মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথম পরিচ্ছেদ: তাওহীদুল উলুহিয়্যার অর্থ ও এটি যে রাসূলগণের দাওয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সে প্রসঙ্গে
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/36/17
তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ: ‘আল-উলুহিয়্যাহ’-এর অর্থ হচ্ছে ইবাদাত।
আর তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ হচ্ছে, বান্দা যেসব কাজ শরী‘আতসম্মত উপায়ে শুধুমাত্র আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য করে থাকে, সেসব কাজ দ্বারা কেবল আল্লাহ তা‘আলাকেই উদ্দেশ্য করা। যেমন, দো‘আ, মান্নত, যবেহ, আশা পোষণ, ভয়, তাওয়াক্কুল বা নির্ভরতা, আল্লাহর প্রতি আকর্ষণ, সম্ভ্রম ও আল্লাহর কাছে ফিরে আসা ইত্যাদি। এ প্রকার তাওহীদই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত রাসূল এসেছেন সব রাসূলের দাওয়াতের মূল বিষয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে অবশ্যই রাসূল প্রেরণ করেছিলাম দিয়ে এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করো এবং তাগুতকে বর্জন করো।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩৬]
“আর আমরা আপনার পূর্বে যে রাসূলই প্রেরণ করেছিলাম তার কাছে এ প্রত্যাদেশ করেছিলাম যে, আমি ছাড়া প্রকৃত আর কোনো ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত করো।” [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫]
প্রত্যেক রাসূল তার জাতির প্রতি দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তাওহীদুল উলুহিয়্যার নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে। যেমন, নূহ, হূদ, সালেহ ও শু‘আইব আলাইহিস সাল্লাম বলেছিলেন,
“আমাকে মানুষের সাথে জিহাদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যতক্ষণ না তারা এই সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫, ৩৯২, ১৩৯৯, ২৯৪৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩-১৩৮।]
শরী‘আতের হুকুম প্রযোজ্য হয় এমন সকল ব্যক্তির ওপর প্রথম যে বিষয়টি ওয়াজিব তা হচ্ছে, এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই এবং সে সাক্ষ্য অনুযায়ী আমল করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“জেনে রাখ, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাই নেই এবং তোমার পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ১৯]
যে ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করতে চায় তাকে প্রথম যে নির্দেশটি দেওয়া হয় তা হচ্ছে দু’টো শাহাদাত বাণী উচ্চারণ। এর দ্বারা স্পষ্ট হয়েছে যে, তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ বা ইবাদাতে একত্ববাদই হচ্ছে রাসূলগণের দাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য। আর তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ- এ নামকরণ এজন্যই করা হয়েছে যে, উলুহিয়্যাহ হচ্ছে আল্লাহর গুণ, যার ওপর আল্লাহর ‘আল্লাহ’ নামটি প্রমাণ বহন করছে। কেননা আল্লাহ হচ্ছে উলুহিয়্যাতের মালিক অর্থাৎ উপাসনার অধিকারী বা উপাস্য। এ প্রকার তাওহীদকে ‘তাওহীদুল ইবাদাহ’ও বলা হয় এ বিবেচনায় যে, দাসত্ব হচ্ছে বান্দার গুণ। কেননা একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদাত করাটা বান্দার ওপর অপরিহার্য। কারণ সে তার রবের মুখাপেক্ষী এবং রবের কাছে তার প্রয়োজন রয়েছে।
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, “জেনে রাখো, আল্লাহর প্রতি বান্দার মুখাপেক্ষীতা হলো এই যে, সে আল্লাহর ইবাদাত করবে, তাঁর সাথে কোনো কিছুর শরীক করবে না। তাঁর এমন কোনো সমকক্ষ নেই যে, তাঁর সাথে অন্য কিছুর তুলনা করা যেতে পারে। তবে কোনো কোনো দিক থেকে এর সাথে অন্যের কিছুটা তুলনা হতে পারে যেমন খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি শরীরের মুখাপেক্ষীতা। তবে এ দুটোর মধ্যে বহু পার্থক্য রয়েছে। কেননা বান্দার হাক্বীকাত হচ্ছে তার হৃদয় ও তার রূহ। আর তার ইলাহ আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া তার কোনোই কল্যাণ ও উপযোগিতা নেই, যে আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার আর কোনো ইলাহও নেই। সুতরাং দুনিয়ায় আল্লাহকে স্মরণ করা ছাড়া তার সেই হৃদয় ও রূহ প্রশান্ত হয় না। আর যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা বান্দার আনন্দ ও উল্লাস অর্জিত হয় তবে তা স্থায়ী হয় না, বরং তা একপ্রকার থেকে অন্য প্রকারে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দিকে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু তার যে প্রকৃত ইলাহ, তাকে অবশ্যই তার সাথে (অন্তরের সম্পর্কে) সম্পৃক্ত থাকতে হয়, সর্বাবস্থায়, সব সময় ও যেখানেই সে থাকুক না কেন।” [মাজমু আল ফাতাওয়া: ১/২৪।]
এ প্রকারের তাওহীদ রাসূলগণের দাওয়াতের মূল বিষয়। কেননা এই তাওহীদই হচ্ছে সে মূল ভিত্তি যার ওপর সকল আমল স্থাপিত। এ প্রকার তাওহীদ প্রতিষ্ঠিত না হলে কোনো আমলই শুদ্ধ হয় না। কেননা এই প্রকারের তাওহীদ প্রতিষ্ঠিত না হলে তাওহীদবিরোধী চিন্তাভাবনা থেকে যায়, যা কিনা শির্ক বলেই বিবেচিত। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“বল, এসো তোমাদের রব তোমাদের ওপর যা হারাম করেছেন আমি তোমাদের তা পাঠ করে শোনাই। আর তা হলো এই যে, তোমরা তাঁর সাথে কোনো কিছু শরীক করবে না। আর পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫১]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/36/17
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।