মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
নিঃসন্দেহে বিদআত সর্বাধিক ভয়ঙ্কর গুনাহ্। মানুষ যখন সদা-সর্বদা বিভিন্ন ধরণের গুনাহ্র কাজ করতে থাকে, তখন এক পর্যায়ে এ গুনাহ্ তাকে ধ্বংস করে দেয়। ঐ সকল ধ্বংসকারী গুনাহ্র মধ্যে বিদআত হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন। সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, সমস্ত গুনাহর মধ্যে ইবলীসের নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় গুনাহ্ হচ্ছে বিদআত। কেননা বান্দা গুনাহ করলে তাওবা করে, কিন্তু বিদআতপন্থী বিদআতী আমল সাওয়াবের কাজ ভেবে সম্পাদন করে, ফলে তা থেকে তাওবা করে না। [শরহুস সুন্নাহ -আল-বাগভী (র): ১/২২৬]
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, বিদআতের গুনাহ থেকে তাওবা করা হয় না। এর অর্থ হচেছ- বিদআত সৃষ্টিকারী এমন কিছু ধর্মীয় রীতি-নীতি প্রবর্তন করে যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে প্রবর্তিত নয়। শয়তান সে সব বিদআতী আমলগুলো আরো চাকচিক্যময় করে তার সামনে উপস্থাপন করে। তখন সে এগুলোকে সৎকাজ বিবেচনা করে। ফলে এ থেকে সে তাওবা করার প্রয়োজন মনে করে না। কেননা তাওবার প্রথম পর্যায় হলো, সে কৃত কাজগুলো মন্দ হিসেবে জানবে, যাতে সে তাওবা করতে পারে।
কিন্তু তার দৃষ্টিতে এ বিদআত কাজটি যেহেতু সৎকাজ হিসাবে পরিগণিত। তাই সে মনে করে, যদি সে এ কাজ ছেড়ে দেয় তাহলে একটা সৎকাজ ছেড়ে দিল। এ ভাবে সে ঐ বিদআত কাজ ছাড়তেও পারে না এবং তা থেকে তাওবা করার সুযোগ হয়ে ওঠে না। [মাজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া (র) : ১০/৯]
এরপর ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেনঃ হ্যাঁ, তাওবা তখন সম্ভব যখন আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে সঠিক পথের সন্ধান দান করেন এবং তাওবা করার তাওফিক দান করেন। যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলা অনেক কাফের, মুশরিক, মুনাফিক ও বিদআতের অনুসারীদের হেদায়াত দান করেছেন। [মাজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া (র) : ১০/৯]
তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি বলে, আল্লাহ্ তা‘আলা বিদআতপন্থীদের তাওবা কবুল করবেন না সে মারাত্মক ভুল করল। [মাজমুয়ায়ে ফতোয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া (র) : ১০/৯]
ইবনে তাইমিয়া রহ. বিদআত সৃষ্টিকারীর তাওবা আল্লাহ্র নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না সংক্রান্ত হাদীসটির ব্যাখ্যা করেছেন। হাদীসটি হচ্ছেঃ
অর্থঃ আল্লাহ কোন বিদআত সৃষ্টিকারীর তাওবা গ্রহণ করবেন না। [আল-মুজামুল আওসাত-তিবরানী (র) : ৪৭১৩]
ইবনে তাইমিয়া রহ. কর্তৃক এ হাদীসের ব্যাখ্যা ইতিপূর্বে স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, কুরআনের এক আয়াত অন্য আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা। আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন, বান্দা যখন গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকে, কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়, দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় যে, সে অনুরূপ গুনাহে আর লিপ্ত হবে না এবং প্রাপকদের হক যথাযথ ভাবে আদায় করবে, তাহলে আল্লাহর ওয়াদা হচ্ছে, তাওবার পর আল্লাহ্ তাকেও ক্ষমা করে দিবেন যদিও সে মুশরিক, হত্যাকারী বা ব্যাভিচারী হয়।
অর্থঃ কিন্তু যারা তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদের যাবতীয় পাপ নেক দ্বারা পরিবর্তন করে দিবেন। আর আল্লাহ্ হলেন অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও করুণাময়। [ফুরকান : ৭০]
অর্থঃ বলুন, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের উপর যুলুম বা অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পাপ মোচন করে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি অতীব ক্ষমাশীল অসীম করুণাময়। [যুমার : ৫৩]
অর্থঃ আর যে ব্যক্তি কোন মন্দ আমল করে অথবা নিজের উপর অবিচার করে। অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুণাময় হিসেবেই পাবে। [নিসা : ১১০]
এ তাওবা ব্যাপক, যা সকল নাস্তিক, কাফির, মুশরিক, বিদআত সৃষ্টিকারী এবং সকল গুনাহ্গারদের জন্য। যদি সে তাওবার শর্তগুলো পূর্ণ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/287/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।