HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলুল্লাহ সা. তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা গ্রহণ কর

লেখকঃ ড. আদেল আশ-শিদ্দী, ড. আহমাদ আল-মাযইয়াদ

১১
সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের কারণসমূহ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩﴾ [ النساء : ٥٩ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীলদের, অতঃপর কোনো বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাক। এ পন্থাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]

ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন: আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা তাঁর ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন... আর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের কারও আনুগত্য করাটা তখনই কেবল অপরিহার্য (ওয়াজিব) হবে, যখন তার আনুগত্য করার বিষয়টি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্যের অন্তর্ভুক্ত হবে, নিঃশর্তভাবে তার (প্রশাসনিক ব্যক্তির) আনুগত্য করা যাবে না। ...অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ﴾ “অতঃপর কোনো বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট), আর এটা হলো অকাট্য দলীল এ ব্যাপারে যে, যখনই গোটা দীনের কোনো বিষয়ে মানুষের মাঝে মতভেদ ঘটবে, তখন আবশ্যক হলো সে মতভেদপূর্ণ বিষয়টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট উপস্থাপন করা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ব্যতীত অন্য কারও নিকট উপস্থাপন না করা। কারণ, যে ব্যক্তি মতবিরোধপূর্ণ বিষয়টিকে সমাধান করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ব্যতীত ভিন্ন কারও নিকট পেশ করল, সে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশের বিরোধিতা করল, আর যে ব্যক্তি ঝগড়া বা বিরোধের সময় আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ব্যতীত অন্য কারও ফয়সালা বা মীমাংসার দিকে আহ্বান করে, সে ব্যক্তি মূলত জাহেলিয়্যাতের দিকেই আহ্বান করে। অতএব, বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানের গণ্ডীতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না সে বিরোধকারীদের বিরোধপূর্ণ প্রত্যেকটি বিষয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিকট উপস্থাপন করবে। আর এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: ﴿إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ﴾ “যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাক” অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا﴾ “এ পন্থাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর” অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে আমার আনুগত্য করার এবং আমার রাসূল ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের আনুগত্য করার যে নির্দেশ দিয়েছি সে বিষয়টি মেনে চলা এবং সমাধানের জন্য তোমাদের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ প্রত্যেকটি বিষয় আমার ও আমার রাসূলের নিকট পেশ করার কাজটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে তোমাদের ইহকালে ও পরকালে এবং তা উভয় জগতে তোমাদের সৌভাগ্যের কারণ হবে; আর তোমাদের শেষ পরিণাম হবে অতি উত্তম ও প্রকৃষ্টতর।

সুতরাং এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বিচারক বা সালিস মানার বিষয়টি হলো দুনিয়া ও আখিরাতে সৌভাগ্যবান হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ বা উপলক্ষ। আর যে ব্যক্তি বিশ্ব ব্যবস্থা ও তার মধ্যকার সংঘটিত ক্ষতি ও দুর্যোগ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করবে, সে ব্যক্তি জানতে পারবে যে, দুনিয়ার প্রতিটি মন্দ ও অকল্যাণের কারণ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করা এবং তাঁর আনুগত্যের গণ্ডী থেকে বের হয়ে যাওয়া। আর দুনিয়ার মধ্যকার প্রতিটি কল্যাণ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করার কারণেই অর্জিত হয়। অনুরূপভাবে আখেরাতের খারাপি, যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ও আযাবের বিষয়টিও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করার কারণে। সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতের অকল্যাণ ও বিপদ-মুসীবত আপতিত হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাবর্তন ও নির্ভর করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করার দিকে।

অতএব, মানুষ যদি যথাযথভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করে, তাহলে পৃথিবীতে কখনও কোনা মন্দ ও অকল্যাণ হবে না, আর এ তো হলো পৃথিবীতে সংঘটিত সাধারণ দুর্যোগ ও বিপদ-মুসীবতের কথা, আর বান্দা নিজে যে মন্দ, যন্ত্রণা ও দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়, সে বিষয়টির বেলায়ও একই কথা। কারণ, তা শুধু রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করার কারণেই হয়ে থাকে। কেননা, তাঁর আনুগত্য করার বিষয়টি হলো এমন দুর্গ, যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ হয়ে যাবে; আর তা হলো এমন এক গুহা, যে কেউ তাতে আশ্রয় নিবে সে মুক্তি পেয়ে যাবে। সুতরাং বুঝা গেল যে, দুনিয়া ও আখিরাতের অকল্যাণ ও বিপর্যয়ের একমাত্র কারণ হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, সে সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং তাঁর আনুগত্যের গণ্ডী ও পরিমণ্ডল থেকে বেরিয়ে যাওয়া। [‘যাদুল মুহাজির ইলা রাব্বিহী’, পৃ. ২৯, ৩০]

وصلى الله على نبينا محمد و على آله و صحبه و سلّم .

“আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীগণের প্রতি”।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন