১
কিতাবের নাম/ লেখক/ অনুবাদক/ সম্পাদক
২
এক. হে আল্লাহ, আপনি রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত রাখুন এবং আমাদেরকে রমযান পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দিন
৩
দুই. রমযান মাসের প্রথম অংশ রহমত, মধ্যম অংশ মাগফেরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্তির
৪
তিন. যে ব্যক্তি কোন কারণ ছাড়া রমযানের একদিন সওম ভঙ্গ করল অথবা অসুস্থতা ব্যতীত, পুরো বছরেও তার কাযা হবে না, যদিও সে পুরো বছর সওম পালন করে
৫
চার. সওম পালন কর সুস্থ থাক” হাদিসটি দুর্বল
৬
পাঁচ. প্রত্যেক ইফতারের সময় জাহান্নাম থেকে আল্লাহর কিছু মুক্তি প্রাপ্ত বান্দা থাকে
৭
ছয়. বান্দারা যদি জানত যে, রমযানে কি রয়েছে, তাহলে তারা আশা করত পুরো বছর যেন রমযান হয়, নিশ্চয় জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রমযানের জন্য সুসজ্জিত করা হয়...
৮
সাত. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ইফতারের সময় বলত: হে আল্লাহ আপনার জন্য সওম পালন করছি এবং আপনার রিযকের দ্বারাই ইফতার করছি
৯
আট. এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলে: আমি চাঁদ দেখেছি, তিনি বললেন: তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল? সে বলল: হ্যাঁ, তিনি বললেন: হে বেলাল মানুষকে জানিয়ে দাও, তারা যেন আগামী কাল সওম পালন করে
১০
নয়. শীতকালীন সওম হচ্ছে ঠাণ্ডা গনিমত
১১
দশ. আমার নিকট প্রিয় বান্দা তারাই যারা দ্রুত ইফতার করে
১২
এগার. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি ঘুমের সময় সুগন্ধি যুক্ত সুরমার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন সওম পালনকারীর এর থেকে বেঁচে করা জরুরী
১৩
বার. সফরে সওম পালন করা নেকির কাজ নয়
১৪
তের. আমি গত রাতে এক আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেছি... আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে দেখলাম পিপাসায় কাতরাচ্ছে, যখনই সে আমার হাওজের কাছে আসে তাকে নিষেধ করা হয় ও তাড়িয়ে দেয়া হয়, অতঃপর তার সওম এসে তাকে পান করায় ও তার তৃষ্ণা নিবারণ করে
১৫
চৌদ্দ. সওম পালনকারীদের মুখ থেকে মিসকের সুগন্ধি বের হবে এবং আরশের নিচে তাদের জন্য দস্তরখান বিছানো হবে”। “সুয়ূতি দুররুল মানসুর
১৬
পনের. সওম পালনকারীর নিকট যখন ভক্ষণ করা হয়, তার জন্য ফেরেশতাগণ তখন ইস্তেগফার করে
১৭
ষোল. সওম পালনকারীর ঘুম ইবাদত
১৮
সতের. অনেক সওম পালনকারী আছে, যাদের সওম হচ্ছে ক্ষুধা ও পিপাসা। অনেক রাত জাগরণকারী আছে, যাদের রাত জাগা হচ্ছে শুধু বিনিন্দ্রা রাত কাটানো
১৯
আঠার. রযমানে এশার সালাত যে জামাতের সাথে পড়ল, সে লাইলাতুল কদর লাভ করল
২০
উনিশ. রমযানের শেষ দিন প্রবেশ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের থেকে পৃথক থাকতেন ও দুই আযানের মধ্যবর্তী গোসল করতেন এবং রাতের খাবারকে সেহরি হিসেবে খেতেন
২১
বিশ. ঈদুল ফিতরের পর যে ব্যক্তি একদিন সওম রাখল, সে যেন পুরো বছর সওম পালন করল
২২
একুশ. যে বক্তি রমযান, শাওয়াল, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে
২৩
বাইশ. রমযানে আল্লাহকে স্মরণকারী ক্ষমা প্রাপ্ত
২৪
তেইশ. তোমরা সেহরি দ্বারা দিনের সওম এবং দিনের কায়লুলা দ্বারা রাতের কিয়ামের জন্য সাহায্য গ্রহণ কর
২৫
চব্বিশ. তিনটি বস্তুর কারণে সওম পালনকারী সওম ভঙ্গ হবে না: শিঙা, বমি ও স্বপ্ন দোষ
২৬
পঁচিশ. সওম পালনকারীর হাদিয়া হচ্ছে তৈল ও ধূপদানি
২৭
ছাব্বিশ. নিশ্চয় আল্লাহ প্রতি রাতে ছয় লাখ লোক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যখন সর্ব শেষ রাত আসে, তখন তিনি পূর্বের সম পরিমাণ মুক্ত করেন
২৮
সাতাশ. আমার উম্মতের নপুংসকতা হচ্ছে সওম”। আলবানি “মিশকাতুল মাসাবিহ
২৯
আটাশ. সওম ধৈর্যের অর্ধেক
৩০
ঊনত্রিশ. যে ঈদের রাত জাগ্রত থাকে” অন্য বর্ণনায় আছে: “যে ব্যক্তি ঈদের রাত সওয়াবের নিয়তে জাগ্রত থাকে, তার অন্তর মারা যাবে না, যে দিন সকল অন্তর মারা যাবে
৩১
ত্রিশ. সওমের রিয়া বা লৌকিতা নেই
৩২
একত্রিশ. মদিনায় এক রমযান সওম, অন্যান্য শহরে হাজার মাসের সওমের সমান
৩৩
বত্রিশ. সকল মাসের সরদার হচ্ছে রমযান, সব চেয়ে বেশী সম্মানিত হচ্ছে জিল হজ্জ
৩৪
তেত্রিশ. আসমানে এত সংখ্যাক ফেরেশতা রয়েছে, যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না, যখন রমযান আগমণ করে, তখন তারা উম্মতে মুহাম্মদির সাথে রমযানের তারাবিতে অংশ গ্রহণ করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে
৩৫
চৌত্রিশ. সওম পালনকারীর ইফতারের সময় দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয়