মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হজ্জ মৌসুমে মক্কা মুকাররামায় ‘‘মুশরিকদের থেকে পবিত্র’’ নামে র্যালী বের করা বিদ‘আত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/252/35
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম হোক আল্লাহর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, তাঁর পরিবার, সকল সাহাবী এবং যারা তাঁর পথের অনুসরণ করবে তাদের উপর।
আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের থেকে সর্বদা পবিত্র থাকা তার সকল মুমিন বান্দার উপর ওয়াজিব করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি কুরআন অবতীর্ণ করে বলেন: “তোমাদের জন্যে ইবরাহীম আ: ও তার অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল: তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মাঝে চিরকালের জন্য সৃষ্টি হলো শত্রুতা ও বিদ্বেষ, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন।” [সূরা মুমতাহিনা/৪]
এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেষ জীবনে এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার অবতীর্ণ বাণী হলো, “সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।” [সূরা তাওবা/১]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সনদে এসেছে তিনি নবম হিজরীতে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে লোকদের হজ্জ করানোর জন্য এবং মুশরিকদের থেকে পবিত্রতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অতঃপর তার পিছনেই আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে পাঠালেন লোকদেরকে তা জানিয়ে দেওয়ার জন্য। এমনিভাবে আবু বকর, আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর সাথে দু’জন মুয়াজ্জিনকে পাঠালেন চারটি কথা ঘোষণা দেওয়ার জন্য :
“মুমিন ব্যতীত জান্নাতে কেউ প্রবেশ করবে না।
আগামী বছর থেকে কোনো মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না।
উলঙ্গ হয়ে কেউ ক্বাবা ঘর তাওয়াফ করতে পারবে না।
এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কারো কোনো চুক্তি থাকলে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে, আর যার কোনো চুক্তি নেই সে চার মাস পৃথিবীতে ঘুরে দেখতে পারে।”
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “সুতরাং তোমরা চার মাস পৃথিবীতে ঘুরে নাও।” [সূরা তাওবা/২]
চার মাস পর যদি কেউ ইসলাম গ্রহণ না করে তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হবে।” অর্থাৎ আল্লাহর বাণী:
“অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে তখন ঐ মুশরিকদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে ধরে আন, তাদেরকে অবরোধ করে রাখ এবং ঘাঁটিস্থলসমূহে তাদের সন্ধানে অবস্থান কর। অতঃপর যদি তারা তাওবা করে সালাত আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে; তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।” [সূরা তাওবা/৫]
এতে উল্লেখিত মাস থেকে বেধে দেওয়া নির্ধারিত সময়কে বুঝানো হয়েছে। আর এটিই মুশরিকদের থেকে পবিত্রতার নিয়ম, সূরা তাওবার শুরুতে তাফসীরবিদগণ এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হাদীসগুলোও স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আর মুশরিকদের থেকে পবিত্রতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য হজ্জ মৌসুমে মক্কা মোকাররমায় র্যালী বের করা বা মিছিল বের করা বিদ‘আত, এর কোনো ভিত্তি নেই, এতে মহা ফেৎনা ফাসাদ এবং অনিষ্টতা সৃষ্টি হয়। কাজেই যারা এ রকম করে তাদেরকে এ কাজ পরিহার করা উচিৎ। তা বিদ‘আত হওয়ার কারণে এবং এতে মহা ফেৎনা ফাসাদ ও অনিষ্টতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সরকারেরও এ থেকে বাধা দেওয়া কর্তব্য।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“হে নবী, বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসার দাবী কর, তবে আমার অনুসরণ কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।” [সূরা আলে ইমরান/৩১]
এ ধরনের আমল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং কোনো সাহাবাদের জীবনীতে নেই। এটি যদি ভালো হত তাহলে অবশ্যই তারা করতেন। আল্লাহ বলেন: “তাদের কি শরীক রয়েছে? যারা তাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধান গড়বে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?।” [সূরা শূরা/২১]
তিনি আরও বলেন: “আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তোমরা তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বারণ করেন তা পরিহার কর।” [সূরা হাশর/৭]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কোনো জিনিস সৃষ্টি করবে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।” [বুখারী ও মুসলিম]
এবং জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জুম‘আর খুৎবায় বলেছেন, “অতঃপর সর্বোত্তম বাণী হলো: আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম হেদায়েত হলো: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হেদায়েত, আর নিকৃষ্টতর কাজ হলো এর নব আবিষ্কৃত কাজ, এবং প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৬৭।]
তিনি আরও বলেছেন :
“যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করবে যা আমার শরিয়ত সমর্থিত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭১৮।]
বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি বলেছিলেন: “তোমরা আমার নিকট থেকে তোমাদের হজ্জের কাজসমূহ শিখে নাও।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২৯৭; বায়হাকী ৫/১২৫।]
তিনি বিদায় হজ্জে এ ধরনের কোনো র্যালী বা মিছিল, বের করেননি, এমনিভাবে তাঁর পরে কোনো সাহাবীও এ রকম করেননি। সুতরাং হজ্জ মৌসুমে তা করা দ্বীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত একটি বিদ‘আত; যা থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করে গেছেন। তিনি যেটি করেছেন তা হলো: সূরা তাওবা অবতীর্ণ হওয়ার পর নবম হিজরীতে দু’জন আহবায়ক পাঠিয়েছেন যেন লোকদেরকে জানিয়ে দেন যে, পরবর্তী বছরে কোনো মুশরিক হজ্জ করতে পারবে না, উলঙ্গ হয়ে ক্বাবার তাওয়াফ করতে পারবে না, মুমিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং চার মাস পর মুশরিকদের সাথে কোনো চুক্তি থাকবে না, কিন্তু যাদের সাথে চুক্তির সীমাবদ্ধ সময় এর চেয়ে অধিক রয়েছে তা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থাকবে। এ আহ্বান বিদায় হজ্জের সময় ছিল না, কারণ এর উদ্দেশ্য নবম হিজরীতেই সাধিত হয়ে গেছে।
ইহকাল ও পরকালের সকল কল্যাণ এবং সুখ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ, তাঁর পথে চলা এবং তাঁর সাহাদের পথে চলার মধ্যেই নিহিত রয়েছে, কেননা তারা ও তাদের অনুসারীগণই মুক্তিপ্রাপ্ত এবং বিজয়ী দল।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী, আনসার এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সকল লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন সেই জান্নাত যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদীসমূহ। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হলো মহা কৃতকার্যতা।” [সূরা তাওবা/১০০]
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদেরকে এবং সকল মুসলিমকে উপকারী জ্ঞানার্জন, সৎ আমল, দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন, এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবা এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাদের অনুসারীদের পথে চলার তাওফীক দান করেন। ফেৎনার ভ্রষ্টতা, শয়তানের কুমন্ত্রনা এবং সকল প্রকার বিদ‘আত থেকে রক্ষা করেন। নিশ্চয়ই তিনি এর অবিভাবক ও এর উপর ক্ষমতাবান।
وصلى الله وسلم على عبده ورسوله محمد وآله وصحبه أجمعين
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/252/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।