HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূলুল্লাহ সা. তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা গ্রহণ কর

লেখকঃ ড. আদেল আশ-শিদ্দী, ড. আহমাদ আল-মাযইয়াদ

আল-কুরআনের ভাষায় সুন্নাহর অবস্থান
* আল্লাহ তা‘আলা কি তাঁর নবীর আনুগত্য এবং তাঁর নবীর সুন্নাতের অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন নি? কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তো বলেছেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَوَلَّوۡاْ عَنۡهُ وَأَنتُمۡ تَسۡمَعُونَ ٢٠﴾ [ الانفال : ٢٠ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমরা যখন তাঁর কথা শোন, তখন তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২০]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন:

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَجِيبُواْ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمۡ لِمَا يُحۡيِيكُمۡۖ﴾ [ الانفال : ٢٤ ]

“হে ঈমানদারগণ! রাসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে ডাকে যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিবে।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৪]

* আল্লাহ তা‘আলা কি হিদায়াতের বিষয়টিকে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য এবং তাঁর সুন্নাতের অনুসরণ করার সাথে সম্পর্কযুক্ত করে দেন নি? কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তো বলেছেন:

﴿وَٱتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ ١٥٨﴾ [ الاعراف : ١٥٨ ]

“আর তোমরা তার অনুসরণ কর, যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৮]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন:

﴿وَإِن تُطِيعُوهُ تَهۡتَدُواْۚ﴾ [ النور : ٥٤ ]

“আর তোমরা তার আনুগত্য করলে সৎপথ পাবে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫৪]

* আল্লাহ তা‘আলা কি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারীদের জন্য তাঁর রহমতের বিষয়টিকে নিশ্চিত করে লিপিবদ্ধ করে দেন নি এবং তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা ও মুক্তির গ্যারান্টি দেন নি? আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖۚ فَسَأَكۡتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلَّذِينَ هُم بِ‍َٔايَٰتِنَا يُؤۡمِنُونَ ١٥٦ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلرَّسُولَ ٱلنَّبِيَّ ٱلۡأُمِّيَّ ٱلَّذِي يَجِدُونَهُۥ مَكۡتُوبًا عِندَهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَٱلۡإِنجِيلِ يَأۡمُرُهُم بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَىٰهُمۡ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡخَبَٰٓئِثَ وَيَضَعُ عَنۡهُمۡ إِصۡرَهُمۡ وَٱلۡأَغۡلَٰلَ ٱلَّتِي كَانَتۡ عَلَيۡهِمۡۚ فَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِهِۦ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَٱتَّبَعُواْ ٱلنُّورَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ مَعَهُۥٓ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ١٥٧﴾ [ الاعراف : ١٥٦، ١٥٧ ]

“আর আমার দয়া- তা তো প্রত্যেক বস্তুকে ঘিরে রয়েছে। কাজেই আমি তা লিখে দেব তাদের জন্য যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমাদের আয়াতসমূহে ঈমান আনে, যারা অনুসরণ করে রাসূলের, উম্মী (নিরক্ষর) নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিপিবদ্ধ পায়, যিনি তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেন, অসৎকাজ থেকে নিষেধ করেন, তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন। আর তাদেরকে তাদের গুরুভার ও শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেন যা তাদের ওপর ছিল। কাজেই যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তার সাথে নাযিল হয়েছে সেটার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৫৬-১৫৭]

* আল্লাহ তা‘আলা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিচারক নিযুক্তকরণ এবং তাঁর রায় ও সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়ার সাথে ঈমানের বিষয়টিকে সম্পর্কযুক্ত করে দেন নি? কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তো বলেছেন:

﴿فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥﴾ [ النساء : ٦٥ ]

“কিন্তু না, আপনার রবের শপথ! তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারের ভার আপনার উপর অর্পণ না করে। অতঃপর আপনার মীমাংসা সম্পর্কে তাদের মনে কোনো দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে নেয়।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]

“আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোনো বিষয়ের ফয়সালা দিলে কোনো মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য সে বিষয়ে তাদের কোনো (ভিন্ন সিদ্ধান্তের) ইখতিয়ার সংগত নয়।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন:

﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ﴾ [ النساء : ٥٩ ]

“অতঃপর কোনো বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনে থাক।” সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ﴾ (তোমরা তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূলের নিকট)-প্রসঙ্গে ইমাম শাফে‘ঈ রহ. বলেন: তোমরা তা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন তার সামনে অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহর সামনে তা উপস্থাপন কর।

* আল্লাহ তা‘আলা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে সতর্ক করে দেননি এবং এরই কারণে বা ধারাবাহিকতায় ধ্বংস ও ফিতনার কথা বর্ণনা করে দেননি? আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿فَلۡيَحۡذَرِ ٱلَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنۡ أَمۡرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمۡ فِتۡنَةٌ أَوۡ يُصِيبَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ٦٣﴾ [ النور : ٦٣ ]

“কাজেই যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদের ওপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬৩]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿وَيَوۡمَ يَعَضُّ ٱلظَّالِمُ عَلَىٰ يَدَيۡهِ يَقُولُ يَٰلَيۡتَنِي ٱتَّخَذۡتُ مَعَ ٱلرَّسُولِ سَبِيلٗا ٢٧ يَٰوَيۡلَتَىٰ لَيۡتَنِي لَمۡ أَتَّخِذۡ فُلَانًا خَلِيلٗا ٢٨﴾ [ الفرقان : ٢٦، ٢٧ ]

“যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজের দু‘হাত দংশন করতে করতে বলবে, ‘হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে কোন পথ অবলম্বন করতাম! ‘হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২৭-২৮]

* আল্লাহ তা‘আলা কি তাঁর ভালোবাসা পাওয়ার বিষয়টিকে তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করার সাথে শর্তযুক্ত করে দেন নি? আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]

“বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১]

* আল্লাহ তা‘আলা কি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে নির্ভেজাল ওহীর অন্তর্ভুক্ত করে দেননি? আল্লাহ তা‘আলা তো বলেছেন:

﴿وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلۡهَوَىٰٓ ٣ إِنۡ هُوَ إِلَّا وَحۡيٞ يُوحَىٰ ٤﴾ [ النجم : ٣، ٤ ]

“আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না। তাতো কেবল অহী, যা তার প্রতি অহীরূপে প্রেরিত হয়।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩-৪]

অতএব, হে গুণীজন! আল্লাহর এ কিতাবটি তো সত্য কথাই বলে এবং আমাদেরকে প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার জন্য আহ্বান করে; সুতরাং এসব আয়াতে কারীমার ব্যাপারে আমাদের কারও কারও দৃষ্টি দুর্বল বা অন্ধ হয়ে গেল কেন? আর কেনইবা আমাদের কেউ কেউ এসব আয়াতের ব্যাপারে শিয়ালের ধূর্তামী বা ছল-চাতুরীর মতো করে ছল-চাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন