাক্যে বলেছেন এর প্রকৃত অর্থ হলো: আল্লাহর আনুগত্য দ্বারা তাঁর নৈকট্য তালাশ কর এবং তোমরা যেখানেই থাক তাঁর প্রবর্তিত বিষয়াদি যথা- সালাত, সিয়াম, সদকা ইত্যাদি দ্বারা তা কামনা কর।
এভাবে আল্লাহ তা‘আলার অন্য একটি আয়াতে এই অর্থ ব্যক্ত করেছেন, আর তা হলো:
﴿أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ وَيَرۡجُونَ رَحۡمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُ﴾ [ الاسراء : ٥٧ ]
“তারা যাদেরকে আহ্বান করে তারা নিজেরাই তো নিজেদের রবের নৈকট্য লাভের জন্য উসীলা তালাশ করে যে, তাদের মধ্যে কে অধিক নিকটবর্তী। তারা তাঁর রহমতের আশা করে এবং তাঁর আযাবকে ভয় করে।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ৫৭]
এভাবে রাসূলবর্গ ও তাদের অনুসারীগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ঐসব বিষয়কেও উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন যা তিনি প্রবর্তিত রেখেছেন। যেমন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, সাওম, সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি।
আর কোনো কোনো লোকের ধারণা যে, উসীলা মানে মৃত ব্যক্তির ডাকা ও আওলিয়াদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা তা একটি বাতিল ধারণা, এটা মুশরিকদেরই আকীদাহ, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِ﴾ [ يونس : ١٨ ]
“তারা আল্লাহ ব্যতীত এমন বস্তুর ইবাদত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। তদুপরি তারা বলে যে, এগুলো আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ১৮] আল্লাহ তাদের এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেন,
﴿قُلۡ أَتُنَبُِّٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ﴾ [ يونس : ١٨ ]
“(হে রাসূল) আপনি তাদেরকে বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি জানেন না? তিনি পাক-পবিত্র, তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি বহু উর্ধ্বে।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ১৮]
আল্লাহ তা‘আলা আমাকে ও সকল মুসলিমকে সঠিকভাবে তাঁর দীন অনুধাবনের এবং এর উপর অচিল থাকার তাওফীক দান করুন। আর আমাদের সকল কু-প্রবৃত্তি ও পাপাচারের অমঙ্গল থেকে তিনি আশ্রয় প্রদান করুন। তিনি সর্বশ্রোতা, অতি সন্নিকটে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর সঠিক অনুসারীদের ওপর দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন