hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার

লেখকঃ সাঈদ বিন আলী ইবনে ওহাফ আল-কাহতানী

১২
পঞ্চম পরিচ্ছেদ: বিদআতের প্রকার
বিভিন্ন দিক বিবেচনায় বিদআত কয়েক প্রকার। সংক্ষেপে তা নিম্নে তুলে ধরা হল

প্রথম প্রকারঃ হাকীকী বিদআত ও আপেক্ষিক বিদআত।

হাকীকী বা প্রকৃত বিদআত

তা হলো দ্বীনের মধ্যে এমন কাজ সংযোজন যার উপর কুরআন, হাদীস, ইজমা ও বিজ্ঞ আলেম-উলামাদের নিকট সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত কোন দলিল-প্রমাণ নেই। বিদআতকে এজন্যই বিদআত বলা হয়, কেননা তা দ্বীনের মাঝে নব আবিষ্কার। [আল-ইতিসাম, লেখক শাতেবী (র) : ১/৩৬৭]

উদাহরণঃ বৈরাগ্যবাদের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা। অর্থাৎ মানব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গলে অবস্থান, আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে দুনিয়া ও দুনিয়ার নিয়ামত ত্যাগ করা ইত্যাদি। যারা এমন করে তারা মনগড়া ইবাদত করে এবং তা নিজের উপর বাধ্য করে নেয়। যেমন-আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় হালাল বস্ত্তকে হারাম করে নেয়া ইত্যাদি। [আল-ইতিসাম, লেখক শাতেবী (র) : ১/৪১৭]

আপেক্ষিক বিদআত

আপেক্ষিক বিদআতের দু‘টি দিক বা শাখা রয়েছে।

একঃ এ ধরণের বিদআতের ক্ষেত্রে প্রমাণাদি থাকে, এ বিবেচনায় এটা বিদআত হবে না।

দুইঃ এর সাথে বিদআতের সংশ্লিষ্টতা নেই বরং তাতে প্রকৃত বিদআতের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে। অর্থাৎ এক দিক বিবেচনায় প্রমাণাদির সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে এটা সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে। পক্ষান্তরে অন্য দিক বিবেচনায় প্রমাণাদির সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকার কারণে বিদআত হিসেবে গণ্য হবে। কারণ এর মাঝে সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে, গ্রহণযোগ্য কোন প্রমাণ নেই।

অর্থের দিক থেকেও উভয়ের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। মৌলিকত্বের দিক থেকে প্রমাণাদি আছে। আর অবস্থার, পরিস্থিতির অথবা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দিক থেকে প্রমাণাদি নেই। কেননা তা ইবাদতের মধ্যে সংযোজিত হলে বিদআত হবে, শুধু অভ্যাস গত হলে বিদআত হবে না। যেমন-সালাতের পর সম্মিলিতভাবে সমস্বরে যিকির করা কিংবা সালাতের পর ইমাম কর্তৃক সম্মিলিত দু‘আ জরুরী মনে করা।

যিকির করা শরীয়ত সিদ্ধ। কিন্তু বিশেষ পদ্ধতি বা ভংগিতে তা আদায় করা শরীয়ত সম্মত নয়। তা বিদআত ও সুন্নাত পরিপন্থী। [আল-ইতিসাম, লেখক শাতেবী (র) : ১/৪৫২]

এমনিভাবে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ইবাদত ও তৎপরবর্তী দিনকে সিয়ামের জন্য নির্ধারিত করা। রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সালাতে রাগায়েব (উৎসাহমূলক সালাত) আদায় করা। এটা কুসংস্কার ও আপেক্ষিক বিদআত। কেননা সালাত, সিয়াম এগুলো মৌলিকভাবে শরীয়ত সম্মত। কিন্তু এটা সময়, স্থান বা অবস্থার সাথে নির্দিষ্ট করার কারণে বিদআত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। কারণ কুরআন ও হাদীসে তা এভাবে বর্ণিত হয় নি।

মূল কথা হলঃ এসব আমল মৌলিক দিক বিবেচনায় শরীয়ত সম্মত, তবে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে বিদআত।

দ্বিতীয় প্রকারঃ কর্মমূলক ও বর্জনমূলক বিদআত।

কর্মমূলক বিদআতঃ যা বিদআতের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত। এটা দ্বীনের মধ্যে নব আবিস্কৃত ও শরীয়তের সাথে সামঞ্জস্যশীল। এর দ্বারা ইবাদতে আধিক্য উদ্দেশ্য থাকে। যেমন, শরীয়ত বহির্ভূত বিষয় শরীয়তে সংযোজন করা। যেমন, সালাতে রাকাত বৃদ্ধি করা, দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবিষ্ট করা যা দ্বীনের মধ্যে নেই, সুন্নাহ্র বিপরীত পদ্ধতিতে ইবাদত করা, শরীয়ত সম্মত ইবাদতের জন্য এমন সময় নির্ধারণ করা যা শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত নয়। যেমন শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ইবাদত করা ও পরবর্তী দিনকে সিয়ামের জন্য নির্ধারণ করা। [কিতাবুত তাওহীদ লেখক ড.সালেহ ফাওযান : ৮২পৃ:]

২. বর্জনমূলক বিদআতঃ যা বিদআতের সংজ্ঞার ব্যাপকতার অন্তর্ভুক্ত। তা হল দ্বীনের মধ্যে নব আবিস্কৃত পন্থা, যা বিদআত। সুতরাং বিদআত কখনও কোন কিছু পরিহার করার মাধ্যমে হয়, চাই তা নিজের উপর হারাম করা হোক বা না হোক। যেমন-শরীয়ত কর্তৃক হালাল বিষয়কে নিজের উপর হারাম করা, অথবা ইচ্ছাপূর্বক কোন বস্ত্ত বর্জন করা। এ বর্জন শরীয়ত অনুমোদিত বা অনুমোদনহীন হতে পারে। অতএব যদি তা শরীয়ত অনুমোদিত কোন বিষয়ে হয় তাহলে তাতে কোন ক্ষতি নেই। কেননা সে শরীয়ত কর্তৃক বৈধ বিষয় পরিহার করেছে। যেমন কেউ শরীর অথবা মেধা অথবা দ্বীন অথবা এ জাতীয় কোন কিছুর জন্য ক্ষতিকর হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট খাদ্য থেকে নিজেকে বিরত রাখল। এক্ষেত্রে খাদ্য বর্জন করায় কোন দোষ নেই।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

يَا مَعْشَرَالشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ . ( بخاري ومسلم )

অর্থঃ হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ আছে সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টি অবনমিতকারীও লজ্জাস্থান হিফাযতকারী। আর যে বিবাহের সামর্থ রাখে না, সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা তা উত্তেজনা দমনকারী। [বুখারী : ১৯০৫ ও মুসলিম : ১৪০০]

এমনিভাবে ক্ষতিকর বিষয় থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে এমন বিষয় বর্জন করা যাতে ক্ষতি নেই। যেমন-হারাম বা নিষিদ্ধ বিষয়াবলীতে পতিত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য সন্দেহযুক্ত বস্ত্ত বর্জন করা যা সম্মান ও দ্বীনের পবিত্রতার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে।

এ ছাড়া অন্য কোন কারণে যদি বর্জন করা হয়, তাহলে তা দ্বীন মনে করে বর্জন করা হবে অথবা অন্য কোন কারণে। সুতরাং যদি তা দ্বীন মনে করে না হয়, তাহলে বর্জনকারী উক্ত কাজটি নিজের উপর অহেতুক নিষিদ্ধকারী অথবা স্বেচ্ছায় পরিহারকারী। এটাকে বিদআত নামে অভিহিত করা যায় না। কেননা তা বিদআতের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তবে উল্লিখিত দ্বিতীয় সংজ্ঞা অনুযায়ী অভ্যাসগত বিদআতের অন্তর্ভুক্ত হয় কিন্তু প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী অন্তর্ভুক্ত হয় না। তবে বর্জনকারী তা পরিহার করার কারণে বা আল্লাহ তা‘আলা যা হালাল করেছেন তা হারাম মনে করার কারণে (আল্লাহর বিধানের) বিরুদ্ধাচারণকারী গণ্য হবে। বর্জিত বস্ত্তর মর্যাদার ভিন্নতার কারণে শরীয়তের বিরুদ্ধাচরণের পাপও বিভিন্ন রকম হয়। যেমন-ওয়াজিব, মুবাহ।

যদি দ্বীন মনে করে কোন কিছু বর্জন করা হয়, তাহলে তা বিদআত বলে গণ্য হবে। চাই সে বর্জিত বিষয় বৈধ হোক কিংবা আদিষ্ট, চাই তা ইবাদতের অর্ন্তভুক্ত হোক বা লেন-দেনের অন্তর্ভুক্ত কিংবা অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত। চাই তা কথা, কাজ বা বিশ্বাসগত বিষয়ের মাধ্যমে হোক। সুতরাং যখন পরিহার করাকে আল্লাহর ইবাদত মনে করা হবে, তখন সে বিদআতের অনুসারী হিসাবে পরিগণিত হবে। [আল-ইতিসাম, লেখক শাতেবী (র) : ১/৫৮]

প্রমাণাদির মাধ্যমে জানা যায়, এ জাতীয় বিষয় বর্জন করা বিদআত। যেমন - جَاءَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا فَقَالُوا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلَا أُفْطِرُ وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَنْتُمْ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي . ( متفق عليه )

অর্থঃ তিন ব্যক্তির ঘটনা, যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্ত্রীগণের ঘরে এসে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তাদের তাঁর ইবাদত সম্পর্কে অবহিত করা হল, তখন তারা নিজেদের আমল কম মনে করল। তারা বলল, আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোথায় পড়ে আছি। অথচ তার অগ্র-পশ্চাতের সকল গুনাহ আল্লাহ্ ক্ষমা করে দিয়েছেন। অতঃপর তাদের একজন বলল, আমি রাত ভর সালাত আদায় করব। দ্বিতীয় জন বলল, আমি সারা বছর সিয়াম পালন করব, পরিত্যাগ করব না। তৃতীয় জন বলল, আমি নারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকব কখনও বিবাহ করব না। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমরা কি এমন এমন বলেছ? শুনে রাখ! আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহ্কে অধিক ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে অধিক মুত্তাকী। তবে আমি সিয়াম পালন করি আবার ছেড়েও দেই। রাত জেগে সালাত আদায় করি আবার নিদ্রা যাই তেমনি নারীদের বিবাহ করেছি। সুতরাং যে আমার সুন্নাতের প্রতি অনিহা প্রকাশ করে সে আমার দলভুক্ত নয়। [বুখারী : ৫০৬৩ ও মুসলিম : ১৪০১]

এখানে সুন্নাত বলে পথ বা আদর্শ বুঝানো হয়েছে। ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাত বুঝানো হয়নি। আর কোন জিনিসের প্রতি অনিহা থাকার অর্থ তা থেকে বিমুখ হয়ে অন্য কিছুর প্রতি আগ্রহী হওয়া। তাহলে হাদীসের অর্থ হল, যে ব্যক্তি আমার আদর্শ থেকে বিমুখ হয়ে অন্য কোন আদর্শ গ্রহণ করল, সে আমার দলভুক্ত হবে না। [ফাতহুল বারী : ৯/১০৫]

ইতিপূর্বে স্পষ্ট হয়েছে যে, বিদআত দু‘প্রকারঃ (ক) কর্মমূলক বিদআত ও

(খ) বর্জনমূলক বিদআত। যেমনিভাবে স্পষ্ট হয়েছে যে, সুন্নাত দু‘প্রকার করণীয় সুন্নাত ও বর্জনীয় সুন্নাত।

সুতরাং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত, কখনও কোন কাজ করার মাধ্যমে হতে পারে। আবার কোন কিছু বর্জন করার মাধ্যমেও হতে পারে।

