মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত, যিনি সকল ভাষায় প্রশংসিত, আর সালাত ও সালাম আদনান বংশীয় নবী আমাদের নবী মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যত দিন পাখি গান গায় এবং আযান উচ্চতায় ছড়িয়ে পড়ে। অনুরূপ তাঁর পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথীদের প্রতিও।
অতঃপর.......
সুন্নাতে নববী হলো ইসলামী শরী‘আতের উৎসসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় উৎস, আল-কুরআনুল কারীমের পরে যার অবস্থান, আর তা ইসলামের আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদত, আদব-কায়দা ও বিধিবিধানগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেয়। আর তা আল-কুরআনে বর্ণিত বিষয়গুলোকে সুসাব্যস্ত করে ও তাকীদ দেওয়ার মাধ্যমে সুদৃঢ় করে অথবা তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে; যেমনিভাবে তা স্বতন্ত্রভাবে শরী‘আতের বিধিবিধান বর্ণনা করে। আর তা হালালকে হালাল করার ব্যাপারে এবং হারামকে হারাম করণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করে, যে ব্যাপারে আল-কুরআনের কোনো ‘নস’ বা বক্তব্য বর্ণিত হয় নি [দেখুন: ‘দা‘ওয়াতুল ইসলাম’ পৃ. ২৫৯।]।
এই কথাগুলোর প্রেক্ষাপট হচ্ছে, এ আধুনিক বা শেষ যুগে এসে বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুন্নাহকে বিলকুল অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করে বসেছে এবং আল-কুরআনকেই যথেষ্ট বলে মনে করছে, এ দলটি মূলত কুরআন ও সুন্নাহ উভয়কেই অস্বীকার করেছে। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেয়, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে, তা থেকে বিরত থাক।” [সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৭]
আরেক দল নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের ব্যাপারে তার প্রবৃত্তি ও চিন্তাভাবনাকেই বিচারক বা সালিস বানিয়ে নিয়েছে। ফলে তারা সুন্নাত থেকে তাদের ইচ্ছা তাই গ্রহণ করে, যা তাদের বিবেক-বুদ্ধির কাছে সুবিধাজনক হয়, পক্ষান্তরে যা তাদের বিবেক-বুদ্ধির কাছে সুবিধাজনক না হয় তারা তা তাদের ইচ্ছামত প্রত্যাখ্যান করে। এভাবে তারা মুসলিমগণের মধ্যে ফিতনার সৃষ্টি করছে ফলে সাধারণ জনগণ সুন্নাতকে বর্জন ও তার নিন্দা বা সমালোচনা করার সাহস পায়।
আর অপর আরেক শ্রেণি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসসমূহের ওপর অদ্ভুত ব্যাখ্যাসমূহ ও পাশ্চাত্যের অপব্যাখ্যাসমূহ আরোপ করে নিয়েছে, এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলাম এবং আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে কাছাকাছি নিয়ে আসা, অথচ ঐসব লোক ভুলে গেছে আল্লাহ তা‘আলার সে বাণী, যেখানে তিনি বলেছেন:
“আর ইয়াহূদী ও নাসারারা আপনার প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ করেন। বলুন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর হিদায়াতই প্রকৃত হিদায়াত’। আর যদি আপনি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান আসার পরও, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কোনো অভিভাবক থাকবে না এবং থাকবে না কোনো সাহায্যকারীও।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২০]
আর চতুর্থ দল সুন্নাতকে খুব অবজ্ঞা ও অবহেলা করে। ফলে যখনই তাকে সুন্নাত সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুর দিকে আহ্বান করা হয়, তখন তারা বলে: এটা তো সুন্নাত, ফরয নয়। সুতরাং তুমি আমাকে তা পালনে বাধ্য করার চেষ্টা করো না!! আবার ঐসব লোকের অনেকে নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে এবং মুমিনগণের পথ থেকে দূরে সরে গিয়ে বহু ওয়াজিব বিষয়কে সুন্নাত মনে করে এবং অনেক হারাম জিনিসকে মাকরূহ মনে করে। ফলে তাদের কাছে জামা‘আতে সালাত আদায় করার বিষয়টি সুন্নাত, ওয়াজিব নয়, আর তাদের মতে সালামের জবাব দেওয়ার বিষয়টি সুন্নাত, ওয়াজিব নয়। আর তাদের মতে দাড়ি মুণ্ডন করাটা মাকরূহ, হারাম নয়। আর অনুরূপভাবে টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা, ধুমপান করা ইত্যাদি বিষয়েও এ ধরনের মতামত পেশ করে থাকে।
আমরা যদি ধরেও নিই যে, এসব বিষয় সুন্নাতের সীমা ছাড়িয়ে যায় না এবং মাকরূহের সীমাও অতিক্রম করে না, তাহলেও আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের প্রতি আমল করব না কেন? আর কেনইবা আমরা মাকরূহের অন্ধকার সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ব? সাহাবায়ে কিরামগণ যখন কোনো বিষয়ের বিধান জানতে পারতেন, তখন তা সুন্নাত হলে কি তা বর্জন করতেন? আর মাকরূহ হলে তা আমল করতেন? কেন আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের সাথে যথাযথ আদব রক্ষা করে অবস্থান করব না? আর কেন আমরা সুন্নাতকে সম্মান করব না, গ্রহণ করব না এবং আমাদের প্রত্যেকটি বিষয় ও কাজের সাথে তার সমন্বয় সাধন করব না? কেন আমরা অধিকাংশ সুন্নাতকে তুচ্ছ ও অবহেলা করব? কেন আমরা মনে করব যে, আমাদের কাছে সুন্নাত মানতে চাওয়া হয়নি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/276/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।