যেমনিভাবে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঐ সকল কাজের অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করেছেন, যার মাধ্যমে আল্লাহ্র নৈকট্য অর্জন করা যায়। তবে শর্ত হলো সে ইবাদতটি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্য নির্দিষ্ট না হওয়া।

তেমনিভাবে আল্লাহ্ তাআলা আমাদের কাছে কামনা করেন যে, আমরা যেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বর্জন করেছেন তা বর্জন করার মাধ্যমে তাঁর আনুগত্য করি। সুতরাং তখন বর্জন করাটাই সুন্নাত। আবার তিনি যা করেছেন তা পালন করাটাই সুন্নাত।

তাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা করেছেন তা বর্জন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্র নৈকট্য অর্জন করতে পারব না। তেমনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বর্জন করেছেন সে গুলো পালন করার মাধ্যমেও আমরা আল্লাহ্র নৈকট্য অর্জন করতে পারব না। সুতরাং বর্জিত বিষয়াবলী কর্মে পরিণতকারী কৃত বিষয়াবলী পরিহারকারীর ন্যায়। উভয়ের মাঝে কোন পার্থক্য নাই। [আল-ইতিসাম, লেখক শাতেবী (র) : ১/৫৭-৬০]

তৃতীয় প্রকারঃ বিশ্বাসগত, বক্তব্যধর্মী ও কর্মমূলক বিদআত

১। বিশ্বাসগত ও বক্তব্যধর্মী বিদআত

যেমন জাহমিয়্যাহ, মু‘তাজিলা, শিয়া, রাফেজি ও সকল পথভ্রষ্টদলগুলোর বক্তব্য ও তাদের বিশ্বাস। তাদের মাঝে ঐ সকল জামাআতও অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা নতুন আত্মপ্রকাশ করেছে। যেমন কাদিয়ানী, বাহাই। এছাড়াও সকল বাতেনী জামাত। যেমন ইসমাঈলী নাছিরিয়্যাহ, দরওয়াজ ও রাফেজা।

২। কর্মমূলক বিদআত যা কয়েক প্রকার

প্রথম প্রকারঃ মূল ইবাদতের মধ্যে বিদআত। নতুন কোন ইবাদত প্রবর্তন করা শরীয়তে যার কোন ভিত্তি নেই। যেমন শরীয়তের অনুমোদন বিহীন সালাত প্রবর্তন করা, শরীয়তের অনুমোদন বিহীন সিয়াম প্রবর্তন করা বা এমন ঈদ পালন করা যা শরীয়তে নেই। যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন ইত্যাদি।

দ্বিতীয় প্রকারঃ শরীয়ত সমর্থিত ইবাদতে কিছু সংযোজন। যেমনঃ জোহর অথবা আছর সালাতের রাকাত বৃদ্ধি করে পাঁচ রাকাত পড়া।

তৃতীয় প্রকারঃ শরীয়ত সমর্থিত ইবাদত আদায়ের পদ্ধতিতে বিদআত অর্থাৎ বৈধ ইবাদতকে অবৈধ পন্থায় আদায় করা। এমনিভাবে শরীয়ত সম্মত জিকির দলবদ্ধভাবে সমস্ব^রে আদায় করা এবং ইবাদত করার ক্ষেত্রে নিজ জীবনের উপর কঠোরতা করা যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত নেই।

চতুর্থ প্রকারঃ শরীয়ত সম্মত ইবাদতের জন্য এমন এক সময় নির্ধারণ করা যা শরীয়ত নির্ধারণ করেনি। যেমন-শাবান মাসের ১৫তম দিন সিয়াম পালন ও ১৪তম দিবাগত রাত সালাত আদায়ের জন্য নির্ধারণ করা। কেননা সিয়াম ও সালাত শরীয়ত সম্মত, তবে তা কোন বিশেষ সময়ে আদায়ের জন্য নির্ধারণের জন্য প্রমাণের প্রয়োজন, যা এ ক্ষেত্রে নেই। [মাজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া : ১৮/৩৪৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন